খুন করে সঙ্গম, মৃতের মাংস খাওয়া, বীভৎস সিরিয়াল কিলার গড়ে ওঠে কীভাবে?
Serial Killer Psychology: একাকীত্বে ভোগা ডাহমার মনে করত, এই মানুষগুলির শরীরের অংশ খেয়ে ফেললে, তারা ডাহমারের একটি অংশ হয়ে রয়ে যাবে।
তিরিশোর্ধ্ব যুবকটিকে খুনের দায়ে পুলিশ যখন গ্রেফতার করছে, তখন সে কিশোর এবং যুবক মিলিয়ে মোট ১৭ জন পুরুষকে খুন করে ফেলেছে। মৃতদের মধ্যে ১১ জনের শরীরের বিভিন্ন অংশ খুনির বাড়িতেই পাওয়া গিয়েছিল। 'জার্নাল অব পার্সোনালিটি অ্যাসেসমেন্ট'-এ ২০০৬ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সেই রাতে পুলিশ যখন যুবকটির ফ্ল্যাটে হানা দিল, তার বাড়ির ফ্রিজে চারটি কাটা মুণ্ডু, বাড়ির মধ্যেই আরও সাতটি খুলি পড়ে রয়েছে। 'জার্নাল অব ফরেন্সিক সায়েন্স'-এ ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, সব ক'টি খুনের ধাঁচ মোটামুটি একই। যার মধ্যে ধর্ষণ, শরীরের বিভিন্ন অংশকে ছিন্ন-বিছিন্ন করা (dismemberment), মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম (necrophilia) এবং মৃতদের মাংস খাওয়ার (cannibalism) মতো ঘটনা অন্যতম। শুধু এখানেই শেষ নয়, সেই পুরুষদের মধ্যে কারও কারও মস্তিষ্কে সে লোবোটোমাইজ় করে মিউরিয়েটিক অ্যাসিড প্রবেশ করানোরও চেষ্টা করেছিল। দ্য মিলওয়াকি ক্যানিবাল জেফ্রি ডাহমার। এতক্ষণ তারই কথা হচ্ছিল। নাম শোনা শোনা লাগছে? নাহ, এই প্রতিবেদন কোনও নেটফ্লিক্সের ক্রাইম সিরিজ় থেকে উদ্বুদ্ধ নয়। ডেভিড ফিঞ্চারের 'মাইন্ড হান্টার'-এর মোটিভকে এক ধাপ ছাপিয়ে, বিশ্বের তাবড় তাবড় সিরিয়াল কিলারদের মনস্তত্ত্ব ঘেঁটে, তাদের নিউরোকেমিস্ট্রির প্রায় চুলচেরা…

Whatsapp
Support quality writing
Encourge writers
Access on any device
