নারীর সত্তার থেকে বহুগুণ ভারী রাষ্ট্রের হিজাবের ভার

Women Under Hijab: ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হিজাব সংস্কৃতির হাতে নির্মম ভাবে কুরবানি ঘটেছিল কুর্দি সম্প্রদায়ের মেয়ে মাহসা আমিনির।

চোখ যতদূর যায়, ততদূর সোনালি গমের শীষের মাথার উপর দিয়ে নরম সোনালি রোদ আর দিগন্ত খোলা বাতাসের নস্টালজিক ঢেউ খেলে যাওয়া। মেঠো রাস্তার ওপার থেকে ঠিক যেন আমার গ্রাম-দেশের ছবি। ছোটবেলার ম্যাপ বইয়ের ভৌগোলিক সীমারেখা আঙুলের অগাধ যাতায়াতের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে যেত মধ্য এশিয়ার ইরান দেশের ঠিক মধ্যিখানে। মফস্বল থেকে একটু দেরিতে পৌঁছানোর জন্য সিনেমা হলের ভারী দরজাটা হঠাৎ একফালি ফাঁক হতেই হলে ঢুকে তাড়াহুড়োতে সোনালি গম খেতের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে, ঘোর লাগত। ১৯৯৯ সালে ইরানের সিনেমা ‘উইন্ড উইল ক্যারি আস’। দেশটিকে সেই প্রথম ছবিতে-শব্দে কাছ থেকে দেখে নেওয়া।

রাজতন্ত্রের অধীনে থাকা দেশটিতে নারী সামাজিক ভাবে অনেক বেশি স্বাধীন স্বভাব, মন-মর্জি নিয়ে থাকতেন। যুগটা ছিল মিনি স্কার্টের যুগ। শহরের স্টাইলিশ মেয়েরা নিজেদের পছন্দ মতো পোশাকে পা অনায়াসেই খোলা রাখতেন। ১৯৬০ সালে তেহরান ইউনিভার্সিটিতে যাঁরা পড়তে আসতেন তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন মধ্যবিত্ত ও শ্রমিক শ্রেণি পরিবারের। ইরানের মানবাধিকার কর্মী শিরিন এবাদি যেমন জানাচ্ছেন, তাঁর পড়ুয়া-জীবনে ক্লাসের তিন সহপাঠিনী মাথা ঢেকে আসতেন। ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে লাইব্রেরিতে পড়তে যেতেন। একসঙ্গে আড্ডা দিতেন। একসঙ্গে কফি খেতে যেতেন। তবে ক্লাস চলাকালীন তাঁরা ভাগাভাগি হয়ে যেতেন। মেয়েরা সামনের দিকের সারিতে বসতেন আর ছেলেরা পিছনের দিকে। ধার্মিকদের কাছে অবশ্য ইউনিভার্সিটি ছিল দুর্নীতি ও উচ্ছন্নে যাওয়ার আখড়া। সহশিক্ষার নামে পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে উঠছিল, এমনই ছিল সমাজের রক্ষণশীল অংশের দাবি।

আরও পড়ুন: হিজাব না পরলেই মানসিক হাসপাতালে! মেয়েদের যে নতুন ভয়াবহ শাস্তি দিচ্ছে ইরান

ষাটের দশকের শেষের দিকে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মাত্রা বাড়তে থাকে। অর্থনৈতিক বৈষম্যের চেহারা ভয়াবহ আকার নেয়। তেহেরান শহরে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বস্তির সংখ্যা। সেই সাথে বাড়তে থাকে নোংরা জুতো-জামা গায়ে সামান্য বেতনের সংখ্যাতীত শ্রমিকের যাতায়াত। যা চিহ্নিত করে গ্রামের ভগ্ন অর্থনীতি। ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে সামাল দিতে; মানুষ বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে শহরমুখী হয়ে উঠতে চায়। শহরে গজিয়ে ওঠা ভোগবিলাসের কাঠামোকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন সস্তার শ্রম। গ্রাম-দেশের ভগ্ন অর্থনীতিতে জেরবার মানুষ সেই সস্তা শ্রমের জোগানদাতা হয়ে শহরে চলে আসতে বাধ্য হন। শহরের অন্য পিঠে একই সময়ে প্রশস্ত হতে থাকে ভোগের অফুরান ব্যবস্থা। যেমন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রেস্তরাঁর বেড়ে ওঠা। বাড়তে থাকে জাঁকজমকে পরিপূর্ণ থিয়েটার হল। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রমাগত বাড়তে থাকে অসন্তোষ। অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বাড়তে থাকে ইউনিভার্সিটিতে পড়ার খরচ। ছাত্র-সন্তোষ এক নিমেষে টলে যায়। বর্ধিত বেতনের বিরোধিতার সঙ্গেই তারা বলতে চাইছিল, “আমাদের যুদ্ধবিমানের পেছনে আমাদের তেলসম্পদ অপচয় বন্ধ করো।” কিংবা “সেন্ট মরিজ থেকে ফিরে এসে ইরানের দারিদ্র মোকাবিলা করো!”

১৯৭৯ সালের ১৬ জানুয়ারি, হাঁড় কাঁপানো শীতের মাসে এক বাক্স ইরানের মাটি সঙ্গে নিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন শাহ (রাজা)। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আনুমানিক দু'হাজার বছরের পার্সি রাজত্বে আনুষ্ঠানিক যবনিকা পড়ল। ১৯৭৮ সালে শাহ-র নির্বাসন-জীবন শুরু হওয়ার ষোলো দিনের মাথায় শেষ হয় খামেনেইয়ের চোদ্দো বছরের নির্বাসন জীবন। আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই, শিয়া সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে ফ্রান্সের আশ্রয়প্রার্থী হন তিনি। প্যারিস শহরের বাইরে নফলে-ল্য শাতো নামে একটি গ্রামে নির্বাসনে থাকাকালীনই তিনি ইরানের আভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। নির্বাসন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেও দেশের সেনাবাহিনী তখনও শাহ বা রাজতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার চেষ্টা জারি রেখেছিলেন। অপর দিকে ইসলামি বিপ্লবের প্রতি আস্থাশীল অতি নিরীহ মানুষ শহরের রাস্তায় পা মিলিয়েছিলেন সেদিন। রাজতন্ত্রের অপসারণের মধ্যে দিয়ে হয়তো সমতার হিসাবে গড়ে ওঠা দেশ গঠন ও স্বাধীনতার স্বাদ শরীর-মনের প্রতিটি রন্ধ্র দিয়ে অনুভব করতে চেয়েছিলেন।

প্রকাশ্য জনসভায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র সম্পর্কে কোনও ভূমিকা না রেখে বা দেশের আশু ভবিষ্যত কেমন হতে চলেছে, সে দিকে বিন্দুমাত্র আলোকপাত না করে এক অনিশ্চিত দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আয়াতুল্লাহ খামেনেই নিরাসক্ত ভাবে শুধু ইরানের শত্রুদের হাত কেটে ফেলার প্রার্থনা করলেন আল্লার কাছে। কিছুদিনের মাথায় সেই অনিশ্চয়তার দেশের বাসিন্দাদের সন্ধের অন্ধকার নেমে আসার আগেই ঘরে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়ে বসলেন। নিদান দিলেন ঘড়ি মিলিয়ে রাত ন'টায় ছাদে উঠে সবাইকে একসঙ্গে ‘আল্লাহু আকবর’ উচ্চারণের। ধর্মের সুতোর অদৃশ্য তাবিজে দেশকে নিশ্চয়তার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তালিমের থেকে ভালো আর কী-ই বা কার্যকারী ব্যবস্থা হতে পারে? ফলাফল সাধারণ মানুষের ব্যপক ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলেন খামেনেই।

ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে ইসলামি স্টেটের বিপ্লবী ফতোয়া অনুসারে নারীর কালো হিজাবের ব্যবহার অবশ্য পালনীয় কতর্ব্য হিসেবে সামনে আসে। স্কুল থেকেই মেয়েদের মাথা ভালোভাবে ঢাকার অভ্যাস করানোর দিকে রাষ্ট্র যত্নের কোনও অভাব রাখে না। ১২ জুলাই জাতীয় হিজাব ও সত্বীত্ব দিবস উৎযাপন করতে ইরান সরকারের বিশেষ উৎসাহ দেখা যায়। ফলে গোটা সপ্তাহ জুড়েই বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান হিজাবের মহান কর্তব্য পালন করতে থাকে। ২০০৬ সাল থেকে রাষ্ট্র আরও দু'কদম এগিয়ে মেয়েদের পোশাক ও শালীনতার পাঠ দিয়ে মহান হিজাব সংস্কৃতির রক্ষক নীতি-পুলিশের নিয়োগ করে।

২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হিজাব সংস্কৃতির হাতে নির্মম ভাবে কুরবানি ঘটেছিল কুর্দি সম্প্রদায়ের মেয়ে মাহসা আমিনির। ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরান শহরে ২২ বছরের মাহসা তার ভাইয়ের সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় হিজাবের শাসন অতিক্রম করে কিছু চুল তাঁর কপালের উপর দিয়ে বেমালুম উড়ে যেতেই তা নজরে পড়ে যায় নীতি পুলিশের। তারা মাহসাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে এমন অত্যাচার করেছিল যে তিন দিন কোমায় থাকার পর মৃত্যু হল মেয়েটির। মৃত্যর খবর জানাজানি হতেই গোটা ইরান দেশের নারীরা পথে নামলেন। মেয়েরা প্রকাশ্য চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে হাজারো কন্ঠস্বরে হিজাব-বিরোধী স্লোগান তুললেন। নারী তুলে ধরলেন তাঁর অধিকার-স্বাধীনতা-মর্যাদার দাবি।

১৯৯৬ সালের এক ভরা গরমে ১১ বছরের কুর্দ মেয়ে লাইলা গ্রামের পিছনে পাহাড়ে গিয়েছিল বুনো ফুল ও বুনো গাছ কুড়াতে। সেই ফুল ও গাছ শুকিয়ে বিক্রিই হল পারিবারিক আয়-রোজগার। স্কার্ট ভর্তি করে মনের আনন্দে যখন ছোট মেয়েটি ফুল ও গাছ কুড়াতে ব্যস্ত তখন তিন ব্যক্তি ঠান্ডা মাথায় তাকে ধর্ষণ করে। তারপর ক্ষত-বিক্ষত সেই শরীর পাহাড়ের ঢালে ফেলে দেয়। স্থানীয় পুলিশ তাদের তিন জনকে গ্রেফতার করলে তারা অপরাধ স্বীকার করে নেয়। অপরাধীদের একজন জেলে থাকা অবস্থায় আত্মহত্যা করে আর বাকি দু'জনের ফাঁসির নির্দেশ দেয় আদালত। এই ঘটনার অভিমুখ দেখে ধরে নেওয়া যেতেই পারত নারী সংক্রান্ত অন্যায়ের ক্ষেত্রে ইরান অনান্য দেশের তুলনায় ঠিক কতটা দায়িত্ব ও কর্তব্যপরায়ণ! কিন্তু তেমনটা হল না। বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে ইসলামী আইন জারি হওয়ার পর নারীর জীবনের দাম পুরুষের অর্ধেক হয়ে যায়। ইরানে চালু হল ক্রিমিনাল ল-এর ক্ষেত্রেও অর্থদণ্ড। ইসলামি আইনে হত্যামামলায় কারাবাস বা মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে অর্থদণ্ডের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়ার বন্দোবস্তো আছে। তাছাড়াও আছে লিঙ্গ-বৈষম্য। অতএব লাইলা মামলার বিচারক ঘোষণা করেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামীর প্রাণের মূল্য ধর্ষণ-পরবর্তী লাইলার হত্যাকাণ্ডের চেয়ে বেশি। অতএব মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামীর জন্য লাইলার পরিবারকে হাজার ডলার অর্থদণ্ড দিতে হবে।

প্রথমে লাইলার পরিবার গ্রামের ভিটে-মাটি বেচে দিয়ে কিছু টাকা জোগাড় করে সোজা শহরের রাস্তায় এসে দাঁড়ান। এরপর এই বিপুল পরিমাণ অর্থের বাকিটা জোগার করার জন্য হাসপাতালে গিয়ে লাইলার পিতা ও ভাই কিডনি বিক্রির চেষ্টা করেন। পরিবারের এই মরিয়া চেষ্টা দেখে কৌতুহলী চিকিৎসক জানতে চাইলে লাইলার পিতা স্পষ্ট জানান— নারীর গুণেই পরিবারের সম্মান, আর তাই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর সাজা না হলে পরিবারের হারানো সম্মান পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। সমাজ ও পরিবারের সম্মানরক্ষার বোঝা নারীর কাঁধে চাপিয়ে একের পর নজির গড়ে তুলেছে মানুষের তৈরি সভ্যতা। ২০২৪ সালের ২ নভেম্বর ছোট একটি ভিডিও গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল। উত্তর তেহরান ইউনিভার্সিটির এক পড়ুয়াকে কালো বোরখা কিংবা মাথার কাপড় ছাড়া কেবল অর্ন্তবাস পড়া অবস্থায় দুই হাত বুকের কাছে আড়াআড়ি রেখে প্রকাশ্যে দেখা গেল।

স্বাধীনতাহীন মর্যাদাহীন এই সমাজব্যবস্থায় রাষ্ট্র-সমাজ-পরিবারের শাসন বা অনুশাসনের ভার নারীর শরীর-মনের উপর কতটা যন্ত্রণাদায়ক বোঝা হয়ে উঠতে পারে, সেই অঙ্কের হিসাব হাতে-কলমে প্রমাণ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পড়ুয়া। কয়েক দফা পোশাকের ভার জঞ্জালের মতো শরীর থেকে খসিয়ে দিতে পারার মুহূর্ত কতটা গর্বের স্বস্তি দিতে পেরেছিল, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মেয়েটির অনাবৃত শরীর-মন আর দৃঢ়-ঋজু পায়ের প্রকাশ্যে চলাচল। মাথার চুল ঢেকে রাখার কড়া ইসলামিক অনুশাসন উপেক্ষা করে কয়েক গাছা চুল স্বাধীন বেপরোয়া ভাবে পড়ুয়ার মুখের চারপাশ দিয়ে উড়ে যেতেই নীতিরক্ষক পুলিশের দুই (তাদের মধ্যে একজন নারী, অন্যজন পুরুষ) প্রতিনিধি মেয়েটির দুই হাত শক্ত করে ধরে প্রচণ্ড মারতে থাকে আর সেই সঙ্গে চলে মেয়েটির জামা ধরে টানাটানি। শেষ পর্যন্ত ইসলামিক অনুশাসন একটি মেয়ের পোশাক বলপূর্বক ছিঁড়ে প্রকাশ্যে নগ্ন করে সবক শেখাতে চেয়েছিল। শরীরে থাকা প্যান্ট নিজেই খুলে দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে মেয়েটি। নগ্নতার দাপটে কুঁকড়ে যাওয়া পিতৃতান্ত্রিকতা শেষ রক্ষাকবচ হিসাবে ঘোষণা করে মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন। অতএব সাদা পোশাকের পুলিশ স্থিতাবস্থা কায়েম রাখতে ঠেলে গুঁতিয়ে গাড়িতে তুলে পাচার করে দেয় তাঁকে। পৃথিবীর অন্য এক প্রান্তের এই ঘটনা আমাকেও প্রশ্নের ছোবলে নীল করে দেয়, মেয়েটি কোথায়? ২০২২ সালের পর সময় এগিয়ে গেলেও অধিকারের বৃত্তটি যেন দিনে দিনে আরও খাটো হয়ে আসছে। কোনও কিছুই জানার অধিকার নেই।

আরও পড়ুন:“বিশ্বাস করুন, আমি জিহাদি নই!” হিজাব ছুঁড়ে এখন বাঁচার রাস্তা খুঁজছেন আইসিস জঙ্গির বউ শামিমা

ইরানের কোনও ইংরেজি দৈনিকে এই নিয়ে এক লাইনও খবর প্রকাশিত হয় না। গোটা দুনিয়ার কোনও দৈনিকেই এ সংক্রান্ত কোনও সংবাদ নেই। ইরান সরকারের তরফ থেকে মেয়েটির পরিচয় সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ পায় না। যেন কোথাও কিছু ঘটেনি। যেন কোন শব্দ না করে হেমন্তে গাছের পাতা খসে পড়ে গিয়েছে একটা দু'টো। ২০০২ সালে জাফার পানহাইয়ের ‘দ্য সার্কেল’ সিনেমার কথা মনে পড়ে যায়। প্রতিদিনের ছোট ছোট অধিকার হারিয়ে বিরাট এক কালো চাদরের নিচে নিজেদের শরীর-মন ঢাকার তালিমে অভ্যস্ত ইরানি নারী কীভাবে বিত্তের গহ্বরে কয়েদ, তা দেখানো হয়েছিল সেখানে। সেই তালিম বিভিন্ন পরিভাষায় বিভিন্ন ঘটনাক্রম হয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য আর এক প্রান্তে কেবলই বিস্তার পেয়ে চলেছে আজও।

More Articles