১৩ বছর পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত, চোকার ট্যাগ সরিয়ে ইতিহাসের পাতায় রোহিত অ্যান্ড কোং
Team India won t20 World cup: , ১৭ বছর পর সেই একই ট্রফি আবারো এলো ভারতের ঘরে, অল ক্রেডিটস গোজ টু রোহিত শর্মা।
১৭ বছর পরে আবারও টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ জিতল টিম ইন্ডিয়া। আইসিসি ট্রফি ঘরে এল দীর্ঘ ১১ বছর পর। ২০০৭ সালের দলের নবীন সদস্য রোহিত গুরুনাথ শর্মার হাত ধরে এতগুলো বছর পর ভারতের ড্রেসিংরুমে ফিরতে চলেছে আইসিসি ট্রফি। ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে প্রথমবারের জন্য যে ট্রফি ভারতের ঘরে এসেছিল, ১৭ বছর পর সেই একই ট্রফি আবার এল ভারতের ঘরে, অল ক্রেডিটস গোজ টু রোহিত শর্মা।
তবে ম্যাচটা যে রোহিত শুধুমাত্র একক কৃতিত্বে জিতেছেন সেটা বলা যাবে না। বহু বছরের পরিশ্রমের ফল আজ ঘরে তুলেছেন রোহিত শর্মা। ভারতের তরুণতুর্কিদের পরিশ্রমের ফল এই বিশ্বকাপ। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে রোহিত নিয়েছেন বেশ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ভাগ্য আজ ভারতের পক্ষে ছিল। ক্রিকেটবিধাতাও এদিন সাহসী অধিনায়কের পক্ষই নিলেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর মাথা থেকে চোকারসের ট্যাগ সরাল ভারত।
অক্ষর বাপু প্যাটেলের মরণ-বাঁচন ইনিংস
এদিনের ম্যাচে ভারতের ব্যাটিংয়ের রীতিমতো ত্রাণকর্তা হয়ে উঠে আসলেন ভারতের এক বোলিং অলরাউন্ডার, অক্ষর প্যাটেল। এই ম্যাচে তাঁকে নামতে হয় পাঁচ নম্বরে। এমনিতে তিনি সচরাচর পাঁচ নম্বরে খেলতে নামেন না। পাঁচ নম্বরটা বরাদ্দ রয়েছে শিবম দুবের জন্য। কিন্তু আজকের ম্যাচে পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম ছিল। প্রথম ওভারে মারক যানসেনের বিরুদ্ধে দুরন্ত শুরু করার পরে ভারতের আত্মবিশ্বাস ছিল একেবারে সপ্তম আকাশে। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে একেবারে ছন্নছাড়া করে দিলেন সাউথ আফ্রিকার স্পিন ইউনিটের অন্যতম ভরসা কেশব মহারাজ। দ্বিতীয় ওভারে মাত্র তিন বলের মধ্যে ২ উইকেট খুইয়ে ভারত তখন একেবারে ব্যাকফুটে। খেলতে নামলেন সূর্য কুমার যাদব। তিনিও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারলেন না। পঞ্চম ওভারে একটা সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সূর্য কুমার যাদবও। আর সেখান থেকেই শুরু হয় অক্ষর প্যাটেলের বোলার থেকে ব্যাটার হয়ে ওঠার গল্পটা। শুরু হয় ভারতের ফেরার মিশন।
এই মিশনে ভারতের ওই ব্যাটিং করার পুরো দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। একদিকে উইকেট ধরে রাখা, অন্যদিকে আবার রানের চাকা সচল রাখা। সব দিক ম্যানেজ করে, বারবাডোজের ব্যাটিং উইকেট এর উপরে এই কাজটা দক্ষতার সাথেই করলেন অক্ষর প্যাটেল। তার সাথেই যোগ্য সঙ্গ দিলেন সিনিয়র ব্যাটার বিরাট কোহলি। কোহলির সাথে চতুর্থ উইকেটে অক্ষর প্যাটেল যোগ করলেন ৭২ রান, যেটা ছিল ভারতের জন্য সবথেকে বড় পার্টনারশিপ। আজকের ম্যাচে প্রতিটা বল যোগ্যতা বুঝে ব্যাটিং করলেন অক্ষর প্যাটেল। ৩১ বলে ৪৭ রানের একটা দুরন্ত ইনিংস খেললেন তিনি। শেষ মুহূর্তে হয়তো ৫০-ও হয়ে যেত। কিন্তু হঠাৎ একটা বেরসিক রান আউট এসে অক্ষরের হাত থেকে কেড়ে নিল সেই সুযোগ।
তবে ম্যাচের যে পরিস্থিতি ছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে ১৫১.৬১ স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে ব্যাট করে যাওয়াটা কিন্তু সহজ কাজ ছিল না। সেই কঠিন কাজটা করে দেখিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। যে সময়টা এনরিখ নকিয়া দুরন্ত বোলিং করে ম্যাচের গতি স্লথ করে দিয়েছিলেন, সেই জায়গায় অন্যান্য বোলারদের পিটিয়ে ভারতের রানের গতি বজায় রেখেছিলেন অক্ষর প্যাটেল। একটি চারের সাথে ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা। আর এই চারটি ছক্কাই ছিল প্যাটেলের ইনিংসের সবথেকে বড় হাইলাইটস।
এমনিতে তার ব্যাটিংয়ের বিশেষ কোন স্পেশালিটি নেই। তবে সব থেকে বড় সুবিধা হল, তাকে যখন প্রয়োজন তখন নামিয়ে দেওয়া যায়। তিনি যে কোনো মুহূর্তে ম্যাচের মেজাজ বুঝে ব্যাটিং করতে পারেন। কোনোদিন নিজের হয়ে খেলতে যান না তিনি, ম্যাচে নিজের একটা ছাপ রেখে যান সবসময়। বোলিং হোক বা ব্যাটিং সবকিছুই যেন তার একেবারে ইউনিক। আর এটাই যেন তিনি বারবার প্রমাণ করতে চান, বারবার ভারতের নির্বাচকদের বুঝিয়ে দিতে চান, 'বাপু'র উপরে ভরসা রেখে দেখো।
বিরাটের বিরাট ইনিংস
ফর্মে ফিরলেন ভারতীয় ক্রিকেটের কিং, কিং কোহলি। ফাইনালের মঞ্চের জন্যই হয়তো নিজের সেরাটা তুলে রেখেছিলেন তিনি। দলকে খাদে কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন একাধিকবার। তবে কোন আইসিসি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে হয়ত এটাই প্রথম। বিশ্বকাপের শেষ বেলায় কোহলি নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন ট্রফির উপর। রোহিত শর্মা বলেছিলেন, কোহলি নিজেকে জমিয়ে রেখেছেন একেবারে বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য। ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন, ভরসা রাখুন বিরাটের উপর, বিরাটের ব্যাট থেকে বড় কিছু একটা আসবে। অধিনায়ক এবং কোচের সম্পূর্ণ ভরসার প্রতিদান অবশেষে দিলেন বিরাট কোহলি। ফাইনালের মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরলেন কিং কোহলি। মার্ক্রম, যানসেন, রাবাদা, মহারাজ, নোকিয়াদের দেখালেন নিজের আসল ক্লাস।
৩ উইকেট পড়ে গিয়ে যখন বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে টিম ইন্ডিয়া, সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্বটা পালন করলেন বিরাট কোহলি নিজেই। শুরুর দিকে আগ্রাসন দেখালেও পরবর্তীতে পরিস্থিতি বুঝে একটা দুরন্ত ব্যাটিং করলেন কোহলি। প্রথম উইকেটের পতনের আগে প্রায় ২৮০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছিলেন তিনি। সেরকম ফর্ম যদি চালিয়ে যেতে পারতেন তাহলে হয়তো ২৫০ রান পেরিয়ে যেত টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু সেরকমটা সম্ভব হয়নি। একের পর এক উইকেটের পতন হতে থাকায়, নিজের খেলার স্টাইল চেঞ্জ করতে হয়েছে কোহলিকে। নিজেকে উইকেটের একদিকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। রান তোলার দায়িত্ব দিতে হয়েছে পরবর্তী খেলোয়াড়দের। ড্রেসিংরুমে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে হয়েছে যে, বিরাট এখনো ক্রিজে রয়েছেন। আর সেই কাজটা ভালো করেই করেছেন বিরাট কোহলি।
মন্থর উইকেটে ধীর গতিতে অর্ধশতরান তুললেও এই ইনিংসের গুরুত্ব যে কতটা বেশি, সেটা জানেন সবাই। কিন্তু তবুও সমালোচকদের প্রশ্নের জবাব তো দিতেই হতো। তাই ১৭ তম ওভারে কাগিসো রাবাদাকে টার্গেট করেন বিরাট কোহলি। সেই ওভারে একাই ১৪ রান করে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৯ বলে ৭৬ রান করে আউট হয়ে যান বিরাট কোহলি। একটা লড়াকু সংগ্রহ করে টিম ইন্ডিয়া। ১২৮ এর বেশি স্ট্রাইক রেটের এই ইনিংসটা হয়তো অনেকের কাছেই একটু দৃষ্টিকটু ছিল। যদি ভারত আজকের বিশ্বকাপ না জিততো, তাহলে হয়তো এই ইনিংস নিয়ে অনেক রকম কথা উঠত। কিন্তু সেসব প্রশ্ন এখন অতীত। এখন শুধুই, ম্যাচের নায়ক কোহলির জয়জয়কার।
বুমরাহর দুরন্ত বলে বাজিমাত ভারতের
১৭৭ রানের টার্গেট দিয়ে ভারত যখন বোলিং করতে নেমেছে, তখন থেকেই যেন ম্যাচে ভারতের থেকে কিছুটা এগিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দিক থেকেই মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রিজা হেনড্রিক্স দুরন্ত শুরু করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। কিন্তু বুমরাহর বলে, তিনি ফিরে যেতেই বিশ্বের সেরা বোলারদের তালিকায় নিজের জায়গা পাকা করে নিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ভারতের জন্য বোলিং-এর ক্ষেত্রটা তৈরি করে দিয়েছেন তিনিই। আর শুধু ফাইনাল ম্যাচে নয়, অন্যান্য ম্যাচেও কিন্তু তিনি হলেন ভারতের একমাত্র ভরসা। বারবারডোজের মতো বিশুদ্ধ ব্যাটিং উইকেটে এরকম ইকনোমিক বোলিং করা কিন্তু সহজ নয় অন্যান্য বোলারদের পক্ষে। তবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়ে দিলেন তিনি।
চারটি ওভারে বোলিং করে রান দিয়েছেন মাত্র ১৮। তুলে নিয়েছেন দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। প্রথমটি হেনড্রিকস এবং পরেরটি মার্কো যানসেন। রান দিয়েছেন একেবারে গুনে গুনে। রানের পার্থক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় অবদান তারই। ফাইনালের মতো অন্যান্য ম্যাচেও তিনি এরকমই বোলিং করেছেন। গোটা বিশ্বকাপে তিনি নিয়েছেন ১৫ টি উইকেট। ইকোনোমি রেট মাত্র ৪.১৭ যা টুর্নামেন্টের সেরা। দু'বছর আগে সেমিফাইনাল থেকে এই বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে বাদ পড়েছিল ভারত। সেবার দলেই ছিলেন না তিনি। অনেকে মনে করেছিলেন, ইনজুরির পরে তিনি আর হয়তো ফিরতেই পারবেন না। লম্বা সময়ের জন্য বাইরে চলে যাবেন মাঠের থেকে। কিন্তু সেটা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রয়োজনের সময় দরকারি উইকেটটা তুলতে না পারলেও, ২০২৪ ক্রিকেট বিশ্বকাপে মন ভাঙেনি তার। বারবাডোজে ভারতের রূপকথার একটা বড় অংশ হয়ে রইলেন তিনি। অনেকে আসবেন যাবেন, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে বুম বুম বুমরাহ একজনই থাকবেন।
সুপার হিরো হার্দিক পান্ডিয়া
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়কত্ব থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা, সবকিছু নিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার জীবন যেন একটা রোলার কোস্টার। সমালোচনা আর নিন্দার ঝড় তাকে তাড়া করছে চতুর্দিক দিয়ে। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। আইপিএলে হতাশাব্যঞ্জক পারফরমেন্সের পরে সারা ভারত যখন তাঁর সিলেকশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তখনই তিনি প্রমাণ করে দিলেন, হারিয়ে যাননি তিনি। ফাইনালের মঞ্চে তিনি ছিলেন একেবারে পুরো আক্রমণাত্মক ভূমিকায়। ব্যাটিং করার সুযোগ বেশি না পেলেও, বোলিং দিয়ে বিপক্ষের কোমর ভেঙে দিয়েছেন তিনি। অক্ষর প্যাটেলের ওভারে যখন ক্লাসেন ২৪ রান তুলে ভারতকে একেবারে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিয়েছেন, সেই সময় দলপতি রোহিত শর্মা বল তুলে দিলেন নিজের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে। ম্যাচের জেতার পার্সেন্টেজ দেখলে, সেই সময় ভারতের জয়ের সম্ভাবনা মাত্র ৮%। সেখান থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথম বলেই উইকেটের পিছনে থাকা ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ পাঠিয়ে ক্লাসেনের উইকেট তুলে নিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। একরাশ হতাশা যেন নিমেশের মধ্যেই হারিয়ে গেল। একটা বলেই পুরো চনমনে হয়ে উঠল পুরো ভারতীয় ক্রিকেট দল। ১৭৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে মারক্রম বাহিনীর সংগ্রহ তখন ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান। কিন্তু তাতেই চিন্তার ঘাম জমে যায় প্রোটিয়াদের কপালে। কারণ, আর একটা উইকেট পড়লেই তো পুরো টেলএন্ডার।
ভরসা জিইয়ে রেখেছিলেন ডেভিড মিলার। ম্যাচের শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ১৬ রান। রোহিত শর্মা আবারো ভরসা রাখলেন হার্দিক পান্ডিয়ার উপর। বল তুলে দিলেন এই ডান হাতি অলরাউন্ডারের হাতে। প্রথম বলেই ফুল টসের ফাঁদে ফেলে উইকেট তুলে নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরের একমাত্র ভরসা ডেভিড মিলারের। সেই ফুলটস প্রায় সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছিলই। কিন্তু, বাউন্ডারিতে একেবারে অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন সূর্য কুমার যাদব। এদিন হয়তো সূর্য কুমার যাদব নিজের জীবনের সবথেকে সেরা ক্যাচটা ধরলেন। আর ওই একটা ক্যাচ পুরো ম্যাচ জিতিয়ে দিল ভারতকে। ৭ রানে ম্যাচ পকেটে পুরে নিল টিম ইন্ডিয়া। মহেন্দ্র সিং ধোনির সেই পুরনো আউট অফ দা বক্সের ফর্মুলা মেনেই এবারে বিশ্বকাপ পেলেন রোহিত শর্মা। এক ধাক্কায় ভিলেন থেকে একেবারে সুপারহিরো হয়ে উঠলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এক ম্যাচেই যেন নিজের সমস্ত সমালোচনার জবাব দিয়ে দিলেন পাণ্ডিয়া। ম্যাচ শেষে পিচের উপরেই বসে পড়লেন হার্দিক। জানিয়ে দিলেন, এবারের মতো তাঁর কাজ এখানেই শেষ।
এত কালের ট্রফি ছাড়া লড়াইয়ের আক্ষেপ মিশে গেল মাটিতে। রোহিত, কোহলি, পন্থ, সূর্য, দুবে, হার্দিক, অক্ষর, জাদেজা, কুলদীপ, আর্শদ্বীপ, বুমরাহর সৌজন্যে ক্রিকেট বিশ্বে আবারও উড়ল ভারতের তেরঙা। ক্রিকেট জীবনের প্রায় শেষ দিকে এসে হাতে পেলেন বিশ্বজয়ের স্বাদ। বিতর্ককে ক্রিকেট বিশ্বে আবারও চালকের আসনে বসল ভারত।