মন, বন, পবনের বেলা 'ন', তাহলে রাবণ আর লবণ কেন ‘ণ’ দিয়ে লিখতে হবে?
Bengali Spelling Mistakes: ‘রাবণ’ শব্দটিকে আমরা বরং একটু ভেঙে ফেলি। ‘রাবণ’ শব্দটি স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ দু-য়ের সমবায়ে গঠিত।
রবীন্দ্রনাথ সুকুমার রায়ের আগেই যে হাঁসজারু-কাণ্ড করেছিলেন তা আমাদের মনে থাকে না। হাঁসজারু-কাণ্ড মানে দু-য়ের মিশেল। সুকুমার রায়ের আবোল-তাবোল বইতে ছেলেবেলায় হাতিমি, বকচ্ছপ এসবের দেখা মিলেছিল। চমৎকার সেই সব ছবি চোখে পড়েছিল ‘খিচুড়ি’ কবিতার পাশে। সে কবিতায় সুকুমার লিখেছিলেন, ‘ব্যাকরণ মানি না।’ কবি মানুষ ব্যাকরণ নাই মানতে পারেন, তবে রবীন্দ্রনাথ ব্যাকরণ মানতেন। রবীন্দ্রনাথের শর্ত একটাই – ব্যাকরণটি বাংলা মতে হওয়া চাই, সংস্কৃত কিম্বা ইংরেজি ব্যাকরণের অবিকল অনুসরণ চলবে না। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘রক্তকরবী’ নাটক লেখার সময় বাল্মীকির সংস্কৃত ভাষায় লেখা মহাকাব্যখানিকে একটু বদলে দিলেন। লিখলেন, "আদি কবির সাতকাণ্ডে স্থানাভাব ছিল না এই কারণে লঙ্কাপুরীতে তিনি রাবণ ও বিভীষণকে স্বতন্ত্র স্থান দিয়েছিলেন। ...আমার স্বল্পায়তন নাটকে রাবণের বর্তমান প্রতিনিধিটি একদেহেই রাবণ ও বিভীষণ।" ‘রক্তকরবী’ নাটকের রাজা কি তাহলে হাঁসজারুর মতো রাবণ+বিভীষণ। তাহলে তার নাম দেওয়া যাক ‘রাভীষণ’। পছন্দ না হলে ‘ভীষণরাবণ’ দেওয়া চলে। তা যে নামই দেওয়া হোক না কেন তাদের নামের থেকে ‘ণ’-কে হটিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রাবণ, বিভীষণ দু' নামের বানানেই ‘ণ’ অক্ষুণ্ণ। তা দেখে অবশ্য কেউ প্রশ্ন করতে পারে বিভীষণে…

Whatsapp
Support quality writing
Encourge writers
Access on any device
