নতুন বছরের শুরুতেই আকণ্ঠ মদ্যপান! কীভাবে কাটাবেন হ্যাংওভার?

Hangover Detox: ২৪ ডিসেম্বর রাতে থেকে সপ্তাহভর যা যা অনিয়ম-বেনিয়ম হয়েছে তা থেকে সুস্থ যাপনে ফিরে আসতে হলে দরকার ডিটক্সিফিকেশন।

৩১ ডিসেম্বর রাত, নতুন বছর সকাল কীভাবে হলো, জানা হল না। ঘুম ভেঙেছে বেলায়, মাথা ভার, ঝিম ধরে আছে। ১ তারিখ রাতেও প্রবল আয়োজন। সেসব সেরে ২ তারিখ কাজে যোগ। কিন্তু হ্যাংওভার তো কাটে না। শীতের রাতে অ্যালকোহল যে গরম করেছে শরীরকে তার তাপ কাটাতে কাটাতেই পেরিয়ে যাচ্ছে বেলা। বুঁদ হয়ে ডুবে যাও, করুক মাথা ঝিমঝিম বললে তো চলে না, নতুন বছর ২০২৩ এসে এক দিন পেরিয়েও গেছে। ছুটিছাটার মরশুম কাটিয়ে কাজে ফিরতে হলে এই হ্যাংওভার তো চলবে না। শরীর মাথা দুই-ই ডিটক্স করার পালা। ডিটক্স ডায়েট এবং ভারী-ক্যালোরিযুক্ত খাবার সমস্ত ক্ষতিকারক টক্সিন মুছে শরীরকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সেই ২৪ ডিসেম্বর রাতে থেকে সপ্তাহভর যা যা অনিয়ম-বেনিয়ম হয়েছে তা থেকে সুস্থ যাপনে ফিরে আসতে হলে দরকার এই ডিটক্সিফিকেশন। ডিটক্সের উদ্দেশ্য হলো পর্যাপ্ত হাইড্রেশনের মাধ্যমে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনা। সারাদিন সাধারণ পানীয় জল খাওয়া ভালো তো বটেই, কিন্তু ডিটক্স ওয়াটার সাধারণ পানীয়ের একঘেয়ে ভাব দূরও করে আবার পানীয়তে বিশেষ স্বাদ এবং পুষ্টি যোগ করে।

কীভাবে পার্টির পরে বারোটা বেজে যায় শরীরের?

আজকাল পার্টিতে আমরা যে ধরনের খাবার খাই তা বেশিরভাগই ময়দাজাত। অন্ত্রের উপর এই খাবার চাপ বাড়ায়। এই জাতীয় খাবারে ফাইবার থাকে না তাই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে অন্যান্য হজমের সমস্যা হতে পারে। অন্ত্রের প্রদাহও খুব সাধারণ একটি সমস্যা।

কীভাবে পার্টির পরে ডিটক্স করা যায় নিজেকে?

ডিটক্স কথাটির সাধারণ অর্থ হল নেশাজাত বর্জ্যকে দূর করা। যে কোনও ধরনের ডিটক্স ওয়াটারের প্রাথমিক কাজই তাই আমাদের সিস্টেমকে পরিষ্কার করা। আমাদের দেহে লিভার এবং কিডনির মতো অঙ্গ রোজই টক্সিন জাতীয় পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়। রোজের ডায়েটে ডিটক্স ওয়াটারের মতো কিছু যুক্ত হলে শরীরে ভিটামিন, খনিজ পদার্থের পরিমাণ বাড়ে, শরীর হাইড্রেটেড হয় আর আমাদের শরীর থেকে এই জাতীয় দূষক বা টক্সিনগুলি বেরিয়ে যায়। হাইড্রেটিং ডিটক্স ওয়াটার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।

আরও পড়ুন- মদ না খেয়েই মাতাল! জানেন কোন কঠিন অসুখ বাসা বাঁধছে আপনার শরীরে

তবে শুধু ডিটক্স ওয়াটার দিয়েই হ্যাংওভার কেটে যাবে এমন না। সপ্তাহব্যাপী অনিয়ম থেকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে হলে, স্বাস্থ্য ফেরাতে হলে একদিন প্রচুর ডিটক্স করে নিলেই হয় না। দৈনন্দিন স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে ফিরতে হবে।

সময়মতো খাবার খাওয়া: খাবারের অনিয়ম মানেই রোগকে নেমন্তন্নের চিঠি পাঠানো। একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রাতঃরাশ, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খাওয়া শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন: প্রতিদিন কম করে ৭-৮ গ্লাস জল খেতেই হবে! জল শরীরের যাবতীয় দূষক সরিয়ে দিতে পারে। শুধু প্রচুর মদ্যপানের পরেই জল খাওয়ার তাগিদ অনুভব হলে হবে না, রোজ জল এবং খাদ্যতালিকায় অন্যান্য হাইড্রেটিং খাবার মানে যাতে জলীয় ভাগ বেশি তা যোগ করতে হবে।

পরিশ্রুত পণ্য না খাওয়ারই চেষ্টা করুন: পরিশোধিত পণ্য বা রিফানইড খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এইসব খাবারে ফাইবার থাকে না এবং তাই এগুলি হজমের প্রক্রিয়া ধীর করে দেয় যার ফলে ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রচুর রঙিন ফল এবং শাকসবজি খান: ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, ফল এবং শাকসবজি কতটা উপকারি এই নিয়ে দিস্তা দিস্তা লেখা ইতিমধ্যেই আছে, তা সকলের জানাও।

শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন: নিয়মিত ব্যায়াম হজম করতে এবং নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করে।

 

More Articles