মেদহীন বাংলা, কীভাবে লিখবেন?

Bangla Writing : বিদ্যাসাগরকে নিছক পাঠ্যপুস্তক প্রণেতা বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন যে বঙ্কিম সে বঙ্কিমই শেষে ১৮৭৫ সালে বাংলা শেখানোর পাঠ্যপুস্তক লিখলেন।

রূপচাঁদকে বললাম, ‘একালের কবি-সাহিত্যিকদের বাংলা ভাষার প্রতি খুব একটা যত্ন নেই। থাকলে আমার বই পড়ুন, আমার বই কিনুন এসব নিয়ে কান্না-কাটি না-করে বাংলা ভাষার উপকার কীভাবে করা যায় তা নিয়ে মাথা ঘামাতেন।’ রূপচাঁদ বলল, ‘সাহিত্য সৃষ্টি করাই তো মস্ত কাজ। কবি-সাহিত্যিকরা লিখবেন – পাঠক পড়বেন, তাহলেই তো ভাষা বাঁচবে।’ ‘কথাটা সত্য, তবে পুরো সত্য নয়। যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। তেমনি যিনি সৃষ্টিশীল সাহিত্য রচনা করেন তিনি দায়িত্বশীল হলে ভাষার জন্য পরিশ্রম করেন। প্রমাণ বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ। সকলেই প্রয়াত।’ রূপচাঁদ বলল, ‘বঙ্কিমের কথা কিছু শুনি।’ বললাম, ‘১৮৭৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র সহজ রচনাশিক্ষার জন্য একটি পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে সহজবোধ্য বাংলা লেখার জন্য কতগুলি নিয়ম-নীতি নির্দেশ করেছিলেন। একালেও সেই নিয়ম-নীতিগুলি মেনে চলা উচিত। বঙ্কিমের অভিমত, একটি বস্তুর অনেক নাম থাকলে সহজ-প্রচলিত শব্দটিই ব্যবহার করা উচিত। অগ্নি, হুতাশন, হতভুক্‌, অনল, বৈশ্বানর, বায়ুসখা – এ সবই আগুনের প্রতিশব্দ। কঠিন প্রতিশব্দ ব্যবহার না-করে সহজ শব্দ প্রয়োগ করা উচিত। বঙ্কিমের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে একটা চালু-উদাহরণ দেওয়া যাক। যেমন Fire extinguisher এর বাংলা…

Continue Reading

Support quality writing

Encourge writers

Access on any device

Rental includes 30 days of reading from the date of purchase
Already a member of Inscript.me family? Login Already a member of Inscript.me family? Login

More Articles