করোনার পর নয়া আতঙ্ক এমপক্স! ভ্যাকসিন বানিয়ে রোখা যাবে মহামারী?

Mpox outbreak: এমপক্স যাতে কোভিড অতিমারির আকার না নেয়, তার জন্য আগেভাগেই ভ্য়াকসিন তৈরির উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই ভাইরাস নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা ইতিমধ্যেই।

করোনার ফাঁড়া কাটিয়ে উঠেছে পৃথিবী, বছর কয়েকও হয়নি। এর মধ্যেই উঁকি দিতে শুরু করেছে নয়া বিপদ, যার নাম এমপক্স বা মাঙ্কিপক্স। ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই মাঙ্কিপক্সের দাপট। বেশ কয়েকটি দেশে দ্রুত ছড়াচ্ছে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। আরও এক মহামারীর জন্য দিন গুনছে পৃথিবী? স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টিকে ঘিরে বাড়তে শুরু করেছে উদ্বেগ।

ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এমপক্সের প্রাদুর্ভাব। আর তার পরেই ভারতের সব বিমানবন্দরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাকিস্তানের পাশাপাশি সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আফ্রিকা মহাদেশে। সেখানকার অন্তত তেরোটি দেশে ছড়িয়ে গিয়েছে এই জীবাণু। খুব দ্রুত মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে সেখানে। এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার একাধিক দেশে মাঙ্কিপক্সে ১৪ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যে ব্যাপারটি উদ্বেগে রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে।

গত তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে হু। এর আগে ২০২২ সালে মাঙ্কি পক্স নিয়ে বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। সেই সময় বিশ্বের ১১৬টি দেশে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন কম করে হলেও ২০০ জন। তার পর ফের ২০২৪-এ দাপট দেখাচ্ছে এই মাঙ্কি পক্স। এবার মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব ২০২২ সালের চেয়েও মারাত্মক বলেই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যতদূর জানা গিয়েছে, মূলত ১৫ বছরের কম বয়সি মহিলা এবং শিশুদের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের প্রাদূর্ভাব বেশি। এই রোগটি এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার ১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। কঙ্গো, বুরুন্ডি, কেনিয়া, রুয়ান্ডা এবং উগান্ডা সহ আফ্রিকার অনেক দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দ্রুত বাড়ছে বলে হু এর তরফে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: পঞ্চাশের কাছাকাছি মৃত্যু, আক্রান্ত ৮২৮! সত্যিই HIV মহামারী ত্রিপুরায়?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে মাঙ্কিপক্সের বেশি ঘটনা ঘটেছে। আফ্রিকায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৪ অগস্টের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের ৩৮,৪৬৫ টি ঘটনা ঘটেছে এবং ১৪৫৬ জন মারা গিয়েছে। এর আগে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে অন্তত ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে। পক্সের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। হু এর মহাপরিচালক ডঃ টেড্রোস আধানম জানান, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক স্তরে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আফ্রিকান দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে বিশাল জনগোষ্ঠী এই রোগে আক্রান্ত। সেখানকার মানুষ প্রায়ই এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যান। ফলে এতে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

কী আসলে এই মাঙ্কিপক্স? এমপক্স একটি ভাইরাল রোগ, যা অর্থোপক্সভাইরাস গণের একটি প্রজাতি। বিজ্ঞানীরা ১৯৫৮ সালে প্রথমবার এই ভাইরাসটি শনাক্ত করেন। বানরের মধ্যেই সবার প্রথম এই 'পক্স-জাতীয়' রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সেখান থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ে মানবশরীরে। অনেকটা গুটিবসন্তের সমগোত্রীয় এই ভাইরাস। পরবর্তীতে এই সংক্রামক রোগ ছড়িয়েছে মানুষ থেকে মানুষেও। এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা। আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে তা হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশ-সহ শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে। অত্যন্ত চুলকানো বা ব্যথাদায়ক এই ফুসকুড়িগুলো পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে স্ক্যাব বা গোল গোল পুরু আস্তরে পরিণত হয়ে শেষে পড়ে যায়। এর ফলে দাগ সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণ ভাবে ১৪-২১ দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা এই রোগের। কিন্তু ভাইরাসটি ক্রমাগত ভ্যারিয়েন্ট পরিবর্তন করায় ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। বহু ক্ষেত্রেই বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রেও ভয়ের হয়ে উঠছে এই ভাইরাস। এমনকী মুখ, চোখ ও যৌনাঙ্গ-সহ গোটা শরীরেও ক্ষত তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে এই সংক্রমণের ফলে।

India sounds alarm amid global mpox surge: Airports, borders, hospitals on alert

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের মতো পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্ট সমৃদ্ধ দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে এখনও পর্যন্ত এম পক্সের দাপট সবচেয়ে বেশি। প্রতি বছরই এই সব অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ এতে আক্রান্ত হন এবং মারা যান শত শত মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ বছরের কম বয়সীরা। সম্প্রতি বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা এবং কেনিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাসের দুটি ধরন রয়েছে সাধারণত, প্রথমটি ক্লেড ওয়ান ভাইরাস। যার প্রাদুর্ভাব গত কয়েক দশক ধরেই কঙ্গোতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ছিল। যেখানে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। ক্লেড ২ ধরনটি এর থেকে কম গুরুতর। কবে গত বছরে সংক্রামিত অনেকের তুলনামূলকভাবে নতুন ও আরও গুরুতর ধরনের এমপক্স ক্লেড ১বি-তে আক্রান্ত হয়েছেন। যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে ২০২৪ সালের শুরু থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে আর এতে ৪৫০’রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে ১৯ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে এমপক্সের মৃদু ধরন ক্লেড ২’র কারণে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। এশিয়া এবং আফ্রিকার মতো যে দেশগুলোতে সাধারণত এই ভাইরাস দেখা যায় না এমন প্রায় ১০০টি দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, সরাসরি সংস্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি এসে কথা বলা বা শ্বাস নেওয়ার মতো ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমেও একজনের থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস। এমনকী ফাটা চামড়া, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ভাইরাসে দূষিত হয়েছে এমন জিনিস যেমন বিছানা, পোশাক এবং তোয়ালে স্পর্শের মাধ্যমেও এটি ছড়াতে পারে। বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালির মতো কোনো প্রাণী যদি এতে সংক্রমিত হয় আর কেউ যদি ওই সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে বেশি কাছাকাছি আসে তবে তিনি এতে আক্রান্ত হতে পারেন। ২০২২ সালে প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দিক হয়ে উঠেছিল যৌন সম্পর্ক। চলতি বছরও কঙ্গোতে প্রাদুর্ভাবের বড় একটি কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।

পাকিস্তানে এই মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ঝুঁকির বৃত্তে ঢুকে পড়েছে ভারতও। ইতিমধ্যেই ভারতের সমস্ত বিমানবন্দর এবং স্থল সীমান্তগুলিতে সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিদেশ থেকে আসা সমস্ত পর্যটকদের উপর নজর রাখার বিশেষ নির্দেশ জারি করা হয়েছে। যে সমস্ত অভ্যন্তরীণ যা, যাঁদের শরীরে এমপক্স ভাইরাসের সম্ভাব্য লক্ষণগুলি দেখা যাবে, তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। ভারতে এখনও পর্যন্ত এমপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি পড়শি দেশ পাকিস্তানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে ফেরা খাইবার পাখতুনখোয়ার তিন বাসিন্দার মধ্যে ওই রোগের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লির তিনটি হাসপাতালকে নোডাল কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সফদরজং হাসপাতাল, রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালে ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সেরেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরও।

India sounds alarm amid global mpox surge: Airports, borders, hospitals on alert

তবে শুধু সতর্কতা নয়, কোনও ভাবে মাঙ্কিপক্সের মহামারী দেশে ছড়িয়ে গেলে তার মোকাবিলায় কী কী করা হবে, তা নিয়েও ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ভারতের ল্যাবরেটরিগুলিকে এমপক্স সনাক্তকরণের জন্য প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে, ভারতে ৩২টি ল্যাব রয়েছে যা এমপক্স সংক্রমণ পরীক্ষা করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২২ সাল থেকে ভারতে এমপক্স সংক্রমণের ৩০টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। শেষ মামলাটি এই বছরের মার্চ মাসে রিপোর্ট হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের প্রকাশিত প্রকাশিত জুন বুলেটিনে জানিয়েছে, ১ জানুয়ারী, ২০২২ থেকে ৩০ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত যে দশটি দেশে এমপক্স সংক্রমণ ঘটেছে, তার মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ব্রাজিল, স্পেন, ফ্রান্স, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, ব্রিটেন, পেরু, জার্মানি এবং কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।

আরও পড়ুন: আসছে কোভিডের চেয়েও ভয়ঙ্কর মহামারী! যে ঝুঁকির কথা শোনালেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী

এমপক্স যাতে কোভিড অতিমারির আকার না নেয়, তার জন্য আগেভাগেই ভ্য়াকসিন তৈরির উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই ভাইরাস নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা ইতিমধ্যেই। সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা বলেন, 'এমপক্সের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা লক্ষ-লক্ষ মানুষকে সাহায্য করার জন্য একটি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছি। আশা করছি, এক বছরের মধ্যেই আমরা একটা ভালো খবর পাব।' কোভিড অতিমারির সময়ে এই সেরাম ইনস্টিটিউটই করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল। এবার এমপক্সের ভ্যাকসিন তৈরি করতেই উঠেপড়ে লেগেছে তারা। ইতিমধ্যেই অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)-র তরফেও এই সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। আক্রান্তদের কোন পথে চিকিৎসা করা হবে, তা নিয়ে একটি রূপরেখাও সামনে এনেছে তারা।

যদিও এমপক্স বা মাঙ্কিপক্স নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলেই দাবি করেছেন ডিরেক্টরেট জেনারেল হেলথ সার্ভিসেস বা ডিজিএইচএস চিকিৎসক অতুল গোয়েল ৷ তিনি জানিয়েছেন, ভারতে এই রোগের ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তেমন নেই ৷ যদিও অগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু, এমপক্সকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছিল৷ ডিজিএইচএস অতুল গোয়েল জানিয়েছেন, প্রতিটি রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমপক্সের সংক্রমণ রয়েছে এমন রোগীদের আইসোলেশন এবং তাঁদের চিকিৎসার জন্য মনোনীত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে ৷ যদি কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে প্রতিটি রোগীকে ধরে এর নিরাময় করা হবে ৷

 

More Articles