অনাদরে পড়ে রয়েছেন সালাম-বরকতরা, এখন ভাষা দিবস মানে কেবল সাংস্কৃতিক হইহুল্লোড়?
International Mother Language Day : একুশ কি এখন একটা নিছক উপলক্ষ মাত্র? বইমেলা, নানা ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাওয়া-দাওয়া, হইহুল্লোড় মাত্র?
একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশে যে আবেগ ছিল, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেও যে উষ্ণতা ছিল, আজ তা কি একই পর্যায়ের আছে? মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার জন্য যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন তো নিছক আর দশটা রাজনৈতিক আন্দোলনের মতো একটা বিষয় ছিল না। আর বিষয় ছিল না বলেই, সেই আন্দোলনের থেকে কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক মানসিকতার বিরুদ্ধে বাঙালির ভেতরে স্বাধীনতার আকাঙ্খা সৃষ্টির বীজ বাঙালি অন্বেষণ করে নিতে পেরেছিল।
সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানে একুশে ফেব্রুয়ারি প্রভাব, সেটা পশ্চিমবঙ্গে কতটা নিবিড় ভাবে পড়েছিল ,তা বুঝতে গেলে প্রথমেই আমাদের মনে রাখা দরকার, অন্নদাশঙ্কর রায়ের ব্যবস্থাপনায় ১৯৫৩ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শান্তিনিকেতনের 'সাহিত্য মেলা'-র কথা। দেশভাগকে রোধ করা শিল্পী-সাহিত্যিকদের কাজ ছিল না। কিন্তু হিন্দু বাঙালি অভিজাত উচ্চবর্ণদের স্বার্থে, কলকাতাকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীদের প্রায় গোটাটাই, দেশভাগকে সমর্থন করেছিলেন। পরবর্তীকালে যাঁকে বামপন্থীরা তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য বামপন্থার অন্যতম আইকন হিসেবে দেখাতে চান, সেই বিজ্ঞানী মেঘনাথ সাহাও কিন্তু দেশভাগকে সমর্থন করেছিলেন। আবার চরম দক্ষিণপন্থী, আরএসএস সদস্য ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারও দেশভাগকে সমর্থন করেছিলেন। অতুল্য ঘোষের মতো কংগ্রেস নেতা দেশভাগের সমর্থনে পুস্তিকা লিখেছিলেন।
কিন্তু দেশভাগকে সমর্থন করেননি একমাত্র বুদ্ধিজীবী অন্নদাশঙ্কর রায়। সমর্থন করেননি রেজাউল করিম ,কাজী আবদুল ওদুদের মতো মানুষেরা। সেই অন্নদাশঙ্কর রায় দেশভাগের জ্বালা সহ্য করেও ,অখণ্ড বাঙালি জাতিসত্ত্বার বিকাশ যাতে এপার বাংলাতে ঘটে, তার জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন। শান্তিনিকেতনের সাহিত্যমেলা, সেখানে ওপার বাংলা থেকে মানুষজন যেমন এসেছিলেন, তেমনই এপার বাংলার বুদ্ধিজীবীদের যে অংশটি দেশভাগকে সরাসরি সমর্থন করেছিলেন, তাঁরাও কিন্তু অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আসলে বিভাজনকে কোনওদিন মন থেকে মেনে নিতে পারেননি অন্নদাশঙ্কর, কাজী আবদুল ওদুদের মতো মনীষীরা। তাই রাজনীতির বিভাজনে, সংস্কৃতির বিভাজন কখনোই স্থায়ী হতে পারে না, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই অন্নদাশঙ্কর ওই সাহিত্য মেলার আয়োজন করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তদানীন্তন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের উপরে যে ধরনের অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক অত্যাচার, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ,বাঙালি হিন্দু মুসলমানকে বিভাজিত করার আপামর প্রচেষ্টা, তার বিরুদ্ধে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলনের ভেতর দিয়ে যে অখণ্ড বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিধ্বনিত হয়েছিল, সেই সমস্ত রাজনৈতিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপিত ছিল এই একুশের চেতনা।
এই চেতনা যে প্রজন্ম ধারণ করত, সেই প্রজন্ম প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী এখন প্রায় নেই বললেই চলে। তাহলে একুশের চেতনা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতেই বা কেমন আছে ,আর পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষিতেই বা তার উপযোগিতা কতটা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি? বাংলাদেশে একুশ কি এখন একটা নিছক উপলক্ষ মাত্র? বইমেলা, নানা ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাওয়া-দাওয়া, হইহুল্লোড় মাত্র? আজিমপুর গোরস্থানে যেভাবে একটু অনাদর ও অবহেলার মধ্যে সালাম, বরকত চিরঘুমে রয়েছেন, আর একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই, তাঁদের সমাধিস্থল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে,পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের প্রতিযোগিতা পড়ে যায়, তেমনই কি মাতৃভাষা চর্চার বিষয়টি ও এখন বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কাছে একটা নিছক আনুষ্ঠানিকতা?
বাংলাদেশের দোকান-বাজার, ট্রেন, রেল স্টেশন ,পাবলিক প্লেসে ইত্যাদি জায়গায় বাংলা ভাষা ব্যবহারের বিষয়টি কি পরবর্তী সময়ে নিছক এক ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছিল? সেখানেই আটকে ছিল আবেগ নামক বস্তুটি? গত বেশ কয়েক বছরে সেখানকার সাইনবোর্ড ইত্যাদিতে বহু ক্ষেত্রেই বাংলা ভাষার পাশাপাশিই ঠাঁই নিয়েছে ইংরেজি। বহু বিদেশি মানুষ বাংলাদেশে আসেন। তাঁদের বোঝার জন্য সাইনবোর্ড ইত্যাদিতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি রাখার উপযোগিতাকে কখনো অস্বীকার করতে পারা যায় না।
আন্তর্জাতিক স্তরের ভাষা একটা বড় অংশের মানুষ বুঝতে পারেন। মাতৃভাষার পাশাপাশি, সেই ভাষার ব্যবহার ঘিরে কোনওরকম ছুৎমার্গ থাকা উচিত নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যাপনচিত্রের ভাষা হিসেবে বাংলাদেশের আজকের প্রজন্ম, বাংলা ভাষাকে কতটা ব্যবহারিক জীবনে আপন করে নিতে পেরেছেন? তার পাশাপাশি এই প্রশ্নটিও উঠে আসে যে, ভারতের মতো ভাষা বৈচিত্র বাংলাদেশে না থাকলেও, বাংলা মাতৃভাষা নয় এমন কিছু মানুষও বাংলাদেশ আছেন। সংখ্যালঘু ভাষাভাষী সেই মানুষদের যে মাতৃভাষার অধিকার, সেই অধিকারের বিষয়টিও কি সেখানে সমান মর্যাদা সহকারে রক্ষিত হচ্ছে?
আমাদের মনে রাখা দরকার, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় উর্দুভাষার বিরোধিতা করে যে প্রেক্ষিত রচিত হয়েছিল, সেখানে বিরোধিতার জায়গাটা কিন্তু কেবলমাত্র একটি ভাষাকে কেন্দ্র করে ছিল না। ভাষা ছিল সেখানে একটা উপলক্ষ্য। মূল প্রতিবাদ ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে, সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার বিরুদ্ধে, ধর্মীয় বোধকে ধর্মান্ধতায় পরিণত করার প্রবণতা বিরুদ্ধে। তাই একুশের আন্দোলনকে কেবলমাত্র উর্দু ভাষার বিরুদ্ধে আন্দোলন বলে যদি দেখানো হয়, সেটা ইতিহাসগত ভাবে ঠিক নয়।
সেই দাবির ভেতর দিয়ে যে বোধ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত হয়, তাতে সঠিক ইতিহাস চেতনার পরিবর্তে, একটা ভাষাকেন্দ্রিক বিদ্বেষ তৈরি হয়। যে বিদ্বেষ অচিরেই সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী, সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ধর্মনিরপেক্ষতাকে স্থাপন করলে ,সেখানে প্রধান অন্তরায় হয়ে ওঠে সংখ্যালঘুর অধিকারের প্রশ্ন। এটা যেমন ধর্মভিত্তিক সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ভাষাভিত্তিক সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রেও সেই একই কথা সমানভাবে প্রযোজ্য।তাই আমাদের এটাও ভাবতে হবে যে, বাংলাদেশের যে মানুষেরা, তাঁরা সংখ্যায় যতই কমই হোক না কেন, যাঁদের মাতৃভাষা বাংলা নয়, যাঁদের নিজস্ব কিছু পৃথক ভাষা আছে, সেই মানুষদের উপর বাংলা চাপিয়ে দেওয়া কোনও রাষ্ট্রীয় জুলুম হয়ে যাচ্ছে না তো?
বাংলা মাতৃভাষা নয়, এমন মানুষদেরও তো নিজেদের ভাষার অধিকার রক্ষার প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ কেবলমাত্র বাংলা ভাষার জন্য এই একুশে ফেব্রুয়ারি দিবসটিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়নি। তাঁরা স্বীকৃতি দিয়েছে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার প্রশ্নে। সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, যে মুহাজির উর্দুভাষী মানুষ আজও বাংলাদেশে আছেন, তাঁদেরও মাতৃভাষা রক্ষার অধিকার সমানভাবে প্রযোজ্য। সেই অধিকার কি রক্ষিত হচ্ছে? আসলে কেউ যদি নিজের মাতৃভাষার প্রতি সত্যিই আন্তরিক হন, তাহলে তিনি কখনো অপরের মাতৃভাষায় হস্তক্ষেপ করবার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারে না।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, দুর্ভাগ্যের বিষয়, যেমন এপার বাংলায়, তেমন ওপার বাংলায়, একুশে ফেব্রুয়ারি নানা আবেগমথিত কার্যক্রমের ভেতর দিয়ে পালিত হলেও, ব্যবহারিক জীবনে মাতৃভাষা রক্ষার ক্ষেত্রে আন্তরিকতার বড় বেশি অভাব দেখতে পাওয়া যায়। আধুনিকতার দোহাই দিয়ে আমরা এপার বাংলার মানুষেরা, একটা বড় বাংলা বাক্য বলবার সময়, দুটো বাংলা শব্দ, চারটে ইংরেজি শব্দ ,আর ছ'টা হিন্দি শব্দের সংমিশ্রণে একটা খিচুড়ি ভাষা পরিবেশন করে থাকি।
অপর পক্ষে বাংলাদেশের একটা বড় অংশের মানুষ,তাঁরা হিন্দিটা ব্যবহার না করলেও, বাংলার সঙ্গে ইংরেজি মিশিয়ে ক্রমশই একটা 'বাংরেজি' ভাষা ব্যবহার করতে বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। অথচ এঁরাই কিন্তু পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, একুশে ফেব্রুয়ারি, রমনা বটমূলে বাঙালি সংস্কৃতির নাম করে হলুদ শাড়ি বা নতুন তাঁতের শাড়ি পরে পান্তা ভাত খাচ্ছেন। শুঁটকি মাছ খাচ্ছেন। রবীন্দ্রসংগীত গাইছেন। আবার টেলিভিশনে যদি ধর্মীয় বিষয় পাঠ হয়, সঙ্গে সঙ্গেই মাথায় ঘোমটা টেনে নিচ্ছেন।
একটা অদ্ভূত সাংস্কৃতিক সংকট দুই বাংলা মিলিয়ে, বাঙালির মধ্যে এখন ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে। সেই সংকট মোকাবিলার প্রশ্নে একুশের চেতনা আজও কী ভাবে আমাদের দিশা জোগাতে পারে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তার জায়গা দুই বাংলাতেই প্রায় নেই বললেই চলে। বাংলা ভাষার জন্য আত্মনিবেদিত কবি-সাহিত্যিকদের পরবর্তী প্রজন্ম আপা, মাসির পরিবর্তে এখন 'আন্টি' বলতেই বেশি অভ্যস্ত।
স্যার আশুতোষ চৌধুরীর পরিবারকে একটু ব্যঙ্গ করে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত 'আমরা সাহেব সেজেছি কভাই' লিখেছিলেন। সেই মানসিকতারই একটা নতুন ভাব, নতুন আঙ্গিকের প্রচলন আমরা দুই বাংলার সর্বত্র দেখতে পাচ্ছি। কেবলমাত্র একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা অধিকার নিয়ে গলা কাঁপিয়ে বক্তৃতা, গান, আবৃত্তি, নাটক, সংবাদপত্র, সাময়িকপত্রে প্রবন্ধ লিখলেই কি মাতৃভাষার অধিকার রক্ষিত হবে?
বামপন্থীদের একটি বিজ্ঞান সংগঠনের আলোচনা সভায় প্রায় কুড়ি বছর আগে আহুত হয়েছিলাম। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক নায়ারও সেখানে ছিলেন। আমি কিন্তু আমার আলোচনার শুরুতে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় ইংরেজিতে নিবেদন করেছিলাম, যেহেতু কলকাতা শহরের সল্টলেকে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে, দুই একজন অবাঙালি ব্যতীত বাকি সব বক্তা ও শ্রোতাই বাঙালি, তাই আমার বক্তব্যের সারাংশ আমি ইংরেজিতে লিখিতভাবে এখানে উপস্থাপিত করলেও, আমার মূল বক্তব্যটা আমি আমার মাতৃভাষা বাংলাতেই রাখব। কারণ ,কলকাতা শহরে বসে ,আমি কখনও কোনও আলোচনা সভায় আমার মাতৃভাষা ছাড়া কথা বলি না। এই প্রসঙ্গে জাতিসঙ্ঘে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেওয়ার প্রসঙ্গটিও আমি টেনে ছিলাম।
আমার বক্তব্যের বিষয় ছিল মূলত পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা শিক্ষা। আমার বক্তৃতা শেষ করার অবহিত করে সেই সময়ের বামপন্থীদের অত্যন্ত কাছের মানুষ বিজ্ঞানী শঙ্কর চক্রবর্তী প্রকাশ্যে মাইক টেনে নিয়ে আমার এই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেওয়াকে তিরস্কার করলেন। কার্যত আমি ভালো ইংরেজি বা হিন্দি জানি না বলেই আমি বাংলাতে বক্তৃতা করলাম, এই ধরনের ব্যক্তিগত ব্যঙ্গ করলেন। ওঁর সঙ্গে প্রকাশ্যে সংঘাত তৈরি করতে আমার রুচিতে বাধল।
কিন্তু অধ্যাপক দীপক নায়ার সব বুঝতে পেরে, আমাকে বললেন, "আপনাকে, আপনার মাতৃভাষা বাংলায় বক্তব্য রাখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমরা যাঁরা বাংলা বুঝি না, তাঁদের বোঝবার জন্য তো আপনার বক্তব্যের সারাংশ লিখিতভাবে ইংরেজিতে উপস্থাপিত করেছেন। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?" ফরাসি দেশে, কোনও আন্তর্জাতিক আলোচনা হলে, সে দেশের মানুষ কিন্তু আলোচনা সারাংশ ইংরেজি ভাষায় উপস্থাপিত করেও, মূল বক্তৃতা বক্তৃতা দেন মাতৃভাষায়।
শঙ্কর চক্রবর্তীর এই যে মানসিকতা, তার মধ্যেই কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে আজকে মাতৃভাষা চর্চার যে সংকট তৈরি হয়েছে সেটির মর্মকথা। আর তার পাশাপাশি এই একুশকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে সেই আন্দোলনের যে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক তাৎপর্য ছিল, সেই তাৎপর্যের দিক থেকে মানুষের দৃষ্টিটাকে ঘুরিয়ে দেওয়া, ভুলিয়ে দেওয়া,গুলিয়ে দেওয়া। যেন ঈদ, মহরম, দুর্গাপুজো, কালীপুজো থেকে সন্তোষীমাতার পুজোর মতোই একুশে ফেব্রুয়ারিও আমাদের আর একটা পুজো, মানে সাংস্কৃতিক পুজো এই আর কী!