প্রকাশনা নিয়ে স্বপ্ন দেখবে তরুণ-তরুণীরা? বইমেলা যে পথ দেখাল
সপ্তাহ দুয়েকের আনন্দ উদযাপনের পর ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা’ এবারের মতো শেষ হলো। আবার একটা বছরের অপেক্ষা। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আগামী বছর এই সময় ফের সেজে উঠবে সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গন। সারা পৃথিবীর বইপ্রেমীদের অন্যতম ঠিকানা। সমীক্ষা বলছে, এবারের বইমেলায় ২৩ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন ২০২২ সালের বই বিক্রির হিসেব শেষ বইমেলার চেয়ে বেশি। একদিকে করোনা-র প্রকোপ, তার উপর অর্থনীতির বিধ্বস্ত অবস্থা, তার মধ্যেই এত মানুষ বই কিনছেন এই সংবাদ বই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সকলের জন্যেই আনন্দের। এবার বইমেলায় মানুষের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। অতিমারির ভয়কে উপেক্ষা করে দেশ-বিদেশ থেকে নানান মানুষ এসে উপস্থিত হয়েছেন মেলা প্রাঙ্গনে, বেছে নিয়েছেন নিজেদের পছন্দের বই। বহু প্রকাশকই এই বিকিকিনিতে খুশি। এখান থেকেই প্রশ্নের শুরু, এই যে বই ঘিরে বড় অঙ্কের লেনদেন, তাকে সামনে রেখে কি তরুণরা প্রকাশনা-কে স্টার্ট-আপ হিসেবে ভাবতে পারেন? যারা ইতিমধ্যেই এই জুতোয় পা গলিয়েছেন, তাদের ভবিষ্যতই বা কতটা সুরক্ষিত?
একটি দু'টি বিশেষ বই নয়, সামগ্রিক ভাবেই বিক্রি বেড়েছে এবার বইমেলায়, এমনটাই মনে করছেন ‘বৈভাষিক’ প্রকাশনী-র কর্ণধার অদ্বয় চৌধুরী। তিনি বলছিলেন, ‘লাভটা তো অনেককিছুর উপর নির্ভর করে, তবে এটুকু বলা যেতে পারে যে শেষ বইমেলায় আমরা যে টাকা তুলতে পেরেছি, অন্তত সেই জায়গাটা আমরা ধরে রাখতে পারছি। হয়ত তার থেকে লাভের অঙ্কটা কিছুটা বাড়ছেও।’ করোনার মধ্যে বই উৎপাদন থেকে বিপণন-সবটাই আটকে ছিল। এখন এই নতুন শুরুতে আলাদা করে তাঁর সংস্থা যে ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছে এমনটা নয়। গত বছর তাঁর যা বই বিক্রি হয়েছে, এবার তার থেকে অল্প কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু তাঁকে লোকসানের মুখ দেখতে হয়নি, এটুকুতেই তিনি নিশ্চিন্ত।
আশাবাদী ছোট পত্রিকার (লিট্ল ম্যাগাজিন) সঙ্গে জড়িতরাও। ‘বোধশব্দ’ পত্রিকা-র সম্পাদক সুস্নাত চৌধুরী বলছিলেন, ‘একটা বছর বইমেলা না হওয়ার ফলে প্রকাশক বা বিক্রেতাদের তরফ থেকে একটা আগ্রহ ছিল যে এবার যেন মেলাটা হয়। উল্টোদিকে ক্রেতা বা পাঠকের তরফ থেকেও একটা আগ্রহ ছিল, আর তার প্রভাব এবার মেলায় দেখা গেছে।’ তাঁর পত্রিকার বিক্রি এবার বেশ ভালোই হয়েছে। এমনকী, তাঁর যে সমস্ত পরিচিত ব্যক্তিরা প্রকাশনা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের কাছ থেকেও ইতিবাচক খবরই তিনি পেয়েছেন। অন্তত লাভের দিক দিয়ে ২০২২ সালের বইমেলা তাঁকে নিরাশ করেনি।
তবে, ‘দশমিক’ পত্রিকা-র প্রকাশক পৃথ্বী বসু যেন কিছুটা হতাশ। অন্যান্য বার ‘লিট্ল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন’ থাকে অখণ্ড। একই তাঁবুর নীচে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার প্রকাশক টেবিল পেতে বসেন। কিন্তু এবার গিল্ড কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘লিট্ল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন’-কে তিন ভাগে ভেঙে দিয়েছেন, এবং এই তিনটে ভাগই পড়েছে বইমেলা-র তিন প্রান্তে। এর প্রভাব কিছুটা পড়েছে পত্র-পত্রিকার বিক্রির উপর, এমনটাই মনে করছেন নবীন এই সম্পাদক। তিনি বলছিলেন, ‘এবারে লিট্ল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন-টা ভেঙে দেওয়ার ফলে যেটা হল, যে সমস্ত পাঠক মূলত লিট্ল ম্যাগাজিনই কেনেন, বা, যে সমস্ত প্রকাশনী মূলত লিটল ম্যাগাজিন নির্ভর, সে সব জায়গাতেই যান, তাঁরা খানিকটা কনফিউজড হয়ে গেছেন। অনেকেই হয়ত কোনও একটা গেট দিয়ে ঢুকছেন, প্যাভিলিয়নে-র একটা অংশ দেখছেন এবং ভাবছেন করোনার জন্য হয়তো গোটা ব্যাপারটা এবার কমিয়ে ছোট করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তাঁরা সেখান থেকেই কেনাকাটা করে চলে যাচ্ছেন। এর ফলে যেটা হল, কিছু লিট্ল ম্যাগাজিনের লাভের অঙ্কটা খুব খারাপ না হলেও সামগ্রিক গ্রাফটা কিছুটা পড়ে গেছে।’
এবার বইমেলা চষে দেখা গেল নামিদামী প্রকাশকের পাশাপাশিই বহু ভালো বই তৈরির পিছনে রয়েছে তরুণের মগজাস্ত্র। অল্পবয়সি ছেলেমেয়ে প্রকাশনা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন স্বেচ্ছায়। বইকে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। পৃথ্বী বসুর কথাই ধরা যাক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে পড়াশুনো করেছেন। দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন তিনি এবং আরও কয়েকজন বন্ধু মিলে ‘দশমিক’ পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করেন। কৈশোরে লিট্ল ম্যাগাজিন-কে কেন্দ্র করে অদম্য উৎসাহ। কালে কালে সেই উৎসাহে কিছুটা ভাঁটার টান পড়েই। সঙ্ঘ ভেঙেই যায়। পৃথ্বীর সঙ্গীরা নিজেদের কাজকর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ফলে দলটা ভেঙে যায়। সেখান থেকে একাই যাত্রা শুরু করেন পৃথ্বী। স্মৃতিরোমন্থন করতে গিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘আমি একটা সিরিয়াস কাজ করতে এসেছিলাম, ফলত একটা ভাবনা ছিল যে আমি আমার মতো করে কাগজটা করব। বছরে একটা করে সংখ্যা করব। সেটা কোনও সাধারণ সংখ্যা হতে পারে, বা কোনও বিশেষ সংখ্যা হতে পারে। এরকম একটা মোটিভেশনের জায়গা থেকে আমার শুরু।’ ‘দশমিক’-এর দু একটা সংখ্যা নিজে প্রকাশ করার পর তাঁর মনে হয়, এবার কিছু বই প্রকাশের দিকে গেলে কেমন হয়? ‘আমার তো ব্যবসায়িক কোনও উদ্দেশ্য নেই সে অর্থে, কিন্তু একটা ভালো বই প্রকাশ করলে এটা ভেবে একটা আনন্দ থাকে যে একটা ভালো জিনিস আমি পাঠকের হাতে তুলে দিতে পারছি’, বলছিলেন পৃথ্বী। নিজেকে একটা টার্গেট দিয়েছেন পৃথ্বী। একশোটা বই প্রকাশ করতে চান তিনি। তার থেকে একটা কমও না, বেশিও না। কিন্তু কোন বই তিনি ছাপবেন? পৃথ্বী বললেন, ‘কাজ করতে হলে এমন একটা কিছু নিয়ে করব যেটা নিয়ে মানুষ ভাবে না, কাজও করে না।’
অল্প বয়সি ছেলেমেয়েদের প্রকাশনা ব্যবসায় আসাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সুস্নাত চৌধুরী। তিনি মনে করেন, ‘নতুন প্রকাশকদের এই ব্যবসায় আসার ট্রেন্ড আস্তে আস্তে কলেজ স্ট্রিটে দেখা যাচ্ছিল। সেটার প্রভাব আমরা বইমেলায় দেখতে পাচ্ছি। এটা খুবই ভালো ব্যাপার, কারণ ফ্রেশ এয়ার যে কোনও ব্যবসায় যদি আসে তা সেই ব্যবসার পক্ষে মঙ্গল। তারা চাইলে অনেক বেশি ইনোভেটিভ হতে পারে।’ অদ্বয় চৌধুরীও মনে করছেন, ‘এখন যে সমস্ত অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা প্রকাশনা ব্যবসায় আসছে তারা নিজেরাও কম বেশি সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত ছিল, ফলত সেই জায়গা থেকে তারা ব্যবসায় নামছে। এটা নিঃসন্দেহে খুব ভালো ব্যপার, কারণ এর ফলে তাঁদের রুচিটা বাড়তি পাওয়া। আমাদের সংস্কৃতিটা অনেক বেশি সমৃদ্ধ হচ্ছে।’ তিনি আরও বলছিলেন, ‘সব ক্ষেত্রে এ সমস্ত ছেলেমেয়েরা যে ব্যবসা করার উদ্দেশ্য নিয়েই প্রকাশনায় আসছে এমনটা নয়, কিন্তু তারা যেটুকু করছে মন দিয়ে করছে।’ ‘বৈভাষিক’ প্রকাশনীর আরেক কর্ণধার মাধবী মজুমদারে-র মনে করছেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতে অনলাইন বই বিক্রির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেকেই হয়ত ভেবেছে যে চাকরির বিকল্প হতেই পারে এই ব্যবসা। ফলত, সে জায়গা থেকেও হয়ত অনেকে এই ব্যবসায় আসছে, এমনটা ধরে নেওয়া যায়।’
কিন্তু নতুনরা এই পেশায় এসে নামকরা প্রতিষ্ঠানের পাশে কি জায়গা করে নিতে পারবে? সুস্নাতবাবু মনে করেন, কোনও বই বা পত্র-পত্রিকার বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের প্রশ্ন। ফলত নতুন হোন বা পুরনো, এই জায়গায় প্রকাশককে হতে হবে আপোষহীন। তাঁর মতে, সবচেয়ে বড় সুবিধে হল, ছোট থেকে বড়, সব প্রকাশকই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। নতুনরা চাইলে এই প্রযুক্তিকেই যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগিয়ে প্রকাশনা ব্যবসায় একটা মাপকাঠি তৈরি করতে পারে। তাঁর যুক্তি, বাণিজ্যিক দিক দিয়ে না হলেও বহু ছোট প্রকাশনাই আজ নিজেদের বই বা পত্র-পত্রিকার বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে বড়দের প্রতিযোগিতার মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে। এটাই আশার কথা।
সুস্নাত চৌধুরীর কথায়, ‘বইয়ের ব্যবসার ক্ষেত্রে একটা খুব জরুরি বিষয় হচ্ছে প্রিন্ট রান বাড়ানো। বেশি কপি ছাপা। কিন্তু বেশি কপি ছাপতে গেলে যে ধরনের বাণিজ্যিক বিষয়বস্তু বইতে নিয়ে আসতে হয়, সেই আপোষের পথে অনেকে নাও হাঁটতে পারেন। মানে অনেকেই এটা ভাবতে পারেন যে পাঠকের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনও আপোষ তিনি করবেন না। সেক্ষেত্রে হয়তো ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাক্ট হয়ে উঠবে না তাঁর বই। কিন্তু একটা জায়গা তো তৈরি হবে নিঃসন্দেহে।'
সেই জায়গাটা ঠিক কত? কত বই বিক্রি হতে পারে এক নবীন প্রকাশকের! সরাসরি সংখ্যা অনুমানে না গিয়ে সুস্নাত বললেন, ‘প্রকাশক বড় হোক বা ছোট, দুই বাংলায় যে পরিমাণ পাঠকের সংখ্যা, তাতে একটা বই ৩০০-৫০০ কপি বিক্রি হওয়াটা যথেষ্ট হতাশাজনক। এই ছবিটা বদলাতে পারে বিপণনের হাত ধরেই। যে কোনও পণ্যের মতোই বই ব্যবসার ক্ষেত্রে আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়া-কে পেশাদারিত্বের সঙ্গে ব্যবহার করা দরকার।’ তবে লড়তে নেমে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যে নিজের বিক্রির অঙ্কটাকে অকারণ খুব ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখাতে হবে- এই অসততাকে মেনে নিতে রাজি নন এই সম্পাদক। বরং নিজের যেটুকু পুঁজি রয়েছে, তাকে বুদ্ধি করে কাজে লাগিয়েও ভালো ব্যবসা দাঁড় করানো যায়, এমনটাই মনে করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত অদ্বয়-মাধবীদের মতো উঠতি বই-ব্যবসায়ী বা সুস্নাত চৌধুরীদের মতো প্রথাভাঙা লিট্ল ম্যাগাজিনের সম্পাদক-সকলেই একটা কথা মানছেন, উদ্যম আর সঠিক বিষয় নির্বাচনের ক্ষমতা থাকলে পাঠক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে না। দয়া-দাক্ষিণ্য বা অনুকম্পার যে ইমেজ তা সহজেই ভেঙে ফেলতে পারে লিট্ল ম্যাগিজন থেকে বাংলা বই। লক্ষ্মীলাভ করাও খুব কঠিন নয়।
‘তবুও প্রয়াস’ প্রকাশনী-র অন্যতম কর্ণধার দেবোত্তম গায়েন মনে করেন আগামী দিনে আদর্শ স্টার্ট-আপ হিসেবে বই-কে বেছে নেওয়া যেতেই পারে। ‘লিট্ল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন’ থেকে পথ চলা শুরু করেছিল তাঁর প্রকাশনা সংস্থা। এ বছর বইমেলায় তাঁরা প্রথমবার নিজেদের স্টল দিয়েছেন। নবীন প্রকাশক দেবোত্তমের মতে, যে কোনও ব্যবসা শুরু করতে গেলেই কিছুটা ঝুঁকি নিতে হয়। প্রকাশনা ব্যবসার ক্ষেত্রেও সে কথা প্রযোজ্য। তিনি বলছিলেন, ‘ যে কোনও পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে একটা ট্রায়াল দিয়ে নেওয়া হয়। তার উপর ভিত্তি করে তার বাণিজ্যিক ভবিষ্যৎ কিছুটা ছকে নেওয়া যায়। কিন্তু বইয়ের ক্ষেত্রে সেই সুবিধেটা নেই।’ প্রকাশনা ব্যবসার ক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণটা হয়তো অন্যান্যদের তুলনায় কিছুটা বেশি হয়। পাঠক কোন ধরনের বই পছন্দ করবেন, কার বিক্রি বেশি হবে, তা তো আগে থেকে সবসময় বোঝা যায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেবোত্তমবাবু মনে করেন প্রকাশনা ও আনুষঙ্গিক ব্যবসা সামগ্রিকভাবে মূলস্রোতের বেশ ভালো একটা বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।
ছোটতে-বড়তে মিলে এভাবেই বইমেলা চলতে থাকবে বছরের পর বছর। শীত গিয়ে বসন্ত আসার ঠিক মুখে কলরব মুখরিত হয়ে উঠবে সেন্ট্রাল পার্ক প্রাঙ্গন। প্রকাশকদের টেবিল জুড়ে ছড়িয়ে থাকবে নতুন নতুন মলাটের সম্ভার। বাংলাদেশে-র স্বাধীনতা যুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পূর্তির কথা মাথায় রেখে আখতারুজ্জমান ইলিয়াসে-র দেশকেই এবার বইমেলা-র মূল থিম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। মেলা-র শেষদিনে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে গিল্ড কর্তৃপক্ষ জানায় যে সামনের বছর বইমেলা-র ফোকাল থিম কান্ট্রি হবে স্পেন। আশা রাখা যাক, আগামি বছর আরও অনেক নবীন লেখক প্রকাশকের স্বপ্ন এই মেলায় গ্রন্থকীটের সুবিবেচনায় নতুন মাত্রা পাবে।