ভরপুর গাঁজা খেলেই পকেটে ঢুকবে প্রায় ৮৮ লাখ টাকা! কোথায় রয়েছে এমন 'স্বপ্নের' চাকরি?

Marijuana Cannabis Tester Job : সুপ্ত বাসনা আটকে থাকে মনে। কেমন হয়, যদি গাঁজার নেশাই আপনাকে লাখ টাকার চাকরি উপহার দেয়?

পুটকি ভাই হোক বা পাড়ার মাতব্বর দাদা – ধোঁয়ার নেশা প্রতিটি জায়গাতেই চলে। আর সেই ধোঁয়া যদি ‘বাবাঠাকুরের প্রসাদ’ হয়? মানে গাঁজা আর কি! গাঁজার নৌকা পাহাড়তলি যাক বা না যাক, এই নেশার খপ্পরে পড়া মানুষের গল্পের ভাণ্ডার শেষ হওয়ার নয়। নিজেদের জীবনেও এমন অনেক মানুষই রয়েছেন। গাঁজা খাওয়ার পর বাড়িতে জানতে পারলেই চাপ! পিটিয়ে পিটিয়ে শরীরের একটা হাড়ও আস্ত রাখবেন না মা-বাবা, এমনটাই ভয় অনেকের। সুপ্ত বাসনা আটকে থাকে মনে। কেমন হয়, যদি গাঁজার নেশাই আপনাকে লাখ টাকার চাকরি উপহার দেয়?

আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে পাগলের প্রলাপ। একেবারে মনপ্রাণ ভরে গাঁজা টানতে হবে, আর সেটা করলেই মিলবে লাখ টাকার বেতন! এমন ‘সুখের চাকরি’ কি সত্যিই রয়েছে পৃথিবীতে? এমনই একটি খবর রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেবল সোশ্যাল মিডিয়া নয়, সংবাদ মাধ্যমেও শোরগোল। গাঁজা খাওয়ার এমন চাকরিরই ঘোষণা করেছে একটি জার্মান সংস্থা। তাদের সেই চাকরির বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইনই হল “গাঁজা টানো, গন্ধ নাও, আর অনুভব করো”।

ক্যানামেডিকেল (Cannamedical) নামের এই জার্মান সংস্থাটির কাজই হল উন্নতমানের গাঁজা বা মারিজুয়ানা নিয়ে জার্মানির ওষুধপ্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিতে পাঠানো। এই উন্নত জাতের গাঁজা দিয়েই সেখানে বিভিন্ন ওষুধ তৈরি হয়। সংস্থার সিইও ডেভিড হেনের বক্তব্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, পর্তুগাল, ডেনমার্কের মতো বিভিন্ন দেশ থেকে এই উন্নত মানের গাঁজা তাদের কাছে এসে পৌঁছয়। সেগুলির গুণমান সঠিক কিনা, সেটা পরীক্ষা করে নিতে হয়। যারা এই পরীক্ষা করার কাজটি করেন, তাঁরা হলেন ক্যানাবিস সোমেলিয়ার। আরও সহজ ভাষায় বললে, ক্যানাবিস টেস্টার। অর্থাৎ, যারা গাঁজা টেনে, ভালো করে বিভিন্ন মাপকাঠি পরখ করে দেখবেন। তারপর তাঁদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে সেই উন্নতমানের গাঁজা পাঠানো হবে ওষুধ তৈরির কাজে।

একটু অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার হলেও, গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ, সন্দেহ নেই। এই ক্যানাবিল টেস্টার পদের জন্যই কর্মখালির নোটিশ বের করেছে জার্মান সংস্থাটি। তারা ক্যানাবিল টেস্টার পদে একজনকে নিয়োগ করতে চায়। সেখানে কাজই হবে গাঁজা টেনে গুণমান বিচার করা। আর তার জন্য বছরে বেতন দেওয়া হবে ৮৮,০০০ ইউরো! ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে যা প্রায় ৮৮ লাখ টাকার সমান। তাও স্রেফ গাঁজা টেনে! ‘আচ্ছে দিন’ কি একেই বলে?

এমন প্রশ্নই শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লটারবাকও গত বছর আবেদন করেছেন, যাতে পরিমিত পরিমাণ গাঁজাকে দেশে ‘বৈধ’ বলে ঘোষণা করা হয়। সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, জার্মানিতে ৪০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক গাঁজা সেবন করেন। হিটলারের দেশে এমন ‘স্বর্গরাজ্য’-এর খোঁজ, চাট্টিখানি কথা নাকি! অবশ্য এর আগেও আমেরিকায় এমন চাকরির সন্ধানে লোক চাওয়া হচ্ছিল। এবার জার্মানির পালা। ইতিমধ্যেই আবেদন করার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। এমন স্বপ্নের চাকরি কে আর ছাড়তে চাইবে!

More Articles