দূরে থাকা মানে বিচ্ছিন্ন থাকা নয়, শঙ্খ ঘোষের চিঠিতে স্মৃতির ঘর

Sankha Ghosh: 'অনেক সময়ে এমন সব কথাবার্তা উঠে আসে, যার মধ্যে জোর থাকে অনেক কিন্তু বিশ্বাস থাকে কম': শঙ্খ ঘোষ

প্রথম চিঠি আসে ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯৪। কিন্তু চিঠির আগে তো থাকেই চিঠির কিছু প্রসঙ্গ-কথা।

একবার কী একটা কাজে গিয়েছি, ভেতরের ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন হাসান আজিজুল হকের মেয়ে। সঙ্গে আরও দু'-একজন মহিলা। তাঁদেরই কোনও একজনের সকৃতজ্ঞ বক্তব্য: এমন একটা বই-যে হতে পারে, ধারণাতীত। আমি ছিলাম বলেই নাকি এরকম অভিনব বিষয়বস্তু নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ বই হতে পেরেছে। বা, এরকমই কিছু বলছিলেন তিনি।

‘বইয়ের ঘর’। বেরিয়েছিল ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬। দে’জ পাবলিশিং থেকে। তারও গল্পটা কম আকর্ষণীয় নয়। যখন ধারাবাহিক ছাপা হচ্ছে 'আজকাল'-এর বইয়ের পাতায়, জানতে চেয়েছিলাম— কোন প্রকাশককে দেবেন, ভেবেছেন? মৃদুহাস্য-সহ উত্তর ছিল— ভাববার সুযোগ পাননি। দে’জ-এর সুধাংশুবাবু এসে জানিয়ে গেছেন, যেমন-যেমন ছাপা হচ্ছে, ওঁরা কম্পোজ করে রাখছেন।

আরও পড়ুন: চিরতরুণী নক্ষত্রের নামে তাঁর নাম! কোনও ঠিকানায় থিতু হননি কবি অনুরাধা মহাপাত্র

বইটির ভূমিকায় উল্লেখ ছিল—

এরকমও একটা বই যে লেখা হয়ে যাবে, তা আমার দূরতম কল্পনাতেও ছিল না।

সেই বইয়ের প্রথম লেখার সঙ্গে এই চিঠি:

শ্রী
১২ ডিসেম্বর ১৯৯৪

প্রিয় একরাম,
আপনি যে-রকম চাইছিলেন, সেটা ঠিক হয়ে উঠল না। আমি যেমন ভাবছিলাম, হলো না তেমনও। একটু বিশৃঙ্খলমতো মতো হলো বোধ হয়।

কপি করবার (পর) পড়িনি আর। সে-কারণেও বটে, আর একটু-আধটু বদল করতেও পারি বলে— প্রুফ কিন্তু একবার দেখব (অবশ্য ছাপা হয় যদি)। প্রুফ দেখবার ব্যাপারে আমি তৎপর, দেরি করি না মোটেই।
শুভেচ্ছান্তে
শঙ্খ ঘোষ

বানান তো ‘আজকাল’-অনুযায়ী করে নিতে হবে। কিন্তু অনুচ্ছেদভাগ আর হাইফেনচিহ্নগুলো যেন ঠিক থাকে, দেখবেন।

শঙ্খ ঘোষের ‘অবশ্য ছাপা হয় যদি’, বা, ‘বিশৃঙ্খলমতো হলো’-ধরনের বিনয় বা সংশয়ের মুখোমখি অনেকেই হয়েছেন।

সেই শ্যামবাজারের বাড়ি থেকে যাওয়া শুরু; চিঠি কিন্তু এটাই প্রথম। সহজে কি চিঠি আসে, না যায়? লাখ কথা পেরিয়ে না-এলে ছোট একটা বাক্যও তৈরি হতে চায় না যে! যেমন ১৫ জুন, ১৯৯৮-এ লেখা এই চিঠিটা:

হাতে-তুলে-দেওয়া আপনার চিঠিটি পড়ে— আপনার অন্যান্য গদ্যলেখা পড়েও যেমন হয়— মুগ্ধ হয়ে আছি। নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে গদ্যলেখা বলতে এখানে কোনো শৈলীর কথা বোঝাচ্ছি না, বলছি সেই মনটার কথা, লেখার মধ্য দিয়ে যা প্রকাশ পায়, স্বচ্ছ আর সততাপূর্ণ সেই মন, ইংরেজিতে যাকে হয়তো বলা যায় অথেনটিক, চারপাশে আজ যা অনেকটাই বিরল।

অভীকের সঙ্গে সেদিনকার কথাবার্তায় আমি একটু সংযমহারা উত্তেজনা প্রকাশ করেছিলাম। সেটা ঠিক হয়নি। অনেক সময়ে এমন সব কথাবার্তা উঠে আসে, যার মধ্যে জোর থাকে অনেক কিন্তু বিশ্বাস থাকে কম, চলতি বুলির ওপর ভর দিয়ে ঘূর্ণি তুলতে চায় সেসব কথা। সাময়িকভাবে অনেকে তার দাপটে পড়ে যায়। সেসব দেখলে কখনো কখনো একটু ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। অভীক সেদিন যা বলছিল তার অনেকটাই তর্কচ্ছল, জানি যে অনেকটাই ওর মনের কথা নয়।

কিন্তু সে তো একটা উপলক্ষ্য মাত্র। কথাটা হলো ‘প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার যে প্রতিষ্ঠান’ আপনাকে প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে, যে নেতৃত্বের আহ্লাদ, যে ক্ষমতার দর্প, দূর থেকেও আমি তা ভালোই টের পাই, কেননা দলবদ্ধভাবে না হলেও বিচ্ছিন্নভাবে এদের অনেককেই খানিকটা ভিতর থেকে দেখবার সুযোগ আমি পেয়েছি। নানারকমের সান্নিধ্যসূত্রে। তাই, আমারও অভিজ্ঞতা বলে: প্রতিষ্ঠান বা অত্যুগ্র প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার দুয়েরই দলীয় চক্র থেকে যথাসম্ভব দূরে থেকে, দুয়েরই বিষয়ে যথাসম্ভব উদাসীন থেকে নিজের বোধরুচিমতো জীবনযাপন করাটাই একমাত্র পথ— আর শিল্পের চর্চাও তো সেই জীবনযাপনেরই একটা অংশ। ‘নিঃশব্দের তর্জনী’ বইতে অনেকদিন আগে এই ঔদাসীন্যের কথা একবার বলেছিলাম, সে প্রায় তিরিশ বছর হলো।

দূরে থাকা যে বিচ্ছিন্ন থাকা, তা অবশ্য নয়। ভিতরেই থাকা। সকলেরই সঙ্গে সংযোগ আছে, কিন্তু কারো বৃত্তেই কোনো বৃত্তেই আমি বন্দী নই, এমন একটা অবস্থান তো নিশ্চয়ই সম্ভব? সকলের না হোক, কারো কারো তো সেই চেষ্টাই থাকবে?

চিঠি শেষ করবার আগে একটা কথা জানাই। শেষ মুহূর্তে সেদিন যখন বলে ফেলেছিলাম ‘একরাম কিছু বলছেন না কেন’, তার মধ্যে বাড়তি-কোনো চাপ ছিল না কিন্তু। মনে হচ্ছিল, দুজন অনেকক্ষণ ধরে তর্ক করছি নীরব একজন তৃতীয় ব্যক্তির সামনে, এটা অশোভন। হয় তর্ক থামিয়ে দেওয়া সংগত, আর তা নইলে তাকেও এর অন্তর্গত করে নেওয়া উচিত। আলোচ্য বিষয়টা আপনার অভিনিবেশের একেবারে বাইরে নয় মনে করেই দ্বিতীয় পথটার শরণ নিয়েছিলাম। আর কিছু নয়।

চিঠিটির জন্য আরেকবার ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।
শঙ্খ ঘোষ

চিঠির ‘অভীক’, বোঝাই যাচ্ছে, কবি ও অধ‍্যাপক অভীক মজুমদার।

স্বীকার করি আর না-ই করি, বাঙালি মূলত গর্বিত জাতি। নিজেদের আড্ডা নিয়েও এ-জাতির গর্ব কম নয়। সে পারে ঊন-কথায় পত্রিকা, বা আস্ত বইই, প্রকাশ করতে। সেই-যে বিখ্যাত ‘নষ্টনীড়’, আছে না তাতে—

চারু। আচ্ছা মশায়, ঠাট্টা করতে হবে না– পকেটে কী আছে বের করে ফেলো।
অমল। কী আছে আন্দাজ করো।
অনেকক্ষণ চারুকে বিরক্ত করিয়া অমল পকেট হইতে ‘সরোরুহ’-নামক বিখ্যাত মাসিক পত্র বাহির করিল।

নানা কারণে প্রায় দুশো বছর ধরে বাঙালিকে প্রকাশ করতে হচ্ছে পত্রপত্রিকা। ফলে লিখতেও হছে। কত দুপুর, বিকেল, ঘনঘোর রাত, কথার পিঠে কথার পিঠে কথা...। এইভাবে কত-কত চারু আর অমলের-যে সর্বনাশ হলো!

আড্ডা নিয়েও বেশ কিছু লেখাপত্র রয়েছে। এমনকী, শঙ্খ ঘোষের রবিবারের আড্ডা নিয়ে আস্ত একটা বইই। তবে, বস্তুত বইটা– যে ঠিক কী নিয়ে, বসন্তকালেও আমি বলতে পারিনি!

প্রথম দিনের কথা তেমন মনে পড়ে না। সালটা ছিল ১৯৭৫। শ্যামবাজারের বাড়ি। ট্রামলাইন পেরিয়ে, দু'-পা হেঁটে, ছোটো ঘর। তেঁতুলপাতায় ঠাসাঠাসি ন'-জন। পরের বছর ‘বাবরের প্রার্থনা’। তার পরের বছর সাহিত্য অকাদেমি।

তোমার কোনো বন্ধু নেই তোমার কোনো বৃত্তি নেই
কেবল বন্ধন
তোমার কোনো ভিত্তি নেই তোমার কোনো শীর্ষ নেই
কেবল তক্ষক
তোমার কোনো নৌকা নেই তোমার কোনো বৈঠা নেই
কেবল ব্যাপ্তি...

শুরুটা ছিল এরকম। কবিতার নাম ‘তক্ষক’।

‘আত্মোপলব্ধি’ কথার কথা। ওটা হয়েও হয় না। তবু, মনে হয় যেন আমি ছিলাম এমনই। সাতাত্তরেই দুর্ঘটনা কেয়া চক্রবর্তীর। এবং মৃত্যু। সেই প্রথম শবযাত্রায় হাঁটা। সেদিন শরীর ভালো ছিল না। তবু পুরোটা পথ ফুলে-ঢাকা কেয়া চক্রবর্তীর পাশে পাশে হেঁটেছিলেন শঙ্খবাবু। মানুষেরই তো স্মৃতি! মনে আছে— ডাইনে হেদো, বাঁয়ে বেথুন। ট্রামলাইন ধরে হাঁটছি। সামনে স্যাঙ্গু ভ্যালি। এই তো সেদিন।

যত নিন্দিতই হই, আজ নিশ্চিত করে বলতে পারব না— ঠিক কার জন্য সেদিন হেঁটেছিলাম। কেয়া চক্রবর্তীর? না কি শঙ্খ ঘোষের? মনের সংশয়াচ্ছন্ন দিকটির স্বীকারোক্তি এখানে থাক।

তখন আমি, বাংলায় যাকে বলে— স্ট্রেঞ্জার! কত নতুন মানুষ। নতুন নতুন বই। ওদিকে শ্যামবাজারের ঘর বছর-বছর ভরে উঠেছে বইয়ে। সেই ঘর একসময় উঠেও এসেছে উল্টোডাঙায়। মাঝে মাঝে, নিঃশব্দে, পালটে নিয়েছে নিজেকে। থেকে গিয়েছে তবু রবিবারের ঝলমলে আড্ডা।

কেউ যদি কূট পার্থক্য করতে বলেন দুই বাড়ির আড্ডার, বলব-যে, শ্যামবাজারের বাড়িতে ছিল লিটল ম্যাগাজিন-কেন্দ্রিক বিখ্যাত আর অখ্যাতজনদের সক্রিয়তা। উল্টোডাঙা সে-সুযোগ পায়নি। ততদিনে অলস আর মেদবহুল হয়ে ছিপছিপে, একরোখা আর ক্ষুরধার চরিত্র হারিয়েছে লিটল ম্যাগাজিনগুলো। ঢাউস আর ভোঁতা হতে শুরু করেছে। এখানে শঙ্খ ঘোষের প্রথম চিঠিতেও সেই ছাপ। যদিও তখন একটা লিটল ম্যাগাজিনে লিপ্ত আমরা, চাইছি কিন্তু 'আজকাল'-এর পাতাগুলো পছন্দের লেখায় ভরে উঠুক।

যেমন ২ অক্টোবর, ১৯৯৯ তারিখে লেখা পরের চিঠি:

একরাম,
ধরে নিয়েছিলাম এগারোটা নাগাদ আসবেন। অল্প সময়ের জন্যে বেরিয়েছিলাম, ফিরে এসে শুনি সব্যসাচীর খামটা নিয়ে চলে গেছেন।

লেখাটা আমি রেখে গেলাম কেবল এইজন্যে যে আজ দেবই বলে কথা দিয়েছিলাম। মুদ্রণ এখন অসম্ভব হলেও কিছু যায়-আসে না— যাহোক করে কথাটা তো ঠিক রইল।

শুভেচ্ছা
শঙ্খ ঘোষ

চিঠির তারিখ বলছে— পুজোর লেখা নিশ্চয়। হ্যাঁ। এটা ছিল ‘শারদীয় খেলা’-র জন্য একটা ছড়া। এইভাবে, এবং আরও নানা দিকে নানা ভাবে, পিছিয়ে পড়ছিল লিটল ম্যাগাজিন। আর উঠে দাঁড়াতে পারল কই? এখন যা বেরোয়, সেসব এক ধরনের পত্রিকা। কোনওটা-বা উৎকৃষ্ট মানের। কিন্তু লিটল ম্যাগাজিন নয়। ‘অন্ধযুগ’ নয়, ‘ক্ষুধার্ত’ বা ‘অলিন্দ’ নয়, ‘পুনর্বসু’ নয়, ‘কৃষ্ণপক্ষ’ নয়, ‘আত্মপ্রকাশ’ বা ‘জার্নাল সত্তর’ বা ‘শতভিষা’ নয়, এমনকী, প্রথম দিককার ‘কৃত্তিবাস’-ও নয়। যাঁরা সেইসব পত্রিকার লেখক-পরিকল্পক-যোদ্ধা— তাঁরা একসময় ক্লান্ত, অবসৃত। কিন্তু নতুনদের দেখা আর মিলল না। কী করে দুই আড্ডার চরিত্র এক থাকবে!

এক দশকে সঙ্ঘ ভেঙে যায় থাকে শুধু পরিত্রাণহীন
ব্যক্তির আবর্তে ঘূর্ণিঘোর, কার শির ছেঁড়ে সুদর্শন।
‘মিথ্যাচারী মিথ্যাচারী, শঠ, আমিই মহান, দেখ আমাকে’—
ছিন্ন হয়ে যায় শিশুপাল এক দশকে সঙ্ঘ ভেঙে যায়।...

‘সঙ্ঘ’ কবিতার প্রথম স্তবক। আমরা পড়তে পাই সেই ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত ‘নিহিত পাতালছায়া’-য়। ১৯৬৩-তে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আইওয়া যাওয়া। এবং ১৯৫৩ থেকে প্রকাশিত ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকার সেই প্রথম সাময়িক হাতবদল। অবশ্য ১৯৬১/৬২-তে হাংরি আন্দোলন এসে ‘কৃত্তিবাস’-এর প্রবাদপ্রতিম যূথবদ্ধতায় প্রথম ফাটলটি ধরিয়ে ফেলেছে। ওই সময় কয়েকজন নিম-হাংরিকে আমরা ইতস্তত ঘোরাফেরা করতে দেখি, যাঁরা ‘কৃত্তিবাস’-এর একেকটা স্তম্ভ— যথা উৎপল, সন্দীপন, শক্তি। ষোড়শ সংকলনের আগে, ২০-০২-১৯৬৩-তে, ‘কৃত্তিবাস’-এর জন্য একগুচ্ছ কবিতা পাঠিয়ে, সুনীলকে এক চিঠিতে বিশেষ একটি কবিতা সম্বন্ধে শঙ্খ লেখেন: আপনার কি মনে পড়েছে যে কৃত্তিবাস প্রথম বেরিয়েছিল ঠিক দশ বছর আগে? (সুনীলকে লেখা চিঠি, তালপাতা, পৃষ্ঠা ৮১)

‘সঙ্ঘ’ কবিতাটি বেরিয়েছিল ওই সংখ্যায়।

‘কৃত্তিবাস’-এর প্রথম ষোলোটি সংখ্যা নানা কারণে পৃথকভাবে গুরুত্ব পেয়ে এসেছে, যাকে হয়তো-বা আমরা বলতে পারি— লিটল ম্যাগাজিন। ক্রমশ পত্রিকাটির ঝাঁজ কমেছে। অক্রুর দত্ত লেনে পৌছে কৃত্তিবাস একটি পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক পত্রিকা! পরে নানাভাবে চেষ্টা হলেও আর ফেরানো যায়নি তাকে। আর তাই উল্টোডাঙার বাড়ির আড্ডা সময়েরই কারণে উল্টোডাঙার মতো; যদিও— অনুমান করি— শঙ্খ ঘোষের চেষ্টা ছিল শ্যামবাজারকে ধরে রাখা।

দরজায় বহু পুরনো প্লাস্টিকফলক। তাতে সাদার ওপর লালে লেখা— ‘মিঠি/টিয়া’। মিঠির প্রথম হ্রস্ব-ই ভেঙে গেছে। তবু চেষ্টা হয়েছে রং মিলিয়ে আধখানা হ্রস্ব-ই হাতে লিখে সেই নেমপ্লেটটিকে রেখে দেওয়ার। এবং আজও থেকে গেছে সেই আঁকা হ্রস্ব-ই।

কিন্তু, তাতে কি শেষ রক্ষা হয় কোনওদিন? আলতামিরার গুহার রেখাগুলি যতই বলশালী আর গতিসম্পন্ন হোক, সেই রেখাসমষ্টির তীব্রতায় শিল্পীর কাঙ্ক্ষিত প্রাণীটি তো নেই!

More Articles