'ওয়েদারটা তোর হাসির মতো', সোমক দাসের চিঠি ও প্রাচীন বটতলা
Letter Box: ঘঞ্চুকে নিয়ে গল্প প্রচুর। সেগুলোর সব ক'-টিই আকর্ষণীয়। বহু বছর ধরে গল্পগুলো সিগারেটের মতো মুখে-মুখে ঘুরছে।
সেই চুয়াত্তরে আলাপ। সুবর্ণজয়ন্তী হতে দু'-বছরও বাকি নেই আর। তখন সে বরানগরে। টবিন রোডে নেমে ডানদিকে কিছুটা এগিয়ে। অফিস রাজকীয় ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে। কিন্তু কে আর অফিসে থাকতে চায়! পাশেই যখন টাউন হল। প্রশস্ত প্রাঙ্গণ। ঝুরি-নামানো প্রাচীন বটগাছ। তলায় কাদের যেন খাটিয়াও একটা। চা-দোকানও কি ছিল? ফলে যা হওয়ার তা-ই হতো। তাকে পাওয়া যেত সেখানেই— খাটিয়ায়। সোমক দাস-কে।
পারিবারিক নাম ঘনশ্যাম দাস। বন্ধুমহলে ঘনা। শেষমেশ পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলালের দেওয়া নামটাই টিকে গেল— ঘঞ্চু।
একটা সময় ছিল, যখন হয়তো-বা সে বলতেও পারত— যে-কোনও প্রেতিনীকে আমি শিশুর মতো দুলিয়ে দিতে পারি। বলেনি। তবে দুলিয়ে দেখাত।
১০ ডিসেম্বর, ১৯৭৯ একটা ইনল্যান্ড লেটার পাই। প্রেরক:
SOMOK
CAL 50
খুলে দেখি, নীল কালিতে লেখা—
COME SHARP.
EVERYTHING OK.
THANKS.
প্রায়-সদ্য কলকাতা ছেড়েছি। তার পরে-পরেই এই ‘টেলিগ্রাম’!
এই সেদিন সে একটি আত্মজীবনী লিখেছে— ‘জগতে কলঙ্ক রবে’। পড়িনি। তবে, এই ইন্সক্রিপ্ট ডট মি-তেই বইটি সম্পর্কে সুরজিৎ (সেন) লিখেছে, ‘বাংলার বুকোস্কির নগ্ন আত্মজীবনী’। এতে সোমকের উচ্চতা কিছু বাড়ল না কি কমল, জানি না। না কি তাকে বুঝতে আমাদের খানিকটা সুবিধে হলো? তাও জানি না। জানি, এরকম বলার চল বাংলায় বেশ পুরনো। আর জানি, সাহিত্য শুরু হয় একটি বাক্য গঠন করতে করতে। শুরু হয় অফুরন্ত শব্দভাণ্ডার থেকে নিজের শব্দগুলো পছন্দ করতে করতে। লেখকের এই পছন্দের ওপরই তার সাহিত্য গড়ে উঠেছে। অধিকাংশ লেখক যা করেন, প্রকৃত লেখক কখনও তেমনটা করেন না— বক্তার মতো নিজের কথা বলার জন্যে তিনি লেখেন না। লেখেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। ১৯৮৩ সালে প্যারিসে দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে এডোয়ার্ড দ্য গ্রাজিয়াকে জাঁ জেনে বলেছিলেন—
আই ডিডিন্ট রাইট মাই বুকস ইন অর্ডার টু লিবরেট হোমোসেক্সুয়ালস।... আই রোট মাই বুকস ফর আ কমপ্লিটলি ডিফরেন্ট রিজন: ফর দ্য টেস্ট অফ ওয়ার্ডস, ইভন ফর দ্য টেস্ট অফ দ্য কমাস অফ পাংচুয়েশন, ফর দ্য টেস্ট অফ দ্য সেনটেন্স।
যদি মন দিয়ে পড়ি, দেখব, ‘ঘন শ্যামবাজার’-ও শুরু হচ্ছে অনেকটা শব্দ ধরে-ধরে। যে-কারণে শুরুর উদ্ধৃত অংশটুকু সুরজিতের পক্ষে বেছে নিতে সুবিধে হয়েছে।
সোমক দাসের চিন্তাসত্তা প্রথম দিন থেকে সেইসব গর্তের ওপর পা ফেলে-ফেলে এগোতে চেয়েছে, যেগুলো তার নিজেরই খোঁড়া। এত-এত ভয়ংকর গর্ত কী করে খুঁড়ে ফেলল সে? অথচ ‘ঘন শ্যামবাজার’ পড়েই জানতে পারি, আঁটপুরে আর-পাঁচজনের মতো ঘঞ্চুরও ছিলেন এক ঠাকুমা—
ঠাকুমার আম খাওয়া মনে পড়ে। আম যারা নিয়ে আসত ঝুড়ি মাথায়, তাদের সঙ্গে কেজি হিসেবে কথা বলেনি কখনো, ঠাকুমার কথা ছিল— কত করে শ?
তারও আগে সে লিখেছিল—
জানলা বন্ধ, দরজা বন্ধ, বৃষ্টি এলে ভিজবে না আসবাব।
ট্যাক্সি ডাক, হাবুল তুই বাবার হাতটা ধর
টিংকুমনি, সুটকেসটা আমার কাছে দাও
এই তো আমরা বাইরে যাচ্ছি, বাইরে যাচ্ছি, বাইরে।বাইরে কোথায়? শিমূলতলা, গোপালপুর, দার্জিলিং?
না না, না না, এই একটু ঘরের কাছে, বকখালি?
শ্যামবাজারে ট্যাক্সি ডেকে বলব শুধু— ভাই রে
আমরা যাবো জানলা থেকে দরজা থেকে উনুন থেকে বাইরে।
আর, কিছুটা এই কারণেও ঘঞ্চু শতাব্দীপ্রাচীন ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারত না। মেঝের টাইলস, তার জমকালো নকশা, প্রকাণ্ড সব দরজা-জানালা তাকে ধাক্কা দিতে-দিতে নিয়ে যেত বটগাছতলায়।
১২ অগাস্ট, ১৯৮০-র একটা পোস্টকার্ড:
একরামরে— কবে যে কলকাতায় আসবি! অফিসের বটতলায় বসে বসে বন্ধুর কাছ থেকে পোস্টকার্ড ভিক্ষে চেয়ে নিয়ে লিখছি। বিয়ে ক’রে বৌ না পাওয়া কি জিনিস পস্টাপস্টি বুঝতে পারছি। এই মাত্র বিশে (Grade IV) গাঁজা খাওয়ালো। ওষুধ খেতে-খেতে আমার এমন অবস্থা হয়েছে যে কিছু লিখতে পারছি না পড়তেও পারছি না। প্লেগ পড়তে আরম্ভ করেছি দু-মাস হয়ে গেল।... খাটিয়াটা নিয়ে গেল। দারোয়ান। রামা দাঁড়িয়ে আছে— তার পিঠে রেখে চিঠিটা লিখছি। আর কিছু লেখা যাচ্ছে না। ঈদ মুবারক।
-ঘঞ্চু
ঘঞ্চুকে নিয়ে গল্প প্রচুর। সেগুলোর সব ক'-টিই আকর্ষণীয়। বহু বছর ধরে গল্পগুলো সিগারেটের মতো মুখে-মুখে ঘুরছে। সিগারেট যেমন ছোট থেকে লম্বা, মোটা থেকে সরু, সাদা থেকে কালো— তেমনই একই গল্প বক্তার মুখে পালটে-পালটে গেছে। তাই সেসব গল্প— যেগুলোর দু'-একটার সঙ্গে ছিলামও— শোনাতে চাই না। শুধু না-দেখা একটা ছবি আমি আজও ভুলতে পারিনি।
তখন আমরা— আমি, দিদি, জামাইবাবু— ছেলের চিকিৎসার জন্য ভেলোরে। সম্ভবত সাতাশি সাল। বাড়িতে স্ত্রী আর মেয়ে। বেশ দুর্দশা তখন আমাদের। ছোট একটা দল কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন গিয়েছিল। সেখান থেকে আমাদের বাড়ি। খবর নিতে। কে কে ছিল? ঘঞ্চু, ভিক্টর আর প্রসূন সম্ভবত। আর কেউ? মনে নেই। তখন আমাদের কাঠের উনুন। দাঁত মাজতে হচ্ছে লাভা পাউডারে। ফিরে এসে শুনি, সেই নিচু আর ধোঁয়ায়-ঢাকা রান্নাঘরে উনুনের পাশে উবু হয়ে বসে ঘঞ্চু খুঁটিয়ে খবর নিচ্ছিল স্ত্রী-র কাছে।
তার এই ছবিটাই বরং থাক আমার কাছে।
লেখার তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮০। ঘঞ্চু লিখছে:
প্রিয় একরাম,
তোকে জানানোর মতন অনেক কিছু কলকাতায় ঘটে গেছে। বিড়িটা নিভে গেল। ধরিয়ে নিই। তারপর জানাচ্ছি। এইমাত্র অফিসে এলাম। বারোটা বাজতে পাঁচ। ভালোই আছি, কি বল? আজ অফিসে দুপুরবেলা খুব খাওয়াদাওয়া আছে। তন্দুরী (রুটি), চিকেন, ফিশ, কাঁচাগোল্লা, চাটনি। দুঃখ পাবার কিছু নেই— কারণ চাঁদা পনেরো টাকা! পরশুদিন কেনা একটা নতুন ডটপেন দিয়ে লিখছি। পেনটা খারাপ না।যাকগে। কাজের কথা বলি। গত শনিবার, ছ-তারিখে, অমিতাভ মণ্ডলের বাড়িতে, তপন মুখোপাধ্যায়ের বিসিএস পাওয়ার সেলিব্রেশন ছিল। দেড়শো টাকা বাজেট। অফিস কামাই করে আমি একটার সময় প্রসূনের বাড়ি গেলাম কারণ খাবারদাবার (চিলি চিকেন) আর মাল (রাম/বিয়ার) প্রসূন একলা ঘুরে-ঘুরে কিনতে পারবে না বলেছিল। তো, আমি আর প্রসূন প্রথমে গেলাম চানুয়া। সেখানে উদোম ভিড়। শনিবারের বিকেল। কিছু বলার নেই। প্রসুনকে বললাম— চানুয়ার খাবার খুব বাজে হয়েছে আজকাল। ডিউকে চল। ডিউকে গিয়ে অর্ডার দেবার পর প্রসূন বলল— চানুয়ার দাম অনেক কম ছিল। যেখনে বিক্রি বেশি সেখানে খাবারের কোয়ালিটি খারাপ হলেও দামটা কম হয়। একটা কালো লম্বা ছেলে ইংরেজিতে অর্ডার বুক করছিল। তাকে ইংরেজিতে অর্ডার দিলাম বলে প্রসূন বলল— অকারণে ইংরেজি বলছিস কেন?
যাকগে। কাজের কথা বলি। হেওয়ার্ডস রামের একটা বড় বোতল শেষ হয়ে গেছে। বেশি খেয়েছে প্রসূন তপন আর জহর। আমি আর প্রবুদ্ধ অল্প। নিশীথ অঞ্জনা আর অমিতাভ বিয়ার খেয়েছে। তারপর গোল হয়ে বসে চিলি চিকেন আর তন্দুরী খাওয়া হয়েছে। তারপর জহর যথারীতি আরো মাল আনার টাকা দিল। প্রসূন সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে সাড়ে একুশ টাকার হেওয়ার্ডস রামের একটা চ্যাপ্টা পাঁইট নিয়ে এল। আবার নতুন উদ্যমে শুরু হল নাচ, গান, হুল্লাট। তপন শেষকালে গ্লাস নিয়ে সবায়ের মুখে ধরে জোর করে খাওয়াবার চেষ্টা করছিল। বলো, আর কেউ খাবে? বলো, খাবে কেউ মাল? কেউ মাল ফেলো না কিন্তু! মাল ফেলার অনেকরকম মানে হয়। ইত্যাদি, বলছিল।
(একই ঘটনা নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল একটি চিঠি লেখেন। সেটির অংশ রয়েছে ৩০ জুলাইয়ের লেটার বক্সে, ‘পাঠকের সঙ্গে, ব্যক্তিগত’-নামের লেখায়। সে-চিঠিতে সেদিনের ঘটনার যেটুকু ছিল না, উপরে দেওয়া হলো।)
‘কেমন লাগছে? মঞ্জু বলেছে, আমি তোর ওখানে দ্বিতীয় শনিবারের ছুটিতে যেতে চাই শুনে,-- আমি গেলে একরাম কি আমাকে থাকতে দেবে? আমি বলেছি— দেবে না কেন? মঞ্জু বলেছে— গ্রামের লোক কিছু বলবে না? আমি বলেছি, বলবে কেন? তুই কি বলিস?
-ঘঞ্চু।
তিনমহলা বাড়ি। আঁটপুরে। পরে, তিন দাদুর তিনটে ভাগ। ঘঞ্চুরা বড় তরফ। মিত্র, ঘোষ আর দাস— তিন পরিবার নিয়ে আঁটপুর। দাসবাড়িতে চারপুরুষের দুর্গাপুজো। দেড়শো বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন মায়ের দ্বিভূজা অভয়া মূর্তি। হলে হবে কী, ঘটি ডোবে না বহু বছর। বাড়ি খসে-খসে পড়ছে। তবু তালাচাবির ব্যবস্থা তো রাখতেই হয়। আর, সেসব তালা খুলতে অন্তত মিনিট দশেক! সে-বাড়িতে ড্যানও গিয়েছিল। আঠারো বছরের ব্রিটিশ তরুণ ড্যানিয়েল। বাবা ছিলেন ব্রিটিশ এয়ারফোর্সে। কফিহাউজে এহেন ড্যানকে পেয়ে সাতচল্লিশের আগের রক্ত— যা আমাদের কারও ছিল না— বইতে শুরু করে এবং চলে বিস্তর তর্ক। এরই মধ্যে কখন যেন ড্যানকে নিয়ে ঘঞ্চু উধাও। কোথায় আর, বারদুয়ারি! দিনকয়েক দুজনে বিলকুল বেপাত্তা।
মঞ্জুর সঙ্গে বিয়ের পর সিঙ্গুর, হরিপাল ইত্যাদি অঞ্চলে ওরা থাকতে শুরু করে। মঞ্জুর চাকরির জন্য। একটা চিঠি হরিপাল থেকে লেখা। সেটা ১৯৮২ সাল। ১০ নভেম্বর।
ভোররাতে বেশ খানিকটা বৃষ্টি হয়ে গেল। পুজোর পর থেকেই রাত্তিরে জানলা খুলে শুলে সকালে কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে।...
সকাল সাতটা বাজতে না বাজতেই মঞ্জু কাজে বেরিয়ে গেল। যাবার আগে অবশ্য আমাকে খানিকক্ষণ হালুয়া রান্না করা শিখিয়েছে।... দেখলুম, মানুষের অত প্রিয় খাদ্য হালুয়া— রান্না করা অত্যন্ত সোজা। কড়ায় ফেলে মুচমুচে করে ভেজে ঘি-চিনি আর জল দিয়ে নেড়ে দিলেই হল। হয়ে যাবার পর এত ভালো লাগল— মনে হল, আরো অনেক কিছুই হয়তো করে ফেলার পর দেখবো— যতটা শক্ত ভেবেছিলুম ব্যাপারগুলো ততটাই সোজা।কি কি কারণে আমার অফিসে যাওয়া উচিত সে ব্যাপারে একটি নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা দিয়ে বৌ কাজে চলে গেল। আমি সঙ্গে সঙ্গে শা. আনন্দবাজার নিয়ে শুয়ে পড়লুম। শংকর আর কঙ্কাবতী ছাড়া বাকি সব লেখা পড়া হয়ে গেছে। অন্য অনেক বছরের মতন এবারও শংকর পড়তে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লুম। ঘুম ভাঙে ঠিক বারোটা দশে।
চান করে খেতে যেতে হবে স্টেশনের কাছে নির্মল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে। বাইরে বেরিয়ে দেখলুম— ওয়েদারটা ঠিক তোর হাসির মতো হয়ে আছে। কোত্থেকে একটা ভারি মিষ্টি হাওয়া আসছে ফুরফুর করে।...
সোমবারদিন অফিসে জহর আর পার্থ এসেছিল। জহরের কাছে শুনলুম— খরা বা বর্গা তোকে বিশেষ কাবু করতে পারেনি। বাবা হবার পক্ষে অবস্থাটা যদিও বিশেষ সুবিধের নয়। তুই চিঠি লিখিস না বলে জহর অবশ্য দুঃখ করল। কিন্তু আমি কবে বাবা হবো বল তো? বৌ ছাড়া অন্য মেয়েরা তো ছুঁলেই মা হয়ে যেতো!...
সোমক দাস
প্রযত্নে: সুজিত দত্ত
গ্রাম: গোপালনগর
পো: খামারচণ্ডী
জে: হুগলি
ইহাই সেই প্রাচীন জনপদ, বৃক্ষগুল্মলতাচ্ছাদিত; যাহার মৃত্তিকা সাধকচরণস্পর্শধন্য। ইহাই সেই স্থলভূমি, যাহার আকাশ-বাতাস কলঙ্কিত করিবার স্পর্ধা উড়ন্ত পালকেরও ছিল না। কেননা পালকটি জানিত— মৃত্তিকা কখনও অপবিত্র হয় না। বরং পালকটিকে যুগে-যুগে নিজের রূপ পালটাইয়া লইতে হয়। সম্মুখে জমাট জলকণা এখন রক্তবর্ণ। অস্তসূর্যের আভায় দাঁড়াইয়া স্বীকার করিতেছি— আমি শ্রী ঘনশ্যাম দাস। কোনও একদিন আমিও ছিলাম উড্ডীয়মান এবং দ্বিবর্ণরঞ্জিত এক পালক। জগতের কিছু কলঙ্ক-কথা লিখিতে চাহিয়াছিলাম মাত্র। কিন্তু হাওয়া আমাকে উড়াইতে উড়াইতে এ কোথায় আনিয়া ফেলিল! আমিও ছিলাম সেই তরুণ নবরত্নের অন্তরালে, যাঁহারা এই গ্রামে একদা সংকল্প করিয়াছিলেন ‘জানলা থেকে দরজা থেকে উনুন থেকে বাইরে’ যাওয়ার...