লিঙ্গের দৈর্ঘ্যে ভারতের অবস্থান বিশ্বে কোথায়? যৌনাঙ্গের মাপ নিয়ে অবাক করা তথ্য এল সামনে
Male Private Part Size Index: ডিসেম্বর। হ্যাঁ, এই সেই সময় যখন লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ঠান্ডার কারণে কমে যায়।
বোধহয় প্রত্যেক পুরুষই মনে করেন, তাঁর লিঙ্গটি দৈর্ঘ্যে সবচেয়ে বড়। কিছু না হলেও অন্তত ছয় ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের তো বটেই নিজেরটি। এমনটাই দাবি করতে (কিংবা ভেবে নিতে) ভালোবাসেন বেশিরভাগ পুরুষ। বিষমকামী ও উভকামী মহিলারাও বোধহয় ভেবে নিতে পছন্দ করেন সঙ্গীর পুরুষাঙ্গ নিদেনপক্ষে ছয় ইঞ্চি না হলে তাঁরা বোধহয় যৌনসুখ পাবেন না। তবে এমন যদি আপনার বিশ্বাস হয়, সে গুড়ে বালি! কারণ সারা বিশ্বজুড়ে পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য উত্থিত অবস্থায় গড়ে ৫.১৬ এর বেশি হয় না। এদিকে উত্থিত না থাকাকালীন গড় দৈর্ঘ্য কমে ৩.৬ ইঞ্চিতে পৌঁছয়। ব্রিটিশ জার্নাল অব ইউরোলজির ইন্টারন্যাশানালে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে সেরকমই। সারা বিশ্বের পুরুষদের যৌনাঙ্গের দৈর্ঘ্য জানার জন্য যত গবেষণা এ যাবৎ হয়েছে, সবথেকে বড় এইটি, যেখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন সারা বিশ্বের ১৫,৫২১ জন পুরুষ। সেই গবেষণাতেই সারা বিশ্বের পুরুষদের লিঙ্গের গড় দৈর্ঘের মাপ প্রথম জানা যায়।
পড়া থামিয়ে ‘নিজেরটি’ মাপতে বসার আগে জানিয়ে রাখা ভালো পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে ৫.১৬ হলেও, দেশ বিভেদে লিঙ্গের দৈর্ঘ্যের হেরফের ঘটে। হেরফের ঘটে জিন, বয়স, দৈহিক ওজন ছাড়াও একাধিক বিষয়ের জন্যও।
কোন দেশ এগিয়ে? ভারতের অবস্থানই বা কোথায়?
দৈর্ঘ্যের দিক থেকে দেখলে সবার প্রথমে রয়েছে ইক্যুয়েডর। যেখানে পুরুষদের উত্থিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে ১৭.৬১ সেন্টিমিটার, অর্থাৎ ৬.৯ ইঞ্চিরও বেশি। তার পরেই রয়েছে ক্যামেরুন। যেখানে উত্থিত লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৬.৫৬ ইঞ্চি। তারপরেই নিম্নক্রমে রয়েছে বলিভিয়া, সুদান, হাইতি, সেনেগাল, গ্যাম্বিয়া, নেদারল্যান্ডস ও কিউবার স্থান।
যদি জানতে চান লিঙ্গ ক্ষুদ্র কোন কোন দেশগুলিতে, সেক্ষেত্রে শুরুর দিকেই আসবে এশিয়ার দেশগুলির নাম। উত্থিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম দেখা যায় কম্বোডিয়ার পুরুষদের মধ্যে। সেখানে লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৩.৯৫ ইঞ্চি। তারপরেই উর্ধ্বক্রমে রয়েছে তাইওয়ান, ফিলিপাইন্স, শ্রীলঙ্কা, হংকং, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের স্থান। সেখানে ভারতের অবস্থান কিছুটা ভালো। দেখা গেছে, উত্থিত অবস্থায় ভারতীয় পুরুষদের যৌনাঙ্গের দৈর্ঘ্য ৫.৩৯ ইঞ্চি।
আরও পড়ুন- কীভাবে তৈরি হত কন্ডোম? তাজ্জব করবে ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ প্রাচীন কন্ডোমের এই ইতিহাস
কী কী বিষয়ের উপর নির্ভর করে পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য?
পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে একাধিক বিষয়ের উপর। যার মধ্যে অন্যতম হল পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা, পুরুষটির উত্তেজনার পারদ, পুরুষটির বয়স, তাঁর ওজন, তাঁর অসুখ এবং অন্যান্য শারীরিক অবস্থা এবং তিনি কী ওষুধ খান তার উপর। ডিসেম্বর। হ্যাঁ, এই সেই সময় যখন উত্থিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ঠান্ডার কারণে কমে যায়। অন্যদিকে গ্রীষ্মকালে বা ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়লে, সামান্য বাড়ে লিঙ্গের দৈর্ঘ্য। ঠান্ডায় রক্তজালকগুলি বেশি প্রসারিত বা স্ফীত হতে পারে না। ফলে রক্ত চলাচল কম হয়। বাদ যায় না লিঙ্গও।
অন্যদিকে উত্থিত যৌনাঙ্গের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে পুরুষটি কতটা উত্তেজিত হয়েছে তার উপরেও। উত্তেজনার পারদ চড়লে বাড়লে লিঙ্গের দৈর্ঘ্যও। উত্তেজনা বাড়লে বাড়ে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণও। টেস্টোস্টেরন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পুরুষাঙ্গে রক্তচলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। রক্ত চলাচল বাড়লে, বাড়ে উত্থিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্যও। তারপরে আসে বয়স। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পালন করে যৌনাঙ্গের দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রণে। চল্লিশের পরে কমতে থাকে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা। রক্ত চলাচলও সেই বয়সে গিয়ে আর আগের মতো থাকে না। এতে লিঙ্গ উত্থিত হতে সমস্যা না দেখা গেলেও, উত্থিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য আর আগের মতো থাকে না। তার উপর যদি স্নেহপদার্থ জমতে জমতে শিরা-ধমনীর ভেতরে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, তখন তো গোদের উপর বিষফোঁড়া।
বয়স ছাড়াও, লিঙ্গের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে দৈহিক ওজনের উপর। মেদ জমতে জমতে যদি ভুঁড়ি বাড়তে থাকে, তাহলে পেটের দেওয়াল লিঙ্গটিকে শরীরের ভেতর দিকে টেনে নেয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন শারীরিক অবস্থা যেমন ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, ডায়াবেটিস, ক্রমাগত ক্লান্তি বোধ, মানসিক অবসাদ, স্ট্রেস, দুঃশ্চিন্তা প্রভৃতি অবস্থার উপর নির্ভর করে পুরুষের উত্থিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য। তার উপর নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ যদি সেই পুরুষটি সেবন করে, লিঙ্গের আসল দৈর্ঘ্য যা, তার থেকে তার দৈর্ঘ্য কম মনে হতে পারে। এই ধরনের ওষুধের মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে অ্যাডডেরাল এবং বিভিন্ন গ্রুপের অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট।
এ ছাড়াও দেখা গেছে ফিনাস্টেরাইড গ্রুপের ওষুধ সেবনে কমতে পারে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা। সেক্ষেত্রে উত্থিত লিঙ্গ স্বাভাবিকের তুলনায় কম উত্থিত হতে পারে।
আরও পড়ুন- ‘সৃষ্টির তাড়নাই আমার কাছে যৌনতা’, বলেছিল প্রসেনজিৎ
কোন দৈর্ঘ্যের লিঙ্গকে অত্যন্ত ক্ষুদ্র বলা যেতে পারে?
অত্যন্ত ক্ষুদ্র লিঙ্গ বা মাইক্রোপেনিস তখনই বলা যায়, যখন সেই লিঙ্গের দৈর্ঘ্য নিদেনপক্ষে ২.৫ ইঞ্চি। মাইক্রোপেনিস জন্ম থেকেই দেখা যায়। যার মূলে কাজ করে হরমোন বা জিনের অস্বাভাবিকতা।
লিঙ্গ কোন দৈর্ঘ্যের হলেই বা তাকে অস্বাভাবিক লম্বা বলা চলে?
আপনি যদি মনে করেন, অস্বাভাবিক বড় লিঙ্গ হলে চিন্তার কারণ নেই, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। লিঙ্গ অস্বাভাবিক বড় হলে অনেক পুরুষই লজ্জা বা অস্বস্তিতে পড়ে যান। যদিও অনেক পুরুষই দাবি করেন তাঁর যৌনাঙ্গটি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ যৌনাঙ্গ। এমনটি আর কারও নেই! তাহলে সে গুড়েও বালি। মেক্সিকোর বাসিন্দা ৫৪ বছর বয়সী পুরুষ রবার্টো এসক্যুভেল ক্যাব্রেরা দাবি করেছেন তাঁর লিঙ্গের দৈর্ঘ্য সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে। তাঁর দাবি, তাঁর লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ১৮.৯ ইঞ্চি!