থিয়েটারে-বাস্তবে যেভাবে নগ্ন প্রতিবাদের মুখ হয়েছেন মণিপুরের মেয়েরা
Manipur: সাবিত্রী হেইসনাম শরীরের শেষ বস্ত্রখণ্ডটিও ফেলে দিতেন মঞ্চে। সোজা দাঁড়াতেন নগ্ন হয়ে। ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল এবং ২০ এপ্রিল, ইম্ফলে প্রথম এই নাটকটি দু’বার মঞ্চস্থ হয়।
২০২৩ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে মণিপুরের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। এখনও পর্যন্ত হিংসার ঘটনা অব্যাহত। মণিপুরে হিংস্র তাণ্ডব চলছে দেড় বছর ধরে। যদিও মূল ভারতীয় ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তরপূর্বের এই রাজ্যের সংঘাতের বৃত্তান্ত সেই মহাভারতের সময় থেকে। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শেষে শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শে স্থির হয়, অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করা হবে। হস্তিনাপুর তথা ইন্দ্রপ্রস্থের বিজয়রথ অনায়াসে ভারত ভ্রমণ করে শেষে সংকটে পড়ল মণিপুরে। এক বছরের বনবাসকালে অর্জুন বেরিয়েছিলেন ভারত ভ্রমণে। সেই কালপর্বেই তাঁর সঙ্গে মণিপুরের রাজদুহিতা চিত্রাঙ্গদার প্রণয়পর্ব। এই পর্যটনকালেই নাগকন্যা উলুপীর বাহুবন্ধনে ধরা দিয়েছিলেন তৃতীয় পাণ্ডব। অরণ্য ও পর্বতসঙ্কুল মণিপুরে চিত্রাঙ্গদার সঙ্গে প্রেমপর্বের পর ফিরে যান অর্জুন। তিনি জানতেন না, সেই সংরাগের ফলস্বরূপ তাঁর এক পুত্র বভ্রুবাহনের জন্ম হয়েছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর পাণ্ডবদের অশ্বমেধের ঘোড়া বন্দি করে মণিপুরের রাজকুমার বভ্রুবাহন। ভীম সহ পাণ্ডবপক্ষের মহাযোদ্ধাদের অবলীলায় পরাস্ত করে বভ্রুবাহন এসে দাঁড়ায় অর্জুনের মুখোমুখি। পিতা-পুত্রের সেই দ্বৈরথে অর্জুনের প্রাণ যায়। পরশুরাম যেমন মাতৃঘাতী হয়েছিলেন, বভ্রুবাহনও বধ করেন নিজের পিতাকে। চিত্রাঙ্গদার আকুল আর্তনাদে নিজের পরিচয় জানতে পারে বভ্রুবাহন। অর্জুনের মৃত্যু সংবাদে ছুটে আসেন শ্রীকৃষ্ণ এবং অর্জুনের অপর প্রণয়িনী উলুপীও। শেষ পর্যন্ত নাগলোক থেকে সঞ্জীবনী মণি আহরণ করে পিতৃহত্যার মহাপাপ থেকে পরিত্রাণ পায় বভ্রুবাহন। অর্জুন প্রাণ ফিরে পান। উত্তরপূর্ব ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন ভাষায়ও বভ্রুবাহনের এই কাহিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও, উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বভ্রুবাহনকে অন্তত দেবতার মর্যাদা দেওয়া হয় না। মহাভারতের মণিপুর যে আসলে উত্তরপূর্বের মণিপুর নয় এই মতামতও রয়েছে।
মণিপুরে হিংসা শুরু হয়েছিল মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর সংঘাতে। ক্রমশ জড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মানুষও। মার জনজাতির সঙ্গেও সংঘর্ষলিপ্ত হয়েছেন মেইতেইরা। এক পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর আবার হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে। রাজধানী ইম্ফল কার্যত বিক্ষুব্ধ জনতার নিয়ন্ত্রণে। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পৈতৃক বাড়ি ক্ষিপ্ত জনতা আক্রমণ করলে ১০০ মিটার দূরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। মণিপুরে বিজেপি-সমর্থিত সরকার রাজ্যের দায়িত্বে। বিজেপি-আরএসএস-এর কার্যালয়গুলিও আক্রান্ত হয়েছে। কার্ফিউ ভেঙে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায়। মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলে দু'টি নির্বাচনী জনসভা বাতিল করে বৈঠকে বসতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। গত দেড় বছরে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর সফর করেননি একবারের জন্যও।
দুই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ ইতিপূর্বেও এই দেশে নানা জায়গায় ঘটেছে কিন্তু মণিপুরের আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছেন কারা, সেটা বড় প্রশ্ন। দেশের বিপুল অরণ্যসম্পদ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের উপর আধিপত্য কাদের হাতে পুঞ্জীভূত হচ্ছে সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। Ethnic cleansing-এর রাজনীতি বড় ভয়াবহ। দেশজুড়ে 'identity politics'-এর বাড়বাড়ন্ত। একজন ব্যক্তির যে বিবিধ পরিচয় থাকতে পারে, সেই সাংস্কৃতিক বহুত্বের দিকটি গোটা দেশেই রীতিমতো সংকটে।
আরও পড়ুন- যৌন হেনস্থার ভিডিও কেড়েছে ঘুম! মেয়েদের এখনও স্কুলে পাঠাতে ভয় পান মণিপুরের বাবা-মায়েরা
এই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতাবাসীর মনে পড়বে, হেইসনাম কানহাইলালের ‘দ্রৌপদী’ প্রযোজনার কথা। মহাশ্বেতা দেবীর ‘দ্রৌপদী’ গল্প অবলম্বনে সেই নাট্যনির্মাণ। দোপদী মেঝেনের চরিত্রে অভিনয় করতেন সাবিত্রী হেইসনাম। সেনা আধিকারিকদের হাতে লাঞ্ছিতা, ধর্ষিতা দোপদী মেঝেন আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলেন— "দাঁড়াও, শরীরের যাবতীয় আবরণ সরিয়ে দিই, বাবুদের সুবিধা হবে।" সাবিত্রী হেইসনাম শরীরের শেষ বস্ত্রখণ্ডটিও ফেলে দিতেন মঞ্চে। সোজা দাঁড়াতেন নগ্ন হয়ে। ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল এবং ২০ এপ্রিল, ইম্ফলে প্রথম এই নাটকটি দু’বার মঞ্চস্থ হয়। এরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় এই নাটকের মঞ্চায়ন কিন্তু সাবিত্রীর অভিনয় ততদিনে জনমানসে সৃষ্টি করেছে আলোড়ন। ২০০৩-০৪ সাল নাগাদ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন যুবককে ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করার এবং বেশ কয়েকজন মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনরত মণিপুরের মহিলারা মুখোমুখি গিয়ে দাঁড়ান সেনা আধিকারিকদের সামনে। তাঁদের পথচলা অবরুদ্ধ হতেই তাঁরা শরীরের সমস্ত পরিধেয় মাটিতে ফেলে গড়ে তোলেন দৃপ্ত প্রতিরোধ। তাঁদের মুখে প্রতিবাদের স্লোগান, হাতে ব্যানার, তাতে লেখা— ‘Indian Army Rape Us’।
২০২৩-২৪-এর ঘটনাক্রমেও প্রতিবাদী মহিলাদের দেখা গেছে বারবার। তার শাস্তি হিসেবে নগ্ন করে প্যারেড করানো হয়েছে তাঁদের। বেশ কিছু বছর আগে এই প্রতিবেদককে হেইসনাম কানহাইলাল বলেন, "মণিপুরের মেয়েরা লড়াই করেছে ব্রিটিশদের সঙ্গে। দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সবচেয়ে আগে পথে নেমেছেন তাঁরা। আমাদের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ভাষাকে আমরা খোদাই করেছি আমাদের শরীরে। তাই, অভিনেতাদের শরীরকে নতুন করে গড়ে তুলতে আমরা একের পর এক ওয়ার্কশপের মধ্যে দিয়ে যাই।" পরে Ritual Theatre শীর্ষক এক লেখায় কানহাইলাল উল্লেখ করেন—
"Caught in a war between state and non-state actors, the people are in turmoil. Innocents are killed at random on suspicions as granted by AFSPA. Women are raped, no human rights are respected."
এই মানসিক এবং শারীরিক সংগ্রামের জন্য কানহাইলাল ধন্যবাদ দিয়েছেন বাংলা ভাষার দুই নাটক রচয়িতাকে। এক, রবীন্দ্রনাথ। দ্বিতীয়জন, বাদল সরকার। এঁদের নাটক তাঁর বিবেচনায় প্রতিবাদের আয়ুধ। কানহাইলালের ‘ডাকঘর’ প্রযোজনা দেশে-বিদেশে সমাদৃত। সাবিত্রী হেইসনাম তখন ৬০ পেরিয়েছেন। তিনি অভিনয় করতেন অমলের চরিত্রে। সে এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতা। বাদল সরকার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সাবিত্রী হেইসনামকে বিশ্বের সেরা অভিনেত্রীদের তালিকাভুক্ত করেছেন। সাবিত্রী হেইসনামের কথা বলতে গিয়ে তাঁর মনে পড়ে যায় বের্টোল্ট ব্রেখটের সঙ্গিনী হেলেনে ওয়াইগেলের কথা। বাদল সরকার মণিপুরে গিয়েছিলেন গত শতাব্দীর সাতের দশকের গোড়ায়। এই সময় কানহাইলালও এসেছিলেন কলকাতায়। ১৯৬৯-এ কানহাইলালের হাত ধরে ‘কলাক্ষেত্র মণিপুর’ নাট্যদলের স্থাপনা।
বাদল সরকারের মণিপুর সফরের সময় তাঁরই লেখা একাধিক নাটকের মঞ্চায়ন হয় ইম্ফলে। মণিপুরি ভাষায় বাদল সরকারের নাটক অনুবাদ করেছেন এম কে বিনোদিনী। তিনি রামকিঙ্কর বেইজের ছাত্রী। পড়াশোনা করেছেন শান্তিনিকেতনে। তিনি রবীন্দ্রনাথেরও অনুবাদক। হেইসনাম কানহাইলাল বাদল সরকারের ‘স্পার্টাকুস’-এর মণিপুরি প্রযোজনায় সহকারী হয়েছিলেন। এর আগে কানহাইলাল ‘Pebet’ এবং ‘Memoirs of Africa’ থিয়েটার দু'টি করেন। প্রথম নাটকটি এক পক্ষীমাতার কথা, যে তার শিশু শাবকদের রক্ষা করতে লড়াই করে বন্য শিকারি বিড়ালের সঙ্গে। এল সোমেন্দ্র সিং-এর কবিতা আধারিত ‘Memoirs of Africa’ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বজ্রনির্ঘোষ। সত্তরের দিনগুলিতে কানহাইলাল যখন এসেছেন কলকাতায়, তার দু-তিন বছর আগেই ঘটে গিয়েছে নকশালবাড়ি কৃষক অভ্যুত্থান। তরুণ-তরুণীরা প্রাণ দিচ্ছেন সমাজ-বদলের স্বপ্ন বুকে নিয়ে। সেদিনের উত্তাল কলকাতা আর অগ্নিগর্ভ মণিপুরের মধ্যে এক যোগসূত্র খুঁজে পান কানহাইলাল। এই সংগ্রামে যুক্ত হয়েছে গান, কবিতা, নাটক, সিনেমা— কত কিছু। ইম্ফলে বা দিল্লিতে ‘দ্রৌপদী’ প্রযোজনা করা যায় না কিন্তু কলকাতায় মঞ্চস্থ হয় একাধিকবার। ২০০৩-০৪ সালে মণিপুরের হিংসার বিরুদ্ধে আকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে সংহতিজ্ঞাপন করেছিলেন কবি-শিল্পীরা। পুরোভাগে ছিলেন শঙ্খ ঘোষ। বর্ষীয়ান নাট্য-নির্দেশক কানহাইলালের স্মৃতিপটে ধরা আছে কলকাতার নানা মুহূর্ত। মণিপুরের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে কলকাতা তথা বাংলাভাষী মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনায় তো কোনওদিন ঘাটতি ছিল না।
সদ্য প্রয়াত হয়েছেন প্রখ্যাত নট-নাট্যকার মনোজ মিত্র। তাঁর অত্যন্ত জনপ্রিয় নাটক ‘সাজানো বাগান’ মণিপুরের মঞ্চে প্রযোজনা করেছিলেন আরেক দিকপাল রতন থিয়াম। সেখানে বাঞ্ছা কাপালি বৃদ্ধ নয়— সে এক বৃদ্ধা। ঈষৎ ক্ষুণ্ণ মনোজ মিত্র জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কেন এরকম? রতন থিয়াম জানান, তাঁদের দেশে কৃষিকাজের প্রধান হোতা মহিলারা। ফলে বাগান ঘিরে এক বৃদ্ধের অমন আবেগ দেখালে মণিপুরের দর্শক মুখ ফেরাবে। রতন থিয়ামের ‘চক্রব্যূহ’ প্রযোজনার কথা ভুলতে পারে কলকাতাবাসী? তিনিও তো রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’ প্রযোজনা করেছিলেন, যেটি দেশে-বিদেশে মঞ্চস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন- মেইতেই-কুকি হিংসার আড়ালে খোদ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী? কী বলছে বিস্ফোরক অডিও ক্লিপ?
বাংলা এবং মণিপুরের সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনের প্রধান স্থপতি রবীন্দ্রনাথই। মণিপুরের বর্ণনা নামে ‘সাধনা’ পত্রিকায় তাঁর একটি ছোট লেখা প্রকাশিত হয় ১৮৯১ সালে। ব্রিটিশ শক্তি তার জন্য মণিপুরে পথ রুদ্ধ করে। পূর্ববঙ্গের শ্রীহট্টে প্রথম তিনি দেখেন মণিপুরি নৃত্য। ত্রিপুরার মহারাজা ব্রজেন্দ্রকিশোরকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানান, বিশ্বভারতীর জন্য মণিপুরি নৃত্যকলার শিক্ষকের বন্দোবস্ত করতে। রাজকুমার বুদ্ধিমন্তকে পাঠানো হয় শান্তিনিকেতনে। তাঁর সঙ্গে যান নৃত্যগুরু নবকুমার সিংহ এবং তাঁর ভ্রাতা বৈকুণ্ঠ। ১৯২৫ সালে, অর্থাৎ একশো বছর আগে শান্তিনিকেতন ও মণিপুরের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের সূচনা হয় কবির উদ্যোগেই। তাঁর নৃত্যনাট্যে মণিপুরি নাচের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মাতৃপ্রধান মণিপুরের কথা আমরা শুনেছি চিত্রাঙ্গদার উচ্চারণে—
‘যদি পার্শ্বে রাখো মোরে সংকটে সম্পদে,/ সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে সহায় হতে/ পাবে তুমি চিনিতে মোরে...’
এসবই আজ বাঙালির জাতীয় জীবনের অঙ্গ। মণিপুরের কবি-শিল্পীরাও তাঁদের রচনায় স্বীকার করেন রবীন্দ্রনাথের প্রভাব। বাঙালি কবি-অনুবাদকরাও করে চলেছেন মণিপুরি কবিতার অনুবাদ। কিছুদিন আগেই হাতে এসেছে মণিপুরি কবি ‘মেম চৌবি’-র কবিতা বাংলা তর্জমায় – অনুবাদক অভীক মজুমদার।
Ritual Theatre-এর পথ বেয়ে অরণ্য-মর্মরের বাণী মানুষের শরীরে-কণ্ঠে প্রকাশের কথা বলেন কানহাইলাল। এই অপার সম্ভাবনার কথা রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন অনেক বছর আগেই। ‘স্বদেশী সমাজ’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ বলেন—
"রাজায় রাজায় লড়াইয়ে অন্ত নাই— কিন্তু আমাদের মর্মরায়মাণ বেনুকুঞ্জে, আমাদের আম কাঁঠালের বনচ্ছায়ায় দেবায়তন উঠিতেছে, অতিথিশালা স্থাপিত হইতেছে, টোলে শাস্ত্র অধ্যাপনা বন্ধ নাই, চণ্ডীমণ্ডপে রামায়ণগান হইতেছে এবং কীর্তনের আরাবে পল্লী প্রাঙ্গণ মুখরিত। সমাজ বাহিরের সাহায্যের অপেক্ষা রাখে নাই এবং বাহিরের উপদ্রবে শ্রীভ্রষ্ট হয় নাই।"
সমাজে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের নানা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আজ সেই কথাই বোধহয় আরও জোরের সঙ্গে বলার সময় হয়েছে।
গ্রন্থ সহায়:
১) রবীন্দ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, বিশ্বভারতী (সুলভ সংস্করণ)
২) The Works of Heisnam Kanhailal - Theatre of the Earth: Essays and Interviews, Seagull, 2016
৩) The Theatre of Kanhailal : Pebet & Memoirs of Africa, Rustom Bharucha, Seagull
৪) বাদল সরকার, কানহাইলাল ও সাবিত্রী হেইসনামের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার