ফের অশান্ত বাংলাদেশ! নির্বিচারে 'গণহত্যা'র বিরুদ্ধে পথে এবার সব স্তরের মানুষ

Bangladesh: শুক্রবার দফায় দফায় বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক সরব হয়েছেন সে দেশের তারকা শিল্পীরা।

ফের বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ। দিন কয়েক আগেই কোটা বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ওপার বাংলা। অন্তত দুশো জনের মৃত্যু হয় সেই আন্দোলনে। নিহত ৭৮ শতাংশের শরীরে মেলে গুলির ক্ষত। জখম হন অসংখ্য। হতাহতদের মধ্যে বেশির ভাগই পড়ুয়া, এমনকী নাবালকও রয়েছে। কোটা বিরোধিতার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সন্তোষজনক রায় দিলেও রাষ্ট্রের দ্বারা অসংখ্য নিরস্ত্র পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের খুনের সুবিচার চেয়ে নতুন করে আন্দোলন দানা পাকিয়েছে বাংলাদেশে।

সংরক্ষণবিরোধী বিক্ষোভের সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশ জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করে দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। শুক্রবার ফের বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার দেশ জুড়ে স্থগিত করে দেয় সে দেশের সরকার। যদিও সন্ধে সাতটার পরে ফের চালু করা হয় পরিষেবা। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ–সংঘাতে নিহত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে আজ শুক্রবার গণমিছিল কর্মসূচি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচি সামনে রেখে আজ দুপুর ১২টার পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধ করা হয়। সন্ধ্যার পর ফেসবুক ও মেসেঞ্জার চালু হলেও টেলিগ্রামের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

শুক্রবার দফায় দফায় বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক সরব হয়েছেন সে দেশের তারকা শিল্পীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁদের ব্যানার, ফেস্টুন হাতে। সংরক্ষণবিরোধী আন্দোলন ঘিরে যে ভয়ঙ্কর রক্ত-হিংসা দেখেছে বাংলাদেশ, যত পড়ুয়াকে জেলবন্দি করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে সামিল হন। অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মোশাররফ করিম, আজমেরী হক বাঁধন, সিয়াম আহমেদ, সৈয়দ আহমেদ শাওকি, ইরেশ জাকের, তানিম নূর, নুসরাত ইমরোজ তিশা, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিন-সহ বহু তারকাকেই পড়ুয়াদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে দেখা যায়। ছিলেন দৃশ্যশিল্পী, আলোকচিত্রশিল্পী, পারফরম্যান্স–শিল্পী, সংগীতশিল্পী, কবি, লেখক, গবেষক, স্থপতি, শিল্প সংগঠক-সহ আরও অনেক। শুক্রবার ধানমন্ডির আবাহনী মাঠের সামনে তারকাদের মিছিল থেকে বারবার শ্লোগান ওঠে—‘সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করো’, ‘হত্যা-সহিংসতা-গণগ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধ করো’। শিল্পীরা হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য নিয়ে দীর্ঘ ক্যানভাসে লাল রঙের প্রতিবাদী চিত্র অঙ্কন করেন। বৃষ্টির কারণে অঙ্কন দ্রুত শেষ করতে হয়। তবে এরপর তাঁরা ‘আস্থা-অনাস্থা’ নামের একটি বেদনাবিধুর আবেগময় পারফরম্যান্স আর্ট পরিবেশন করেন। পথচলতি শত শত মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই প্রতিবাদী আয়োজনে অংশ নেন।

আরও পড়ুন: খিদে-যন্ত্রণা সয়ে নেবে বাংলাদেশের আমজনতা, শুধু হাসিনাকে গদি ছাড়তে হবে

সংরক্ষণ-বিরোধী বিক্ষোভের সময় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গোটা বাংলাদেশ জুড়ে, শুক্রবার ফের একই ভূমিকায় দেখা গেল রাষ্ট্রের পুলিশকে। এমনিতেই বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারকে নিয়ে সে দেশের মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই। হাসিনা সরকারকে স্বৈরাচারী বলেও মনে করেন সে দেশের বাসিন্দারা। কোটা-বিরোধী বিক্ষোভের সময় শেখ হাসিনার একের পর এক বক্তব্য সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালে। তার মধ্যেই আন্দোলনকারীদের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের কড়া দমনপীড়ন নীতি পরিস্থিতিকে আরও হাতের বাইরে নিয়ে চলে যায়। শুক্রবার সেই পরিস্থিতি ফের তৈরি হল বাংলাদেশে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ঢাকার উত্তরায় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন কলেজের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও অভিভাবক। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভের কারণে বন্ধ হয়ে যায় কলেজের সামনের সড়কের যান চলাচল। একই সঙ্গে উত্তরায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ গণমিছিল কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। তাদের এই কর্মসূচি সামনে রেখে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা মাইলস্টোন কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। হবিগঞ্জে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক সাধারণ ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় জুতো কিনতে এসেছিলেন পেশায় শ্রমিক মোস্তাক মিয়া। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলি লাগে মোস্তাকের। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণমিছিল’ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীরা বাধা ডিঙিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে। ওই এলাকা থেকে অন্তত সাত জনকে আটক করে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পার্শ্ববর্তী আখালিয়া এলাকার ওই ঘটনায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক ও পথচারী আহত হন বলে খবর। পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আখালিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ তৈরি করেছিলেন। পুলিশ বারবার তাঁদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়তে হয় পুলিশকে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচিতে খুলনাতেও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ। এদিন বেলা আড়াইটার দিকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিববাড়ী থেকে সোনাডাঙ্গা থানা মোড় হয়ে গল্লামারী আসেন। পরে বিকেল চারটার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি দল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে অবস্থান করে। আরেকটি দল জিরো পয়েন্টের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ মিছিল লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও দেখা যায়।

রংপুরে বৃষ্টিতে ভিজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর ফটকের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মতিউর রহমান, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তুহিন ওয়াদুদ, বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজাম মুনিরা, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ হাসান, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের সংগঠক জান্নাত সৃষ্টি, আশিকুর রহমান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক রাফিউল আজম খান, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলী রায়হানসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক। লক্ষ্মীপুরেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে শহরের উত্তর তেমহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক যুবককে অস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে দেখা গেছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকার একাধিক স্থানে শুক্রবার সকাল থেকে শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, শিল্পী, চিকিৎসকেরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তাঁরা গণমিছিলসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমাবেশে অংশ নেন কলেজের অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক। তাঁরাও অনেকে শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ জুমার নামাজের পর রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন একদল তরুণ-যুবক। কয়েক ঘণ্টা অবরোধের পর তাঁরা বিকেল ৪টার পর মিছিল নিয়ে শাহবাগে যান। বিকেল সাড়ে ৪টায় শাহবাড় মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। কাছাকাছি সময় ঢাকার ইসিবি চত্বরে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করছেন কয়েকশো শিক্ষার্থী।শিক্ষার্থীদের এসব অবস্থান থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। আটক শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করেও স্লোগান দেন তাঁরা। শুক্রবার শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের ডাকা ‘দ্রোহযাত্রায়’ যোগ দেন কয়েক হাজার মানুষ। যাত্রাটি রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়। পরে সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর ও টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দ্রোহযাত্রায় অংশ নিতে বেলা তিনটার আগে থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানুষেরা উপস্থিত হতে থাকেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

আরও পড়ুন: ইতিহাসের সত্য সামনে এলে তবেই ফিরবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র

এদিকে এদিন কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ৪১ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ওই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম ওই সব পড়ুয়াদের জামিন মঞ্জুর করেন। অন্তত ৩৩টি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের। এদিকে জানা গিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সংঘাতে নিহত প্রায় ৭৮ শতাংশ মানুষের শরীরে প্রাণঘাতী গুলির ক্ষতচিহ্ন ছিল। বেশির ভাগের গুলি লেগেছে মাথা, বুক, পিঠ ও পেটে। ২১২ জন নিহতের মধ্যে ১৭৫ জনের মৃত্যুর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৩৭ জনের শরীরে প্রাণঘাতী গুলি ও ২২ জনের শরীরে ছররা গুলির চিহ্ন ছিল। অন্যদের মধ্যে ১০ জনের শরীরে ছিল মারধর ও আঘাতের চিহ্ন। চারজনের মৃত্যু হয়েছে আগুনে পুড়ে। পুলিশের তাড়া খেয়ে জলে পড়ে মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেএবং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ১১টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া নথি থেকেই এই তথ্য সামনে এসেছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হিংসায় নিহতদের মধ্যে রয়ছে অন্তত ৩২টি শিশু। সেই সব নিহত এবং আহতদের জন্য সুবিচার চেয়ে ফের পথে নেমেছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে আবার বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সে দেশের সরকার। দীর্ঘ দিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা-সহ বিভিন্ন মহল থেকে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি করা হচ্ছিল। অবশেষে সরকারি আদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশে। পাশাপাশি এদিন শিক্ষার্থীদের অযথা আটক ও হয়রানি করতে সরকার নিষেধ করা হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।শিক্ষার্থীদের অযথা আটক ও হয়রানি করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরকারি তরফে নিষেধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। যদিও সেই ছবিটা বাস্তবে দেখা যায়নি মোটেও। আগামী দিনে কোন পথে যেতে চলেছে বাংলাদেশের এই আন্দোলন, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

More Articles