আর দেড় ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লেই সমূহ সর্বনাশ! কী আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা?

হিমবাহগুলো দ্রুত গলতে শুরু করবে। তার জেরে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাবে, এবং তা গিলে ফেলবে অনেকাংশের স্থলভাগকে।

সাল ২০১৫। প্যারিসে রাষ্ট্রনেতারা একত্র হলেন, মানুষ এবং সমস্ত প্রাণীদের জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে বাঁচাতে। একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তাঁরা সমস্ত ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, যাতে কার্বন নিঃসরণ কমে এবং আমাদের পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি যাতে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা যায়। এই তাপমাত্রার বৃদ্ধিটা ধরা হয় শিল্পবিপ্লবের পর থেকে, যখন থেকে মানবজাতির উন্নয়ন কর্মযজ্ঞর ঐতিহাসিক সূত্রপাত বলে ধরে নেওয়া হয়। শুরু হয় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার।

 

আজ ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি ছুঁতে চলেছে। হ্যাঁ, সেই বৃদ্ধি সাময়িক হবে, কিন্তু পৃথিবীবাসী প্রত্যক্ষ করতে চলেছে সেই বৃদ্ধির ফলে ঠিক কীভাবে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী আক্রান্ত হতে চলেছে।

 

গ্রেট ব্রিটেনের মেট অফিসের বিজ্ঞানীরা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে জানাচ্ছেন যে, ২০২২ থেকে ২০২৬ সালের গ্রীষ্ম রেকর্ড গড়তে চলেছে। এখানে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, পৃথিবীর তাপমাত্রা এখন শিল্পবিপ্লব-পরবর্তী সময়ের থেকে ১.১ ডিগ্রি বেশি। তাতেই আমরা দেখেছি, তাপপ্রবাহ, অতি বৃষ্টি, খরা, ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, দাবানল। খুব সহজেই বোধগম্য, তাপমাত্রা বৃদ্ধি যদি দেড় ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়, তাহলে কী হতে চলেছে।

 

আরও পড়ুন: মানুষের বাসস্থান মিশে যাচ্ছে সমুদ্রগর্ভে, কতটা বিপদ আছে সামনে?

 

খুব সংক্ষেপে বললে, হিমবাহগুলি দ্রুত গলতে শুরু করবে। তার জেরে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাবে, এবং তা গিলে ফেলবে অনেক স্থলভাগকে। ভিটেহারা হবেন কোটি কোটি মানুষ। তৈরি হবে সাংঘাতিক খাদ্য সংকট, কারণ সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়বে অতি বৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়। সেই সঙ্গে বিশ্বের অন্য প্রান্তে বাড়বে গ্রীষ্মের দাবদাহ, খরা, দাবানল। বাড়বে রোগ, মহামারী। তৈরি হবে পানীয় জলের সংকট, বাসস্থানের সংকট। বাস্তুতন্ত্রের সমস্ত ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকবে।

 

খুবই আশঙ্কার নয় কি বিষয়টা? প্যারিসে যখন বিশ্বনেতারা একত্র হয়েছিলেন, তখন নিশ্চয়ই এই সব কিছু জেনেই তাঁরা ২০১৫ প্যারিস এগ্রিমেন্টে সাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু সেই চুক্তিকে সম্মান করে যথাযথ পদক্ষেপ দেশগুলি নিচ্ছে কি? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মুহূর্তে পৃথিবী সমস্ত দেশ, বিশেষত ধনী দেশগুলি, যারা এই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য মূলত দায়ী, তাদের যা নীতি এবং কার্বন নিঃসরণের হার, তাতে এই শতকের শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৩.২ ডিগ্রিতে।

 

এই মুহূর্তেই যদি গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো না হয়, যদি বিশ্বনেতারা জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে কোনও সর্দথক নীতি না নেন, তাহলে সমগ্র বিশ্ববাসী এবং পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর জন্য আগামী দিনগুলি অস্তিত্ব রক্ষার হয়ে উঠতে চলেছে।

 

২০১৫ সালে প্যারিসে রাষ্ট্রনেতারা একত্র হলেন, বিশ্বের মানুষ এবং সমস্ত প্রাণীদের জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে বাঁচাতে। একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তাঁরা সমস্ত ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন যাতে কার্বন নিঃসরণ কমে এবং আমাদের পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি যাতে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা যায়। এই তাপমাত্রার বৃদ্ধিটা ধরা হয় শিল্পবিপ্লবের পর থেকে, যখন থেকে মানবজাতির উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। শুরু হয় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার।

 

আজ ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি ছুঁতে চলেছে। হ্যাঁ, সেই বৃদ্ধি সাময়িক হবে, কিন্তু পৃথিবীবাসী প্রত্যক্ষ করতে চলেছে সেই বৃদ্ধির ফলে ঠিক কীভাবে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী আক্রান্ত হতে চলেছে।

 

গ্রেট ব্রিটেনের মেট অফিসের বিজ্ঞানীরা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে জানাচ্ছেন যে, ২০২২ থেকে ২০২৬ সালের গ্রীষ্ম রেকর্ড গড়তে চলেছে। এখানে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, পৃথিবীর তাপমাত্রা এখন শিল্প বিপ্লব পরবর্তী সময়ের থেকে ১.১ ডিগ্রি বেশি। তাতেই আমরা দেখেছি, তাপপ্রবাহ, অতি বৃষ্টি, খরা, ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, দাবানল। তাহলে খুব সহজেই বোধগম্য, তাপমাত্রা বৃদ্ধি যদি দেড় ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়, তাহলে কী হতে চলেছে।

 

খুব সংক্ষেপে বললে, হিমবাহগুলো দ্রুত গলতে শুরু করবে। তার জেরে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাবে, এবং তা গিলে ফেলবে অনেকাংশের স্থলভাগকে। ভিটেহারা হবেন কোটি কোটি মানুষ। তৈরি হবে সাংঘাতিক খাদ্য সংকট, কারণ সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়বে অতি বৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়। সেই সঙ্গে বিশ্বের অন্য প্রান্তে বাড়বে গ্রীষ্মের দাবদাহ, খরা, দাবানল। বাড়বে রোগ, মহামারী। তৈরি হবে পানীয় জলের সংকট, বাসস্থানের সংকট। বাস্তুতন্ত্রের সমস্ত ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকবে।

 

খুবই আশঙ্কার নয় কি বিষয়টা? প্যারিসে যখন বিশ্বনেতারা একত্র হয়েছিলেন তখন নিশ্চয়ই এই সব কিছু জেনেই তাঁরা ২০১৫ প্যারিস এগ্রিমেন্টে সাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু সেই চুক্তিকে সম্মান করে যথাযথ পদক্ষেপ দেশগুলি নিচ্ছে কি? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মুহূর্তে পৃথিবী সমস্ত দেশ, বিশেষত ধনী দেশগুলি, যারা এই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্যে মুলত দায়ী, তাদের যা নীতি এবং কার্বন নিঃসরণের হার, তাতে এই শতকের শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৩.২ ডিগ্রিতে।

 

এই মুহূর্তেই যদি গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো না হয়, যদি বিশ্বনেতারা জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে কোনও সর্দথক নীতি না নেন, তাহলে সমগ্র বিশ্ববাসী এবং পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর জন্যে আগামী দিনগুলি অস্তিত্বরক্ষার লড়াই হয়ে উঠতে চলেছে।

More Articles