স্মার্ট-দুর্নীতির দক্ষ খিলাড়ি মোদি সরকার

Modi Government Scam: 'বাংলা যা ভাবছে' অনুষ্ঠানে 'বিজেপি বনাম তৃণমূল | দুর্নীতিতে কে এগিয়ে?' সূচক আলোচনায় বক্তব্য রেখেছিলেন সাংবাদিক প্রতীক, কলামিস্ট সুমন সেনগুপ্ত, সাংবাদিক-অধ্যাপক সম্বিত পাল ও সাংবাদিক স্নিগ্ধেন্দু ভ...

তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একদা আস্থাভাজন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের হেফাজত থেকে পাওয়া কোটি কোটি কাঁচা টাকা, বা শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি তো সবাই দেখতে পেয়েছেন। আঁতকে উঠেছেন মানুষ। আঁতকে ওঠারই কথা। কিন্তু এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে ফেলার ডাক দিয়ে দামামা বাজাচ্ছে যে বিজেপি, তাঁদের স্বরূপ কি?

দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক দল এ ভারতে খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্তু বর্তমান ভারতে চোখে পড়ছে শুধু বিরোধীদলের দুর্নীতি। সিবিআই, ইডি সবাই মগ্ন বিরোধীদের দুর্নীতি ফাঁস করতে, বিরোধীদের জেলে পুরতে।

কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি কি তাহলে সততার পরাকাষ্ঠা?

অ্যাসোসিয়েশন অভ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ তে গোটা দেশের সাতটি ন্যাশানাল পার্টি বা জাতীয় দলের মিলিত সম্পদের পরিমাণ ৯,১১৭.৯৫ কোটি টাকা। এর অর্ধেকের বেশী, বা ৫৩% বিজেপির একার। ওদের সম্পদের পরিমাণ ৪,৮৪৭.৭৮ কোটি টাকা। প্রশ্ন হল, ১৯৯৮-২০০৪, এই ছয় বছর ও তারপর ২০১৪-২০১৯-২০, আরও ছয় বছর - মাত্র এই ১২ বছর দেশ শাসন করে বিজেপির সম্পদের পরিমাণ এত বাড়ল কীকরে?

আরও পড়ুন: বিজেপি বনাম তৃণমূল, দুর্নীতির এক দশক

একটা তুলনা দেখানো প্রয়োজন। ২০০৪-০৫ সালে, ৪৪ বছর দেশ শাসন করা কংগ্রেসের ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬৭.৩৫ কোটি, আর ছয় বছর দেশ চালানো বিজেপির ছিল ১২২.৯৩ কোটি। এর পর কংগ্রেস আবার দশ বছর দেশ চালায়। কিন্তু ২০১৪-১৫ তে এসে কংগ্রেসের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৫৮.৭৯ কোটি আর বিজেপির হয়ে যায় ৮৯৩ কোটি। তার পর, নরেন্দ্র মোদীর শাসনে, স্পষ্টতই, খেলা হয় অন্য নিয়মে। কারণ ২০১৯-২০ পর্যন্ত কংগ্রেসের ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায়, বেশ খানিকটা কমে, ৫৮৮.১৬ কোটিতে। আর বিজেপির? কল্পনাতীত বৃদ্ধি! একেবারে ৪,৮৪৭.৭৮ কোটি।

মাত্র পাঁচ বছরে সাড়ে পাঁচগুণ সম্পদ বৃদ্ধি - ভাবুন তো, কোন জাদুবলে? ডাকঘরে বা ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে, দ্বিগুণ হয়ে সাড়ে আট থেকে নয় বছর লাগে। আর পাঁচ বছরে সাড়ে পাঁচ গুণ? কে দিল এই টাকা? কোথা থেকে এল?

বিজেপির এই সম্পদবৃদ্ধির হার তুলনীয় একমাত্র আদানিদের সম্পদ বৃদ্ধির হারের সাথে, যে গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানির সাথে নরেন্দ্র বাবুকে প্রায়ই এদিক ওদিক দেখা গিয়েছে। স্টক মার্কেটে বেনিয়ম হচ্ছে কিনা দেখার দায়িত্ব সরকারি প্রতিষ্ঠান সেবির। কিন্তু সেই সেবি নাকি আদানিদের বেনিয়ম প্রসঙ্গে চোখে কুলুপ এঁটে থাকে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তদন্তে বেড়িয়ে আসছে এসব।

কিন্তু ওই গৌতমবাবু, নরেন্দ্রবাবুর দলকে টাকা দিলেন কিনা, বা কত দিলেন, সেটা জানার কোনও উপায় নেই। কারণ মোদী বাবু ক্ষমতায় এসেই খেলার নিয়ম বদলে দিয়েছেন – ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে কে কাকে কত টাকা দিচ্ছে টা কেউ জানতে পারবে না, নিয়ম করেছেন মোদী বাবু।

আমরা এ প্রসঙ্গে যাচ্ছি না কিভাবে দুর্নীতিগ্রস্তরা বিজেপিতে যোগ দিলেই সিবিআই ইডির শ্যেন দৃষ্টি থেকে বেঁচে যায়। সে তো সবাই দেখতে পাচ্ছেন। ঘটনা হল, তৃণমূল বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল দুর্নীতি করছে প্রথাগত উপায়ে। যে দুর্নীতির স্বরূপ আমরা চিনি। আর বিজেপি টাকা বানানোর খেলাকে অন্য এক উচ্চ মার্গে নিয়ে গেছে, যেখানে পরিমাণ এবং পদ্ধতি দুটোই নতুন এবং এই দুর্নীতি আপনার আমার বাথরুম, ঘর, ভাতা, নিয়োগের টাকা না মেরে গোটা দেশের অর্থনীতির শিরদাঁড়া ভেঙ্গে দিচ্ছে। এর প্রভাব টের পাওয়া যাবে আগামী দিনে, যখন আর পরবর্তী সরকারগুলোর হাতে আমজনতাকে প্রয়োজনীয় ভর্তুকি দেওয়ার টাকা থাকবে না।

পঞ্চায়েত প্রধান বা এমএলএ চুরির টাকায় বাড়ি বানাচ্ছে, আপনি দেখতে পাচ্ছেন। আপনি মাসিক ভাতার টাকা বা এনআরইজিএর টাকা থেকে কাট মানি দিতে বাধ্য হচ্ছেন, আপনি টের পাচ্ছেন। কিন্তু বিজেপির ব্যাংক আকাউন্টে কে বা কারা কোটি কোটি টাকা দিয়ে যাচ্ছে, চুপিসারে, আপনি জানতে পারছেন না। কারণ বিজেপি আইন করে দিয়েছে যে রাজনৈতিক দল কার থেকে টাকা পাচ্ছে সেটা কেউ জানতে পারবে না। একেই বলে স্মার্ট দুর্নীতি। আমরা স্মার্টদের পছন্দ করি। হোক চোর, তবু ও স্মার্ট। আপনিও তাই নিশ্চয়ই বিজেপিকে পছন্দ করেন।

Modi Govermment and Adani smartly looted nation in multi crore scams

এক্ষেত্রে বলা যায়, এ রাজ্যে তৃণমূল যে দুর্নীতি করে আসছে তাকে এক কথায় বলা যায় আনস্মার্ট দুর্নীতি। যা খালি চোখে দেখা যায় স্পষ্ট। আর মোদি আমলে যেটা দেশে চলছে তা আদতে স্মার্ট দুর্নীতি, যার নাগালও পায় না দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ।

যারা টাকা দিচ্ছে, তারা কেন দিচ্ছে? ইলেক্টোরাল বন্ডের হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে, ৬৮% শতাংশ টাকা বিজেপি একা পেয়েছে, আর এর নব্বই শতাংশই কোটির অঙ্কে। কোটি কোটি টাকা রাজনৈতিক দলকে কারা দান করতে পারে? একমাত্র বড় বড় ব্যবসায়ীরাই পারে।

তাহলে কি বিজেপির আমলে বড় বড় ব্যবসায়ীরা প্রচুর লাভ করেছে? তলে তলে কি শিল্পপতিরা এর সুবিধা পাচ্ছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির কাছে? এই যে প্রতিবছর রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলি বড় বড় ঋণ মকুব করে চলেছে,, তা কি আসলে সরকারের একধরনের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা? আমরা জানতে পারতাম, যদি দেখতে পেতাম যাঁদের ঋণ রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক গুলো মকুব করছে, তারা বিজেপির ফান্ডে টাকা দিচ্ছে কিনা। কিন্তু সেটা জানার কোনও উপায় নেই।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর তথ্য় বলছে, ২০০৪-২০১৪ সাল, এই দশ বছরে ইউপিএ সরকার ২ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছিল। আর মোদী শাসনে, গত ছয় বছরে, প্রতি বছর ২ লক্ষ কোটি টাকা করে ঋণ মকুব হচ্ছে। এত টাকার অঙ্ক বিপুল – পশ্চিমবঙ্গের সর্বশেষ বাজেট হল ২.৭৮ কোটি টাকার। মানে, দেশের একটি অন্যতম বড় রাজ্যের যা বাজেট, সেই পরিমাণ ঋণ প্রতিবছর বড় ব্যবসায়ীদের মকুব করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আপনি গৃহ ঋণের টাকা মেটাতে না পারলে ব্যাঙ্ক আপনার বাড়ি বাজেয়াপ্ত করে নেবে।

অথচ বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে গেলেই কোষাগারে টান সরকারের। এখানে প্রশ্ন, পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিই বা এই টাকাগুলি দিচ্ছে কেন? কীভাবেই বা দিচ্ছে। ঝুঁকি খতিয়ে দেখার কোনও পন্থা কি তাদের হাতে থাকছে না? নাকি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যাঁরা টাকা দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে ব্যাপারটির? কিন্তু এ সবের বিন্দুবিসর্গও আমরা জানতে পারব না, কারণ সবটাই হচ্ছে বন্ধ খামে। যে পঞ্চায়েত প্রধান গ্রামের চারজনকে বঞ্চিত করে নিজের তিনতলা বাড়ি বানিয়ে ফেলল, তার দুর্নীতি আমাদের চোখে পড়বে, কিন্তু এই সব উচ্চমার্গের দুর্নীতি পাকড়াও করার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই।

এই যে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলিকে মিশে যেতে দেখলাম, কেন? আসলে ঋণমকুব করতে একটি ন্যূনতম অঙ্কের মূলধন থাকতেই হবে ব্যাঙ্কের কোষাগারে। সেই শক্তি কমেছে বলেই অন্যান্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে দুর্বল ব্যাঙ্ককে, যাতে ফের, আরও ঋণ মকুব করা যায়। আর সাধারণ মানুষ ঘুনাক্ষরেও টের পাচ্ছেন না এর বিন্দুবিসর্গ। এই যে ইলেক্টোরাল বন্ড, এই যে ব্যাঙ্ক মার্জ, এই যে ঋণমকুবের খেলা, এ সবই আসলে দুর্নীতি, এবং তা স্মার্ট দুর্নীতি।

বিজেপি ক্ষমতায় এসেই যে কাজটি সর্বপ্রথম করেছিল, তা আনস্মার্ট দুর্নীতির নাম ও গন্ধ মুছে দেওয়া। ২০১৬ সালের এই যে নোটবন্দি, সেই পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্য দলের হাতে থাকা বেআইনি ক্যাশ বের করে আনল বিজেপি। কারণ ওরা তো টাকা তোলার পদ্ধতিই পাল্টে দিয়েছে – টাকা আসবে ব্যাঙ্ক আকাউন্টে, কালো নয়, সাদা টাকা, কিন্তু কে দিয়েছে জানা যাবে না। এদিকে কালো টাকার অস্তিত্ব বিনাশকারী হিরো হিসেবে উঠে এল নরেন্দ্র মোদির মুখ। এক ঢিলে দুই পাখি মারা বোধহয় একেই বলে।

এই নির্বাচনী বন্ডের ব্যাপারটি এমনভাবে মানি বিলের মধ্যে ঢুকিয়ে পাশ করিয়ে নিল সরকার, যে তার জন্য রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার দরকারই হল না তাদের। রিপোর্টার্স কালেক্টিভ নামে একটি সংস্থার রিপোর্ট বলছে, মাত্র ১৯টা দল ওই ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেয়েছে, যার মধ্যে লাভের গুড়, অর্থাৎ মোট নির্বাচনী বন্ডের প্রায় ৬৮ শতাংশই গিয়েছে বিজেপির কোষাগারে। আর বাকি ৩২ শতাংশ ভাগ হয়েছে আঠেরোটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে।

ইউপিএ আমলে তৎকালীন সরকারের একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ, প্রায় অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিল কংগ্রেসের পতন। সেই ফাঁক গলে গদিতে চেপে বসে বিজেপি। ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকার পড়েছিল দুর্নীতির ভারেই। টুজি কেলেঙ্কারি থেকে একাধিক অভিযোগের খাঁড়া ছিল মনমোহন সরকারের ঘাড়ে। সে সময় মানুষের দুর্নীতির সরকারকে ফেলতে দেরি করেনি মানুষ। চোখের সামনে বিকল্প পথ ছিল, তাই হয়তো দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়াটা সম্ভব ছিল মানুষের পক্ষে।

Modi Govermment and Adani smartly looted nation in multi crore scams

আসলে তখনই দুর্নীতি নির্বাচনী ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়, যখন চোখের সামনে বিকল্প রয়েছে। নতুবা সেই দুর্নীতির সরকারকেই চলনসই ভেবে নিতে বাধ্য হয় মানুষ। ২০১৪ সালে আন্না হাজারেকে সামনে রেখে দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতির দলের যে ছবিটা বিজেপি তুলে ধরেছিল, সেই টোপ খেতে বাধ্য হয়েছিল মানুষ। তার ছাপ পড়েছিল ভোটবাক্সেও।

মনে পড়ে, পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল বলে একসময় টলে গিয়েছিল অটল-সরকার। ট্রামের ভাড়া এক পয়সা বাড়ায় কলকাতায় কী কী হয়েছিল, আমাদের জানা। কারণ সেই সব দুর্নীতি চোখে দেখা যায়। একটি সরাসরি প্রভাব পড়ে তার মধ্যবিত্তের পকেটে এবং জীবনে। কিন্তু এই ধরনের বড় দুর্নীতি চোখে পড়ে না সাধারণ জনতার। দেশের সম্পত্তির এই যে বিরাট ক্ষতি, তা এতটাই মানুষের নাগালের বাইরে, তা আপাত ভাবে দেখতে পায় না মানুষ। তবে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আজকের দুর্নীতির প্রভাব হয়তো পড়বে দশ বছর পর মানুষের উপরে। তখন তার উৎস খুঁজে পাবে না মানুষ। আর্থিক মন্দা বলে মেনে নিতে বাধ্য হবে।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপি ছেড়ে হিন্দু মহাসভায় যোগ দিন’! বাংলার গেরুয়া নেতাদের কেন ডাকছে হিন্দু মহাসভা?

মোদি সরকারের নীতি আসলে 'মারি তো গণ্ডার, লুটি তো ভাণ্ডার'। ফলে ছোটখাটো দুর্নীতিতে হাত গন্ধ না করে গোটা দেশটাকেই বেচে দিতে বসেছে বিজেপি সরকার। আর এ জন্য দাবার চালটাও বদলে ফেলেছে তারা।

কিন্তু এই যে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি, তার খবরটুকু জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায় কার? মিডিয়া এবং বিরোধী দলগুলির। কিন্তু তেমনটা ঘটছে না পারতপক্ষে। ইউপিএ জমনায় তাদের দুর্নীতি নিয়ে যতটা সরব হয়েছিল মিডিয়া, বিজেপি জমানায় তার কণামাত্র নেই। এই যে বিরাট আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে বিশাল দুর্নীতির কথা সামনে এল, এই যে ক্যাগের রিপোর্টে দেখা গেল, এই যে হাইওয়ে রাস্তা বানানোর নামে কিলোমিটার পিছু ১৮ কোটি টাকার পরিবর্তে খরচ করা হল ২৫০ কোটি টাকা করে, সে নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে দেশের এবং রাজ্যের সমস্ত মিডিয়া। সেই কি জেল হওয়ার ভয় না প্রসাদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে?

More Articles