কার্গিল যুদ্ধে লড়েছিলেন নানা পাটেকর! অবাক করবে অভিনেতার এই অজানা কাহিনি

Nana Patekar Kargil War: জাতীয় স্তরের পদকজয়ী শ্যুটার ছিলেন নানা পাটেকর।

পর্দায় অভিনেতা কখনও খলনায়ক, দেশদ্রোহী, ধর্ষক, ডাকাত, পর্দায় সেই অভিনেতাই কখনও সেনা, কখনও পুলিশ, কখনও প্রেমিক। নানা চরিত্রে বিশ্বাসযোগ্যভাবে নিজেকে ঢেলে দিতে যিনি পারেন, তিনিই একজন প্রকৃত চরিত্রাভিনেতা। ভারতবর্ষ এমন যে কয়েকজন অভিনেতাকে পেয়েছে তাঁদের মধ্যে নানা পাটেকর অন্যতম। তবে শুধু পর্দায় নয়, পর্দার বাইরে তাঁর চরিত্রের একাধিক পরত রয়েছে যা সাধারণ মানুষের অজানাই। নানা পাটেকরের দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদের প্রতি সোচ্চার মনোভাব অজানা নয়, তবে অনেকেই জানেন না কার্গিল যুদ্ধের একজন অংশ ছিলেন অভিনেতা নানা। কার্গিল যুদ্ধের সময় একজন সৈনিক হিসাবে কাজ করেছিলেন নানা পাটেকর। সম্প্রতি দ্য লাল্লনটপের একটি সাক্ষাত্কারে নানার চরিত্রের এই দিনটি প্রকাশ্যে আসে।

ওই সাক্ষাৎকারে নানা পাটেকর কার্গিল যুদ্ধের সময়কার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। জানিয়েছেন কীভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেজের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। একজন সাধারণ নাগরিককে দেশ কেনই বা যুদ্ধে পাঠাবে? প্রাথমিকভাবে রাজি হননি সেনাপ্রধানরা। তবে নানা নিছক সাধারণ নাগরিক তো ছিলেন না। কমান্ডো কোর্স করেছিলেন তিনি, শ্যুটার ছিলেন নানা। জাতীয় স্তরের পদকজয়ী শ্যুটার ছিলেন নানা পাটেকর। জর্জ ফার্নান্দেজ এই বিষয়গুলি জানার পরে নানা পাটেকরের যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছেকে আমল না দিয়ে পারেননি আর।

 

আরও পড়ুন- মগজাস্ত্র ক্ষুরধার, ফোনে ফোনে বানচাল করেন আক্রমণ! ভারতের প্রকৃত জেমস বন্ড অজিত ডোভাল

নানা পাটেকর জানিয়েছেন, তিনি যখন কার্গিল যুদ্ধের জন্য রওনা হন, তখন তাঁর ওজন ছিল ৭৬ কেজি। কঠিন পরিস্থিতি এবং যুদ্ধক্ষেত্রের উত্তেজনা নানার উপর ভীষণ প্রভাব ফেলেছিল। যার ফলে দুই মাসের মধ্যে তাঁর ওজন কমে হয় ৫৬ কেজি। হাড়-পাঁজর বেরিয়ে যায় কয়েক মাসের মধ্যেই। প্রচণ্ড শারীরিক এবং মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেতা, তবে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে যাননি। নানা পাটেকর বিশ্বাস করেন, ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ অস্ত্র কামান, গুলিগোলা নয়, দেশের সৈন্যরাই।

নানা পাটেকরের জীবনের আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। নানা পাটেকর ডোভালকে শুধু বন্ধু নয়, ভাই মনে করেন। দেশের সেনা, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতি নানা পাটেকরের বিশ্বস্ততা ও সেনার কাছে তাঁর গ্রহণপযোগ্যতা স্পষ্ট হয়ে যায় এই সম্পর্কগুলি থেকেই।

More Articles