ক্যাপসুলে আশ্চর্য ভৌতিক শব্দ! নতুন কোন বিপদের মুখে সুনীতারা?

Sunita Williams: স্টারলাইনারের তৈরি ওই ক্যাপসুল থেকে নাকি ভয়ঙ্কর এবং অদ্ভুত সব শব্দ শুনছেন সুনীতারা। সুনীতার সহযাত্রী বুচ উইলমোরই প্রথম এই শব্দগুলি লক্ষ্য করেন।

ক্যাপসুল থেকে কানে আসছে এক আশ্চর্য শব্দ। বিজ্ঞানীদের ভাষায়, এই শব্দ অনেকটা 'সোনার সাউন্ডসে'র মতো। যা কার্যত নয়া আতঙ্কের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে আটকে থাকা মহাকাশচারীদের। শব্দটা আসলে কীসের? নয়া কোন বিপদের মুখে সুনীতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোরেরা।

প্রায় চার মাস হতে যায়, সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর আটকে রয়েছেন আন্তর্জাতিক স্পেস সেন্টারে। কবে তাঁরা ফিরতে পারবেন, তা এখনও অনিশ্চিত। যে বিকল্প মহাকাশযানটিতে করে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল নাসা, তার উৎক্ষেপণ বারবার পিছিয়ে গিয়েছে। গত ৫ জুন স্টারলাইনারের যে মহাকাশযানে করে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনীতারা, একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে সেই মহাকাশযানটিতে। প্রথমে হিলিয়াম লিক, তার পর একের পর এক রিঅ্যাকশন কন্ট্রোল প্যানেলের থ্রাস্টার খারাপ হয়ে যাওয়া, ক্রমশ খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। বোয়িং ইঞ্জিনিয়ারদের তরফে সবুজ সঙ্কেত মিললেও ওই যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত মহাকাশযানে করে সুনীতাদের ফেরানোর ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি নাসা। এর মধ্যে আবার নয়া দুর্বিপাক।

আরও পড়ুন: হচ্ছে না স্পেসএক্সের মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ, কীভাবে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতারা?

স্টারলাইনারের তৈরি ওই ক্যাপসুল থেকে নাকি ভয়ঙ্কর এবং অদ্ভুত সব শব্দ শুনছেন সুনীতারা। সুনীতার সহযাত্রী বুচ উইলমোরই প্রথম এই শব্দগুলি লক্ষ্য করেন। নাসার সঙ্গে যোগাযোগ করে অভ্যন্তরীণ স্পিকারের কাছে মাইক্রোফোন ধরে সেই শব্দ রেকর্ড করেও পাঠান বুচ।

ঠিক কোথা থেকে সেই শব্দ আসছে, তা নিয়ে বেশ রহস্য তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেই শব্দের উৎস খুঁজে বের করতে পারেনি নাসার প্রকৌশলী রা। স্বাভাবিক ভাবেই স্টারলাইনার ক্যাপসুলের এই আশ্চর্য শব্দ নিয়ে বেশ উদ্বেগে সুনীতারাও। তাঁরা নিয়মিত নাসার মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই সংক্রান্ত আপডেট দিয়ে যাচ্ছেন। কীভাবে এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, তা নিয়েও খোঁজ শুরু করেছেন ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: মহাশূন্যে বিলীনও হয়ে যেতে পারেন সুনীতারা! কেন জানেন? 

এরই মধ্যে ঠিক করা হয়েছে, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর তারিখে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে যাত্রীবিহীন খালি স্টারলাইনার ক্যাপসুলটিকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওনা করা হবে। সুনীতারা থেকে যাবেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই। আপাতত ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সুনীতারা সেখানেই থাকবেন বলে জানিয়েছে নাসা। তারা এতদিন ধরে যে গবেষণার কাজ করছিলেন, তা-ই চালিয়ে যাবেন তাঁরা। এলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের পোলারিস ডন মিশন থমকে যান্ত্রিক এবং আবহাওয়াগত প্রতিকূলতার কারণে। এই মুহূর্তে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই বা কীভাবে ফিরবেন সুনীতারা, তাঁদের ফেরাতে তবে কি নতুন কোনও পরিকল্পনা নিচ্ছে নাসা? উঠছে প্রশ্ন।

More Articles