আবারও সাধকের ভূমিকায় সব্যসাচী, কালীকে আশ্রয় করেই ভুলতে চাইছেন ঐন্দ্রিলার শোক?

Sabyasachi Chowdhuri : ছোট পর্দায় ফিরছেন অভিনেতা, সাধকের সুরে আবারও মোহিত হতে চলেছে বাংলা

প্রায় দেড় মাস হল নেই ঐন্দ্রিলা শর্মা। প্রিয়জনের চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আড়ালে চলে গিয়েছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী। জীবনের এই ছোট্ট পরিসরে ভালোবাসার একটা অন্যরকম গল্প তাঁরা দুজনে মিলে বুনেছেন। যা ঘিরে আজও মোহিত হয়ে আছে বাঙালি। প্রেমিকরা এখনও আঙুল তুলে জিজ্ঞেস করে, সব্যসাচী হতে পারবে তুমি?

সব্যসাচী চৌধুরী। অভিনয় জগতের পরিচিত মুখ। লেখালেখিতেও বিস্তর চলাচল তাঁর। প্রেমিকা ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে ছিল অন্য একটা জগৎ। তাঁর জীবনে শেষ সিঁড়ি অবধি তাঁকে পৌঁছে দিয়েই খানিক ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন সব্যসাচী। হয়তো নিজেকে সময় দেওয়ার সময় দরকার হয়ে পড়েছিল। নেট দুনিয়া থেকে রাতারাতি সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। ঐন্দ্রিলার শোক কাটিয়ে ওঠা হয়তো সম্ভব নয় বন্ধু সব্যসাচীর তবে কাজের দুনিয়াতে তো ফিরতেই হতো। অনুরাগীদের সেই অপেক্ষারই এবার অবসান হতে চলেছে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন কাজের ট্রেলার। ছোটপর্দায় ফিরছেন তিনি। বেশ কিছুদিন যাবৎ চলা গুঞ্জনের ইতি টেনে প্রকাশ্যে এসেছে সেই খবর।

স্টার জলসার পর্দায় আধ্যাত্মিক গল্পনির্ভর নতুন একটি ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে সব্যসাচী চৌধুরীকে। গল্পে তিনিই সাধক রামপ্রসাদ। এর আগেই সাধক বামাখ্যাপা চরিত্রে দর্শকের মনে বাধা পড়েছিলেন তিনি। রামপ্রসাদ চরিত্রে যে আবারও সাধনার তত্ত্বকে নিজের মধ্যে লালন করতে পারবেন তিনি, তা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুন - মেয়েকে হারিয়ে ফের ক্যান্সার আক্রান্ত ঐন্দ্রিলার মা, এখন কেমন আছেন শিখাদেবী?

এই ধারাবাহিকের বিষয়ে জানা গিয়েছে, মা কালীর ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল দে কে। অন্যদিকে সব্যসাচী চৌধুরীর স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যেতে চলেছে ‘সৌদামিনীর সংসার’ খ্যাত সৌদামিনী অর্থাৎ সুস্মিলি আচার্যকে। আগামী মাস থেকেই শুরু হতে চলেছে নতুন ধারাবাহিকের শুটিং।

ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ট্রেলার। আর তাতেই দেখা গিয়েছে বর বেশে সব্যসাচী। আবারও সেই সৌম্য কান্তি চেহারা। কপালে শ্বেত চন্দনের ফোঁটা। বিয়ের আসর সুসজ্জিত, কেবল পাশে স্ত্রীর জায়গায় ঐন্দ্রিলার বদলে সুস্মিলি আচার্য। ধারাবাহিকের তাগিদেই এই আত্মপ্রকাশ। তবে এই বেশে সব্যসাচীকে দেশে আবেগপ্লুত হয়ে পড়েছেন ঐন্দ্রিলার মা। সব্য বর বেশে থাকলে পাশে কনের বেশে তো আজীবন ঐন্দ্রিলাকেই দেখতে চেয়েছেন তিনি। বারবার বলেছেন তাঁর মেয়ে কী ভীষণ করে চেয়েছিল সংসার করতে,সেই কথা। ঐন্দ্রিলা থাকলে এ বছর মার্চ মাসেই এনগেজমেন্ট হওয়ার কথা ঠিক ছিল তাদের। অথচ আকস্মিক এই বিপর্যয় যেন সব ছবিটাই ওলোট পালোট করে দিল।

sabyasachi chowdhury

সাধকের ভূমিকায় ফের পর্দায় ফিরছেন সব্যসাচী

ঐন্দ্রিলার মতো মানুষ তো ফিনিক্স পাখি। তাঁকে বলা যায় না। আর সব্যসাচী তো তাঁর কাছের জন, তাই সব্যসাচীর পক্ষে তাঁকে বলা সম্ভব নয়। আড়ালে থেকে কেবল প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জীবনের বাকিটা পথের জন্য। যেখানে পাশে নেই কাছের মানুষ ঐন্দ্রিলা। এই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতেই এই নিভৃত চারণ।

জীবনের যাবতীয় পাওয়া না অদিয়ার দ্বন্দ্ব জমিয়ে রেখেই মায়ের কাছে সঁপে দেবেন তিনি। যথার্থ একটা চরিত্র পেলেন। হয়তো জীবনের এই পর্বে দাঁড়িয়ে রামপ্রসাদী সুরের আশ্রয়টুকু বড্ড বেশি করে দরকার ছিল তাঁর। ভাঙা গড়ার মাঝেই মা কালীর ছায়ায় নিজেকে হয়তো আবার গুছিয়ে উঠতে পারবেন তিনি। তাই প্রোমোতে তাঁর লিপে ‘ডুব দে রে মন কালী বলে’ গানটি যেন বড্ড বেশি স্বার্থক। দিনের শেষে তিনি তো ‘সব্যসাচী’। এই নামের দায়ভারও যে অনেকখানি।

More Articles