গলাবন্ধ স্যুটের দিন শেষ! নয়া সংসদে চোখ ধাঁধানো যে 'ইউনিফর্ম' পরবেন কর্মীরা

New Parliament Dress Code: পোশাক পরিবর্তনের জেরে রাজ্যসভা ও লোকসভার মার্শালরা মণিপুরি পাগড়ি পরবেন।

১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। দেশের নতুন সংসদ ভবনটিতেই এই বিশেষ আয়োজন বসছে। বিশেষ অধিবেশন কেনই বা ডাকা হলো, কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে তা এখনও অস্পষ্ট। তবে এটুকু নিশ্চিত যে, ১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থী। আর সংসদের কার্যক্রমকে নতুন সংসদ ভবনে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই দিনটিকেই বাছা হয়েছে। নয়া সংসদ্ভবনে কী কী আছে, কী কী দিয়ে সাজানো এ এতদিনে সামান্য ওয়াকিবহাল মানুষই জানেন। নতুন রূপ হলে বসনও নতুন হবে! সংসদ কর্মীদের ইউনিফর্ম বা পোশাকও এবার একেবারে নতুন। এই নয়া পোশাক তৈরি করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি (NIFT)। কেমন হচ্ছে এই পোশাক?

সংসদের কিছু সূত্র জানাচ্ছে, গত সংসদ অধিবেশনেই এই পোশাক বদলে দেওয়ার কথা হয়েছিল। কোনও কারণে তা করা যায়নি। তবে এবার একদম সব তৈরি। নতুন সংসদ, বিশেষ অধিবেশন, বিশেষ ইউনিফর্ম। আগে কেন্দ্রী সরকারি সাধারণ আমলারা একটি গলাবন্ধ স্যুট পরতেন। এবার ম্যাজেন্টা বা গাঢ় গোলাপি রঙের নেহেরু জ্যাকেটের সঙ্গে ওই একই রঙের একটি শার্ট পরবেন তারা, যাতে রয়েছে একটি পদ্ম ফুলের নকশা৷ কর্মীদের খাকি রঙের প্যান্ট পরতে হবে এবার থেকে। মহিলা কর্মীদের অবশ্য আগের মতো শাড়িই পোশাক।

এই পোশাক পরিবর্তনের জেরে রাজ্যসভা ও লোকসভার মার্শালরা মণিপুরি পাগড়ি পরবেন। সংসদ ভবনের ভিতরে নিরাপত্তা কর্মীরা যে সাফারি স্যুট পরতেন তা পাল্টে যাচ্ছে। সেনারা যেমন কেমোফ্লেজ পোশাক পরেন পাহারারত অবস্থায়, ঠিক তেমনই পোশাক পরবেন সংসদের নিরাপত্তাকর্মীরা।

আরও পড়ুন- কোথায় মোদির ‘আত্মনির্ভর’তা? কেন নিউজিল্যান্ডের ২০,০০০ কেজি উল লাগল সংসদের কার্পেটে?

সে যাই হোক, এই 'পদ্ম' চিহ্ন ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভারতের জাতীয় ফুল বটেই, তবে এই মুহূর্তে জনমানসে পদ্ম মানেই বিজেপি। ফলে সংসদে কে গুরুত্ব পাচ্ছে বলা কঠিন! জাতীয় পুষ্পও হতে পারে আবার ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নির্বাচনী প্রতীকও হতে পারে। এই নির্দিষ্ট এক ঢিলে দুই পাখি জাতীয় প্রতীকের বিরোধিতা করে কংগ্রেসের একাংশ বলছে, পদ্মের পরিবর্তে ময়ূর এবং বাঘের মতো জাতীয় প্রতীকের মোটিফও তো ব্যবহার করাই যেত।

চলতি বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেন। নয়া সংসদ ভবনটিকে 'আত্মনির্ভর ভারতের ভোরের সাক্ষ্য' বলে অভিহিত করেন মোদি। সরকার বলছে, ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। লোকসভায় ৮৮৮ জন সদস্য এবং রাজ্যসভায় ৩৮৪ জন সদস্য এখানে বসতে পারবেন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, আধুনিকতম যোগাযোগ ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এই সংসদ ভবনকে। আর খরচ হয়েছে, ৮৩৬ কোটি টাকা!

More Articles