মাত্র দুজন বসতে পারে চারচাকা গাড়িতে, কতটা আলাদা ন্যানোর থেকেও ছোট টাটার এই নয়া মডেল?

New Two Seater Four Wheeler Car : সম্প্রতি ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে এই গাড়ি, দেখতে কেমন টাটার নতুন মডেলটি?

নিজের বাড়ি এবং গাড়ির শখ, কমবেশি সকলেরই থাকে। ‘লেখাপড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’, ছোট্ট থেকে এই একটা লোভ দেখিয়েই শিশুদের বইমুখো করতেন অভিভাবকেরা। তাই গাড়ি কেনার স্বপ্নটুকু লালিত হয়েছে অচিরেই। একটা সময় ছিল যখন মধ্যবিত্ত পরিবারে গাড়ি মানেই ছিল আকাশ ছোঁয়ার সমান। যদিও প্রযুক্তির উন্নতিতে সেই ধারণায় বদল এসেছে। রাজনৈতিক টানাপোড়েন পশ্চিমবঙ্গে কারখানা করতে দেয়নি, তবে কারখানা ঠিকই হয়েছে। বাজারে এসেছে এক লাখের স্বপ্ন পূরণ। অনেকেই গাড়ি কেনার শখ মিটিয়েছেন ন্যানোর হাত ধরে। যদিও পরবর্তীতে বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় আস্তে আস্তে কমতে থাকে উৎপাদন। তবে সম্প্রতি আবারও শিরোনাম দখল করেছে টাটা ন্যানো। সাবেকি অ্যাম্বাসাডরের সঙ্গে টক্কর দিতে ফের নতুন রূপে বাজারে ফিরেছে টাটা ন্যানো। সাবেকিয়ানা নাকি সস্তায় স্বপ্ন পূরণ, প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে টাটা কোম্পানি।

এবার সেই আলোচনায় নতুন করে সামনে এসেছে এক্কেবারে নতুন রূপের একটি চার চাকা গাড়ির মডেল। এটিও টাটা কোম্পানির। সম্প্রতি ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে এই গাড়ির ভিডিও। ভিডিও দেখা মাত্রই রীতিমতো চোখ কপালে নেটিজেনদের। চার চাকা গাড়ি নিয়ে এতদিনের প্রচলিত সব ধারণাকে নিমেষে বদলে দিয়েছে ভিডিওতে দেখানো নতুন গাড়ির মডেলটি। এই গাড়িতে রয়েছে মাত্র দুটি সিট। ড্রাইভার ছাড়া অতিরিক্ত আর কেবল একজনই চড়তে পারবেন গাড়িটিতে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

আরও পড়ুন - অ্যাম্বাসাডরের সঙ্গে টক্কর দিতে বাজারে ফিরছে টাটা ন্যানো, নতুন কী চমক রয়েছে গাড়িতে?

ওয়াসিম ক্রিয়েশনস নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেখানো হয়েছে Tata Indica Modified এই মডেলটি। এতদিন পর্যন্ত ড্রাইভার ছাড়া অতিরিক্ত আর চারজন বসতে পারতো টাটা ইন্ডিকা গাড়িটিতে। এবার সেই গাড়ির একটি ছোট সংস্করণ দেখা গেল। যেন দুম করে পিছনের তিনটে সিটের অংশটা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে Tata Nano-র থেকেও ছোট হয়ে গিয়েছে এই গাড়িটি। জানা গিয়েছে, আসলে পুরনো টাটা ইন্ডিকা গাড়িটিকে To-Do সংস্করণে পরিবর্তন করা হয়েছে।

পাঁচ থেকে কমে দুজনের সিট যেমন হয়েছে, তেমনই দৈর্ঘ্যেও আগের থেকে প্রায় সাড়ে তিন ফুট কিনে গিয়েছে নতুন গাড়িটি। গাড়ির পিছনের দরজার অংশটি যেন সম্পূর্ণ ছেঁটে ফেলা হয়েছে। সামনের এবং পিছনের দরজা একত্রিত করে একটি কাস্টম ডোর তৈরি করা হয়েছে। গাড়িটি নতুন করে পরিবর্তন করার মুহূর্ত রয়েছে ওই ভিডিওতে। যদিও আগের মতো একই রাখা গিয়েছে বাম্পারগুলি। কেবল মেরামত করা হয়েছে। বদলে ফেলা হয়েছে গাড়ির সামনের হেডলাইট দুটি। সাইড প্রোফাইলে যোগ করা হয়েছে নতুন হুইল কভার। শুধু তাই নয় এই সব পরিবর্তনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বদলে ফেলা হয়েছে গাড়ির রংও। ড্যাশবোর্ডে কালো ও সিলভার কালার স্কিম দেওয়া হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে এক্কেবারে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে এই দুইজন বসার চার চাকা মডেলটি। এখন অপেক্ষা এটাই দেখার যে ভিডিওর জনপ্রিয়তা মাথায় রেখে গাড়ির বাজারে কবে আসতে চলেছে নতুন এই মডেলটি।

More Articles