১৮০-র বেশি আসন পেরোতে পারবে না বিজেপি! কেন এমন বলছেন রাহুল গান্ধি?
BJP Lok Sabha Election Seats 2024: রাহুল গান্ধির দাবি, প্রধানমন্ত্রী এবং ৩/৪ জন পুঁজিপতি মিলে এই ম্যাচ গড়াপেটার কাজটা করছে।
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি ৩৭০ তো দূর অস্ত ১৮০ টা আসনও পাবে না লোকসভা নির্বাচনে। বলছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। কেন এমন দাবি করছেন? রাহুল বলছেন ভোটে জিততে গেলে নরেন্দ্র মোদির বেশ কিছু অস্ত্র প্রয়োজন। এই অস্ত্রগুলি ছাড়া বিজেপির ১৮০ টির বেশি আসন জেতার যোগ্যতাও নেই। ইভিএম, ম্যাচ গড়াপেটা, সোশ্যাল মিডিয়ার কারসাজি এবং গণমাধ্যমকে চাপ দেওয়ার মাধ্যমেই একমাত্র শাসক দল বিজেপি বেশি বেশি আসন নিরাপদ করতে পারে।
রাজধানী দিল্লিতে অনুষ্ঠিত 'লোকতন্ত্র বাঁচাও' সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, "শাসক দল ইভিএম, ম্যাচ ফিক্সিং, সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ এবং গণমাধ্যমকে চাপ না দিয়ে ১৮০-র বেশি আসন পেতে পারে না।"
বিজেপি বিরোধী এই সমাবেশে কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপির শরদ পাওয়ার এবং এএপি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেনও যোগ দেন।
আরও পড়ুন- ইডি তাড়াতেই ৩২০ কোটি! লোকসান সত্ত্বেও কেন বিপুল টাকা অনুদান কেভেন্টার গ্রুপের?
ম্যাচ ফিক্সিং বলতে ঠিক কী বোঝাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি? রাহুল বলছেন ‘৪০০ পার স্লোগান ম্যাচ ফিক্সিং ছাড়া সম্ভব নয়'। প্রধানমন্ত্রী মোদি '৪০০ পার' করার জন্য 'আম্পায়ার' নাকি বেছে নিয়েছেন। রাহুল বলছেন, এখন আইপিএল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যখন আম্পায়ারদের চাপ দেওয়া হয়, খেলোয়াড়দের টাকা দিয়ে কেনা হয় এবং অধিনায়কদের ম্যাচ জেতার জন্য হুমকি দেওয়া হয়, ক্রিকেটে সেই বিষয়টিকে বলা হয় ম্যাচ ফিক্সিং। সামনে লোকসভা নির্বাচন আছে। আম্পায়ারদের বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। "আমাদের দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে দুইজনকে ম্যাচের আগে গ্রেফতার করা হয়েছে,” বলছেন রাহুল।
"কংগ্রেস সবচেয়ে বড় বিরোধী দল এবং নির্বাচনের মাঝেই আমাদের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রচার চালাতে হবে, রাজ্যে কর্মী পাঠাতে হবে, পোস্টার লাগাতে হবে, কিন্তু আমাদের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ কেমন নির্বাচন?" প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। রাহুল গান্ধির আরও দাবি, প্রধানমন্ত্রী এবং ৩/৪ জন পুঁজিপতি মিলে এই ম্যাচ গড়াপেটার কাজটা করছে।
আরও পড়ুন- চৌকিদারই চোর? বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি নির্বাচনী বন্ডই?
কংগ্রেস বলছে, লোকসভা নির্বাচন দেশ ও সংবিধানকে বাঁচানোর নির্বাচন। মোদিবাহিনী যদি এভাবেই ম্যাচ গড়াপেটা করে তাহলে সংবিধান ধ্বংস হয়ে যাবে। সংবিধান জনগণের কণ্ঠস্বর। যেদিন সেই কণ্ঠস্বর শেষ হবে, দেশও শেষ হয়ে যাবে। বিজেপির এক সাংসদ আগেই বলেছিলেন ৪০০ টির বেশি আসন পেলে তারা সংবিধান পরিবর্তন করবেন। সুতরাং বিজেপিকে ঠেকাতে না পারলে দেশের মৃত্যু।
বিজেপি বিরোধীদের এই সমাবেশকে পাল্টা আক্রমণ করে একে 'গণতন্ত্র বাঁচানো'-র বদলে 'পরিবার বাঁচানো' এবং 'দুর্নীতি লোকানো'-র সমাবেশ বলেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মোদি কীভাবে আম্পায়ারদের ব্যবহার করছে তা জেনে বিরোধীরা কি তা ঠেকানোর মতো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পেরেছে? একা কংগ্রেস কি বিজেপিকে ঠেকাতে সক্ষম? ইন্ডিয়া জোট বিষয়টির আর অস্তিত্বই নেই বলা চলে। আঞ্চলিক দল কেউ কাউকে জমি ছাড়ছে না। যে জোটবদ্ধতা বিজেপিকে ঠেকাতে দরকার ছিল সেই অস্ত্র মজুত না রেখেই বিজেপিকে ১৮০-টি আসনে আটকানো আকাশকুসুম নয় কি?