ক্ষতবিক্ষত দেহ, আরজি কর-এর তরুণীকে নৃশংস খুনের ইঙ্গিত

R G Kar Rape Case: খুনের আগে মারধর করা হয়েছিল? নাকি অন্য কিছু? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরজি করের চিকিৎসকের বাবা মায়ের কথাই মিলল। অর্থাৎ খুনই করা হয়েছে তরুণীকে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত। মৃতার দেহে অন্তত ১০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে পুলিশের দাবি, তরুণীর দুই চোখ থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। মুখে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। মৃতার যৌনাঙ্গ থেকেও রক্তপাত হয়েছে।

ময়নাতদন্তেত রিপোর্ট অনুয়ায়ী মৃতার বাম পায়ে, পেটে, বাম পায়ের গোঁড়ালিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘাড়ে ডান হাতের আঙুলে (অনামিকা) আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাত রয়েছে নাকে মুখেও।

শুক্রবার সকালে আরজি করের ইমারজেন্সি বিভাগের সেমিনার হলে নীল কার্পেটে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ওই কার্পেটে প্রচুর চুল ও রক্তের দাগ মিলেছে। ধস্তাধস্তির ইঙ্গিত এই রক্তের ছোপ? আততায়ী কি পূর্বপরিচিত? প্রতিশোধস্পৃহা ছিল খুনের মোটিফ? প্রশ্ন উঠছে।

শুক্রবার সকালে সোদপুর নিবাসী চিকিৎসকের দেহ যখন উদ্ধার হয়, দেহের পশ্চিম দিকে মাথা ছিল আর পূর্ব দিকে পা ছিল। পোশাক ছিল অবিন্যস্ত। মৃতার পরণে ছিল গোলাপি কুর্তি।

সূত্রের খবর, মৃতার দেহের বাম পাশে পড়ে ছিল তাঁর জিন্স। তাঁর যৌনাঙ্গের কাছে একটি চুলের ক্লিপ পাওয়া গিয়েছে। ক্লিপের ভাঙা একটি অংশ পড়ে ছিল অন্যত্র।

খুনের আগে মারধর করা হয়েছিল? নাকি অন্য কিছু? সমস্ত দিক খতিয়ে  দেখছে পুলিশ। শেষ পাওয়া খবরে সিট গঠনের পড়েই এই ঘটনায় ধরা পড়েছে এক ব্যক্তি। ব্যক্তি সিভিক পুলিশ হিসেবে কর্তব্যরত। সঞ্জয় রায় নামক ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

More Articles