মানুষের সমর্থন ছাড়া দুর্নীতি হয় না, রাজ্যকে ভাগাড় করেছে জনতাই?
Corruption in West Bengal: নিজেরা রুখে দাঁড়াতে পারি না। কিন্তু বিচারপতি রাজনৈতিক নেতাদের দুটো কড়া কড়া কথা বললে অদ্ভুত উত্তেজনা বোধ করি।
বিনয় মিশ্রকে মনে আছে? হয়তো অনেকের মনে পড়ছে। অনেকে স্মৃতি হাতড়ে মনে করার চেষ্টা করছেন। একজন রাজনৈতিক নেতা। যার ওঠা-বসা শাসক দলের শীর্ষ স্তরের নেতাদের সঙ্গে ছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল দুর্নীতির। কয়লা-গরু ইত্যাদি অনৈতিকভাবে পাচার করার অভিযোগে তাকে খোঁজা শুরু হলো। বছর দুয়েক তো হলোই, তাকে পাওয়া গেল না এখনও। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সে কোন এক অজানা বিলাসবহুল দ্বীপে গিয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। সে নাকি কোটি কোটি টাকার মালিক। দেশ থেকেই সে পালিয়ে গেল। কেউ তাকে ধরতেই পারল না।
বিনয় মিশ্র এখন আমাদের স্মৃতির আড়ালে। একজন সাধারণ নেতা কোটি কোটি টাকার আড়ালে চলে গেল। তাকে আর কেউ খুঁজে পাচ্ছে না। তাকে নিয়ে আর আলোচনাও হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের নাট্যমঞ্চে এখন অন্য অনেক ঘটনার ঘনঘটা। এখানে এখন কুশীলব অনেক। কত নাম, কত ঘটনা ভেসে উঠছে। আবার তলিয়েও যাচ্ছে। সারদা, নারদ- এসব এখন অতীত। এমনকী কয়লা-গরু পাচার নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও অতীত। শিক্ষা-দুর্নীতির 'ওয়েব সিরিজ' দেখতে দেখতেও আমরা ক্লান্ত। সেই কবে দেখেছি ,প্রাক্তন মন্ত্রীর বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হচ্ছে থরে থরে সাজানো কোটি কোটি টাকা। একের পর এক মন্ত্রী থেকে বিধায়ক থেকে শিক্ষা দফতরের কর্তাদের গ্রেফতারি। এসব তো ওয়েব সিরিজেই হয়!
সেই কবে দেখেছি বীরভূমের চড়াম-চড়াম-খ্যাত নেতার বাড়ি ঘিরে ফেলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর গোয়েন্দারা বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করছে। এমনকী তাঁর ল্যংচা-কচুরি খেয়ে দিল্লির তিহার জেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার ঘটনাও কেমন যেন এক দিনের ক্রিকেট ম্যাচের মতো শেষ হয়ে গেল। বিনয়ের মতো কুন্তল নামেরও এক অপরিচিত নেতার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হঠাৎ উঠে এল তদন্ত-সূত্রে। টাকার বিনিময়ে চাকরি বেচার গল্প। তার সূত্রেই কত নাম, কত মুখ। সে সবও তলিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- গায়ে দাগ লাগেনি এতটুকুও, ভাঙা সরকারি বাড়িই আশ্রয় বামফ্রন্ট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে-র
এখন বাজারে ২২-লাখি গাড়ির সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ! তৃণমূলের ঘোষের তোপে সিপিএমের ঘোষ লম্বা সাফাই দিলেন বাবার একগাদা ব্যাঙ্কের কাগজপত্তর দেখিয়ে। সঙ্গে কুকথার ফুলঝুড়ি ফ্রি। প্রয়োজনীয়তা ও বিলাসিতা সব গুলিয়ে গেল। এই নাট্যমঞ্চেই এখন চলছে অন্য এক সিপিএম নেতার গুষ্টির তুষ্টি। স্বজন পোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগে। তৃণমূলের ঘোষবাবু বুঝেও না বোঝার ভান করছেন, যে তাঁর দলের দিকে আঙুল উঠলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। এর সঙ্গে তো আছেই ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন। তাদের 'চোর-ডাকাত-চিরকূটধারী' বলে দাগিয়ে দেওয়া। সে তো তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে 'ঘেউ ঘেউ' করছেনই।
তো রাজ্য জুড়ে রঙ্গের কোনও অভাব নেই। প্রশাসনিক ও শাসক দলের নেতারা এমন ভাব করছেন যেন, এ দুর্নীতিতে তাঁদের কোনও দায় নেই। সবাই ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি করেছেন। সুতরাং তাঁরাই নিজেদেরটা বুঝে নেবেন। এতে সরকার বা রাষ্ট্রের কোনও ভূমিকা নেই। বরং তোপ দাগা শুরু হয়েছে আদালতের দিকে। বিচারপতিই শুধু শুধু এক কলমের আঁচড়ে হাজারে হাজারে চাকরি খেয়ে নিচ্ছেন। চাকরি দিতে তো হয় সরকারকেই। সরকার তো চাকরি দিচ্ছে, দিতে চায়। কিন্তু আদালত সেই চাকরিই তো খেয়ে নিচ্ছে। শাসক নিরুপায়!
তোপ দাগা হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দিকে। কেন্দ্রের শাসক দল বিরোধী দলকে ভয় দেখাচ্ছে এজেন্সি দিয়ে। এ আশঙ্কা অমূলক নয়। তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তেলেঙ্গানার কে কবিতা, দিল্লির মনীশ সিসোদিয়া, কর্ণাটকের ডি শিবকুমার, বিহারের তেজস্বী যাদব- সবাইকে ইডি বা সিবিআই ডাকছে বা গ্রেফতার করছে দুর্নীতির অভিযোগে! যে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নারদা টেপে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল, যে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, ইয়েদুরাপ্পা বা ব্যাপম নিয়ে শিবরাজ সিং চৌহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, সব ধামাচাপা পড়ে গেল! তাঁরা সব ধোয়া তুলসি পাতা হয়ে গেলেন বিজেপি নেতা বলে!
সবই ঠিক আছে, কিন্তু এই রঙ্গমঞ্চের নাট্যে-কুনাট্যে আমরা আসল বিষয়টিই ভুলে যাচ্ছি। এক ভয়ঙ্কর দুর্নীতির চাদরে চাপা পড়ে আছি আমরা। এই দুর্নীতিতে রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ সবাই পারস্পরিক ভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
এখন অনেকেই অস্বীকার করতে পারেন। বিস্মৃত হতে পারেন। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কীভাবে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিধায়ক-কোটার তালিকা ঘুরে বেরিয়েছে মন্ত্রীর অফিসে-কেবিনে, তা ক্ষমতার অলিন্দে যাঁদের যাতায়াত রয়েছে, তাঁরা নিশ্চয়ই ভোলেননি। বাম আমলেও এসব হয়েছে বলে যাঁরা হাওয়া ঘোরানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের বলে রাখা ভালো যে খাতায়-কলমে আমরা এখনও গণতন্ত্রেই বাস করি। এখানে আইনের শাসন চলবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা এখানে শক্তির শাসনের পুজো করছি। তা সে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কূটকাচালি হোক বা ইডি-সিবিআইয়ের অভিযান। সরকার আইনের পথ নিলে কারও কিছু বলার নেই।
এতদিন পর্যন্ত কোনও আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে সরকারি কর্মীদের চোর-ডাকাত বলা বা চিরকূটে চাকরি হয়েছে বলার মধ্যে আর যাই হোক, আইনের শাসনের হুঙ্কার নেই। শক্তি প্রদর্শনের হুঙ্কার রয়েছে মাত্র। একইভাবে ইডি-সিবিআই দিয়ে জেরা-জিজ্ঞাসাবাদ বা দু'চারটে গ্রেফতারের মধ্যে শক্তি প্রদর্শন রয়েছে। কিন্তু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করার আইনি শাসন নেই।
সারদা বা চিটফান্ড তদন্তের কী হল? তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জেল খেটে এলেন। জেলে ছিলেন আরেক প্রয়াত সাংসদ তাপস পাল। মন্ত্রী মদন মিত্র, বর্তমান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষরা একবার করে টেনে এসেছেন জেলের ঘানি। তারপর?
নারদা-মামলায় মন্ত্রী-বিধায়কদের হঠাৎ এক সকালে গ্রেফতার করা হল। তাঁরা জামিন পেলেন। তারপর? কয়লা-গরু পাচার নিয়ে যুবরাজকে দু'চার বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হল। তারপর?
ভারতীয় রাজনীতি দুর্নীতির আস্তাবল বলে পরিচিত হলেও, গত দু'তিন দশকে কতজন রাজনীতিক দুর্নীতির কারণে অভিযুক্ত হয়ে জেলে গেছেন? হাতে গোনা যায়। লালুপ্রসাদ, জগন্নাথ মিশ্র, মধু কোড়া, জয়ললিতা - এরকম কয়েকজন রয়েছেন বটে। কিন্তু প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম হোন বা টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার মতো অনেকেই জেলে গেছেন দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে। কিন্তু তাদের দোষী প্রমাণ করা যায়নি বা হেনস্থা করা হয়েছে। আইনের শাসন নেই বলেই।
সমাজের যে স্তরেই দুর্নীতি হোক না কেন তা রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া সম্ভব নয়। দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থাও রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া হয় না। দুর্নীতি রাষ্ট্রীয় স্তরে হোক বা ব্যক্তিগত স্তরে - তাতে রাষ্ট্রের ভূমিকা থাকবেই। রাষ্ট্র দুর্বল হলে ব্যক্তিগত স্তরে দুর্নীতি বাড়বেই। ওই যে আইনের শাসনের অনুপস্থিতি!
ক্ষমতার অপব্যবহার করে কারও ব্যক্তিগত সুবিধা পাইয়ে দেওয়াই তো দুর্নীতি। তা টাকার বিনিময়েই হোক বা অন্য কিছুর বিনিময়ে। এখানে টাকা বা 'অন্য কিছুর'-র সরবরাহকারী কিন্তু আমরাই। এই সমাজ। ভেবে দেখুন, কত হাজার ছেলেমেয়ে শিক্ষক হিসেবে চাকরি পাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের। কয়লা বা গরু পাচারের টাকা যদি নেতাদের পকেটে গেছে, তবে সেই টাকার জোগানও তো দিয়েছে কোনও ক্রেতা- যিনি বেআইনি পদ্ধতিতে কয়লা বা গরু কিনেছেন!
যদিও ব্যক্তিগত স্তরে বা বেসরকারি স্তরেও দুর্নীতি রয়েছে। কিন্তু যে দুর্নীতিতে রাষ্ট্র এবং সরকার জড়িত সেখানে এই টাকার জোগানকারী মানুষদের কথা আমরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবি না। যে রাষ্ট্রে সম্পদ বা পরিষেবা সীমিত, তা একটু বেশি টাকার বিনিময়ে যদি পাওয়া যায়, সেই চেষ্টাই তো এই মানুষগুলি করেছেন। সেই চেষ্টাই আমরা ছোট থেকেই করে আসছি বা জেনে এসেছি।
ছেলেমেয়ের স্কুলে ভর্তির জন্য একটু বেশি 'ডোনেশন' বা ট্রাফিক পুলিশের হাতে একশো টাকা গুঁজে দেওয়া হোক বা পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য বখশিস হোক বা সরকারি কাজের জন্য দফতরে গিয়ে কোনও কর্মচারিকে একটু 'মিষ্টিমুখ' করার জন্য কিছু দেওয়া হোক- সবটাই আমাদের জানা ও প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এসবের জন্য ‘ঘুষ’ শব্দটিও তাই আমরা আজকাল ব্যবহার করতে চাই না।
তবে রাষ্ট্রের দুর্নীতি তখনই বাড়ে যখন সরকারে একনায়কতন্ত্রের প্রভাব দেখা যায়। সমস্ত ক্ষমতা সরকার কুক্ষিগত করে রাখে। বিরোধী পরিসর কমে যায়। একদল বড়লোক মানুষের হাতেই থাকে সরকারের নীতিকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা এবং দেশের ধনসম্পদ। তাই তো যতই দুর্নীতি হোক, দুর্নীতির অভিযোগ উঠুক, সরকারের প্রধানেরা প্রায় নির্বিকার। তাঁরা যেন স্বচ্ছ। বাকিটা অস্বচ্ছ।
আরও পড়ুন- দেশের সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! জেনে নিন তাঁর ‘সামান্য’ সম্পত্তির পরিমাণ
কিন্তু দুর্নীতি সবাই টাকার জন্য করেন না। ক্ষমতার দম্ভেও অনেকে দুর্নীতি করেন। তাঁদের টাকা না হলেও চলে, তাঁরা বিলাসবহুল জীবনযাপন নাই করতে পারেন। কিন্তু তাঁরা ক্ষমতা ভোগ করতে চান। তাঁর পুরো ব্যবস্থাটিকে প্রভাবিত করতে চান। তাঁরা নিজেদের ইচ্ছেমতো কাউকে শাস্তি দিচ্ছেন না বা দিচ্ছেন, সেটাই তাঁদের কাছে আনন্দের। তাঁদের কাছে দুর্নীতি যেন একটি সাধারণ ব্যাপার। অথচ রাষ্ট্র এবং সরকারের কল্যাণে এই দুর্নীতিতে লাভবান হয় মুষ্টিমেয় লোকেদের একটি গোষ্ঠী।
আমাদের সমাজও এই দুর্নীতিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আমাদের ঘরে এসে না পড়লে সেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত মানুষদের আপাত পরিস্থিতি দেখে আমরা শুধুই আমোদ লাভ করি। তাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত মন্ত্রী কাকে চুমু ছুঁড়ে দিলেন, তা নিয়েই গসিপ করি। জেল খাটা মন্ত্রী কত জন নায়িকার সঙ্গে নাচলেন, তা আমাদের আলোচনার বিষয় হয়। কোন নায়ক দুর্নীতির টাকায় কত লক্ষ টাকার গাড়ি কিনলেন, সেই খবর নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ‘দুর্নীতি’ দূরে চলে যায়। তাই সারদা-নারদের পরেও শাসক দলকে নির্বাচনে ওয়াকওভার দিয়ে দিই আমরাই।
নিজেরা রুখে দাঁড়াতে পারি না। কিন্তু বিচারপতি রাজনৈতিক নেতাদের দুটো কড়া কড়া কথা বললে অদ্ভুত উত্তেজনা বোধ করি। আদালত অভিযুক্তদের জেলে পাঠালে মজা পাই। সেই ছবি বার বার দেখে আত্মসুখ হয়।
এটা ভেবে উঠতে কষ্ট হয়, যে এই দুর্নীতির কারণে একটি রাজ্যের পুরো সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাটি কীভাবে ভেঙে পড়ছে। বেসরকারিকরণ বা কোনও একটি গোষ্ঠীর লাভের দরজা কীভাবে খুলে দিচ্ছে সরকার। ভাবতে কষ্ট হয়, এই দুর্নীতিতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়ছে গরিব মানুষেরা। প্রান্তিক মানুষেরা। এই রাষ্ট্রের সম্পদ যাতে প্রত্যেকটি নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে, তা চলে যাচ্ছে একদল লোকের হাতে। একদল রাজনীতিক সেটি নিয়ন্ত্রণ করছেন। যে সম্পদ কোনও যোগ্য ব্যক্তির হাতে যাওয়ার কথা ছিল, তা চলে যাচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু মানুষের হাতে।
ভাবতে কষ্ট হয়, যে রাজ্যে বড় শিল্প নেই, সেই রাজ্যে শুধু ঘুষ-বাবদ এত কোটি কোটি টাকার লেনদেন কীভাবে হয়ে চলেছে! হয়তো সঞ্চিত ধন বা জমি বিক্রির টাকা বা সরকারি প্রকল্পের টাকাই জনগণের হাত ঘুরে এই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের পকেটস্থ হচ্ছে।
আমরা নির্বিকার। আমরা শুধুই নাটক দেখছি। এই রঙ্গমঞ্চে যার যেরকম আবির্ভাব হচ্ছে, তেমনই দেখে চলেছি নাটক। কারণ দুর্নীতি আমাদের মজ্জাগত। দুর্নীতি দেখলেও আমাদের গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে না। ওটা জলভাত হয়ে গেছে।