বাসি দুধেই মিষ্টিমুখ! এবার পুজোয় বাড়িতেই সহজে বানিয়ে ফেলুন এই পদগুলি
নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ দিয়েও বানিয়ে ফেলতে পারেন জিভে জল আনা মিষ্টি।
দুধ বাসি হয়ে গেলে অনেকেই তা ফেলে দিতে চান! কারণ ধরে নেওয়া হয়, তা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু কোনও কিছুই যে ফেলা যায় না, বা নষ্ট হয় না, যদি বুদ্ধি করে তা দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায় সুস্বাদু খাবার। নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ দিয়েও বানিয়ে ফেলতে পারেন জিভে জল আনা মিষ্টি। রইল সেইসব মিষ্টির রেসিপি।
রসমালাই
রসমালাই, নামটা শুনলেই জিভে জল আসে। খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে বানিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলা যেতে পারে রসমালাই।
প্রথমেই নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধকে ভালো করে নেড়ে নিয়ে খোয়া ক্ষীর তৈরি করে নিতে হবে, যাতে এর মধ্যে একটুও জল না থাকে। এরপর এর মধ্যে দু'টেবিল চামচ পরিশোধিত ময়দা মিশিয়ে নিয়ে ভাল করে মাখতে হবে, তারপর ছোট ছোট গোল্লা পাকিয়ে নিতে হবে। একটি প্যানে ১/৪ কাপ দুধ, ৪ চামচ চিনি, এলাচদানা ও জল দিয়ে রস বা সিরাপটা বানিয়ে নিতে হবে। এরপর তার মধ্যে আগে থেকে বানিয়ে রাখা বলগুলো দিয়ে দিন ও ভালো করে মজে যাওয়ার জন্য ফ্রিজে রাখুন। তার কিছুক্ষণ পরেই তৈরি হয়ে যাবে রসমালাই।
ডোনাটস
একটি পাত্রে ৩ কাপ ময়দা, ১ চামচ বেকিং সোডা, ২ চামচ বেকিং পাউডার, দারুচিনি গুঁড়ো ও লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি পাত্রে ২টো ডিম, ১/২ কাপ চিনি, ১ কাপ কেটে যাওয়া দুধ ও ২ চামচ মাখন মিশিয়ে নিতে হবে। ভালো করে মেখে নিন, আর তারপর ২-৩ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রাখুন। এবার ডোনাট কাটারের সাহায্যে ময়দা কেটে নিন আর তারপর সোনালি রং না হওয়া পর্যন্ত তেলে ভেজে নিন।
মিল্ক কেক
মিল্ক কেক খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ কিন্তু কমই আছেন। বিশেষ করে বাড়ির বাচ্চারা তো ভীষণই পছন্দ করে মিল্ক কেক। এটা তাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। বানিয়ে দেওয়া যেতে পারে স্কুলের টিফিনেও।
একটি বাটিতে ৩ চামচ মাখন, ৩ চামচ চিনি, লবণ, বেকিং সোডা, ২ কাপ ময়দা, ১ কাপ নষ্ট হওয়া দুধ, ১ কাপ জল, ও ১টি ডিম মিশিয়ে নিন ভাল করে। এরপর পুরো মিশ্রণটি বেকিং ট্রে-তে একটু তেল লাগিয়ে ঢেলে দিন। তারপর ২৫ মিনিটের জন্য ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দিয়ে বেক করে নিলেই বানানো হয়ে যাবে সুস্বাদু মিল্ক কেক।
আর যদি ভাতও কিছুটা থেকে যায়,বা একই রকম ডাল-ভাত, রুটি-সবজি খেতে খেতে মুখ পচে গিয়ে থাকে তাহলে এই রেসিপিগুলো ফেরাবে মুখের রুচি। অনেক সময় একই রকমের খাবার খেতে বাচ্চারা বিশেষ করে ঘ্যানঘ্যান করে,তাদের জন্যও এই রেসিপিগুলো প্রিয় হয়ে উঠতে পারে। তাই একবার ট্রাই করা উচিত ভারতের এই রেসিপি গুলো। এগুলো যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনই পেটকেও ভর্তি রাখে বহুক্ষণ।
বাদাম রাইস
শুকনো চিনাবাদাম, ডাল, তিল, নারকেল ও শুকনো লঙ্কা নিয়ে মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। তারপর তেল গরম করে তার মধ্যে কিছুটা সাদা সরষে দানা ও ৩ টেবিল চামচ চিনাবাদাম দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। এবার এর মধ্যে ১ কাপ ভাত, কারিপাতা, ও আগে বানিয়ে রাখা মশলার গুঁড়োটা দিয়ে দিন। এরপর স্বাদমতো নুন দিয়ে নামিয়ে নিন আর গরম গরম পরিবেশন করুন।
ক্যাবেজ রাইস
একটি প্যানে তেল গরম করে নিন তারপর এর মধ্যে সরষের দানা, কারি পাতা, গোটা জিরে ফোড়ন দিন। এরপর আস্তে আস্তে পেঁয়াজ কুচি, কারি পাতা, কাঁচা লঙ্কা, বাঁধাকপি গ্রেট করে নিতে হবে, গাজর ও ক্যাপসিকাম গ্রেট করে নিয়ে তেলের মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর এতে লঙ্কার গুঁড়ো, গরম মশলা আর স্বাদমতো নুন দিন। আগে থেকে করে রাখা ভাত দিয়ে দিন প্যানে। মিনিটপাঁচেক ভালো করে কষিয়ে রান্না করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ক্যাবেজ রাইস।
টম্যাটো রাইস
কড়াইতে তেল গরম করে সরষে, জিরে, লবঙ্গ ও কারিপাতা দিয়ে দিন। তারপর হালকা আঁচে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা ও আদা-রসুনের পেস্ট দিয়ে ভালো করে কষতে হবে। এরপর এর মধ্যে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ও স্বাদ মতো লবণ দিয়ে নাড়ুন। আগে থেকে বানিয়ে রাখা ভাত ১ কাপ মিশিয়ে দিন প্যানের মিশ্রণের সঙ্গে, আর তারপর গরম গরম পরিবেশন করুন।