ঘুরে ঘুরে সাবান বিক্রি থেকে বারবার বিবাহবিচ্ছেদ: মহাশ্বেতা দেবীর জীবনে ছিল নানা চড়াই-উতরাই
“আমি লিখছি। আমার ঠিক নিচ দিয়ে নদী বয়ে যাচ্ছে। আমি ভেতরে তার কথা শুনতে পাচ্ছি। পাথুরে মাটি নিষ্ফলা গাছের জংলা বন, দিগন্ত অবধি ঢেউ খেলানো উদ্ধত পাহাড়। আমার গায়ে লাগছে হিমেল বাতাস। ওরা সবাই আমাকে বলে চলেছে, ‘আমরা যেমন চিরকালের, সংগ্রাম, বীরসার সংগ্রামও তাই। কিছুই ফুরোয় না। পৃথিবীতে—মুণ্ডারী দেশ-মাটি-পাথর-পাহাড়-বন-নদী-ঋতুর পর ঋতুর আগমন–সংগ্রামও ফুরোয় না, শেষ হতে পারে না। পরাজয়ে সংগ্রাম শেষ হয় না। থেকে যায়, কেননা মানুষ থাকে, আমরা থাকি।
আমি শুনছি। বিশ্বাস করতে এখনো পারছি না। তবে শুনতে শুনতে তোমার মাকে দেখতে দেখতে, একদিন বিশ্বাস করতে পারব তাও জানি বীরসা। এখন শুধু শুনি তবে? উলগুলানের শেষ নাই। বীরসার মরণ নাই। উলগুলানের শেষ নাই। বীরসার মরণ…!
আমাকে শুনতে দাও। শুনতে না শিখলে আমি বিশ্বাস করব কেমন করে?”
— অরণ্যের অধিকার
‘অরণ্যের অধিকার’ যখন লেখা হচ্ছে, ১৯৭৭, তখনও খুব সাজনো-গোছানোভাবে সাবঅল্টার্ন স্টাডিজের জন্ম হয়নি। কাজ অবশ্যই চলছে। রণজিৎ গুহ একে একে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। ‘আ রুল অব প্রপার্টি’ বেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু বিখ্যাত ‘এলিমেন্টারি অ্যাসপেক্টস্ অব পিজান্ট ইনসার্জেন্সি’ বেরতে তখনও বছর ছয় বাকি। প্রথম বইটি ও দ্বিতীয় বইটির মধ্যে কুড়ি বছরের ফারাক। কাজ অবশ্যই চলছিল, কিন্তু ‘এলিমেন্টারি অ্যাসপেক্টস্’ ইতিহাস রচনার যে ধারার সূচনা করল, তা ’৭৭ সালে তেমন দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে নকশাল আন্দোলন হয়ে গিয়েছে। বাংলার ‘আধুনিক’ প্রেক্ষাপটকে যে আন্দোলন ভালভাবে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। দলিত, আদিবাসী সম্প্রদায়কে নিয়ে বামপন্থী, ডানপন্থী– কোনও রাজনীতিরই তেমন চিন্তা-ভাবনা ছিল না। কিন্তু নকশাল আন্দোলনে অংশগ্রহণ মধ্যবিত্ত আলোর গণ্ডিতে এঁদের একটা স্বল্পস্থায়ী হলেও দীর্ঘ ছায়া ফেলেছিল।
১৯৭৪-এ শান্তি চৌধুরীর অনুরোধে বীরসাকে নিয়ে লিখছিলেন মহাশ্বেতা। বীরসার সঙ্গে সেই আলাপ। ধীরে ধীরে বীরসা তাঁকে ঘিরে ফেলতে থাকে। ইতিহাসের নানা তথ্য ঘেঁটে এবং দিনের পর দিন আদিবাসী এলাকায় পড়ে থেকে লেখা হয় ‘অরণ্যের অধিকার’। এর প্রায় বছরদশেক পরে নিম্নবর্গীয় মানুষেরর অর্গানাইজড্ ইতিহাসের সূচনা। যদিও সমাজনীতি ও অর্থনীতিই রাজনীতির মূল বলে মনে করতেন তিনি। মার্ক্সীয় এই ‘বেস’ বা ভিত্তির ধারণা বহু সমালোচিত ও বিতর্কিত। নিম্নবর্গের ইতিহাসও এই ধারণাকে সমস্যায়িত করবে। তবু সেদিনও সাহিত্যিক ক্ষেত্রটিতে ‘অরণ্যের অধিকার’-এর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। আজও।
৮ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে অরিন্দম শীলের ছবি ‘মহানন্দা’। ছবির তোড়জোড় যদিও বছর তিনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ গবেষণার পর চিত্রনাট্য লিখেছেন শুভেন্দু দাশমুন্সি ও অরিন্দম শীল। গার্গী রায়চৌধুরী ‘মহানন্দা ভট্টাচার্য’ ওরফে মহাশ্বেতা–আধারিত নামভূমিকায় অভিনয় করছেন। বিজন ভট্টাচার্যর চরিত্রে দেবশংকর হালদার। রয়েছেন ইশা সাহাও। অনেকগুলি সময়বৃত্ত পরস্পরকে ছেদ করে ছবির বয়ান নির্মাণ করছে। সেখানে যেমন একদিকে উঠে আসছে নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিহাস লেখার ইচ্ছা নিয়ে গবেষণারত একটি মেয়ের দৃষ্টিকোণ রয়েছে, আবার তার প্রেমিকের দৃষ্টিকোণ, সিপিএম-এর জমি অধিগ্রহণ পর্ব, সেই ঘটনায় মহানন্দার প্রতিক্রিয়া, সাহিত্যজীবন, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, দাম্পত্যজীবন– সবই উঠে এসেছে। সিনেমায় প্রসথেটিক্স ও আলোর ব্যবহার অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহাশ্বেতার সমাজকর্মী বা সাহিত্যকর্মী-জীবন যতটা আলো পায়, নন্দীগ্রাম বিতর্ককে ততটা আলো দেওয়া হয় না। কিন্তু সেই বিতর্কিত অধ্যায় এই সিনেমায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছে।
আরও পড়ুন: অন্তরালে থাকার সময় কার সঙ্গে দেখা করতেন সুচিত্রা সেন!
১৯২৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকা শহরের আরমানিটোলার ১৫ নম্বর বাড়িটিতে মহাশ্বেতার জন্ম। জিন্দাবাহার লেনের এই বাড়িটি মহাশ্বেতার মামার বাড়ি। বাবা মণীশ ঘটক ‘যুবনাশ্ব’ ছদ্মনামে কল্লোলে অত্যন্ত নাম করেছেন। মা ধরিত্রী দেবী। কাকা ঋত্বিক ঘটককে আন্তর্জাতিক সিনেমার জগৎ চেনে এক ডাকে। পিতৃকুল ও মাতৃকুলের দিক দিয়ে কয়েক প্রজন্মের খ্যাতির পরিমণ্ডল মহাশ্বেতা জন্মসূত্রেই পেয়েছেন। কাজেই একথা আজ স্বীকার করতে অসুবিধে নেই, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রটিতে মহাশ্বেতা যথেষ্ট প্রিভিলেজড্। মোট নয় ভাইবোন। তবে সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রটিতে নাম করেছিলেন একা মহাশ্বেতাই। ১৯২৯ সালে মণীশ প্রেসিডেন্সি থেকে বিএ পাশ করে আয়কর বিভাগে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় বদলির জীবন। ঢাকার ইডেন মন্টেসরি স্কুলে বছরচারেক বয়সে শিক্ষাজীবন শুরু তাঁর। যদিও তা নিয়মিত ছিল না। এরপরে মেদিনীপুর হয়ে শান্তিনিকেতন। তখন তাঁর বয়স দশ। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসতে হল কলকাতায়। তেরো বছর বয়সে অসুস্থ মা ও অন্যান্য ভাইবোনদের দেখশোনার দায়িত্ব নিতে হল মহাশ্বেতাকে। এই সময় কাকা ঋত্বিক ঘটকের অনুপ্রেরণায় ইংরেজি সাহিত্যের দিকে তাঁর একটা ঝোঁক তৈরি হয়। পরের বছর, ১৯৪০-এ ছোটদের পত্রিকা ‘রংমশাল’-এ তাঁর প্রথম লেখা ছাপা হল। ’৪২-এ আশুতোষ কলেজে ভর্তি এবং কমিউনিস্ট পার্টির টুকটাক কাজকর্ম। তখন অবিভক্ত সিপিআই। এরপর নানা ঘটনাবলির মধ্যে দিয়ে লড়তে লড়তে পথ চলা। বারদুয়েক ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টাও করেছেন নিজেই। ১৯৪৪-এ রংপুরে গেলেন মণীশের বদলিসূত্রে। সেখানেই গণনাট্য সংঘের সঙ্গে যোগাযোগ। সে-বছর শেষের দিকে আবার ফিরলেন শান্তিনিকেতন। উদ্দেশ্য বিএ সম্পূর্ণ করবেন। ছোট বোন মিতুল তখন সংসারের দায়িত্ব নিয়েছে। শান্তিনিকেতনে পড়াকালীন নানা সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ চলছিল। ‘দেশ’ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক সাগরময় ঘোষের কথায় ছোটগল্প লেখা শুরু মহাশ্বেতার। গল্প প্রতি দশ টাকা পাওয়া যেত তখন। ’৪৬-এ সাম্মানিক স্নাতক। ফিরে এলেন কলকাতায়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ পড়বেন বলে। কিন্তু সে-বছর দাঙ্গার জেরে বন্ধ হয়ে গেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমএ করা আর হয়ে উঠল না। এর প্রায় সতেরো বছর পরে ১৯৬৩-তে এমএ সম্পূর্ণ করেন মহাশ্বেতা।
বিজন ভট্টাচার্যর সঙ্গে মহাশ্বেতার বিয়ে হয় ’৪৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। সেই বছরই দেশ স্বাধীন হল। বিজন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। কোনও অর্থনৈতিক উপার্জন ছিল না বিজনের। ’৪৮ সালে পদ্মপুকুর ইন্সটিটিউটে শিক্ষকতা শুরু করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পোস্টাল অডিটে একটা চাকরিও পান ১৯৪৯-এ। কিন্তু বারদুয়েক সেই চাকরি থেকে মার্ক্স, লেলিনের বই রাখা ও কমিউনিস্ট যোগাযোগের অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। আর সরকারি চাকরিতে ফেরার কোনও চেষ্টা করেননি। চাকরি চলে যাওয়ার পর বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাপড় কাচার সাবান বিক্রি করেছেন, সকাল-বিকেল টিউশনি করেছেন। ’৪৮-এ পুত্র নবারুণ ভট্টাচার্যর জন্ম। ওইরকমভাবে ঘুরে ঘুরে সংসার-সন্তানের দেখভাল করেছেন মহাশ্বেতা। ’৫৭ সাল নাগাদ রমেশ মিত্র বালিকা বিদ্যালয়ে ফের শিক্ষকতা। এতে আর্থিকভাবে খানিকটা থিতু হন।
’৬২ নাগাদ বিজনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় মহাশ্বেতার। এই ছবিতে সেই পর্বও উঠে এসেছে। এই বিবাহবিচ্ছেদের মূলে ছিল আদর্শের দ্বন্দ্ব, ব্যক্তিগত বিভেদের থেকেও বড় ভূমিকা যা পালন করেছিল। পরের বছর এমএ পাশ করে ’৬৪ সালে বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজে ইংরেজি অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন মহাশ্বেতা। সেই সময়েই দ্বিতীয় বিয়ে। অসিত গুপ্তর সঙ্গে সেই বিয়েও টেকেনি। ’৭৬ নাগাদ সেই বিয়েও ভেঙে যাচ্ছে। লেখালেখিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে ১৯৮৪-তে চাকরি থেকে অবসর। এর মধ্যেই ১৯৫৫-তে প্রকাশিত হয়েছে ‘ঝাঁসির রানি’। সুমিত্রা দেবী ছদ্মনামে লিখছেন বেশ কিছু গল্প। একে একে ‘নটী’, ‘অমৃত সঞ্চয়ন’, ‘আঁধার মাণিক’। নকশাল আন্দোলনের পরপরই লেখা হচ্ছে ‘হাজার চুরাশির মা’ এবং একরকম সেই পথ বেয়েই ’৭৭-এ ‘অরণ্যের অধিকার’।
বীরসার জীবন মহাশ্বেতার জীবনকে প্রভাবিত করেছিল অনেকাংশে। মুণ্ডা বিদ্রোহ অবলম্বনে রচিত এই উপন্যাস যখন সাহিত্য অকাদেমি পেল, তখন মুণ্ডারা প্রায় একমাস ধরে মেলা, উৎসব–নাচগানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছিল সেই ঘটনা। আদিবাসী জগতে এরপরে মহাশ্বেতার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। এই বীরসাকেই আমরা দেখি সিনেমার মহানন্দার নির্জ্ঞানের ভেতর অবাধ গতায়াতে, যে চরিত্রে মনে রাখার মতো অভিনয় করেছে উজান চট্টোপাধ্যায়। ধীরে ধীরে ঋজু, অনমনীয় এক ব্যক্তিত্ব আমাদের সামনে উন্মোচিত হয়। আজীবন বামপন্থী রাজনীতিতে থেকেও যে ব্যক্তিত্ব ছুঁড়ে ফেলে দেয় সিপিএমের সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণের নামে অবাধে চালানো গণহত্যার অত্যাচারী সঙ্গকে। সেই সময় প্রধান বিরোধী মমতার পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে পথে নেমেছিলেন মহাশ্বেতা। ‘বসাই টুডু’ (১৯৭৮), ‘মাস্টার সাব’ (১৯৭৯), ‘অক্লান্ত কৌরব’ (১৯৮২), ‘সুরজ গাগরাই’ (১৯৮৩), ‘তিতুমীর’ (১৯৮৪), ‘টেরোড্যাকটিল’, ‘পূরণ সহায় ও পিরথা’ (১৯৮৯), ‘প্রথম পাঠ’ (১৯৮৯), ‘ক্ষুধা’ (১৯৯২) একে একে দলিত-আদিবাসী জীবনের প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে তাঁর উপন্যাসে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরৎচন্দ্র স্মৃতিপদক (১৯৭৮), সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৭৯) থেকে ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ (১৯৮৬), জ্ঞানপীঠ পুরস্কার (১৯৯৬) বা ম্যাগসাইসাই পুরস্কার (১৯৯৭)– ব্যপ্ত কর্মজীবনে পেয়েছেন প্রচুর স্বীকৃতি। লড়ে গিয়েছেন আমৃত্যু। ১৯৯৬ সালে ডাকায় আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে বলেছিলেন, ২০২৫ পর্যন্ত বাঁচবেন তিনি। দেখে যাবেন পরবর্তী কালের জীবনস্রোত। ২০১৬ সালের ২৮ জুলাই মৃত্যু হয় মহাশ্বেতার।
বাংলা সাহিত্যে দলিত ও আদিবাসী জীবন নিয়ে যে বিপুল কাজ মহাশ্বেতা একা করে গিয়েছেন, তা বাতিল করার ক্ষমতা কোনও সাহিত্যবোদ্ধারই নেই। ভবিষ্যতেও তা হওয়া সম্ভব নয়। মহাশ্বেতার আগে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সাহিত্যের এই ধারাটি ছিল অত্যন্ত দুর্বল। ‘ঢোঁড়াই চরিত মানস’ বা ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য কাজ আর নেই বললেই চলে। কিন্তু মহাশ্বেতার প্রলিফিক লেখকজীবনের পর সে দাবি করার আর তেমন অবকাশ থাকে না। অন্তত পরিমাণগত দিক দিয়ে। রাজনীতি যুগে যুগে বদলাবে, নতুন সওয়াল উঠবে পুরনো অবস্থান, পুরনো দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে– তা তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেই প্রশ্নেরও তো একটা পরিকাঠামো প্রয়োজন! ‘বডি অফ ওয়র্ক’ প্রয়োজন। যাকে সমালোচনা করার মধ্য দিয়েই বেড়ে উঠবে নতুন চিন্তা। মহাশ্বেতা একা হাতে সেই বিপুল পরিকাঠামোর (প্যারাডাইম) আয়োজন করে গিয়েছেন। শেষের তিন বছর আর লেখালেখি করতে পারতেন না। তবে যতদিন সক্ষম ছিলেন, কলম চলেছে। তাঁর নির্জ্ঞান থেকে মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক বাঙালির যৌথনির্জ্ঞানে বীরসাকে চারিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছেন তিনি। আর সেই উলুগুলানের আওয়াজে ‘বাঙালি’ পরিচয়ের যাবতীয় আধিপত্যবাদ বিপন্নতায় কেঁপে কেঁপে উঠেছে বারবার।