আরজি করে দুর্নীতিতে গ্রেফতার সন্দীপের ৩ শাগরেদও! কারা তারা?

Sandip Ghosh arrested: আফসার আলি, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিনহাকে বেআইনিভাবে হাসপাতালে ক্যাফে এবং পার্কিং লট সহ বিভিন্ন বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন সন্দীপ৷

১৫ দিন ধরে রাজ্যের মানুষ একটিই দৃশ্য দেখেছে। প্রতিদিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই। চলছে ম্যারাথন জেরা। বাড়ি ফিরছেন সন্দীপ ঘোষ আর আবারও পরের দিন হাজির হচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দরবারে। ১৫ দিনের বিপুল জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআইয়ের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা। তবে শুধু সন্দীপ নন। আরজি কর দুর্নীতি-কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সন্দীপ ঘোষের দেহরক্ষী আফসার আলি, হাসপাতালের ভেন্ডর সুমন হাজরা, বিপ্লব সিনহাকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কেন এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো? দুর্নীতিতে কীভাবে জড়িয়ে তারা? সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। বাড়ির পাশাপাশি আরও ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। আলিপুর আদালতে নথি জালিয়াতির অভিযোগ করে সিবিআই, একটি জামিন অযোগ্য ধারা যুক্ত করা হয় ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে।

আরও পড়ুন- আরজি কর কাণ্ড: অবশেষে গ্রেফতার! ১৬ দিন জেরার শেষে সিবিআই হেফাজতে সন্দীপ ঘোষ

গত ২১ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে তা সিবিআইয়ের বদলে ইডির হাতে দেওয়ার আবেদন করে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। এর আগে রাজ্য সরকার সন্দীপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে স্পেশাল টাস্কফোর্স বা SIT তৈরি করে কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট ২৩ অগাস্ট সিটের হাত থেকে ওই তদন্তভার কেড়ে নিয়ে সিবিআই-কে দেয়। আখতার আলিকেও সিবিআই একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

সোমবার সন্ধেয় সিবিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চের অফিসাররা সন্দীপ ঘোষকে আটক করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতার হওয়া অন্য তিনজন, অর্থাৎ আফসার আলি, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিনহার সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের নানা অবৈধ দেনাপাওনার সম্পর্ক রয়েছে। এই তিনজনকে বেআইনিভাবে হাসপাতালে ক্যাফে এবং পার্কিং লট সহ বিভিন্ন বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন সন্দীপ৷ আফসর আলি খান ছিলেন সন্দীপের দেহরক্ষী এবং সমস্ত কুকর্মের ছায়াসঙ্গী৷ অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষের হয়ে অনেকজনকে হুমকি দেওয়ার কাজ করত আফসর আলি খান। অভিযোগ, দেহরক্ষী হলেও চল্লিশ লক্ষ টাকার গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়াত সে৷

বিপ্লব সিনহার সংস্থা ‘মা তারা ট্রেডার্স’ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করত। গত সপ্তাহে সাঁকরাইলে বিপ্লবের বাড়ি এবং সংস্থার অফিসে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সোমবার সন্দীপের সঙ্গেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সুমন হাজরা ‘হাজরা মেডিক্যাল শপ’ নামে একটি ওষুধের দোকানের মালিক। আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই ওই দোকানেও হানা দিয়েছিল।

More Articles