ভালবাসা থাকলে ভালবাসার অত্যাচার থাকবেই, বুঝিয়েছেন বঙ্কিম
ভালবাসেন যিনি, তিনি প্রতি মুহূর্তে অত্যাচার না করার অনুশীলন যদি করেন, তাহলে সে ভালবাসা আদর্শের পথে এগোয় বটে, কিন্তু প্রকৃতি যে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, মানুষের ভালবাসা কি সেই স্বাধীনতার মুখ কখনও দেখতে পায়!
আচ্ছা ভালবাসা কি হয়ে উঠতে পারে অত্যাচার? কখন হয়ে ওঠে তা? বঙ্কিমচন্দ্র আর রবীন্দ্রনাথ দু'জনেই ভেবেছিলেন বিষয়টি। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘ভালবাসার অত্যাচার’ নামে চমৎকার একটি প্রবন্ধ আছে। সেই প্রবন্ধে তিনি মা আর ছেলে দুয়ের সম্পর্কের সূত্রেও এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছিলেন। লিখেছিলেন, "যে ভালবাসে সেই অত্যাচার করে। ভালবাসিলেই অত্যাচার করিবার অধিকার প্রাপ্ত হওয়া যায়। আমি যদি তোমাকে ভালোবাসি, তবে তোমাকে আমার মতাবলম্বী হইতে হইবে, আমার কথা শুনিতে হইবে, আমার অনুরোধ রাখিতে হইবে।" এই যে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা, এখান থেকেই ভালবাসার অত্যাচারের শুরু। যে বঙ্কিমচন্দ্র দেশকে জননীরূপে বন্দনা করেছিলেন, সেই বঙ্কিমচন্দ্রই এই প্রবন্ধে জননীর স্নেহ-ভালবাসা যে অত্যাচার হয়ে উঠতে পারে, তা স্বীকার করেছেন। যখন প্রণয় কিংবা স্নেহ স্বার্থপর হয়ে ওঠে, তখন তা অত্যাচার। যদি মা মনে করেন, সন্তান কাজের জায়গায় না গিয়ে কেবল তাঁর আঁচলে আটকে থাকবেন, তাহলে সেই আগ্রাসী মাতৃস্নেহ ‘ভালবাসার অত্যাচার’। বঙ্কিম জানান, "যে মাতা পুত্রের সুখের কামনায়, পুত্রমুখদর্শন কামনা পরিত্যাগ করিলেন, তিনিই যথার্থ স্নেহবতী।" এই আটকে রাখা ভালবাসার স্বরূপ বোঝানোর জন্য রবীন্দ্রনাথ একটি উদাহরণ দিয়েছিলেন। কারও হাত পিছনে বেঁধে রেখে যদি তাকে যত্ন করে পায়েস খাওয়ানো হয়, তাহলে স্বাধীনতাহারা মানুষটির যে দশা হয়, তাই ভালবাসার অত্যাচার। বঙ্কিমের মতে, 'প্রণয়ের পীড়ণ’ সবচেয়ে ‘অনিষ্টকারী’।
রবীন্দ্রনাথের লেখায় প্রণয়ের পীড়ণের নানা উদাহরণ চোখে পড়ে। নর-নারীর সম্পর্কের মধ্যে সমাজ-সংসারহারা কামনা-বাসনার আধিক্য নিয়ে আসতে পারে দুঃসহ ক্লান্তি। রবীন্দ্রনাথের ‘কড়ি ও কোমল’ কাব্যগ্রন্থের দু'টি কবিতা ‘শ্রান্তি’ ও ‘বন্দী’। পুরুষের বাচনে লিখেছেন, ‘সুখশ্রমে আমি, সখী, শ্রান্ত অতিশয়’ । বাহুপাশ ও চুম্বনমদিরায় ঘরের বাতাস রুদ্ধ হয়ে ওঠে। পুরুষের প্রার্থনা তাই নারীর কাছে, ‘কুসুমের কারাগার’ থেকে মুক্তি। ‘স্বাধীন করিয়া দাও, বেঁধো না আমায়’। এই বাহুপীড়ণ নারী যেমন পুরুষের ওপর করতে পারেন, তেমনই পুরুষও নারীর ওপর করতে পারেন। রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা ও রানী’ নাটকে রাজা বিক্রমদেব তাঁর কাজকর্ম চুলোয় পাঠিয়ে রানি সুমিত্রার সঙ্গে কুঞ্জে প্রণয়মদির সময়-যাপনে উদগ্র। সুমিত্রা রাজাকে শান্ত, শমিত করার চেষ্টা করছেন। তাঁকে রাজকর্তব্যে উৎসাহিত করতে চাইছেন কিন্তু কিছুতেই বিক্রমদেব তাঁর প্রেমের লালসা সামলাতে পারছেন না। রবীন্দ্রনাথ এই উদগ্র প্রণয়-লালসাকে প্রেম বলতে নারাজ, এ তাঁর মতে সুখ, নিতান্ত সুখলালসা।
বঙ্কিম আর রবীন্দ্রনাথের লেখায় এই যে ভালবাসার অত্যাচারের নানা রূপ প্রকাশিত হলো, তা অনেক সময় তত্ত্বভারে সুখপাঠ্য হয়ে ওঠেনি। তবে বঙ্কিম তাঁর যৌবনবেলার একটি উপন্যাসে ভালবাসা ও স্বাধীনতার বিষয়টি কবিতার মতো প্রকাশ করেছিলেন– তাঁর দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’। অক্ষয়চন্দ্র সরকার তাঁর স্মৃতিকথা ‘পিতা-পুত্র’ বইতে লিখেছিলেন তাঁর পিতা বঙ্কিমবান্ধব আইনজীবী গঙ্গাচরণ সরকার বাংলা বইয়ের একনিষ্ঠ ক্রেতা ও উপভোক্তা। অক্ষয়চন্দ্র পিতার কাছেই ‘কপালকুণ্ডলা’ পাঠ করেছিলেন– তাঁর মনে হয়েছিল, বঙ্কিম কপালকুণ্ডলার কবি। সন্দেহ নেই, এই আখ্যান রচনার সময় বঙ্কিম শেক্সপিয়রের ‘দ্য টেম্পটেস্ট’-এর কথা মনে রেখেছিলেন। সমুদ্র-সংলগ্ন নির্জন বনাঞ্চলে দস্যুলুণ্ঠিত পিতৃ-মাতৃহারা কপালকুণ্ডলা বড় হয়ে উঠল এক কাপালিকের আশ্রয়ে। কাপালিক কপালকুণ্ডলাকে তখনও সাধনসঙ্গিনী হিসেবে ব্যবহার করেননি– সেই সময় সঙ্গীদের স্বার্থপরতায় নবকুমার নামের সপ্তগ্রাম-নিবাসী যুবক ঘটনাক্রমে কপালকুণ্ডলার মুখোমুখি হয়েছিল। যদিও বঙ্কিম এই উপন্যাসের ঘটনাক্রমকে আকবর বাদশার আমলে নিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু নবকুমার চরিত্রটির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন উনিশ শতকের ইংরেজি-শিক্ষিত ভদ্রলোক বাঙালির নানা প্রবণতা। নবকুমার রোম্যান্টিক। সে রূপমুগ্ধ, সৌন্দর্যবিলাসী। সে সাগর-সঙ্গমে অন্য প্রতিবেশীদের মতো ধর্মভীরু মন নিয়ে আসেনি। সে এসেছিল সাগর-সৌন্দর্য দেখতে। সাগরের সৌন্দর্যকেই সে কেবল দেখল না, দেখল সাগরসঙ্গমে কপালকুণ্ডলাকেও। বঙ্কিম চিত্রময় ভাষায় সেই বিবরণ দিয়েছেন। তখনও ভারতীয়রা ছবিতে জলরং, অয়েল ইত্যাদির ব্যবহারে দক্ষ নয়। ছবির পারস্পেকটিভের ধারণা তাঁদের কাছে অস্পষ্ট। বঙ্কিম নবকুমারের সমুদ্রদর্শনের বিবরণ দিতে গিয়ে লিখেছেন,
ফেনিল, নীল, অনন্ত সমুদ্র! উভয় পার্শ্বে যত দূর চক্ষুঃ যায়, তত দূর পর্য্যন্ত তরঙ্গভঙ্গপ্রক্ষিপ্ত ফেনার রেখা; স্তূপীকৃত বিমল কুসুমদামগ্রথিত মালার ন্যায় সে ধবল ফেনরেখা হেমকান্ত সৈকতে ন্যস্ত হইয়াছে; কাননকুন্তলা ধরণীর উপযুক্ত অলকাভরণ।
আরও পড়ুন: বিয়ের মরীচিকায় ধরা দেয়নি শ্রীকান্ত-রাজলক্ষ্মীর প্রেম
নবকুমারের সমুদ্রদর্শনের বিবরণ যেন আঁকা ছবি। দেখতে দেখতে সন্ধে হয়ে এল। তখন নবকুমার সমুদ্রতীর থেকে উঠে পিছন ফিরল। দেখতে পেল কপালকুণ্ডলাকে।
ফিরিবামাত্র দেখিলেন, অপূর্ব্ব মূর্ত্তি! সেই গম্ভীরনাদী বারিধিতীরে, সৈকতভূমে অস্পষ্ট সন্ধ্যালোকে দাঁড়াইয়া অপূর্ব্ব রমণীমূর্ত্তি! কেশভার, -- অবেণীসম্বন্ধ, সংসর্পিত, রাশীকৃত, আগুল্ফলম্বিত কেশভার; তদগ্রে দেহরত্ন; যেন চিত্রপটের উপর চিত্র দেখা যাইতেছে।
নবকুমারের মনে সমুদ্রের ছবি ও সমুদ্রতীরবর্তী রমণীয় কপালকুণ্ডলার ছবি গেঁথে গেল। এই রূপমুগ্ধতা থেকে নবকুমারের মুক্তি নেই। এই রূপমুগ্ধতা সে আজীবন বহন করেছে। কিন্তু যে রূপকে স্বাধীনভাবে প্রকৃতির মধ্যে উপভোগ করা যায়, সেই প্রকৃতি কি গৃহাঙ্গনে স্বাধীন থাকে আর?
নবকুমারের মনের গতি তো বোঝা গেল কিন্তু কপালকুণ্ডলা? সেও কি নবকুমারের রূপে মুগ্ধ? সে কি চায় প্রকৃতির স্বাধীনতা ছেড়ে সংসারে যেতে?
উপন্যাসের শুরুতে এই প্রশ্নটি পাঠককে পীড়িত করেনি। নবকুমারের চোখ দিয়ে পাঠক কপালকুণ্ডলাকে দেখেছেন। তাঁদের তখন একবারও মনে হয়নি কপালকুণ্ডলার মনের খবর নেওয়ার কথা। কপালকুণ্ডলা মানবিকতার খাতিরেই কাপালিকের হাত থেকে নবকুমারকে রক্ষা করেছে। নবকুমারের বিবাহ প্রস্তাবে সে সম্মত হয়েছে– তার সেই সম্মতি নবকুমারকে ভালবেসে ততটা নয়, যতটা আত্মরক্ষার্থে। কাপালিকের হাত থেকে নবকুমারকে বাঁচানোর পর অধিকারীর দেবীমন্দির সংলগ্ন বাড়িতে কপালকুণ্ডলা আশ্রয় পেল, একরাত্রের আশ্রয়। তারপর কাপালিকের হাত থেকে বাঁচতে চলে যেতে হবে তাদের। অধিকারী নবকুমারের সঙ্গে কপালকুণ্ডলার বিবাহ আয়োজন করলেন। নবকুমারের পক্ষে এ সুখের খবর, কপালকুণ্ডলার পক্ষে এ আত্মরক্ষার উপায়। কারণ অধিকারী বুঝিয়ে বলেছেন, তাঁকে নরবলি দিতে উদ্যত কাপালিকের হাত থেকে বলিপ্রদত্ত নবকুমারকে বাঁচানোর পর কপালকুণ্ডলার পক্ষে আর কাপালিকসঙ্গ নিরাপদ নয়। তাই বিয়ে করল কপালকুণ্ডলা– বিয়ের অর্থ, সংসারের অর্থ, এমনকী সামাজিক পরিসরে ঐকান্তিক ভালবাসার অর্থও এই বনদুহিতার অজানা।
সপ্তগ্রামে নবকুমারের সংসারে কপালকুণ্ডলাকে নিয়ে এসে পাঠকের কাছে কপালকুণ্ডলার সেই মনের খবর একে একে উন্মোচন করলেন বঙ্কিম।
কপালকুণ্ডলার কাছে নবকুমারের পারিবারিক জীবন এক অর্থে ভালবাসার অত্যাচার হয়ে উঠল।
তার নাম হল মৃণ্ময়ী। নবকুমারের সহোদরা শ্যামাসুন্দরী মৃণ্ময়ীকে নানাভাবে বোঝায়। সাজতে বলে, চুল বাঁধতে বলে, সংসার বাগানের ফুল হয়ে থাকতে বলে। মৃণ্ময়ীর ভেতরে যে কপালকুণ্ডলা সজীব, সে জিজ্ঞাসা করে, ফুল ফুটলে ‘লোকের দেখে সুখ, ফুলের কি?’ আরও একটা গভীর কথা বলেছিল সে, বলেছিল ‘যদি জানিতাম স্ত্রীলোকের বিবাহ দাসীত্ব, তবে কদাপি বিবাহ করিতাম না।’ নবকুমারের পরিবারের বিধি-নিষেধের মধ্যে থেকেও কপালকুণ্ডলার স্বাধীনবৃত্তি মরে যায়নি। শ্যামাসুন্দরী তার স্বামীকে বশীভূত করার জন্য যে ভেষজ চেয়েছিল, তা তুলতে চেয়েছিল কপালকুণ্ডলা, নবকুমারকে যেমন কাপালিকের হাত থেকে বাঁচিয়েছিল সে, তেমনই শ্যামাসুন্দরীর হিতসাধন করতে চায় সে। সে হিতব্রতী, স্বাধীনা। উপন্যাসের শেষে যখন নবকুমারের ধর্মান্তরিত প্রথমা স্ত্রী কপালকুণ্ডলার হাত থেকে নবকুমারকে ফিরে পেতে চায় তখনও কপালকুণ্ডলা তাকে নিরাশ করেনি। বঙ্কিম লিখেছেন, ‘কপালকুণ্ডলা আবার চিন্তা করিতে লাগিলেন। পৃথিবীর সর্ব্বত্র মানসলোচনে দেখিলেন– কোথাও কাহাকে দেখিতে পাইলেন না। অন্তঃকরণমধ্যে দৃষ্টি করিয়া দেখিলেন– তথায় ত নবকুমারকে দেখিতে পাইলেন না, তবে কেন লুৎফ-উন্নিসার সুখের পথ রোধ করিবেন?’
কপালকুণ্ডলা তার সপত্নী লুৎফ-উন্নিসাকে বলে, ‘তোমার মানস সিদ্ধ হউক– কালি হইতে বিঘ্নকারিণীর সংবাদ পাইবে না। আমি বনচর ছিলাম, আবার বনচর হইব।’
শেষ অবধি এই উপন্যাসে কপালকুণ্ডলার অবশ্য বনচর হওয়া হল না। কাপালিক নবকুমারকে মদ খাইয়ে উত্তেজিত করে কপালকুণ্ডলাকে হত্যা করার যে পরিকল্পনা করেন তা ব্যর্থ হয়। নবকুমার ওথেলোর মতো সন্দেহপরায়ণ নয়। কপালকুণ্ডলার চোখের দিকে তাকিয়ে সে বুঝতে পারে, কপালকুণ্ডলা বিশ্বাসঘাতিনী হতে পারে না। নবকুমারের ভুল ভাঙল, প্রকৃতি অবশ্য আর সময় দেয়নি। কথা বলতে বলতে তারা নদীর জলের ধারে এসে দাঁড়িয়েছিল। কপালকুণ্ডলাকে আলিঙ্গন করে গৃহে নিয়ে যাওয়ার নবকুমারের বাসনা অধরা থেকে গেল। ‘তটমৃত্তিকাখণ্ড কপালকুণ্ডলা সহিত ঘোর রবে নদীপ্রবাহমধ্যে ভগ্ন হইয়া পড়িল।’ আর তখন নবকুমারের কী হল? নবকুমার তো ভালবেসেছিল কপালকুণ্ডলাকে, সে ভালবাসা গভীর, সে ভালবাসা স্বার্থপর, অধিকারসর্বস্ব নয়, তবু যতই হোক সংসারের ভালবাসা তো। তাই নবকুমারের ঔদার্য থাকলেও বনচর কপালকুণ্ডলার স্বাধীনতায় হাত পড়ে।
'কপালকুণ্ডলা'-র মতো এমন উপন্যাস বঙ্কিম আর লিখবেন না। দাম্পত্যনীতির সামাজিক দায়িত্ব তাঁর পরবর্তী অনেক উপন্যাসের কেন্দ্রীয় বিষয়। রমণীর স্বাধীনতার প্রসঙ্গ এভাবে আর তিনি পরবর্তীকালে উচ্চারণ করতে পারবেন না। পরাধীন ঔপনিবেশিক ভারতে দাম্পত্য-পরিবার ইত্যাদির হিতবাদী, কল্যাণকর ভূমিকা তাঁর লেখার বিষয় হয়ে উঠবে। ফুল আপনার জন্য নয়, পরের জন্য ফোটে- এই হিতবাদী দর্শনে বিশ্বাস জাগবে তাঁর। 'কপালকুণ্ডলা' পড়তে পড়তে এবং এই স্বাধীনা প্রকৃতিলগ্না মেয়েটির মন বুঝতে বুঝতে মনে হয়, ভালবাসা থাকলে ভালবাসার অত্যাচারও থাকবে। কেবল তার মাত্রাগত ভেদ আছে। ভালবাসেন যিনি, তিনি প্রতি মুহূর্তে অত্যাচার না করার অনুশীলন যদি করেন, তাহলে সে ভালবাসা আদর্শের পথে এগোয় বটে, কিন্তু প্রকৃতি যে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, মানুষের ভালবাসা কি সেই স্বাধীনতার মুখ কখনও দেখতে পায়!
জলে ভেসে যাওয়া কপালকুণ্ডলা আর নবকুমার সে উত্তর জানে না। আমরাও কি জানি!
গ্রাফিক্স: দীপ হাওলাদার