পড়াশোনা ছেড়ে আন্দোলনে! ভারতীয় ছবির 'রস' প্রথম বুঝিয়েছিলেন দেবকী বসুই
Debaki Bose: দেবকীবাবুই প্রথম চলচ্চিত্রকার, যিনি বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রকে শিল্পের মর্যাদা দিলেন।
একুশ বছর বয়সি এক তরুণী (মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল) নিজের দেশ, পরিবার, বন্ধুবান্ধব এমনকী, নিজের মা-কেও ছেড়ে জাহাজ চেপে কলকাতা এসে পৌঁছলেন ২৮ জানুয়ারি, ১৮৯৮, উঠলেন বাগবাজারে, শ্রীমা-র কাছে। ২৫ মার্চ স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর নাম দিলেন সিস্টার নিবেদিতা। ১৩ নভেম্বর নিবেদিতা মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের জন্য গার্লস স্কুল, পরবর্তীতে যেটির নাম হয় রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুল, স্থাপন করছেন ৫ নং বাগবাজার স্ট্রিটে, যে রাস্তার নাম এখন নিবেদিতা লেন। কলকাতায় তখন প্লেগ ধরা পড়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'ভারতী' পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব নিচ্ছেন।
এর ঠিক দু'-সপ্তাহের মাথায় ২৫ নভেম্বর, ১৮৯৮ পূর্ব বর্ধমানের কালনা থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরের অকালপৌষ গ্রামে জন্মগ্রহণ করলেন চিত্রাচার্য দেবকীকুমার বসু। সেই সময় কলকাতা ও মাদ্রাজে সিনেমা দেখানো শুরু হয়ে গেছে। প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড 'সু্ন্দরী' মুক্তি পাচ্ছে বেলগাছিয়া থেকে। দেবকী জন্মানোর মাত্র ৬ মাস বাদে ৩০ মে, ১৮৯৯ কলকাতায় প্রথম ইলেকট্রিক আলো জলে উঠছে। ওদিকে প্লেগ মহামারীর রূপ নিয়েছে, সিস্টার ঝাঁপিয়ে পড়ছেন স্থানীয় যুবক-যুবতীদের নিয়ে রুগীদের সেবাকাজে, এলাকা সাফসুতরো করে জঞ্জালমুক্ত করায়। লর্ড কার্জন হচ্ছেন ভাইসরয়। কলকাতার রাস্তায় প্রথম ইলেকট্রিক ট্রামগাড়ি চলতে শুরু করল। 'বিসর্জন'-এ রবীন্দ্রনাথ রঘুপতি সাজলেন আর অরবিন্দ, যতীন বাঁডুজ্জে, পি মিত্র এই তিন বিপ্লবী মিলে তৈরি করলেন অনুশীলন সমিতি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম বছরটি শেষ হচ্ছে যখন তখন দেবকীর বয়স দু'-বছর।
দেবকী বসুর বেড়ে-ওঠা যথেষ্ঠ দুঃখ-কষ্টর। বাবা মধুসূদন বসু ছিলেন অ্যাটর্নি। মা গোপীসুন্দরী দাসী। ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্য-টান লক্ষ করা যায়। বর্ধমান থেকে বেরোত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা 'শক্তি', যার সহকারী সম্পাদক ছিলেন তিনি, পরে পুরোপুরি সম্পাদক (১৯২৭-'২৮) হিসেবে কাজ করেন।
আরও পড়ুন: ‘অসুস্থ তো স্টেজে নেমেছেন কেন!’ একরাশ অপমান নিয়ে চলে গিয়েছিলেন বাংলার প্রথম ম্যাটিনি আইডল
১৯২০ সালে গান্ধী অসহযোগ আন্দোলন শুরু করলেন । বাংলা সিনেমা ম্যাগাজিন 'বিজলী' এই সময় থেকেই প্রকাশিত হতে থাকে। পুরো দুয়ের দশক ধরে বেরিয়েছিল এটি। সম্পাদকরা ছিলেন নলিনীকান্ত সরকার, বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, অরুণ সিংহ এবং লেখক-চলচ্চিত্রকার দীনেশরঞ্জন দাস। কলকাতা, বম্বে ও মাদ্রাজে ফিল্ম সেন্সর বোর্ড স্থাপিত হয় এই বছরেই। দেবকী এই সময় বিদ্যাসাগর কলেজে পড়াশোনা করছেন৷
১৯২১-এ মোপলা বা মাপিলা যা মালাবার বিদ্রোহ নামে বেশি পরিচিত, মারাত্মক আকার ধারণ করে। রক্তস্নাত হয়ে ওঠে মাটি। ব্রিটিশ শাসনমুক্ত স্বাধীন রাজ্যের জন্য আন্দোলনে মুসলিম কৃষকরা হিন্দু হত্যালীলায় মেতে ওঠে, কমপক্ষে ১০,০০০ হিন্দু নিহত হয়, ব্রিটিশ পুলিশ বিদ্রোহ দমনে বেধড়ক ধরপাকড় চালায় এবং কমপক্ষে ৫০,০০০ মানুষ জেলবন্দি হন। মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন জোর ধাক্কা খায়, কেননা হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে যে জাতীয়তাবাদী মুখ তৈরির চেষ্টা ছিল ওঁর, তা রীতিমতো চোট পায়। এরকম সময় রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতী সরকারি সিলমোহর পায় আর ওদিকে ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদের 'আলমগীর' মঞ্চস্থ হয়, যাতে শিশির ভাদুড়ী-র প্রথম জনপ্রিয়ভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওদিকে দেবকী তখন বিএ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি পুরোপুরি। এমন একটা সময় গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলেন। কাতারে কাতারে ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজ ছাড়ল, দেবকী-ও পরীক্ষা না-দিয়ে, কলেজ-পড়াশোনা সব ছেড়ে আন্দোলনে ঝাঁপালেন৷ ফলে বাবার সঙ্গে মন-কষাকষি, একপ্রকার ঝগড়াই বলা যায়, কেননা বাবা মধুসূদন বসু ছিলেন ডাকসাইটে অ্যাটর্নি, ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে তাঁর ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। পিতৃগৃহ ছাড়লেন দেবকী। বাড়িঘর ছেড়ে বর্ধমান শহরের বাজারে, কার্জন গেটের কাছে একটি গামছার দোকান খুলে ফেললেন। খড়-বিচুলির দোকানও দিয়েছিলেন।
এই সময় (১৯২৭) আলাপ হলো ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (ডিজি)-র সঙ্গে। ডিজি বর্ধমানে এসেছিলেন শুটিং করতে। দেবকী সম্বন্ধে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি। নিজেই যোগাযোগ করেন দেবকীর সঙ্গে এবং কাহিনি-চিত্রনাট্য লেখার জন্য বলেন। এই যোগাযোগ একটা বড় ঘটনা। দেবকী যোগ দিলেন ডিজি-র ব্রিটিশ ডোমিনিয়ন ফিল্মস্ কোম্পানিতে৷ এই কোম্পানির অফিস ছিল ২০ নং দমদম রোড, কলকাতা। ডিজি, প্রমথেশ ছাড়াও ছিলেন রামচন্দ্র দেব (ইনি ছিলেন পুরীর রাজা), তরুবালা সেন, আত্রাণ দেও (খড়িয়ার রাজা ), উমাপ্রসাদ (জয় পাটনার রাজা), ডা. এন. এন. মুখার্জি , কেসি রায়চৌধুরী— মোট ৬ জন পরিচালক। এদের প্রথম ছায়াছবি 'ফ্লেমস অফ ফ্লেশ'-এর ('কামনার আগুন') কাহিনি ও চিত্রনাট্য রচনা করলেন দেবকীকুমার বসু। এরপর গেলেন লখনউ— ছবি তুলতে৷ এই সময় (১৯৩০) তিনি প্রমথেশ বড়ুয়ার সঙ্গে যুক্ত হলেন ও বড়ুয়া ফিল্ম ইউনিটের প্রথম নির্বাক ছবি 'অপরাধী'-র (১৯৩১) কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনার কাজ করে যথেষ্ঠ খ্যাতি পেলেন৷ এই ছবি কালের বিচারে স্মরণীয়। 'অপরাধী'-তেই প্রথম আর্টিফিসিয়াল লাইট ব্যবহার করা হয়। সেকালের রিভিউ থেকে জানতে পারি যে, কাফে ও ল্যাবরেটরি-র ছবি খুব সুন্দরভাবে তোলা হয়েছিল। মানে আজকের পরিভাষায় সেকালের চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছে পাঁচতারা পেয়েছিল আর কী!
এছাড়া ব্রিটিশ ডোমিনিয়নের 'ব্লাইন্ড গড' বা 'পঞ্চশর' (১৯৩৩) ছবির কাহিনি ও পরিচালনা দেবকীকুমার বসু-র। এই ছবির চিত্রগ্ৰহণে ছিলেন কৃষ্ণগোপাল এবং পি. সান্যাল।
এরপর সিনেমা কথা বলতে শুরু করল। এই সবাক পর্বে দেবকী অনেকগুলি ছবি তৈরি করেন এবং বাংলা ভাষার পাশাপাশি তিনি হিন্দি, তামিল, মারাঠি ও গুজরাটি ভাষাতেও ছবি বানান। তাঁর সামগ্রিক চলচ্চিত্র কর্ম, সম্মান প্রাপ্তি, পুরস্কার চলচ্চিত্র উৎসবে যোগদান— এসব সম্পর্কিত একটি, প্রায়-সম্পূর্ণ চলচ্চিত্রপঞ্জি রইল লেখার শেষে প্রণম্য পাঠকদিগের জন্য যাতে ডিটেলে সকল তথ্যই পাবেন।
দেবকীবাবুই প্রথম চলচ্চিত্রকার (ঠিকই পড়ছেন), যিনি বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রকে শিল্পের মর্যাদা দিলেন, মানে যাকে বলে শিল্পরস বা শিল্পসুষমা, তা তিনিই উপলব্ধি করেন ও করে দেখান। নীতিন বসুর কথায় ছবির রস দেবকী বসুই প্রথম উপলব্ধি করেন৷
তবে তাঁর সিনেমা দেখে যে ছবিগুলি আমার মর্মে প্রোথিত হয়ে আছে, তা মূলত কৃষ্ণপ্রেম বা বৈষ্ণবীয় ভাবের। এই জায়গায় তাঁর জীবনযাপন, শিল্প সবকিছু মিলেমিশে একাকার হয়ে চরম স্তরে পৌঁছে গেছেন তিনি; যেমনটি দেখি 'চণ্ডীদাস' ছবিতে। 'মীরাবাঈ', 'বিদ্যাপতি', 'ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য', 'চণ্ডীদাস' চলচ্চিত্রে তিনি আমাদের উত্থিত করেন এক পরম পরিসরে— উপলব্ধিতে । তাঁর ফিল্মোগ্রাফি-র আয়তন নেহাৎ কম নয়, তবু আমারটুকু বললাম।
'চণ্ডীদাস' নিয়ে তিনের দশকের চিত্র-সমালোচক পশুপতি চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন— এই ছবিতেই বাংলা তথা ভারত প্রথম দেখতে পেল যথার্থ সবাক চলচ্চিত্র কাকে বলে এবং প্রথম শুনল আবহসংগীতের সম্যক-প্রয়োগ দ্বারা ছবিকে যথার্থ দ্রুত গতিশীল করে তোলা যায়, তা এই 'চণ্ডীদাস'-এই প্রথম প্রত্যক্ষ করা গেল।
'চণ্ডীদাস' নিয়ে সেকালের কাগজ 'বাতায়ন' লিখেছিল—
নিউ থিয়েটার্সের নবতম অবদান 'চণ্ডীদাস' বাংলার ছায়াছবি-শিল্পে এক অপূর্ব বস্তু। 'চণ্ডীদাস'-এও যে ভুল নেই, একথা বলি না ৷ কিন্তু 'চণ্ডীদাস' দেখে আমাদের মনে হয়েছে বাংলা দেশের শিল্পীদের কৃতিত্ব সমগ্র ভারতের গৌরবের সামগ্রী। 'চণ্ডীদাস'-এ নীতিন বসুর চিত্র-যন্ত্রের কাজ যে বিদেশির সমকক্ষ হয়েছে, একথা একবাক্যে আমরা স্বীকার করব৷ শব্দযন্ত্রী মুকুলবাবুকে আমাদের প্রশংসা জানাতে বাধ্য হচ্ছি৷ কারণ তাঁরই কৃতিত্বে কৃষ্ণচন্দ্রের গানগুলি এত মনোরম হয়ে ফুটে উঠেছে৷
(৩০|৯|১৯৩২)
সত্তরের মাঝে হিন্দি 'শোলে' সারা ভারতে যেরকম উন্মাদনা তৈরি করেছিল, রাস্তাঘাটে লোকে সিনেমার ডায়লগ বলত, তার সঙ্গে কিছুটা হলেও তুলনীয় অবিভক্ত বঙ্গদেশের প্রেক্ষিতে 'চণ্ডীদাস' সিনেমাটি। লোকে মাতোয়ারা হয়ে গিয়েছিল এ-ছবির ডেলিভারিতে।
রামী (উমাশশী) যখন জানতে পারে যে, চণ্ডীদাস (দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রায়শ্চিত্ত করছে, সেসময় তার সেই ছুটে যাওয়া মন্দির অভিমুখে আর লেঠেলদের আক্রমনে রক্তাক্ত হওয়ার সিকোয়েন্স স্মরণে আছে আজও। দ্বাররক্ষককে উদ্দেশ করে উমাশশীর সেই সংলাপ— ওগো দ্বারী, ভগবান কি তোমার হাতে লাঠি দিয়েছে এমনি ক'রে নারীবধ করবার জন্য? (পুরুষ অহংবোধকে নারীর তীক্ষ্ম শ্লেষ, কোয়েশ্চেনিং)— কিংবা... না ঘোষাল না। আমার নাগর ভোল বদলায় না.. (নিজের ভালবাসা, নিজের প্রেমের ওপর যে কনফিডেন্স, যে সমর্পনের পবিত্রতা)— কিংবা সেকালের সমাজরক্ষকদের উদ্দেশ করে রামীর সংলাপ — যদি সত্যি হয়, যদি সত্যি হয় চাটুজ্যেমশাই, তাহলে আপনারা আমাকে একদিন যেভাবে চেয়েছিলেন, আমি তাই হব। আপনাদের ময়লা কাপড় আর আপনাদের ময়লা মনের বোঝা মাথায় করেই আমি আমার জীবন শেষ করব— (সমাজের পুং মাতব্বরদের মুখে ঝামা ঘষে-দেওয়া এমন ডেলিভারি নারী চরিত্রের মুখ দিয়ে... এর থেকে বেশি হ্যাটা, বেশি ধ্যাতানি, বেশি শ্লেষ কি সম্ভব (১৯৩২ সালে চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখা গিয়েছিল, আজ্ঞে! হ্যাঁ! বাংলা চলচ্চিত্রে হয়েছিল)— অধিক আর কী কহিব! দুর্গাদাস মন্দিরে পুরোহিতের সামনে হাতে ফুল নিয়ে করজোড়ে আসনে উপবিষ্ট আর ওদিকে উমাশশীর সেই যাওয়া... ওফফ্! আলুথালু , রক্তাক্ত উমাশশী নিজেকে হেঁচড়ে হেঁচড়ে নিয়ে চলেছে মন্দির অভিমুখে, পরনের শাড়ির আঁচল লুটোচ্ছে রাস্তায় আর চোখেমুখে ওই আকুতি, ওই আকুলতা নিয়ে সেই সংলাপ— ঠাকুর... চণ্ডী ঠাকুর.... চণ্ডী ঠাকুর... এ কী শুনছি, তুমি প্রায়শ্চিত্তির করছ... আমার সংসর্গে তোমার ধর্ম নষ্ট হয়েছে... এ যে আমি আর সইতে পারি না গো .. তুমি এক বার নিজে মুখে বল... একবার...এক বার...একবার বল ঠাকুর... এ সত্যি!
পেগলে গেছিলাম ওই সিকোয়েন্সে! মেকিং কাকে বলে! সেকালের অডিয়েন্স যা জেনেছি স্পেলবাউন্ড হয়ে গিয়েছিল, রাস্তায়-ঘাটে লোকজনের মুখে মুখে ফিরত এই সংলাপ! শ্রীদামের ভূমিকায়, অন্ধ গায়ক কৃষ্ণচন্দ্র দে-র 'ফিরে চল ফিরে চল আপন ঘরে' প্রভৃতি গান দর্শকদের পাগল করে তুলেছিল।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, দেবকী বসুর নামোচ্চারণে দুটো-তিনটে কথা খুব উঠে আসে— আর্টিফিসিয়াল লাইটিং, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, সং পিকচারাইজেসন আর গামছা বেচার কথা! ব্যস! দেবকী বসুর ছবি দেখা, ছবি ধরে আলোচনার যেন কোনও দরকারই নেই। আমিই বা কী করতে পারলাম এখানে? খোঁটায় বাঁধা গরু যতটা ঘাস খেতে পারে সর্বোচ্চ পরিমাণে, অর্থাৎ বৃত্তাকারে ঘুরে মরছি, কেননা তাঁর জীবন ও কর্ম পরিচয় দিতেই যা জায়গা লাগে, খুঁটি টেনে টেনে ততটাই যেতে পারব কি না, তাও সন্দেহ থেকে গেল।
নিবেদিতা প্রসঙ্গে লেখাটি শুরু করার কারণ শুধু সময়কাল চেনানো নয়, বরং এটা জানানো যে, মানুষ নিজের ঘর, পরিবার, সংসার বাবা-মা, কেরিয়ার-সিকিওরড লাইফ ছেড়ে ওই সময়ে, বেরোতে পারত, আরও বড় কথা ডিগনিটি অফ লেবার কথাটি মর্যাদা পেত। প্রায়শই বলা হয়, দেবকীবাবু কত বড় ঘরের ছেলে, কত উচ্চশিক্ষিত আর দেখো কিনা গামছা বেচছে, খড় বিচুলি বেচছে... এই যে বিস্ময়, এই যে বলা- তা আমাদের বৃহৎ ক্ষুদ্রের জাজমেন্টাল জাত্যাভিমানকে চেনায়। যাক গে!
শিক্ষিত, ভদ্র, বৈষ্ণব দর্শনে বিশ্বাসী মানুষটির জীবনবোধ আর যাপনে খুব কিছু ফারাক পাওয়া যায় না! এটিই সবচেয়ে উল্লেখ্য এবং বিরল জিনিস বলে আমার মনে হয়েছে। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ('অগ্রদানী'-খ্যাত) বয়ানে শুনুন— “আমি তখন (১৯৬৭-'৬৮) তপন সিনহাকে অ্যাসিস্ট করছি বুঝলেন! নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওয় আপনজন-এর শুটিং চলছে, এরকম সময় একদিন হঠাৎ দেবকীবাবু এসে হাজির! আমি বাইরে ছিলেম, গাড়িটা দেখে চিনেছি, বুঝতে পারছি যে, উনি তপনবাবুর কাছে এসেছেন। এগিয়ে গিয়ে নমস্কার করে ভেতরে নিয়ে যেতে চাইলাম, তো উনি যারপরনাই কুণ্ঠিত হয়ে বললেন যে— তপনবাবুর পারমিশন ছাড়া আমি ফ্লোরে যাব না! তপনবাবুকে গিয়ে সেকথা বলতেই তিনি বললেন— তুই কী রে.. কী বোকা রে, ওঁকে নিয়ে আসবি তো... তারপর নিজেই বেরিয়ে গেলেন। দেবকীবাবু করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে বললেন— আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য মার্জনা করবেন, এভাবে শুটিং চলাকালীন আসা আমার একেবারেই সমীচিন হয়নি! আমি একবাট্টি ছায়া দেবীর সঙ্গে কথা বলতে এসেছি!— তপনবাবু বললেন— চলুন । কিন্তু দেবকীবাবু রাজি নন! তিনি বললেন— না আমি এখন যাব না! আগে আপনার শট শেষ হোক, ততক্ষণ আমি অপেক্ষা করব, তারপর যদি অনুগ্রহ করে আপনি অনুমতি করেন তাহলেই ওঁর সঙ্গে ক'-মিনিট কথা বলতে পারি আমি! সত্যি সত্যিই অপেক্ষা করলেন। শট শেষ হলো, তারপর দেখা করলেন ছায়া দেবীর সঙ্গে!”
(সূত্র: দোলন ঘোষ— চলচ্চিত্র গবেষক ও বেতার সঞ্চালিকা, আকাশবাণী)।
'বিদ্যাপতি'-তে (১৯৩৭) অনুরাধার ভূমিকায় কানন দেবীর কাজ দেখার মতো হয়েছিল। মিউজিক করেছিলেন রাইচাঁদ বড়াল৷ কানন দেবী লিখেছেন— দেবকীবাবু পদাবলী থেকে চিত্রের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর পদ সংগ্রহ করেছিলেন৷ সেই গান যে কি প্রাণান্তকর পরিশ্রম করে রাইবাবু সুর দিয়েছিলেন এবং সেগুলি শিখিয়েছিলেন এবং নাট্যরস জমিয়ে তোলবার উপযোগী করেছিলেন সে কথা জানি শুধু আমরা যাঁরা তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। (সবারে আমি নমি: পৃ- ৩৮)।
এরিক বারনোউ ও এস করুণাস্বামী তাঁদের 'ইন্ডিয়ান ফিল্ম' গ্রন্থের ২৯ পাতায় লিখেছেন,
Debaki Bose was devote, Vaishnabit, who could speak freely about the film medium and what it could do in the cause of love, in a way that film makes of other nations would not be likely to do. Only love, he said can “bring about fruition in our human efforts including the making of Films.” The sound film especially through its resources of music, was to give him the opportunity to emerge as one of India’s notable directors, although in the end he despaired of the drift of his industry.
দূরদর্শন কিদার শর্মার একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিল বেশ কিছুকাল আগে। তো একেবারে শেষে প্রশ্নকর্তা কিদার শর্মাকে তিন জন সেরা ভারতীয় ফিল্ম ডিরেকটরের নাম বলতে বলায় তিনি সজোরে ও সশব্দে টেবিল চাপড়ে পরপর তিন বার একটাই নাম বলেছিলেন— দেবকীকুমার বসু!
(সূত্র: দোলন ঘোষ— চলচ্চিত্র গবেষক ও বেতার সঞ্চালিকা,আকাশবাণী)।
এর মানে এই নয় যে, দেবকী বসু কেবল ভাববাদী দর্শনের ওপর ভিত্তি করে মরমি ভক্তিরসের ছবিই করেছেন। স্মর্তব্য যে, ৪৫টি ছবি করেছেন তিনি। এর মধ্যে কিছু ছবির নামোল্লেখ করতেই হবে— 'সোনার সংসার', 'সাপুড়ে', 'নর্তকী', 'কবি', 'রত্নদীপ', 'মেঘদূত', 'কৃষ্ণলীলা', 'চিরকুমার সভা', 'সাগর সঙ্গমে', 'আপনা ঘর' এবং অতি অবশ্যই তাঁর জীবনের শেষতম ছবি 'অর্ঘ্য'। 'পূজারিণী', 'দুই বিঘা জমি', 'অভিসার', 'পুরাতন ভৃত্য'— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই চারটে কবিতা নিয়ে ১৯৬১ সালে তৈরি ছবি 'অর্ঘ্য'।
দেবকী বসুর স্ত্রীর নাম লীলাবতী বসু। ছয় মেয়ে আর দুই ছেলে। বড় মেয়ে জয়া (দত্ত), মেজো মেয়ে ছায়া (মজুমদার), সেজোজন ছেলে দিলীপ বসু, তারপর গীতা (দত্ত), এরপর আরতি বসু (অবিবাহিতা), ছেলে দেবকুমার বসু, মেয়ে তপতী (পালিত) আর সবচেয়ে ছোট জন মেয়ে ভারতী (দাস)।
দেবকী বসুর পুত্র দেবকুমার বসুকে আমরা সবাই কমবেশি চিনি, জানি। দেব বসুর সঙ্গে কথা বললে অথবা তাঁকে কাছ থেকে দেখলে, পাঠক আপনি, কিছুটা আন্দাজ পেতেন যে, দেবকীকুমার বসু মানুষটি কেমন ছিলেন। আদ্যন্ত নিরহংকার, সদালাপী, ভদ্র, সজ্জন, শিক্ষিত এই শব্দগুলি কোনও অ্যাডজেকটিভ নয় বা কেবলই শব্দ নহে। দেবকী বসু ছিলেন ঠিক এমনই, যার কিছুটা হলেও আন্দাজ মেলে দেব বসুর সঙ্গে মিশলে। আসুন দেব বসুর মুখেই শোনা যাক।
সোমবার, ৯ জুলাই, ২০১৮ তারিখে নেওয়া একান্ত ও দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে এই লেখককে বেশ কিছু কথা জানিয়েছেন তার অতি সামান্য কিছু অংশ দেববাবুর বয়ানেই শুনুন—
...কোনো কাজকেই তিনি কোনোদিন অবহেলা করেননি। ...বাবার সব কিছুই ভীষণভাবে মনে পড়ে... মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় আমার সংগেই ছিল তো... আমি অবজার্ভার হিসেবে যখন সাগর সঙ্গমে কাজ করছি , সেখান থেকে তাঁর কাজের পদ্ধতি, কাজ করার ধরন এসব ছাড়াও তো বাড়িতে ব্যক্তিগত জীবনে আমরা বাপ ছেলে ছিলাম তাই না!... সাংঘাতিক সাংঘাতিক সব ইনসিডেন্ট আছে... বাবার মৃত্যুর আধঘণ্টা আগে যে কনভার্সেশন হয়েছিল আমাদের দু'জনের... মানে আমি তখন একগাদা ছবি, ফিচার, ডকুমেন্টারি করছি তো সেসবে উনি একটু ক্ষুণ্ণ হচ্ছিলেন! মৃত্যুর আগে কাছে ডেকে নিয়ে, আমাকে বলেছিলেন মাই ডিয়ার সন ট্রাই টু স্ট্যান্ড ফার্স্ট... আগে দাঁড়াতে শেখ... দেন মুভ! তো আমি তখন তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছিলাম উনি আমাকে আবার ডেকে হাত জোড় করে বলেছিলেন, মাই ডিয়ার সন ট্রাই টু ক্রিয়েট ডোন্ট ম্যানুফ্যাকচার। প্রচুর কনফ্লিক্ট হত বাপ ছেলের মধ্যে... শুনলে অবাক হয়ে যাবেন ! আমার মনে হত যে বাবা তো অনেক অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি পেয়েছিলেন অথচ ভীষণ প্রচারবিমুখ ছিলেন। এইটা আমি মেনে নিতে পারতাম না। উনি যা বিশ্বাস করতেন, জীবনে তাই পালন করতেন! তাঁকে চলচ্চিত্র সন্ন্যাসী বলা হত! তো আমি একবার করেছিলাম কী, বাবার যত পদ্মশ্রী, অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড, 'বিদ্যাপতি' সিনেমার পুরস্কার, সোনার মেডেল এইসব বাইরের ঘরে সাজিয়ে রেখেছিলাম। তো হঠাৎ একদিন সেসব দেখে বললেন যে— এগুলো কে করেছে? জানতে পেরে আমাকে ডেকে বললেন— তুমি এগুলো টাঙিয়েছ কেন? আমি বললাম যে, এগুলো মানুষ দেখবে। আপনি সম্মান পেয়েছেন সারা ভারতবর্ষ থেকে, সারা পৃথিবী থেকে , সেগুলো মানুষ দেখুক দেখতে পাবে তাই। তখন উনি আমাকে বললেন— তুমি এটা লাগিয়েছ কেন জানো? আমি চুপ করে রয়েছি... তো উনি বললেন যে— তুমি তোমার প্রোডিউসারকে দেখাতে চাইছ তুমি কোন ঘরানার ছেলে... তোমাকে, মাই ডিয়ার সন, একটা কথা বলি, রিফ্লেকটেড গ্লোরি তোমাকে পঙ্গু করে দেবে। পিতৃগৌরব নিয়ে যদি তুমি চলতে চাও, তাহলে তুমি পঙ্গু হয়ে যাবে । তা আমাকে বললেন, ইউ রিমুভ অল দ্য অ্যাওয়ার্ডস অ্যান্ড অল দ্যাট... বাইরের ঘর যেমন সিম্পল আছে, তেমনই থাকবে... তো আমি বাধ্য হলাম ! তারপরে অন্য আলোর সন্ধানে বেরিয়ে গেলেন... ইন সার্চ অফ ট্রুথ।
নিজেকে জানার জন্য তিনি গেলেন বেনারসে। সে অন্য চ্যাপটার, সেসবের সঙ্গে আমি কিছু কিছু জড়িত... আমার তখনও ফিলোজফিক্যাল আউটলুক মানে ওই মনটা তৈরি হয়নি... সেসব জায়গাগুলো খুব টাচি ব্যাপার আছে... আমি আর একটা কথা আপনাকে বলি, আমার ঠাকুরদা মানে তারা কীরকম মানবিক ছিলেন... ল-ইয়ার হলেও কখনও তেমনভাবে প্র্যাকটিস করতেন না। বলতেন, ওকালতি করতে গেলে কিছু মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবেই, তাই জন্য উনি অ্যাভয়েড করতেন... আমি আমার মায়ের কাছে একটা জিনিস শুনেছিলাম, যেটা আমাকে খুব টাচ করেছিল... সেটা হচ্ছে কী, ঠাকুরদা-ঠাকুমা বর্ধমানের বাড়ির বারান্দায় বসে আছেন একদিন, তো সেখান থেকে রান্নার ঠাকুর এক টিন ঘি লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঠাকুমা দেখতে পেয়ে চিৎকার করে উঠছিলেন আরেকটু হলে... ঠাকুরদা থামিয়ে দিয়ে বলছেন— চুপ! চুপ করো! ও যদি বুঝতে পারে যে আমরা বুঝতে পেরেছি, তাহলে ও লজ্জা পেয়ে যাবে। চুরি করে পালাচ্ছে, সে যাতে লজ্জা না পায়! পরে যে কথাটা বলেছেন ঠাকুরদা— আমাদের দেখতে হবে কী পেলে ও চুরি করবে না... ওর কী অভাব আছে, কী অসুবিধা আছে সেটা আমাদের জানতে হবে, চেঁচালে হবে না... এই জিনিসগুলো... যেমন মৃত্যুর ঠিক আধঘন্টা আগে বাবা আমাকে বলে গেলেন ট্রাই টু ক্রিয়েট, ডোন্ট ম্যানুফ্যাকচার! তারপর একটা কাগজে লিখলেন— সব মানুষ সমান, জীবজন্তু, পশুপক্ষী সব এক! এ আমার অন্তরতম সত্ত্বার কথা। এ আমার উপলব্ধি। কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ।— তারপরই তিনি মারা গেলেন । অল্প বয়সেই কৃষ্ণ সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিলেন। সারাজীবন ছবিতে কৃষ্ণকে অনুসন্ধান করেছেন। মৃত্যুর মুখে এই কথা লিখে কৃষ্ণ নাম করে চলে গেলেন।
এটা কী করে হয়!
চলচ্চিত্র-কর্মর জন্য তিনি ১৯৫৬ সালে সাহিত্য অকাদেমি থেকে সম্মানিত হন৷
১৯৬৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করেন।
১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর দেবকী বসু পরলোক গমন করেন৷
দেবকীকুমার বসু: একটি সম্পূর্ণ চলচ্চিত্রপঞ্জি
ফ্লেমস অফ ফ্লেশ (কামনার আগুন); ১৯৩০; সাদা-কালো; নির্বাক
প্রযোজনা: ব্রিটিশ ডোমিনিয়ন ফিল্ম কোম্পানি; কাহিনি ও চিত্রনাট্য: দেবকীকুমার বসু; পরিচালনা: দীনেশরঞ্জন দাস; চিত্রগ্রহণ: কৃষ্ণগোপাল; সহকারী: পি সান্যাল; শিল্পনির্দেশ: সতীশ চন্দ্র ঘোষ, মহেন্দ্র লাল চন্দ্র; স্থিরচিত্র: ম্যাডাম ইসমে, শৈলেন বসু, দৃশ্য রচনা: সতীশচন্দ্র ঘোষ; পোশাক পরিচ্ছদ: এম বর্মণ; প্রযোজনা: ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (ডি জি)। অভিনয়: দেবকীকুমার বসু, ডেলেসিয়া ক্লার্ক, মিসেস ভার্গনি, রমলা দেবী, মীরা বাঈ, রাধারানি, সবিতা দেবী, দীনেশরঞ্জন দাস, সতু রায়, মুরারী মুখার্জি, কে এন ঠাকুর, হেম গুপ্তা, বাদল গাঙ্গুলি, দাউদ বেগ, মণি বর্মণ, সূর্য পাল। মুক্তি: ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০; প্রেক্ষাগৃহ: পার্ল সিনেমা (জ্যোতি)
ব্লাইন্ড গড (পঞ্চশর); ১৯৩০; সাদা কালো; ১০ রিল, ৩৫ মিমি
প্রযোজনা: ব্রিটিশ ডোমিনিয়ন ফিল্ম কোম্পানি; কাহিনি,চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : দেবকী কুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: কৃষ্ণগোপাল; সহকারি: পি সান্যাল। অভিনয়: দেবকীকুমার বসু, ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, হেমচন্দ্র গুপ্ত, বাদল গঙ্গোপাধ্যায়, দীনেশরঞ্জন দাস, রাধারানি, সবিতা দেবী, সতু রায়, মুরারী মুখার্জি, নবদ্বীপ হালদার,সূর্য পাল, প্রেমকুমারী নেহেরু, নিমাই সাহা, মিহিরলাল, প্রমথেশ বড়ুয়া, রমলা দেবী*, বানি বাবু। মুক্তি: ১ নভেম্বর,১৯৩০; প্রেক্ষাগৃহ: কর্ণওয়ালিস।
*প্রেমিকা দেবী, প্রেমলতা আসলে ছিলেন ডিজি-র স্ত্রী। রমলা দেবী ছদ্মনামে তিনি 'ফ্লেমস অফ ফ্লেশ' ছবির মেরিয়ম চরিত্রে অভিনয় করেন। 'পঞ্চশর' ছবিতে গোয়ালিনীর এক ছোট্ট চরিত্রে তিনি অভিনয় করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৩০ তারিখে মাত্র ২২ বছর বয়সে প্রেমলতা দেবীর মৃত্যু হয়, রেখে যান স্বামী ধীরেন্দ্রনাথ,পারুল ও মণিকা দুই কন্যা।
'অপরাধী'— অন্যান্য নাম 'দ্য কালপ্রিট', 'দ্য ক্রিমিনাল'; সাদা কালো; ১৯৩১ ; নির্বাক; দৈর্ঘ্য: ১১৫০০ ফুট, ৩৫ মিমি
প্রযোজনা: বড়ুয়া ফিল্ম ইউনিট;কাহিনি ও চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: কৃষ্ণগোপাল।অভিনয়: প্রমথেশ বড়ুয়া, রাধিকানন্দ মুখোপাধ্যায়, নির্মল, সমর ঘোষ, শান্তি গুপ্ত, সবিতা দেবী, আরতি দেবী, প্রভাবতী দেবী, রেণু দেবী, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় (সিনিয়র), তিনকড়ি চক্রবর্তী, পূর্ণিমা সোম, রানিবালা।মুক্তি: ২৮ নভেম্বর, ১৯৩১; প্রেক্ষাগৃহ: চিত্রা।
'শ্যাডোস অফ দ্য ডেড'; ১৯৩১; নির্বাক; সাদা কালো
প্রযোজনা: ইউনাইটেড পিকচার্স কর্পোরেশন; কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু।
চরিত্রহীন; ১৯৩১; অভিনয় করেছিলেন দেবকীকুমার বসু; কাহিনি; শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়; পরিচালনা; ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (ডিজি)
নিশির ডাক; ১৯৩২; সাদা কালো;৮ রিল, ৩৫ মিমি; নির্বাক
প্রযোজনা: বড়ুয়া ফিল্ম ইউনিট; পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; কাহিনি: সৌরেন্দ্রমোহন মুখার্জি; চিত্রগ্রহণ: কৃষ্ণগোপাল। অভিনয়: নির্মলেন্দু লাহিড়ী, নৃপেশ রায়, সমর ঘোষ, সুশীল মজুমদার, শীলাদেবী, প্রভাবতী দেবী, হরিসুন্দরী, নির্মল ব্যানার্জি। মুক্তি: ২৩ এপ্রিল, ১৯৩২, চিত্রা
সবাক চলচ্চিত্র 'রূপান্তর': ১৯৪০। পরিবর্তিত নাম: অভিনব।
চণ্ডীদাস; ১৯৩২; সাদা কালো; ৩৫ মিমি; বাংলা ; ১৩৩ মিনিট
প্রযোজনা: নিউ থিয়েটার্স লিমিটেড; চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: নীতিন বসু; শব্দগ্রহণ: মুকুল বসু। সংগীত: রাইচাঁদ বড়াল; গান: দুর্গাদাস ব্যানার্জি, কৃষ্ণচন্দ্র দে। অভিনয়: দুর্গাদাস ব্যানার্জি, উমাশশী, অমর মল্লিক, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, ধীরেন ব্যানার্জি, কৃষ্ণচন্দ্র দে, চানি দত্ত, সুনীলা দেবী। পরিবেশনা: অরোরা ফিল্ম কোম্পানি; মুক্তি: ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩২; প্রেক্ষাগৃহ: চিত্রা
দুলারি বিবি; ১৯৩৩; ৪ রিল; উর্দু কৌতুক চিত্র। প্রযোজনা: নিউ থিয়েটার্স; পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: নীতিন বসু। অভিনয়: মলিনা দেবী, মি. মির্জান, মি. সায়গল। লরেল হার্ডি-র 'আওয়ার ওয়াইভস' নামক বিদেশি চিত্রর ছায়ায় তৈরি।
পুরাণ ভকত; ১৯৩৩; হিন্দি; সাদা কালো; চিত্রগ্রহণ: নীতিন বসু; সংগীত রচয়িতা: রাইচাঁদ বড়াল। অভিনয়: চৌধুরী মহম্মদ রফিক, এম কুমার, তারাবাঈ, আনোয়ারি, কুন্দনলাল সায়গল, উমাশশী,মলিনা দেবী, কৃষ্ণচন্দ্র দে, কাপুর। 'পুরাণ ভকত' প্রথম ভারতীয় সিনেমা, যেখানে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ব্যবহৃত হয়।
মীরাবাঈ; ১৯৩৩; সাদা কালো; ৩৫ মিমি; বাংলা ; ১৩১ মিনিট। প্রযোজনা: নিউ থিয়েটার্স লি; পরিচালনা ও চিত্রনাট্য: দেবকীকুমার বসু; কাহিনি: হীরেন বসু ও বসন্ত চ্যাটার্জি। চিত্রগ্রহণ: নীতিন বসু; শব্দগ্রহণ: মুকুল বসু; সংগীত: রাইচাঁদ বড়াল; গান: পাহাড়ি সান্যাল। অভিনয়: দুর্গাদাস ব্যানার্জি, পাহাড়ি সান্যাল, চন্দ্রাবতী, মলিনা দেবী, অমর মল্লিক, শৈলেন পাল, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, নিভাননী দেবী,ইন্দুবালা, জিতেন গোস্বামী। পরিবেশনা: অরোরা ফিল্ম কোম্পানি; মুক্তি: ১১ নভেম্বর , ১৯৩৩; প্রেক্ষাগৃহ: চিত্রা
এই সিনেমাটি হিন্দি ও বাংলা দু'টি ভাষায় মুক্তি পায়। হিন্দি ছবিটির নাম 'রাজরানি মীরা'।
রাজরানি মীরা; হিন্দি ১৯৩৩; সাদা কালো;
প্রযোজনা: নিউ থিয়েটার্স লিমিটেড ; কাহিনি : দেবকী কুমার বসু, হীরেন বসু ও বসন্ত চ্যাটার্জি ; পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: নীতিন বসু; সংগীত: রাইচাঁদ বড়াল; অভিনয়: দুর্গা খোটে, পৃথ্বীরাজ কাপুর, রতন বাঈ, পাহাড়ি সান্যাল, মলিনা দেবী, কে এল সায়গল, আনসারি। মুক্তি: ২৩ নভেম্বর, ১৯৩৩। বম্বে।
সীতা; ১৯৩৪; হিন্দি; সাদা কালো; প্রযোজনা: ইস্ট ইন্ডিয়া ফিল্ম কর্পোরেশন; কাহিনি, চিত্রনাট্য পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: যতীন দাস; মিউজিক: কৃষ্ণচন্দ্র দে। অভিনয়: পৃথ্বীরাজ কাপুর, গুল হামিদ গোবিন্দ রাও টোমবে, মুকতার বেগম , ধীরাজ ভট্টাচার্য ,হীরালাল, ইন্দুবালা , ত্রিলোক কাপুর , মাঝহার খান , দুর্গা খোটে, কৃষ্ণচন্দ্র। 'সীতা' সিনেমাটি গুজরাতি ভাষাতেও নির্মিত হয় 'সীতা', প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র যা ১৯৩৫ সালে ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে সার্টিফিকেট অফ মেরিট পায়।
ইনকিলাব; ১৯৩৫; হিন্দি; সাদা কালো। প্রযোজনা: নিউ থিয়েটার্স; কাহিনি, চিত্রনাট্য পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: কৃষ্ণগোপাল; সঙ্গীত নির্দেশক: রাইচাঁদ বড়াল ; গানের কথা: কিদার শর্মা। অভিনয়: দূর্গা খোটে, পৃথ্বিরাজ কাপুর, সৈয়দ মহাম্মাদ নবাব, কৃষ্ণচন্দ্র দে, এইচ সিদ্দিকি, মেহরা, কিদার শর্মা, সুরমা, মলিনা, নির্মল ব্যানার্জি।
জীবন নাটক; ১৯৩৫; হিন্দি; সাদা কালো। প্রযোজনা: জয়ন্ত পিকচার্স; কাহিনি: দেবকীকুমার বসু, নরোত্তম ব্যাস; চিত্রনাট্য পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: ওয়াই. দি. সারপোতদার, হরিভাই প্যাটেল; সঙ্গীত নির্দেশক: হরিশচন্দ্র বালি; গানের কথা: নরোত্তম ব্যাস। অভিনয়: দূর্গা খোটে, রামপিয়ারি, অলকানন্দা, শিবরানি, লাভজি লাভাঞ্জিয়া, নন্দকিশোর মেহরা, ত্রিকমলাল, গুলাম জিলানি শাম, পহেলবান, নির্মল ব্যানার্জি
কারোয়াঁ-এ-হুসেন; ১৯৩৫; কাহিনি: দেবকীকুমার বসু; হিন্দি; সাদা-কালো; পরিচালক; চৌধুরী এম রফি
সোনার সংসার; সাদা কালো; বাংলা; ৩৫ মিমি; ১৫৬ মিনিট। প্রযোজনা: ইস্ট ইন্ডিয়া ফিল্ম কোম্পানি; কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: শৈলেন বোস; শিল্প নির্দেশক: বাটু সেন; সম্পাদনা: ধরমবীর সিং, কে শর্মা; সংগীত রচয়িতা: শৈলেন দে; গান: ধীরাজ ভট্টাচার্য, ছায়া দেবী, কমলা ঝরিয়া, ধীরেন দাস, রঞ্জিত রায়। অভিনয়: অহীন্দ্র চৌধুরী, জীবন গঙ্গোপাধ্যায়, ধীরাজ ভট্টাচার্য, ভুমেন রায়, ছায়া দেবী, মেনকা দেবী, আজুরী, কমলা ঝরিয়া, রাধিকানন্দ মুখোপাধ্যায়, জ্যোৎস্না মিত্র, তুলসী লাহিড়ী, রতিন বন্দোপাধ্যায়, ধীরেন দাস, প্রফুল্ল মুখোপাধ্যায়, নির্মল বন্দোপাধ্যায়, সত্য মুখোপাধ্যায়, নবদ্বীপ হালদার, বিনয় গোস্বামী, কার্তিক রায়, রঞ্জিত রায়। পরিবেশনা: এম্পায়ার টকি ডিস্ট্রিবিউটর্স; মুক্তি: ২১ অক্টোবর ১৯৩৬; প্রেক্ষাগৃহ: উত্তরা
সুনহেরা সংসার; ১৯৩৬, হিন্দি; কাহিনি: দেবকীকুমার বসু ও এন কে মেহরা সাদা-কালো; ১৬৭ মিনিট ক্যামেরা: শৈলেন বসু ; সঙ্গীত: কৃষ্ণচন্দ্র দে; গীতিকার: বিজয় কুমার; অভিনয়: রামপিয়ারি, কমলা ঝড়িয়া, মেনকা দেবী, নন্দকিশোর প্রমুখ।
বিদ্যাপতি; ১৯৩৭; বাংলা; সাদা-কালো; ৩৫ মিমি ; ১৪১ মিনিট। প্রযোজনা: নিউ থিয়েটার্স লি; কাহিনি: কাজী নজরুল ইসলাম; চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; শব্দ গ্রহণ: লোকেন বসু; চিত্র গ্রহণ: ইউসুফ মুলজি; শিল্প নির্দেশক: পি. এন রায়, সৌরেন সেন; সম্পাদনা: সুবোধ মিত্র; সংগীত রচয়িতা: কাজী নজরুল ইসলাম, শৈলেন রায়; সংগীত পরিচালনা: রাইচাঁদ বড়াল; গান: কৃষ্ণচন্দ্র দে, কানন দেবী, অভি সান্যাল, দেববালা, পাহাড়ি সান্যাল। অভিনয়: পাহাড়ি সান্যাল, দুর্গাদাস বন্দোপাধ্যায়, অমর মল্লিক, কৃষ্ণচন্দ্র দে, কানন দেবী, ছায়া দেবী, লীলা দেশাই, প্রফুল্ল মুখোপাধ্যায়, ব্রজবল্লভ পাল, শৈলেন পাল, অহি সান্যাল। পরিবেশনা: অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন; মুক্তি: ২ এপ্রিল, ১৯৩৮; প্রেক্ষাগৃহ: চিত্রা
বিদ্যাপতি; ১৯৩৮; হিন্দি; সাদা কালো ; ১৪১ মিনিট
প্রযোজনা: নিউ থিয়েটার্স; চিত্রনাট্য পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু
বি.দ্র: কাজী নজরুল ইসলামের নাটক অবলম্বনে তৈরী বাংলা ছবি 'বিদ্যাপতি'-র হিন্দি এটি।
সাপুড়ে; বাংলা; ১৯৩৯ ; সাদা কালো ; ১২৩ মিনিট
প্রযোজনা: নিউ থিয়েটার্স লি; কাহিনি: কাজী নজরুল ইসলাম; চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; চিত্র গ্রহণ: ইউসুফ মুলজি; শিল্প নির্দেশক: তারক বসু; সম্পাদনা: কালী রাহা; সংগীত পরিচালনা: রাইচাঁদ বড়াল। অভিনয়: মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, রথীন ব্যানার্জি, পাহাড়ি সান্যাল, কৃষ্ণচন্দ্র দে, কানন দেবী, শ্যাম লাহা, সত্য মুখার্জি, মেনকা, প্রফুল্ল মুখোপাধ্যায়, নরেশ বসু, মণি বর্ধন, ইন্দ্র বসু, হরিদাস ব্যানার্জি, ব্রজবাসী, সারাদেব রাও, আলাউদ্দিন সরকার, আগা আলী,খেমচাঁদ, রতনলাল, ব্রজবল্লভ পাল, অহিসান্যাল, খগেন পাঠক। মুক্তি: ২৭ মে, ১৯৩৯।
সপেরা; ১৯৩৯; হিন্দি; সাদা কালো
প্রযোজনা: নিউ থিয়েটার্স লি; কাহিনি: কাজী নজরুল ইসলাম, দেবকী কুমার বসু, লালচাঁদ বিসমিল; চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; চিত্র গ্রহণ: ইউসুফ মুলজি; সংগীত পরিচালনা: রাইচাঁদ বড়াল ; সংগীত রচয়িতা: কিদার শর্মা। অভিনয়: পৃথ্বীরাজ কাপুর , বিক্রম কাপুর, নবাব আর যারা যারা সাপুড়ে-তে ছিলেন।
এটি বাংলা ছবি 'সাপুড়ে'-র হিন্দি রূপ।
অভিনব; ১৯৪০; বাংলা; সাদা কালো
প্রযোজনা: অরোরা ফিল্ম; কাহিনি পরিবর্ধন: প্রমথেশ বড়ুয়া; চিত্রগ্রহণ: কৃষ্ণগোপাল; মিউজিক: রঞ্জিত রায়।অভিনয়: নির্মল ব্যানার্জি, নৃপেন রায়, সুশীল মজুমদার, সমর ঘোষ, নীরেন লাহিড়ী, বিমল রায়, প্রভা, শীলা, হরিসুন্দরী, রঞ্জিত রায়, সুধীর,সুশীল, রাজলক্ষ্মী। মুক্তি: ১৬ নভেম্বর, ১৯৪০।
নর্তকী; ১৯৪০; সাদা কালো; ৩৫ মিমি; হিন্দি।
প্রযোজনা: নিউ থিয়েটার্স লি.; কাহিনি, পরিচালনা ও চিত্রনাট্য: দেবকী কুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: ইউসুফ মুলজি; শিল্প নির্দেশনা: সৌরেন সেন; সম্পাদনা: সুবোধ মিত্র; সংগীত পরিচালনা: পঙ্কজ মল্লিক; সঙ্গীত রচয়িতা: অজয় ভট্টাচার্য, চণ্ডীদাস; গান: পঙ্কজ মল্লিক, লীলা দেশাই। অভিনয়: লীলা দেশাই, নাজম, জগদীশ শেঠী, ওয়াস্তি, আর পি কাপুর, শৈলেন চৌধুরী, নন্দ কিশোর, পঙ্কজ মল্লিক, রজনী রাণী, কলাবতী, বিক্রম কাপুর, পান্না কাপুর, মঃ সিদ্দিকি। পরিবেশনা: কাপুরচাঁদ লিমিটেড; মুক্তি: ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৪০, মিনার্ভা, মুম্বই।১১ এপ্রিল, নিউ সিনেমা-য় কলকাতায়।
এই সিনেমা হিন্দি ও বাংলা দুই ভাষায় তৈরি হয়। হিন্দি ছবিটি প্রথমে মুক্তি পায়।
নর্তকী; ১৯৪১; সাদা কালো; ৩৫ মিমি; বাংলা
প্রযোজনা: নিউ থিয়েটার্স লি.; কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: ইউসুফ মুলজি। শিল্প নির্দেশনা: সৌরেন সেন; সম্পাদনা: সুবোধ মিত্র; সংগীত: পঙ্কজ মল্লিক; সঙ্গীত রচয়িতা: অজয় ভট্টাচার্য, চণ্ডীদাস। গান: পঙ্কজ মল্লিক, লীলা দেশাই। অভিনয়: লীলা দেশাই, ভানু ব্যানার্জি, ছবি বিশ্বাস, শৈলেন চৌধুরী, উৎপল সেন, পঙ্কজ মল্লিক, ইন্দু মুখার্জি, জ্যোতি, কমলা দে, হরিমোহন বোস, কার্তিক রায়, কালি গুহ, সাধন লাহিড়ি, কালী ঘোষাল।পরিবেশনা: কাপুরচাঁদ লিমিটেড; মুক্তি: ১৮ জানুয়ারি, ১৯৪১; প্রেক্ষাগৃহ: চিত্রা।
আপনা ঘর; ১৯৪২; হিন্দি-মারাঠি ; সাদা কালো
প্রযোজনা: সিরকো প্রযোজনা; কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; মিউজিক: হরিশচন্দ্র বালি। অভিনয়: শান্তা আপ্তে, চন্দ্রমোহন, মায়া ব্যানার্জি, জগদীশ শেঠি, নিম্বালকার, জীবন, মহেশ কাউল, মিশ্রা, ডেভিড, গোপ। শ্রী রামানুজা; ১৯৪৩; হিন্দি; সাদা কালো। প্রযোজনা: শ্রী ফিল্মস; কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু; মিউজিক: অনুপম ঘটক। অভিনয়: বিমান ব্যানার্জি, ছায়া দেবী, ধীরাজ ভট্টাচার্য, কমল মিত্র, রাধারাণী, বিপিন গুপ্তা, বি. আর. ট্যান্ডন, ভি পানচোটিয়া, হীরালাল, তুলসী চক্রবর্তী, বিক্রম কাপুর।
সন্ধি; ১৯৪৪; সাদা কালো; বাংলা
প্রযোজনা: চিত্ররূপা লিমিটেড; চিত্রনাট্য: দেবকী কুমার বসু; কাহিনি: শৈলজানন্দ মুখার্জি; পরিচালনা: অপূর্ব মিত্র; চিত্রগ্রহণ: শৈলেন বসু; শিল্প নির্দেশনা: বাটু সেন; সম্পাদনা: বিনয় বন্দোপাধ্যায়; সংগীত রচয়িতা: নরেশ্বর ভট্টাচার্য, সুরেশ চৌধুরী, সুবোধ পুরকায়স্থ, রতনলাল; সংগীত পরিচালনা: অনিল বাগচী; গান: রঞ্জিত রায়, মৃণালকান্তি ঘোষ। অভিনয়: সুমিত্রা দেবী, বিমান ব্যানার্জি, অহিন্দ্র চৌধুরী, দেববালা, রঞ্জিত রায়, ফনি রায়, শরৎ চট্টোপাধ্যায়, বিপিন গুপ্তা, পশুপতি কুন্ডু, মনোরমা দেবী, রেবা দেবী, নৃপতী চট্টোপাধ্যায়, মৃণাল কান্তি ঘোষ, তুলসী চক্রবর্তী, হরিধন মুখার্জি, আশু বোস, টাইগার (ডগ)। পরিবেশনা: অ্যাসোসিয়েট ডিস্ট্রিবিউটর; মুক্তি: ২৬ অক্টোবর, ১৯৪৪; প্রেক্ষাগৃহ: মিনার,বিজলী, ছবিঘর।
স্বর্গ সে সুন্দর দেশ হামারা; ১৯৪৫; হিন্দি; সাদা কালো
প্রযোজনা: চন্দরমল ইন্দ্রকুমার; পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু। অভিনয়: বিমান ব্যানার্জি, পদ্মা দেবী।
মেঘদূত; ১৯৪৫; হিন্দি; সাদা কালো
প্রযোজনা: কীর্তি পিকচার্স; কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; মিউজিক: কমল দাশগুপ্ত। অভিনয়: লীলা দেশাই, শাহু মোদক, কুসুম দেশপান্ডে, ওয়াস্তি, এইচ শিবদাসানী, আগা, এম গুপ্তা, নিম্বালকার।
কৃষ্ণলীলা; ১৯৪৬; হিন্দি; সাদা কালো
প্রযোজনা: গীতাঞ্জলি পিকচার্স; কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু; মিউজিক: কমল দাশগুপ্ত ; চিত্রগ্রহণ: অজয় কর। অভিনয়: কানন দেবী, পরেশ ব্যানার্জি, হীরালাল, সুপ্রভা মুখার্জি, রঞ্জিত রায়, দেবী মুখার্জি, পার্বতী, কমল মিত্র, ক্রিস্ট ধন, গোকুল মুখার্জি, ট্যান্ডন, কাপুর, বিমান মুখার্জি।
অলকানন্দা; ১৯৪৭; সাদা কালো; ৩৫ মিমি; বাংলা
প্রযোজনা: রূপাঞ্জলি পিকচার্স; কাহিনি: মন্মথ রায়; পরিচালনা: রতন চট্টোপাধ্যায়; চিত্রনাট্য: দেবকী কুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: ধীরেন দে। শিল্প নির্দেশনা: শুভ মুখোপাধ্যায়; সম্পাদনা: রবীন দাস; সংগীত পরিচালক: ধীরেন্দ্র মিত্র; সংগীত রচয়িতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লতিকা চট্টোপাধ্যায়, যুথিকা মুখোপাধ্যায়, শান্তি দেবী, বটকৃষ্ণ বোস; গান: সুপ্রীতি ঘোষ। অভিনয়: অহীন্দ্র চৌধুরী, সুপ্রভা মুখোপাধ্যায়, পরেশ বন্দোপাধ্যায়, প্রদীপ কুমার, প্রমিলা ত্রিবেদী, ইন্দু মুখোপাধ্যায়, তুলসী চক্রবর্তী, রবি রায়, অজিত চট্টোপাধ্যায়, পূর্ণিমা দেবী, হরেন মুখোপাধ্যায়, আশু বোস। পরিবেশনা: অ্যাসোসিয়েট ডিস্ট্রিবিউটর; মুক্তি: ৮ আগস্ট, ১৯৪৭; প্রেক্ষাগৃহ: মিনার, বিজলী, ছবিঘর।
স্যর শঙ্করনাথ; ১৯৪৮; সাদা কালো; ৩৫ মিমি; বাংলা
প্রযোজনা: রাধা ফিল্মস; কাহিনি, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: ধীরেন দে; শিল্প নির্দেশনা: শুভ মুখোপাধ্যায়; সম্পাদনা: বিনয় বন্দোপাধ্যায়; সংগীত: অনিল বাগচী; সঙ্গীত রচয়িতা: সুবোধ পুরকায়স্থ।অভিনয়: অহীন্দ্র চৌধুরী তুলসী লাহিড়ি, প্রভাদেবী, রেণুকা রায়, রবি রায়, ফণী রায়, নবদ্বীপ হালদার, হরিধন মুখোপাধ্যায়, বেচু সিংহ, জীবেন বোস, অজিত বন্দোপাধ্যায়, তুলসী চক্রবর্তী, শৈলেন পাল, ম্যালকম, শিপ্রা দেবী, অপর্ণা দেবী। পরিবেশনা: অ্যাসোসিয়েট ডিস্ট্রিবিউটর; মুক্তি: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮; প্রেক্ষাগৃহ: মিনার, বিজলী, ছবিঘর।
এর একটি হিন্দি চিত্ররূপের নামও 'স্যর শঙ্করনাথ'।
কবি; বাংলা; সাদা কালো; ১৯৪৯ ; ১৫১ মিনিট
প্রযোজনা: চিত্রমায়া লি.; চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; কাহিনি: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ; সম্পাদনা: প্রহ্লাদ দাস। চিত্রগ্রহণ: ধীরেন দে; সম্পাদনা: রবীন দাস; সঙ্গীত অনিল বাগচী। অভিনয়: রবীন মজুমদার, অনুভা গুপ্তা, নীতিশ মুখার্জি, নীলিমা দাস, নিভাননী রেবা দেবী, রাজলক্ষ্মী, বেলা, শঙ্করী, মেনকা, তুলসী চক্রবর্তী, আশু বোস, নৃপতী চ্যাটার্জি, গোকুল মুখার্জি, কুমার মিত্র, হরিধন মুখার্জি, তপেন মিত্র, কালীপদ ব্যানার্জি। মুক্তি: ২১ জানুয়ারি, ১৯৪৯।
রত্নদীপ; ১৯৫১; বাংলা; সাদা কালো
প্রযোজনা: চিত্রমায়া লি.; চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; কাহিনি: প্রভাত কুমার মুখার্জি; মিউজিক: রবীন চ্যাটার্জি; সম্পাদনা: প্রহ্লাদ দাস। অভিনয়: অনুভা গুপ্তা, নীতিশ মুখার্জি, মঞ্জু দে, অভি ভট্টাচার্য, পাহাড়ি সান্যাল, মলিনা দেবী, ছায়া দেবী, তুলসী চক্রবর্তী, কমল মিত্র। মুক্তি: ২৩ ফ্রেবুয়ারি, ১৯৫১।
রত্নদীপ; হিন্দি; ১৯৫১; সাদা কালো
চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; স্টুডিও: চিত্রমায়া; কাহিনি/ ডায়ালগ: শেখর রায় (হিন্দী), নরোত্তম ব্যাস। চিত্রগ্রহণ: দেওজী ভাই; সংগীত রচয়িতা: বুদ্ধিচন্দ্র আগরওয়াল, মহেন্দ্র পান; সংগীত পরিচালনা: রবীন চ্যাটার্জি; গান: তালাত মামুদ, গীতা দত্ত, যুথিকা রায়, সন্ধ্যা রানি। অভিনয়: অনুভা গুপ্তা, মঞ্জু দে, অভি ভট্টাচার্য, মলিনা দেবী, পাহাড়ি সান্যাল, তুলসী চক্রবর্তী, রাজকুমার সোনি, সুধীর চক্রবর্তী, গোকুল মুখার্জি, গৌরীশঙ্কর।
রত্নদীপম; তামিল; ১৯৫১; সাদা কালো
পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু ; স্টুডিও: চিত্রমায়া।
তামিল ছবিটি সম্ভবত বাংলা ছবি 'রত্নদীপ' থেকে ডাব করে নির্মিত।
মন্দির; ১৯৫২ ; সাদা কালো; বাংলা; ১২ রিল, ৩৫ মিমি
প্রযোজনা: চিত্ররূপা লিমিটেড; কাহিনি: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়; চিত্রনাট্য: দেবকী কুমার বসু; পরিচালনা: চন্দ্রশেখর বোস; চিত্রগ্রহণ: সুধীর বোস, অজিত সেনগুপ্ত; শিল্প নির্দেশক: তারক বোস; সম্পাদনা: নানা বোস; সংগীত রচয়িতা: বিমলচন্দ্র ঘোষ, ইন্দুপ্রভা দেবী; সংগীত: কালিপদ সেন; গান: হেমন্ত মুখার্জি, সত্য চৌধুরী। অভিনয়: বিকাশ রায়, যমুনা সিংহ, সমর রায়, জোহর গাঙ্গুলী, ছায়া দেবী, তুলসী চক্রবর্তী, অপর্ণা দেবী, অমিতা বসু, মঞ্জু দে, নীতিশ মুখার্জি, মালায়া সরকার, তুলসী লাহিড়ী। পরিবেশনা: কল্পনা মুভিজ লি.; মুক্তি: ৬ জুন, ১৯৫২; প্রেক্ষাগৃহ: শ্রী, পূর্ণা।
পথিক; ১৯৫৩; সাদা কালো; ১৩ রিল, ৩৫ মিমি; বাংলা
প্রযোজনা: চিত্রমায়া লি.; চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; কাহিনি: তুলসী লাহিড়ী; চিত্রগ্রহণ: বিশু চক্রবর্তী; শিল্প নির্দেশক: চারু রায়, শিবপদ ভৌমিক; সম্পাদনা: গোবর্ধন অধিকারী; মিউজিক: দক্ষিণামোহন ঠাকুর। অভিনয়: তৃপ্তি মিত্র, শম্ভু মিত্র, মণিকা গঙ্গোপাধ্যায়, তুলসী লাহিড়ী, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, কালী সরকার, গঙ্গাপদ বসু, সবিতাব্রত দত্ত, শোভেন মজুমদার, রঞ্জন মুখোপাধ্যায়, মহম্মদ জাকেরিয়া, অমর।
সবুজ পাহাড়; সাদা কালো; ১২ রিল, ৩৫ মিমি
প্রযোজনা: বিশ্ববানী প্রযোজনা; কাহিনি: দেবীপ্রসাদ কর; চিত্রনাট্য: দেবকী কুমার বসু; পরিচালনা: অপূর্ব মিত্র; চিত্রগ্রহণ: ধীরেন দে, বিভূতি চক্রবর্তী; সম্পাদনা: নানা বোস; সংগীত রচয়িতা: তাড়িত ঘোষ, গোপাল ভৌমিক; সংগীত: দক্ষিণামোহন ঠাকুর। অভিনয়: মালায়া সরকার, অজিত প্রকাশ, ছবি বিশ্বাস, রেণুকা রায়, অমিতা বোস, ভানু বন্দোপাধ্যায়, তারা ভাদুড়ি, কমলা অধিকারী। পরিবেশনা: মতিমহল থিয়েটার লি.; মুক্তি: ১৫ মে, ১৯৫৩; প্রেক্ষাগৃহ: উত্তরা, পূরবী, উজ্জ্বলা।
'ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য'; বাংলা; ১৯৫৩; সাদা কালো; ৩৫ মিমি
প্রযোজনা: চিত্রমায়া লি.; কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: বিশু চক্রবর্তী; শিল্প নির্দেশক: কার্তিক বসু। সম্পাদনা: গোবর্ধন অধিকারী; মিউজিক: কমল দাশগুপ্ত; সংগীত রচয়িতা: কমল দাশগুপ্ত, গোবিন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়; গান: সুচিত্রা মিত্র, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়, মাধুরী আচার্য, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, অপরেশ লাহিড়ি, সুনির্মল, কৃষ্ণ। অভিনয়: বসন্ত চৌধুরী, সুচিত্রা সেন, পাহাড়ি সান্যাল, কৃষচন্দ্র দে, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুপ্রভা মুখোপাধ্যায়, অনুভা গুপ্তা, নমিতা সিংহ, নীতীশ মুখোপাধ্যায়, রবি রায়, বিমান মুখোপাধ্যায়,সন্তোষ সিংহ, গুরুদাস বন্দোপাধ্যায়, অজিত চট্টোপাধ্যায়, বেচু সিংহ,পারিজাত বসু, মাস্টারবাবুয়া। পরিবেশনা: মুভিমায়া লি.; মুক্তি: ১১ ডিসেম্বর, ১৯৫৩; প্রেক্ষাগৃহ: উত্তরা, উজ্জ্বলা, পূরবী।
ছবিটি রাষ্ট্রপতির সার্টিফিকেট অফ মেরিট পায়।
কবি; ১৯৫৪; হিন্দি; সাদা কালো
প্রযোজনা: সানরাইজ পিকচার্স; চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; গল্প: তারাশঙ্কর ব্যানার্জি; সংগীত পরিচালনা: সি রামচন্দ্র। অভিনয়: গীতা বালি, ভারত ভূষণ, নলিনী জয়ন্ত, ওম প্রকাশ, চন্দ্রশেখর, বি এম ব্যাস, জানকী দাস, এইচ প্রকাশ। এই ছবিটি বাংলা 'কবি' ছবির হিন্দিরূপ।
ভালোবাসা; বাংলা; ১৯৫৫; সাদা কালো
প্রযোজনা: দিলীপ পিকচার্স; কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: প্রবোধ দাস; শিল্প নির্দেশক: পুলিন ঘোষ, গুপি সেন; সম্পাদনা: গোবর্ধন অধিকারী; গীতিকার: গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; সংগীত নির্দেশক: নচিকেতা ঘোষ; গান: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, সুচিত্রা মিত্র। অভিনয়: সুচিত্রা সেন, বিকাশ রায়, বনানী চৌধুরী, ভানু বন্দোপাধ্যায়, বসন্ত চৌধুরী, জহর গাঙ্গুলী, মলিনা দেবী, কমল মিত্র, তুলসী লাহিড়ি, মিহির ভট্টাচার্য, সলিল দত্ত, মেনকা দেবী, সন্তোষ সিংহ, মাস্টার সুখেন, নীলিমা দাস, আরতি ঘোষ। পরিবেশনা: ডিলাক্স ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর্স লি.; মুক্তি: ৬ অক্টোবর, ১৯৫৫; প্রেক্ষাগৃহ: উত্তরা, উজ্জ্বলা, পুরবী।
চিরকুমার সভা; বাংলা; সাদা কালো; ১৯৫৬; ৩৫ মিমি
প্রযোজনা: দিলীপ পিকচার্স; চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু; কাহিনী, গীতিকার: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; সংগীত পরিচালনা: সন্তোষ সেনগুপ্ত; চিত্রগ্রহণ: বিশু চক্রবর্তী; শিল্প নির্দেশক: পুলিন ঘোষ, গোপী সেন; সম্পাদনা: গোবর্ধন অধিকারী। গান: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। অভিনয়: অহীন্দ্র চৌধুরী, নীতিশ মুখোপাধ্যায়, উত্তমকুমার, যমুনা সিংহ, জীবেন বোস, জহর গঙ্গোপাধ্যায়, প্রশান্ত কুমার, তপতী ঘোষ,ভারতী দেবী, তুলসী চক্রবর্তী, জহর রায়, অজিত চট্টোপাধ্যায়, অনীতা গুহ, শোভা সেন, অপর্ণা দেবী। পরিবেশনা: ডিলাক্স ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর্স লি.; মুক্তি:১৪ এপ্রিল, ১৯৫৬; প্রেক্ষাগৃহ: নিউ এম্পায়ার, উত্তরা, প্রাচী।
নবজন্ম; বাংলা; সাদা কালো; ১৪ রিল, ৩৫ মিমি
প্রযোজনা: ডিলাক্স ফিল্ম; কাহিনি: আশাপূর্ণা দেবী; চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: বিশু চক্রবর্তী; শিল্প নির্দেশক: পুলিন ঘোষ, গোপী সেন; সম্পাদনা: গোবর্ধন অধিকারী; গীতিকার: গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার; সংগীত নির্দেশক: নচিকেতা ঘোষ; গান: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ছবি বন্দোপাধ্যায়। অভিনয়: উত্তম কুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, অরুন্ধতী দেবী, অজিত বন্দোপাধ্যায়, সবিতা চট্টোপাধ্যায়, বনানী চৌধুরী, জহর গাঙ্গুলী, তুলসী লাহিড়ি, নিভাননী দেবী, মিতা চট্টোপাধ্যায়, মাস্টার তিলক, বাণী গঙ্গোপাধ্যায়, মাস্টার বাবুয়া। পরিবেশনা: পার্শমাল দীপচাঁদ; মুক্তি: ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৫৬; প্রেক্ষাগৃহ: উত্তরা, উজ্জ্বলা, পূরবী।
সোনার কাঠি; বাংলা; সাদা কালো; ১৯৫৮; ১৬ রিল, ৩৫ মিমি
প্রযোজনা: ডিলাক্স ফিল্মস ডিস্ট্রিবিউটর লি.; চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: বিভূতি চক্রবর্তী; শিল্প নির্দেশক: সৌরেন সেন; সম্পাদনা: গোবর্ধন অধিকারী; গীতিকার: গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, প্রণব রায়; সংগীত নির্দেশক: রাজেন সরকার; গান: প্রতিমা বন্দোপাধ্যায়, গায়ত্রী বোস, মাধুরী মুখোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। অভিনয়: ভারতী দেবী, নীতীশ মুখোপাধ্যায়, প্রশান্ত কুমার,আশিস কুমার,তুলসী চক্রবর্তী, অমর মল্লিক, তপতী ঘোষ, শিখারানী বাগ, নিভাননী দেবী, গীতা সিংহ, শ্রাবণী চৌধুরী। পরিবেশনা: পার্শমাল দীপচাঁদ; মুক্তি: ৮ ফ্রেবুয়ারী, ১৯৫৮; প্রেক্ষাগৃহ: উত্তরা, উজ্জ্বলা, পূরবী।
সাগর সঙ্গমে; বাংলা; সাদা কালো; ১৯৫৯; ১৪ রিল; ৩৫ মিমি; ১৩৫ মিনিট। প্রযোজনা, পরিবেশনা: ডিলাক্স ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশন প্রা.লি.;চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকী কুমার বসু; কাহিনি: প্রেমেন্দ্র মিত্র। গীতিকার: শৈলেন রায়; সংগীত পরিচালনা: রাইচাঁদ বড়াল; চিত্রগ্রহণ :বিমল মুখোপাধ্যায়; শিল্প নির্দেশক: সৌরেন সেন; শব্দগ্রহণ: শ্যামসুন্দর ঘোষ; সম্পাদনা: গোবর্ধন অধিকারী; গান: গোবিন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়, মাধুরী মুখোপাধ্যায়, ব্রজেন সেন, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। অভিনয়: ভারতী দেবী, মঞ্জু অধিকারী, নীতিশ মুখোপাধ্যায়, জহর রায়, তুলসী লাহিড়ী, শৈলেন মুখোপাধ্যায়, মহ: ইজরায়েল, অমর পাল, নিভাননী দেবী, মনোরমা দেবী (বড়), মাস্টার বিভু। মুক্তি:১৫ এপ্রিল, ১৯৫৯; প্রেক্ষাগৃহ: উত্তরা, পূরবী, উজ্জ্বলা।
পুরস্কার- রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, ভারত, ১৯৫৮
১) স্বর্ণ পদক: শ্রেষ্ঠ ছবি।
২) রৌপ্য পদক: শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি।
'সাগর সঙ্গমে' সিনেমাটি নবম বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ গোল্ডেন বিয়ার বিভাগের জন্য মনোনীত হয় ।
অর্ঘ্য ; ১৯৬১ ; বাংলা ; সাদা কালো ৮ রিল; ৩৫ মিমি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চারটি কবিতা (পূজারিণী, দুই বিঘা জমি, অভিসার, পুরাতন ভৃত্য) অবলম্বনে তৈরি; প্রযোজনা: পশ্চিমবঙ্গ সরকার, স্বরাষ্ট্র দপ্তর; কাহিনি, গীতিকার: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; চিত্রনাট্য, পরিচালনা: দেবকীকুমার বসু; চিত্রগ্রহণ: দেওজী পাধিহার, বিমল মুখোপাধ্যায়, বিশু চক্রবর্তী; শিল্প নির্দেশক: চারু রায়, কার্তিক বোস; সম্পাদনা: গোবর্ধন অধিকারী; সংগীত নির্দেশক: সন্তোষ সেনগুপ্ত; গান: সুচিত্রা মিত্র, শ্যামল মিত্র, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। অভিনয়: মঞ্জুশ্রী চাকী, বনানী চৌধুরী, অনিতা বন্দোপাধ্যায়,শিখারানী বাগ,জ্ঞানেশ মুখার্জি,সন্ধ্যা রায়,দ্বিজু ভাওয়াল,নীতীশ মুখোপাধ্যায়,অনুপকুমার, অমর গঙ্গোপাধ্যায়। মুক্তি: ৮ মে, ১৯৬১; প্রেক্ষাগৃহ: দর্পণা, জ্যোতি।
এছাড়াও দেবকীকুমার বসু চারটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন ভারতীয় ফিল্ম ডিভিশনের প্রযোজনায়—
রাইদাস
বারগাদ কি আপ বিতি
অন্ধেরে সে উজালে মে
ব্রাহ্মীণ