সুপ্রিম নির্দেশে জামিন কেজরিওয়ালের! নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন দিল্লির মুখমন্ত্রী?
Arvind Kejriwal Bail: কেজরিওয়াল বলেছিলেন, আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় তিনি নির্দোষ। তাঁর রাজনৈতিক দলকে দুর্বল করার চেষ্টাতেই ইচ্ছে করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিল্লি আবগারি মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খানিক স্বস্তিতে কেজরিওয়াল। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই ৯০ দিনেরও বেশি সময় কারাগারে বন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন। তিনি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি, তা উল্লেখ করেই আদালত জামিনের রায় দেয়।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারকের বেঞ্চ কেজরিওয়ালের এই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে। আবগারি মামলায় ইডির তাঁকে গ্রেফতারি ও রিমান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেজরিওয়াল যে আবেদন দায়ের করেছিলেন তা বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারকদের বেঞ্চ লিখিত রেকর্ডগুলি পর্যালোচনা করে তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারির পরে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ জমা দিতে বলেছে। ইডি শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিল, কেজরিওয়াল এবং আম আদমি পার্টির নাম আনুষ্ঠানিকভাবেই দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে জমা দিয়েছে তারা। কেজরিওয়াল এবং এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত অন্যদের মধ্যে নানা চ্যাট তারা প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেছে। কেজরিওয়াল তার মোবাইলের পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকার করার পরে এই চ্যাটগুলি পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল বলে জানায় ইডি।
আরও পড়ুন- মিলে গেল কেজরিওয়ালের ভবিষ্যদ্বাণী! মোদি কি বানপ্রস্থের পথে?
সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় অতিরিক্ত দলিল জমা দেওয়ার জন্য সব পক্ষকেই এক সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করে। কেজরিওয়ালের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভী ইডির এই দাবির বিরুদ্ধে যুক্তি দেন, কেজরিওয়ালের প্রাথমিক গ্রেফতারির সময় ইডি যে নতুন প্রমাণগুলি দিচ্ছে সেগুলি কিছুই উপস্থিত ছিল না।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে এই একই বেঞ্চ এর আগে ১ জুন অবধি কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল, তার পরে তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। ইডির অভিযোগ, কেজরিওয়াল গোয়ায় আপের নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। এই ঘটনার প্রমাণ রয়েছে ইডির হাতে। আর এই ১০০ কোটির দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
আরও পড়ুন- ‘ইতিহাসে এমন হয়নি…’ কেজরিওয়ালের বিচার নিয়ে যে প্রশ্ন তুলছেন ১৫০ আইনজীবীর দল
দিল্লি হাইকোর্ট ইডির গ্রেফতারির ও রিমান্ডের বিরুদ্ধে কেজরিওয়ালের আবেদন খারিজ করে। একে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান কেজরিওয়াল। ইডি কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিকে ন্যায়সঙ্গত বলে দাবি করে যে, তিনি দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড এবং প্রাথমিক ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন।
২২ মার্চ, একটি আদালত কেজরিওয়ালকে ইডির হেফাজতে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল। পরবর্তীকালে তা বিচারিক হেফাজতে বদলে যায়। সুপ্রিম কোর্ট ১ জুন অবধি কেজরিওয়ালকে তখন অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করে কেজরিওয়াল বলেছিলেন, আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় তিনি নির্দোষ। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁকে অপদস্থ করা, কলঙ্কিত করা এবং তাঁর রাজনৈতিক দলকে দুর্বল করার চেষ্টাতেই ইচ্ছে করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।