হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত শাহরুখ! প্রবল ফিট জীবনেও কেন খেলার মাঠেই কাবু বাদশা?

Shah Rukh Khan Heatstroke: আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে কেকেআরের জয় উদযাপন করছিলেন বাদশা। হঠাৎ বিপত্তি!

তিনি বৃদ্ধ হলেন? ৫৭ বছর বয়সে একের পর এক অ্যাকশন সিনেমায় জেন-Z রাও যাকে দেখে ঘাবড়ে যায়, সেই তিনিই কি বৃদ্ধ হলেন? বয়সের নানা ভার সযত্নে সরিয়ে রাখতে পারলেও হিটস্ট্রোক কাবু করে দিল শাহরুখ খানকে। মঙ্গলবার হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় শাহরুখ খানকে আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মধ্যে খেলা ছিল। সেই খেলায় ভরপুর উদ্যমে মাঠে দেখা যায় তাঁকে। জয়ী হয় কেকেআর, আর তারপরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

আহমেদাবাদে সেদিন ছিল ৪৫-ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহ-মালিক শাহরুখ খান মঙ্গলবার রাতে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে কেকেআরের জয় উদযাপন করেন। তাঁর সন্তান সুহানা খান এবং আবরামও ছিল তাঁর সঙ্গেই। দুই বাহু খুলে নিজের আইকনিক পোজে দর্শকদের অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন শাহরুখ। তারপরেই ঘটে বিপত্তি। ডিহাইড্রেশনে ভুগছিলেন কিং খান। আপাতত শাহরুখের স্বাস্থ্য স্থিতিশীল থাকলেও তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন- দর্শক মনে প্রাণে চেয়েছিল শাহরুখ মরুক! সাইকোপ্যাথ খুনিই ছিল বাজিগরের ‘হিরো’

হিটস্ট্রোক কী?

হিটস্ট্রোক তখন ঘটে যখন পরিবেশের তাপমাত্রা এতটাই বেশি হয় যে শরীর ঘামতেও পারে না যাতে দেহের মূল তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই ধরনের ক্ষেত্রে, শরীরে সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো লবণের তীব্র ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। লবণের ভারসাম্যহীনতার পাশাপাশি শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা দেহের অঙ্গগুলিকে সাময়িক বিকল করে, যার ফলে অনেকগুলি উপসর্গ দেখা দেয়।

হিটস্ট্রোক মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে একজন ব্যক্তির মাথা কাজ করে না, ভুল বকতে পারেন, ঘোরের মধ্যে থাকেন এবং গুরুতর ক্ষেত্রে কেউ কেউ কোমাতেও যেতে পারেন। হিটস্ট্রোকে কিডনি এবং লিভারের ক্ষতিও হতে পারে। এই ধরনের বিভিন্ন উপসর্গের কারণে হিটস্ট্রোক মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।

 

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Kolkata Knight Riders (@kkriders)

হিটস্ট্রোকের গুরুতর ক্ষেত্রে শরীরের মূল তাপমাত্রা দ্রুত নামিয়ে আনাই প্রধান লক্ষ্য। আক্রান্তের উপর ঠান্ডা জল ঢেলে, তাঁকে ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে দেহের তাপমাত্রা কমাতে হয়। দেহে লবণের ভারসাম্য রাখতে ইলেক্ট্রোলাইট দেওয়া যেতে পারে। তবে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দিলে আক্রান্তকে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। কী সেই উপসর্গ?

শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি কিন্তু তারা মোটেও ঘামছে না
ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছে
বমি করছে, প্রস্রাব করছে
এবং ঠিকমতো শ্বাস নিচ্ছে না

যারা বয়স্ক এবং খুব বাচ্চা বয়স এবং যাদের আনুসঙ্গিক নানা ব্যাধি আছে তাদের এই ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন- নক্ষত্রের অবসর নেই, খুচরো জনতার খড়কুটো আজীবন শাহরুখই

হিটস্ট্রোক এড়াতে কী করবেন?

হিটস্ট্রোক এড়াতে সরাসরি সূর্যালোকে, বিশেষ করে দুপুর থেকে বিকাল ৩টের মধ্যে বাড়ির বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো। এই সময়ে ভারী কাজও এড়ানো উচিত। যদি একান্তই আপনাকে বাইরে যেতে হয়, তবে তেষ্টা না পেলেও জল খাওয়া উচিত। অন্যান্য তরল যেমন লস্যি, লেবুর জল, বাটারমিল্ক বা ওআরএস খাওয়া যেতে পারে যাতে দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা বজায় থাকে। অ্যালকোহল, চা, কফি এবং কার্বনেটেড সফট ড্রিঙ্ক একেবারেই খাওয়া উচিত নয় কারণ এগুলো আপনার শরীরকে আরও ডিহাইড্রেট করতে পারে। হালকা রঙের, ঢিলেঢালা সুতির পোশাকই পরা উচিত এবং সানগ্লাস ও ছাতা ব্যবহার করতেই হবে।

More Articles