কয়লা শহর, রেল আর চার্চ! কেমন আছেন আসানসোলের আধা-ফিরিঙ্গিরা?
Anglo Indian's of Asansol: ‘আধা-ফিরিঙ্গি'-দের জন্য চাই কী? কয়েকটা মিশিনারি স্কুল, শহরে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গড়ে উঠবে অ্যাংলো-বাড়ি, সামাজিক জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় শর্ত– অ্যাংলিকান চার্চ।
“There is place in my heart and forever will be/ The place I will always call my home/ someday I will go back to where my heart belongs/ I am born down the streets of Asansol...”
অস্ট্রেলিয়ান কান্ট্রি মিউজিক— ‘স্ট্রিটস অব আসানসোল’। গাইছেন টেরি মিশ্র। কলকাতায় সবে বৃষ্টি নামছে। টেরি বলছেন আসানসোলের গলির কথা, রেলওয়ে-বাড়ির কথা, ক্রিসমাসের কেকের কথা। ফিরে যেতে চাইছেন তাঁর ‘হোম’-এ। অথবা চাইছেন কি? অস্ট্রেলিয়ায় চারিদিকে ছাপ-ছাপ সবুজ। টেরি মিলিয়ে নিচ্ছেন সেই সবুজের সঙ্গে আসানসোলে খেলার মাঠের জংলা ঘাসের রঙ। আর মেদুর সুরে তাঁর গান খুঁজে বেড়াচ্ছে ‘হোম’। ভৌগোলিক নকশা বাদ দিয়ে এক আত্মজনের উষ্ণতার হোম। আজন্ম পরিচিত অভ্যাসের হোম। এর চেয়ে বেশি আর সুখ কোথায়? আর কোথায় মিলবে এত সুর?
বৃষ্টির সঙ্গে শুনছিলাম এই গানটা। টেরি মিশ্র। পিতামহ নবরতন মিশ্র। তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেন মিনি নাম্নী এক অ্যাংলো মহিলাকে বিয়ের জন্য। মাতামহের বাবা আবার ছিলেন আইরিশম্যান। অ্যালবার্ট কারনাঘান। বিয়ে করেছিলেন আসানসোলের সুন্দরী অ্যাংলো মেয়ে ক্যাথলিন ব্রাউনকে।
আরও পড়ুন- ঢাকায় প্রথম ব্যান্ড তৈরি করেছিলেন একজন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানই
আসানসোল শহরের সাংস্কৃতিক আবহ ছিল বরাবরই মিশ্র, বহু ভাষাভাষী মানুষের বাস। ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, একসময় এখানে বসবাস করত জৈনরা। কিছুকাল ছিল মুসলিম শাসনও। তবে আসানসোল শহরের বিবর্তন শুরু হয় কয়লা শিল্পের হাত ধরে। তাকে ঘিরে তৈরি হলো রেলওয়ে। সমস্ত কিছুরই সূত্রধর ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি। রানিগঞ্জ কয়লাখনির বিপুল আকর সম্পদ বোঝাই হয়ে প্রথম রেল চলেছিল ১৮৫৫ সালে কলকাতা থেকে আসানসোল, ‘আসানসোল রেলওয়ে ডিভিশন’ (১৯২৫) তৈরি হওয়ার প্রায় ৭০ বছর আগে। বার্নপুরে তৈরি হলো ‘ইন্ডিয়ান আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি (IISCO)’। আজকের দিনে আসানসোল ইস্ট-ইস্টার্ন রেলওয়ের ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টার। আর এই রেলওয়ের হাত ধরে ভারতের অন্য শহরগুলির মতো আসানসোলেও থাকতে এল ক’ঘর অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান। কর্মঠ, দেশিয় ইংরেজিতে বলিয়ে-কয়িয়ে ‘আধা-ফিরিঙ্গি’রা। এদের জন্য চাই কী? কয়েকটা মিশিনারি স্কুল, শহরে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গড়ে উঠবে অ্যাংলো-বাড়ি, সামাজিক জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় শর্ত– অ্যাংলিকান চার্চ। আজও আসানসোল শহরের মানচিত্র ঘেঁটে দেখলে দেখা মিলবে এই সব ক'টিরই।
তবে, একটি ব্যাপারে আসানসোল অন্য সব অঞ্চলের থেকে আলাদা। খড়গপুর, মাইসোর, ম্যাকলাস্কিগঞ্জ এমনকী কলকাতাতেও অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানরা নিজেদের নামে কিনতে পারত না জমি কিন্তু আসানসোলে সেই বিধিনিষেধ খানিক শিথিল। রবিন এন্ড্রুজ দেখিয়েছেন, আসানসোল শহরে এদের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল অন্য জায়গার অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের থেকে ভালো। এসময় অনেকেই ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরে। তবে অ্যাংলো জাতির থাকার জন্য নির্দিষ্ট ছিল কিছু জায়গা। অ্যাংলোদের চাহিদা ছিল সামান্যই, ‘যাতে বাড়ি থেকে দেখা যায় চার্চ’। প্রতিটি মিশ্র ভাষার শহরেই অ্যাংলোরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছিল চার্চকে কেন্দ্র করেই। ভিন্ন ভাষাভাষীর সঙ্গে বসত করতে গিয়ে তাদের ছিল এই একটিই ভয়। চার্চেই হতো তাদের স্বজাতির মিলন। এই ছোট শহরগুলিতে অ্যাংলো পরিচিতি-অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতিকে খানিকটা ধরে রেখেছে এই চার্চই। ১৮৭৮-এ আসানসোলে তৈরি হয় ‘ইউরোপিয়ান ইন্সটিউট’। ১৯১৫-তে মর্টেমার ডুরান্ডের নামানুসারে এর নাম হয় ‘ডুরান্ড ইন্সটিউট’। স্থানীয় অ্যাংলোদের কাছে বিপুল জনপ্রিয় ছিল এই ডুরান্ড ইন্সটিউট। রেলওয়ে-অ্যাংলোদের জমাটি সান্ধ্য আড্ডা বসত এখানে। নানারকম খেলাও হতো, বসত গান-নাচের আসর।
কলকাতার অ্যাংলোরা আসানসোলকে ‘স্লিপি রেলওয়ে টাউন’ বলেই বর্ণনা করেছে। আবার অণু-ইতিহাস বলে, এই ছোট শহরগুলির সামাজিক প্রতিষ্ঠান তৈরিতেও অ্যাংলো-সমাজের অবদান ছিল। আসানসোলে এসময় তৈরি হয় অনেকগুলি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলও। সেন্ট প্যাট্রিক ১৮৯১ সালে তৈরি করলেন আইরিশ-খ্রিস্টান স্কুল যা পরবর্তীতে ‘সেন্ট প্যাট্রিক হাই স্কুল’ নামে পরিচিত হলো। ১৯১৯ সালে তৈরি হলো ‘সেন্ট ভিনসেন্ট হাই স্কুল’ আর ১৮৭৭ -এ ‘লোরেটো কনভেন্ট’। এই তিনটি স্কুল এখনও রয়েছে আসানসোলে। অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের সাধারণ পেশা ছিল— মিশনারি স্কুলগুলিতে শিক্ষকতা অথবা ইঞ্জিন ড্রাইভার-রেলকর্মীর কাজ।
টেরি মরিসের মা-ও ছিলেন একটি স্কুলের শিক্ষিকা। টেরি মরিস নিজে ছিলেন সেন্ট ভিনসেন্ট হাই স্কুলের আবাসিক ছাত্র। তিনি জানিয়েছেন, এখান থেকেই তিনি বাজাতে শিখেছেন স্যাক্সোফোন, গিটার ও ট্রাম্পেট। সেন্ট ভিনসেন্ট স্কুলের আবহেই তাঁর গানের জগতের প্রতি আগ্রহ জাগে। স্কুলেই তিনি তৈরি করেন তাঁর প্রথম বাংলা ব্যান্ড, ‘দ্য হেইলস্টোন’। এরপরেও মরিস তৈরি করেছিলেন দু'টি ব্যান্ড— ‘দ্য রক রিভাইভাল’ এবং ‘দ্য ট্রিপ’। টেরি মিশ্রর অনুষ্ঠান তখন বিখ্যাত আশেপাশের রেলওয়ে টাউন যেমন আদ্রা, খড়গপুর, চক্রধরপুর, জামশেদপুর এমনকী কলকাতাতেও। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ অবধি ব্রিটেনে থাকেন তিনি। তারপর পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। টেরি মিশ্র থেকে মরিস হয়ে ওঠার গল্পে তিনি বলেন— ২০১০-২০১১-তে দুবাই ভ্রমণের সময় তাঁর সহায়কের পরামর্শে মিশ্র পদবি বাদ দিয়ে তাঁর মিডল নেম 'মরিস' ব্যবহার করতে শুরু করেন। তবে, ১৯৬০ সাল থেকে আসানসোলে কমে যেতে থাকে অ্যাংলোদের সংখ্যা। ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী, আসানসোলে অ্যাংলো মানুষদের সংখ্যা মাত্র ছিল তিনশ জন। কারণ একই, চেনা সামাজিক রীতির পরিবর্তন। হারিয়ে যেতে থাকে আসানসোলের মিশ্র আবহ।
আরও পড়ুন- ম্যাকল্যাস্কিগঞ্জ, অ্যাংলো স্মৃতিবেদনার এক হারিয়ে যাওয়া শহর
কিন্তু ‘হোমিং ডিসায়ার’ অ্যাংলোদের ছিল প্রবল। অন্য সংখ্যালঘু মানুষদের মতোই তাঁরা বরাবর দল বাঁধতে চেয়েছিল, চেয়েছিল স্বজাতি, তৈরি করতে, চেয়েছিল নিজেদের এক টুকরো জমি, সাজানো নিটোল অ্যাংলো পাড়া, যেখানে কাছ থেকে দেখা যাবে সেন্ট জন’স চার্চের চুড়ো। থাকবে এক-দু'খান কেক-পেস্ট্রির দোকান। রবিন এন্ডুজ অ্যাংলোদের এই ‘হোমিং ডিসায়ারের’ মাধ্যমেই ইন্ডিয়াতে তাদের ‘নেশন বিল্ডিং’-এর কথা বলেছেন। হয়তো এভাবেই তৈরি হয় প্রান্তিক মানুষের ‘সেন্স অব সিকিওরিটি’। ঔপনিবেশিক ইতিহাস লিখনে আমরা বরাবরই সমষ্টির ইতিহাসকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। তাই তো, চোখের সামনে থেকেও অজানা রয়ে গেছে এই প্রান্তিক মানুষের ইতিহাস। অণু-ইতিহাসের প্রত্যক্ষ ছানবিনে ধরা পড়ে এদের ঘর বাঁধতে চাওয়ার কথা। দেশ তৈরির কথা।
তো, আসানসোলে সুবিধে ছিল এই যে, এখানে অ্যাংলো নামে জমি মিলত সহজেই। ‘সেন্ট ভিনসেন্ট’ স্কুলের নির্মাতাদের পরবর্তী প্রজন্মের কেউ কেউ থাকেন এরই কাছাকাছি জমিতে একটি বড় বাড়িতে। স্কুলের বাকি জমি বিভক্ত হয়েছিল কিছু খ্রিস্টান সেবিকাদের মধ্যে, তৈরি হয়েছিল একটি অনাথ বাচ্চাদের স্কুল আর বয়স্কদের থাকার জায়গাও। নিজস্ব নামে জমি হওয়ায় অনেকক্ষেত্রেই অ্যাংলোরা থেকে গিয়েছিল কয়েক প্রজন্ম ধরেও। সত্তরের দশক থেকেই ভারতীয় রেলকর্মীদের আয় বাড়ে বিপুলহারে। অভিবাসন যে একেবারেই যে হয়নি, তা নয়। আসানসোল নিবাসী বেশিরভাগ অ্যাংলোই অভিবাসিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। আবার অনেকে জেদ করে থেকে গিয়েছিল এই ভারত-ভূমিতে। তাদের মনে ছিল তাদের লিডার ফ্র্যাঙ্ক অ্যান্থনির কথা। অ্যান্থনি বরাবরই অ্যাংলোদের থেকে যেতে উৎসাহিত করেছিলেন এই দেশেই। যেমন আসানসোলনিবাসী এক অ্যাংলো মহিলার সাক্ষাৎকার থেকে জানা যাচ্ছে,
“চেলিডাঙায় আগে ছিল শুধু হিন্দু আর মুসলিম মানুষদের বসবাস, এখন এখানে বাস প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টান মানুষের, যাদের মধ্যে ৫ শতাংশ ছিল অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান...”
আগেও বলেছি, অ্যাংলোদের এদেশের ভাষা ও জমি-মাটির সঙ্গে একাত্মবোধ তৈরি হয় বিবাহের মাধ্যমে।
দুই অ্যাংলো বৃদ্ধার সাক্ষাৎকারে একজন বলেছেন-
“আমি একজন হিন্দুকে বিয়ে করি। আমরা একই কারখানার অফিসে কাজ করতাম। টাকাও জমিয়েছিলাম কিছু অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কিন্তু আমার স্বামী বললেন, এই বয়সে অস্ট্রেলিয়া, আমরা কি পারব সামলাতে? বাচ্চাদের খরচও কি চলবে? আমরা এখানে থিতু হয়েছি, আমরা জানি আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা রয়েছে। আমি তো প্রথমে আমার অ্যাংলিকান মুডে ছিলাম। লাইক- ‘গো ফর ইট’। যেমন হই আমরা অ্যাংলোরা। আমাদের ভিটের টানের আঠা তো ওদের মতো শক্ত নয় কিন্তু জড়িয়ে ফেলেছিলাম আসানসোলের সংস্কৃতিকে, পরিচিত মানুষদের।”
আরেকজন আবার বলেন,
“...নো, আই লাইক ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে আমি মাত্র পাঁচ দিন ছিলাম। এখানে বাড়ির চারপাশের এত আওয়াজ। এই আওয়াজকেই আমি ভালোবেসে ফেলেছি। আমার বাড়ির বারান্দা থেকে আমি দেখি, লোকজনের আসা-যাওয়া। অস্ট্রেলিয়া বড় ফাঁকা, বড় নিঝুম। তুমি জানবে না কে তোমার প্রতিবেশী। বাজার-দোকানও সব সাড়ে পাঁচটা বাজতেই বন্ধ হয়ে যায়... আমার বড় একা লাগে। এই একা লাগার ভয় থেকেই আমরা অ্যাংলোরা একজোট হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম। তুমি দেখো, এই ক্রমাগত অভিবাসন আর একা হওয়ার জন্যই আমাদের অ্যাংলো সমাজ একদিন পুরোপুরি হারিয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন- ব্রিটিশদের ‘বর্জ্য’! খড়গপুর রেল কলোনিতে মুছে গেছে অ্যাংলো জীবনের ঘ্রাণ
দেশ ও পরদেশ, অ্যাংলো নাকি ইন্ডিয়ান, ভিটে ও ল্যান্ডের মধ্যে এভাবেই তাঁরা বারবার ছুঁয়েও ছুঁতে পারছিলেন না তাদের ‘স্যুইট হোম’-কে। বাড়ি মানে তো শুধু ইটের কাঠামো নয়, বাড়ি মানে জন্মদাগ, চেনা গন্ধ, সময়ের গর্ভ থেকে উঠে আসা এক আজন্ম-লালিত পরিচিতি। এক ভাষা, এক ছন্দ, বাড়ি ফিরলেই সবক'টি মুখ যেন এক মুহূর্তে নিজের হয়ে ওঠে। টেরি মরিস তাই আবার লিখলেন-
“I love to sing, I love to dance, I love my scotch and rum/I’m a Catholic I’m a protestant, I’m a faithful Christian/I’m a teacher I’m a railway man, I’m proud of who I am/So I will tell you once again, I am Anglo-Indian.”
গানের কথা, ল্যান্ডস্কেপ-আবেগে বরাবরই এক মিশ্রণের সুর। উন্নাসিক-নাস্তিক পাগলের মতো তিনি খুঁজে চলেছেন তাঁর হোম। খুঁজছেন আসানসোল, অস্ট্রেলিয়া আর আয়ারল্যান্ডের মতো গ্রিন। আবার ফিরিয়েও দিচ্ছেন। কারণ ভূখণ্ড মেটাতে পারছেন না তাঁর হোমের আকুতি। মানচিত্র ছাড়িয়ে পৃথিবীর সব গ্রিনল্যান্ডই হয়ে উঠছে তাঁর হোম। যেখানেই মিলবে সেই আত্মসুখ, প্রিয়মুখ, পরিচিত অভ্যাস।
টেরি এখনও কোথাকার মানুষ মনে করেন নিজেকে? উত্তরে তিনি বলেন-
“জন্মগতভাবে এখনও অবশ্যই ভারতীয়। আমার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ভারতীয় কিন্তু হয়তো এক আইরিশ সংস্কৃতির উত্তরাধিকার ভীষণভাবে ছেয়ে ছিল আমার গান, সংস্কৃতি অভ্যাস এবং খাওয়া-দাওয়ায়। হয়তো আমি ইন্ডিয়ানের থেকে বেশি একজন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান ছিলাম বলেই আমার পরবর্তীতে মানিয়ে নিতে সুবিধে হয়েছে পশ্চিমি সমাজ এবং সভ্যতায়।”
‘অস্ট্রেলিয়া’ গানটিতে তাই টেরি আবার লিখলেন—
“I came here from a distant land many years ago/Searching for middle way of life/ And as I set my feet down on shining golden sand/I knew that what I done was right...”
ঋণ- Anglo-Indians: Buying into Nationhood? – By Robyn Andrews