ক্ষমা চাইলেন মমতা, আরও একবার ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা

RG Kar Medical College and Hospital Incident: শর্তপূরণ না হওয়ায় বৈঠকে রাজি হলেন না আন্দোলনকারীরা। অপেক্ষা করে করে খালি হাতেই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হলেন মমতা।

তৃতীয় দিনেও বৈঠক হল না। জুনিয়র ডাক্তারেরাও পৌঁছে গিয়েছিলেন নবান্নে। সভাঘরে অপেক্ষায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু শর্তপূরণ না হওয়ায় বৈঠকে রাজি হলেন না আন্দোলনকারীরা। অপেক্ষা করে করে খালি হাতেই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হলেন মমতা। হাতজোড় করে বললেন, ‘‘বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি, তিন দিনেও সমস্যার সমাধান করতে পারলাম না। ক্ষমা করলাম ডাক্তারদের। আপনারা কাজে যোগ দিন। এটুকুই আবেদন আমার।’’  তিনি জানালেন, শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে ভেবেছিলাম।’’ জানালেন,  ‘‘আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি হয়। ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়। আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে পারি।’’

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে। একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনার ডাক ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। নবান্ন থেকে বেঁধে দেওয়া শর্ত তারা মানতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন সরাসরি। বুধবার মেল করে তাঁরা বৈঠকে বসতে রাজি বলে জানান। তবে তার জন্য পাল্টা শর্ত বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠকের লাইভ সম্প্রচার ছিল তার মধ্যে প্রধান শর্ত। তবে সেই শর্তে এদিন রাজি হয়নি নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে এসে এদিন বলেন, ‘‘আমি তিন দিন ধরে বসে রয়েছি। যাঁদের বিরুদ্ধে ওঁদের এত অভিযোগ, তাঁদের আসতে বারণ করেছি। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।’’  এদিন তিনি এ-ও জানান, ‘‘ভিডিয়ো রেকর্ড করা হবে, জানানো হয়েছিল। তিনটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। চাইলে ভিডিয়োর রেকর্ড তাঁদের হাতে তুলে দিতাম। সুপ্রিম কোর্ট যে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারে, আমরা পারি না। মামলা বিচারাধীন। সিবিআই দেখছে। চাইলে আমরা তাদের ভিডিয়ো রেকর্ড দিতাম। কোর্টকেও দিতে পারতাম।’’

স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ১৫ জন প্রতিনিধিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠকে ডেকে পাঠিয়েছিল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মুখ্যসচিবের চিঠির পর আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ১৫ নয়, ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়েই তাঁরা নবান্নে যাবেন। এই সিদ্ধান্তের কথা ইমেল মারফত মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে। শেষপর্যন্ত সেই ৩০ জনকেই নবান্নে ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।

সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে হাওড়া নবান্ন। এই দূরত্বটুকু পাড়ি দেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের জন্য গাড়ির ব্য়বস্থা করার কথা জানানো হয়েছিল নবান্নের তরফে। তবে তাতে রাজি হননি চিকিৎসকেরা। বরং যাতায়াতের জন্য নিজেরাই ব্যবস্থা করেন আন্দোলনকারীরা। বাসে চেপেই রওনা হন নবান্নের উদ্দেশে। বিকেল ৫.২৫ নাগাদ নবান্নে পৌঁছন তাঁরা।

আরও পড়ুন: আরজি কর সামনে, আগ্নেয়গিরি বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে, কেন বিদ্রোহ?

বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য চার দফা শর্ত বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তার একটি মূল শর্ত ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বৈঠকের লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। তবে সেই শর্তে রাজি নয় নবান্ন। আর তার পরেই নবান্নে ঢুকতে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল ঢুকতে রাজি নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এই দাবিতে কার্যত অনড় অবস্থান নিয়েছেন প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। নবান্ন থেকে নেমে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মাও।

যতদূর জানা গিয়েছে, আন্দোনলকারীদের এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন চার জন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার। এদিন বিকেল বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট থেকে সভাঘরে অপেক্ষায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। কিন্তু লাইভ টেলিকাস্টের শর্তে অনড় ছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সঙ্গে এদিন দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রশাসন এবং পুলিশের শীর্ষকর্তারা। তার পরে মুখ্য়সচিব জানিয়ে দেন, সরাসরি সম্প্রচার হবে না কোনও ভাবেই। তবে তার বিকল্প হিসেবে ভিডিয়ো রেকর্ড করা সম্ভব বৈঠকের। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব বলেন, ‘‘যে কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হয় না। এ ক্ষেত্রেও তার কোনও প্রয়োজনীয়তা আমি দেখতে পাচ্ছি না। ওঁদের অনেক বার বোঝানো হয়েছে। ১৫ জনকে আসতে বলা হয়েছিল। ৩২ জন এসেছেন। আমাদের খোলা মনে আলোচনার সদিচ্ছা রয়েছে বলেই অনুমতি দিয়েছি। আমাদের উচ্চপদস্থ কর্তারা কথা বলেছেন। কিন্তু ওঁরা রাজি হননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিকেল ৫টা থেকে এটার জন্য অপেক্ষা করছেন।’

বৈঠক বানচাল হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই কিছু বিষয় মানতে হয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এমন কিছু করতে চাইনি, যাতে অচলাবস্থা দূর না হয়। চিঠিতেও লিখে দিয়েছিলাম। খোলা মন নিয়ে আলোচনার কথা বলেছিলাম। যে কোনও বিষয় তুলতে পারতেন। তার পর সংবাদমাধ্যমকে জানাতেন। বৈঠক ইতিবাচক হলে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করতাম।’’ মমতা বলেন, ‘‘আমরা সকলকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলাম। কেন তাঁরা আসেননি, সেটা সংবাদমাধ্যমকে বলতে পারতেন। আমি নিজেও ফোন আনিনি। ওঁদেরও বারণ করা হয়। আমি এবং চন্দ্রিমা ছাড়া কাউকে ডাকিনি, যাতে খোলামেলা আলোচনা হতে পারে।’’ কার্যত এদিন হতাশা ঝরে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণে এখন পর্যন্ত ২৭ জন মারা গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের প্রাণ চলে যেতে পারে। ’’ এদিন তিনি এ-ও জানান,‘‘আমি ইমার্জেন্সির সমর্থক নেই। আন্দোলনেই আমার জন্ম।’

সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের কড়া বার্তা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কার্যত সময় বেঁধে দিয়ে কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার পরামর্শ দেন। তবে মঙ্গলবার তেমন কিছুই ঘটেনি। বরং চিকিৎসকেদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের দাবিদাওয়া না মানা হলে কাজে ফেরার প্রশ্নই নেই। বরং সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর বেড়েছে চিকিৎসকদের দাবিদাওয়া। এতদিন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চাইছিলেন চিকিৎসকেরা। এবার সেই লিস্টে যোগ হয়েছে আরও বেশ কিছু নামও। সেই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)-র নামও।

সোমবারই আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের কথা। সেই কর্মসূচী মেনেই মঙ্গলবার ঝাঁটা হাতে স্বাস্থ্য ভবনে ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙার দাবিও তুলে জড়ো হন তাঁরা। শুরু হয় ধর্না। স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে দাবিদাওয়া জানানোর সুযোগ না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান চালানো হবে বলেও জানানো হয়। ছ'দফা দাবিও তোলা হয় জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে। সেই দাবির মধ্য়ে ছিল—

  • আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ।
  • তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার।
  • সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে ‘ব্যর্থ প্রমাণিত’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা।
  • রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
  • রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়া এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা।
  • স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য আধিকারিকের পদত্যাগ।

ওই দিনই জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের তরফে এ নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে মেলও করা হয়। তবে সেই ডাকে সাড়া দেয়নি বিক্ষোভকারীরা। চিকিৎসকেদের অভিযোগ, সেই মেলে কোথাও লেখা ছিল না মুখ্য়মন্ত্রী কথা বলতে চান। ৬ লাইনের মেল। লেখা ছিল সিনিয়র গভর্নমেন্ট প্রতিনিধিরা কথা বলতে চান। আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দেন, "এই মেলকে সদর্থক হিসাবে দেখছি না। আলোচনার পথ খোলা রাখতে চাই। হেল্থ সচিবের কাছ থেকে ইমেল আসা কষ্টকর। নট মোর দ্যান ১০জন, এটাকেও অসম্মানজনক বলে মনে করছি। যেভাবে মেল এসেছে এরপর দাঁড়িয়ে এই মেলে সাড়া দেওয়ার জায়গায় আমরা নেই।" তার পরে বুধবার আন্দোলনকারীদের তরফে পাল্টা মেল করে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে সাড়া দেওয়ার কথা জানানো হয়। বেঁধে দেওয়া হয় তার সঙ্গে নয়া চারটি শর্ত। কী কী ছিল সেই শর্তে?

  • অন্তত ৩০ জনের প্রতিনিধিদল থাকবে বৈঠকে।
  • নবান্নে যে বৈঠক হবে, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তার লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে।
  • আন্দোলনকারীরা যে ৫ দফা দাবি জানিয়েছিলেন আগে, সেই দাবিগুলির উপরেই বৈঠকে আলোচনা হতে হবে।
  • নবান্নে যে বৈঠক হবে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে হবে।

এর মধ্যে দ্বিতীয় শর্ত নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে আন্দোলনকারী ও নবান্নের মধ্যে। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের লাইভ টেলিকাস্টের শর্ত না পূরণ হলে, তাঁরা আলোচনায় যাবেন না। ফিরে যাবেন তাঁরা ফের ধর্নায়। যদিও তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা আলোচনার জন্য এসেছেন । আলোচনাই করতে চান। তবে এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে কোনও রকম সমঝোতার পথেই হাঁটতে চাইছেন না আন্দোলনরতরা। মমতা নবান্ন সভাঘর থেকে না বেরনো পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলেছিলেন  তাঁরা। তবে শেষপর্যন্ত একাই সাংবাদিক বৈঠক করতে চলে যান মমতা। 

আরও পড়ুন: মমতার অপরাজিতা বিলে ধর্ষকদের দোষী সাব্যস্ত করাই কঠিন হবে! কেন বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

এরই মধ্য়ে বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজগুলির কাছে কাজে যোগ দেওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের তালিকা চেয়েছিল রাজ্য। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রাজ্যের সব হাসপাতালকে জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশ পাঠিয়ে বলা হয়েছিল, দুপুর ২টোর মধ্যে জমা দিতে হবে ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট। রাজ্যের সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই ওই নির্দেশ পাঠানো হয় বলে খবর। সুপ্রিম কোর্টের ৯ সেপ্টেম্বরের নির্দেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বলা হয়, দুপুরের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ফর্মে ওই পরিসংখ্যান নথিভুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ, এ বার কোন কোন জুনিয়র ডাক্তার কাজে আসছেন আর কারা আসছেন না, তার হিসাব রাখতে চাইছে রাজ্য। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের দাবি, এটি একটি নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া মাত্র। এর সঙ্গে চলমান আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা অবশ্য কিছু জানাননি।

 

More Articles