পেট ভরে খেয়েই কমবে ওজন! যে সব সহজ উপায়ে হতে পারে মুশকিল আসান

Weight Loss : নতুন বছরে যেসব উপায়ে সহজেই কমাতে পারেন বাড়তি মেদ

নতুন বছরের খুব পরিচিত রেজোলিউশন-এর একটা হল ওজন কমানো। এই বছরে রোগা হতেই হবে। যান্ত্রিক জীবনে আমাদের অভ্যাসই হচ্ছে কাল। তার ওপর এই ওয়ার্ক ফর্ম হোমের তাড়নায় বাড়িতে এক জায়গায় বসে কাটছে প্রায় নয় ঘন্টা। ফলে তার প্রভাব বইছে আমাদের শরীর। তার সঙ্গে তো রয়েছেই জাঙ্ক ফুড। সব মিলিয়ে মেদ বেড়েই চলেছে আর তার সঙ্গে ডেকে আনছে হাজারটা রোগ। তাই এর থেকে প্যজন মুক্তি। ওজন বেড়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল আমাদের লাইফস্টাইল। সঠিক নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম ও নিত্যদিনের কাজকর্ম করলেই ওজন থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে। ওভার ওয়েট বা ওবেসিটি-র সমস্যা থেকে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে নিজের বাড়তি ওজনে রাশ টানুন সবার আগে।

ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ

অনেকেই মনে করেন ওজন কমাতে খুব করা কিছু ডায়েটই হল মোক্ষম উপায়। তারপর খাবারের এই কাটছাঁট তালিকা দেখে মন খারাপ হয়ে যায় অনেকেরই। কিন্তু আজ আপনাকে বলব এমন কিছু ভালো অভ্যাসের কথা, যার ফলে সহজেই কমবে ওজন, তাও আবার বিনা ডায়েটেই। প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, আমরা সারাদিনে যা খাচ্ছি তার মধ্যে কতটা ক্যালোরি থাকছে। সবই খাবেন কিন্তু পরিমাণ মতো। বেশি ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট এবং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন না। তবে হ্যাঁ, একেবারেই বাদ দেবেন এমন নয় তাতে আবার শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কারণ ব্যায়ামের সময় শরীরে শক্তির জোগান দিতে পরিমিত কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজন হবে।

আরও পড়ুন - ডায়েটে আসলে বাড়ছে ওজন! কোন কোন ডায়েট ফুড আসলে মরণফাঁদ?

ব্যায়ামের মাত্রা বাড়ান

নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস একটি সুস্থ জীবন উপহার দিতে পারে। এর ফলে ক্যালোরি বার্ন করতে পারেন আপনি, যার জেরে ওজন হ্রাস করতে পারবেন সহজেই। উপরন্তু, ব্যায়ামের অভ্যাস আপনার হার্ট, রক্তচাপ, সুগার এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন অন্তত ৮০০০-১২০০০ পা হাঁটুন, এটি যে শুধুমাত্র আপনার ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে তাই নয়, পাশাপশি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিও সাধন করতে পারে।

পরিমিত ঘুম

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার ঘুমের রুটিন নির্দিষ্ট করুন। দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমই হতে পারে সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি। রাতের ঘুম ভালো এবং পরিমিত হলে তা পেশীর শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে হজম শক্তি বাড়ে। ফলে, দেহের চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াটিকেও ত্বরান্বিত করতে পারে সঠিক ঘুমের অভ্যাস।

প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না

ওজন কমানোর জন্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাঙ্ক ফুড না খেয়ে বাড়িতে তৈরি সহজ পাচ্য খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। সাধারণ খাবারের তুলনায় প্যাকেটজাত খাবারে কম ফাইবার থাকে, কিন্তু সুস্থ শরীর টিকিয়ে রাখতে ফাইবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া প্রতিদিন অন্তত চার থেকে পাঁচ লিটার জল পান করুন এতে শরীর চাঙ্গা থাকবে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

সর্বোপরি নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখুন। অফিসের কাজের সময়টা বাদ দিয়ে বাকি সময় টুকটাক ঘরে কাজ করুন। নিজের ছোটখাটো প্রয়োজনে কাউকে হুকুম না করে নিজেই উঠে নিয়ে আসুন। লিফট থাকলেও চেষ্টা করুন সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করতে। বাড়িতে পোষ্য থাকলে তার সঙ্গে খানিক দাপাদাপি করতে পারেন, এতে শরীর, মন দুইই ভালো থাকবে। দেখবেন এসব করতে আপনাকে আলাদা করে চাপ নিতে হচ্ছে না অথচ কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখায় এমনিতেই ক্যালোরি ঝরে গিয়েছে অনেকটা।

More Articles