বিপ্লব থেকে গুণ্ডামি, যে পথে এগিয়েছে বাংলার 'জ্বালিয়ে দাও-পুড়িয়ে দাও' আন্দোলন

Political Vandalism: এই জ্বালিয়ে দেওয়ার ইতিহাস ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়কাল থেকেই বর্তমান। যা একেবারে সাম্প্রতিককালে পাশের দেশ শ্রীলঙ্কায় দেখা গিয়েছে।

বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা! বিপ্লবের জন্য বিরোধিতা! প্রতিবাদের ভাষা বিরোধিতা! নাকি শুধুই ধ্বংসের জন্য বিরোধিতা! সমসাময়িক প্রেক্ষাপট এবং বাংলা তথা ভারতবর্ষের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, রাজনৈতিক আবহে ফের উঠে আসছে এই প্রশ্নই। প্রশ্ন উঠছে, 'জ্বালিয়ে দাও-পুড়িয়ে দাওয়ে'র আবহে যেখানে বারবার বলা হয় শান্তি-সহিষ্ণু আর সৌজন্যের কথা, ঠিক সেখানেই কেন বারবার আবর্তিত হয় এমন ধ্বংসের চিত্র, শেষ করার মুহুর্মুহু ইচ্ছা! আর এই চিন্তা, আলোচনার সামগ্রিক দোলাচলেই উঠে আসছে পুরোনো সেই দিনের কথা।কেন?

প্রতি মুহূর্তে শাসক আর বিরোধী; কে বেশি ভাল, কার বিচরণ সর্বাধিক মানবমুখী, কে বেশি জনতাবান্ধব, এই কথার তির নিক্ষেপের চেষ্টা হলেও আসলে বিরোধী হলেই বদলে যাচ্ছে প্রতিবাদের ভাষা! বিরোধী হলেই ক্রমশ বদলাবে বিদ্রোহের পথ। আবার শাসক হলেই পূর্ববতী আবহকে ভুলে যাওয়া যাবে নিমেষেই। এই তথ্যই যেন প্রকাশিত হচ্ছে বারবার। আর এই দোলাচলেই আবারও প্রশ্ন তুলেছে গত ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ বিজেপির নবান্ন অভিযান। ওইদিন সকাল থেকেই ক্রমশ উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। কলকাতার পথে পথে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, জলকামান আর পুলিশ-বিজেপি কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধের ছবি যখন দেখছে বাংলা ঠিক সেই সময়েই সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর ছবি। রবীন্দ্রসরণীর বুকে দাউ দাউ করে জ্বলল পুলিশের গাড়ি। মুহূর্তেই ছাই হল সরকারি সম্পদ। তৃণমূল দাবি করছে, "এই গুণ্ডামি আগে দেখেনি বাংলা।" আবার বিজেপির পাল্টা দাবি, "এই ঘটনা ঘটাতে পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল আর কলকাতা পুলিশ।"

আর এই দাবি, পাল্টা দাবি, উত্তেজনার দোলাচলে কি ঢাকা পড়ে যাবে ইতিহাস! যে ঘটনা পরম্পরা এবং জনতার ভুলে যাওয়ার স্মৃতিকে বাহন করেই এক একটি ঘটনা ঘটার পর সকলেই বলবেন, এটি সাম্প্রতিক। এটি নতুন! কলকাতার রাস্তায় দাউ দাউ গাড়িতে আগুনের এই ঘটনা আগে কেউ দেখেনি! নাহ, সময়ের সঙ্গেই দশকের পর দশক ধরে বিবর্তিত হয়েছে ইতিহাস। রাজনৈতিক পারদের তারতম্যে গতি পেয়েছে এমন ছবি। শুধু কলকাতা নয়, দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ভাষায় গঠনমূলক আলোচনা নয়, প্রতিমুহূর্তে জর্জরিত হয়েছে সরকারি সম্পদ। যা সাধারণের করের টাকার, কখনও তা রাজনৈতিক দলের কৃপায়, কখনও আবার পরোক্ষ কোনও শক্তির সমর্থনে আবার কখনও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন অথবা নির্দিষ্ট ইস্যুকে ঢাল করে ধ্বংস হয়েছে।

আরও পড়ুন-‘সংখ‍্যালঘুরা আজও শাসকের কাছে শুধুই ভোটব‍্যাঙ্ক’: নৌশাদ সিদ্দিকি 

রাজ্যজুড়ে, জেলায় জেলায় এর ভুরি ভুরি উদাহরণ থাকলেও আমরা যদি সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করি, তাহলে যা দাঁড়ায়;

২০১৫ সাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে উত্তপ্ত হল নিউটাউন। একটি বেসরকারি সংস্থার নির্মীয়মাণ বিল্ডিং থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু। আর এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ রূপ নিল ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের। একাধিক গাড়ি, মোটরবাইকে লাগানো হল আগুন।

ডিসেম্বর, ২০১৯; নাগরিক সংশোধনী বিল। দেশজুড়ে আন্দোলনের চিত্র দেখেছিল গোটা বিশ্ব। অসম থেকে বাংলা উত্তপ্ত হয়েছিল সবটা। এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের জায়গায় জায়গায় উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। বেলডাঙায় আগুন লাগে দমকলের গাড়িতে। লালবাগে পোড়ে গাড়ি। অবরুদ্ধ হয় জাতীয় সড়ক। জ্বলে একের পর এক ট্রেন। ধ্বংসের ছবি দেখা যায় হাওড়া জুড়ে। উলুবেড়িয়া থেকে শুরু করে একাধিক এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।

জুন, ২০২২; বিহারের একাধিক জেলায় জ্বলে গাড়ি। পুড়ে খাক হয় ট্রেনের কামরা। একের পর এক বাসে লাগে আগুন। আঁচ এসে পৌঁছয় এই রাজ্যেও। কেন্দ্রের অগ্নিবীর-অগ্নিপথ বিরোধিতার আগুন ছড়ায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দিন গুজরান হয় রাজ্যের।

মুর্শিদাবাদের ফেসবুক পোস্ট, আবার রায়গঞ্জে পুলিশের গুলিতে ছাত্র মৃত্যু। উত্তরবঙ্গে নির্বাচনের উত্তেজনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি, বসিরহাটে উত্তেজনা, ধুলাগড়। একাধিক বার, শুধু সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা অথবা একাধিক আবহ থেকে রাজনৈতিক বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়েছে ধ্বংসাত্মক। টায়ার জ্বলার আবহেই পুড়েছে যানবাহন। সবে দোষ গিয়ে পড়েছে ওদের উপর।

কিন্তু শুধুই কি আজ? রাজনৈতিক মহলের অভিজ্ঞ একাংশ বলছেন, না। এই জ্বালিয়ে দেওয়ার ইতিহাস ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়কাল থেকেই বর্তমান। যা একেবারে সাম্প্রতিককালে পাশের দেশ শ্রীলঙ্কায় দেখা গিয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধানের বাড়ি জ্বলেছে, একের পর এক গাড়ি জ্বলেছে। এই চিত্র আমাদের দেশেও বারবার প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু তার প্রেক্ষিত ভিন্ন। যে কারণে আজ গাড়ি-বাড়ি পুড়ছে, তার চেয়ে সেদিনের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। কেন?

পরাধীনতার গ্লানি, অন্যের অধিকারে অত্যাচার। নির্বিচারে মৌলিক অধিকার খর্বের প্রতিবাদে জ্বলে উঠেছিল দেশ। বিদেশি শাসকবধে গাড়িতে আগুন, বোমা, বিক্ষোভ আর মারকাটারি আন্দোলনের পথ বাছতেন বিপ্লবীরা। রানি লক্ষ্মীবাঈ থেকে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। বিনয়-বাদল-দীনেশ থেকে মাস্টারদা সূর্য সেন, মহাত্মা গান্ধী ছাড়িয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। বঙ্গের বহুলাংশেও প্রভাবিত হয়েছিল বিপ্লব। ক্ষুদিরাম বসু আবহে প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়েছিল ইংরেজরা। কিন্তু সময় বদলেছে, এই প্রতিবাদ আর বিক্ষোভের কারণ এবং তার প্রকাশের পন্থা বদলে গিয়েছে। যে কাজ অনুশীলন সমিতি, চট্টগ্রাম যুবসমিতি করত, দেশের বিপ্লবীরা করতেন, সেই একই কাজ হচ্ছে অন্য কারণে। যা রাজনৈতিক বিরোধিতা নয় অথবা বিপ্লব নয়, সম্পূর্ণ ভ্যান্ডালিজম, বলছেন ইতিহাসবিদরা।

এখানেই উঠে আসছে এ রাজ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের অন্যতম সময়, ১৯৫২ থেকে ১৯৭০-৭১ পর্যন্ত সময়কাল। মূলত, খাদ্য আন্দোলন। যুক্তফ্রন্টের উঠে আসা। কংগ্রেসের শাসনব্যবস্থার প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা। এবং ৭০ -এর দশকের শুরুর পর্বের নকশাল আন্দোলনের কথা। তথ্য বলছে, ১৯৬৭ এর বামপন্থার আরেক গোষ্ঠী চারু মজুমদার, কানু সান্যাল, জঙ্গল সাঁওতালদের আন্দোলন, নকশালবাড়ি, পরবর্তীতে দেশজুড়ে বিশেষত পূর্ব ভারতে মাওবাদী আন্দোলনের আবহে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষের। যার মধ্যে প্রশাসন, সাধারণ মানুষও রয়েছে। ২০১১ পূর্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ একাধিকবার রক্তাক্ত হয়েছে। উত্তপ্ত হয়েছে জঙ্গলমহল। জ্বলেছে গাড়ি, হয়েছে মাইন বিস্ফোরণ। থানায় বোমা পড়েছে বারবার। আন্দোলনের গতিপথ বদলে শুধুই প্রতিষ্ঠান আর শাসক-বিরোধিতা পৌঁছে গিয়েছে সন্ত্রাসের অতলে।

আর ঠিক এই পরিস্থিতিতেই উঠে আসছে, ১৯৫৯-১৯৬৭, এই ৮ বছরের ইতিহাস। তখনও নকশাল বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়েনি কিন্তু জ্যোতি বসুদের রাজনৈতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কংগ্রেস বিরোধিতায় তীব্র শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বামপন্থীরা। পার্টির ভাঙন, একের পর এক নির্বাচনে পরাজয়, চিন যুদ্ধের সময় কার্যত একঘরে হয়ে যাওয়া, সবকিছুকে পেরিয়ে তাঁরা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন যুক্তফ্রন্ট সরকার৷ যা কার্যত অসম্ভব বলে মনে হচ্ছিল, তাকে সম্ভব করে তুলেছিলেন বামেরা। জনগণের ক্রোধকে দিতে পেরেছিলেন বাম দিশা। কিন্তু এই কাজে সফল হতে গিয়ে কী ঘটেছিল বঙ্গে?

৩১ অগাস্ট, ১৯৫৯। কলকাতার রাজপথে খাদ্য আন্দোলনের সময়কাল। দুর্ভিক্ষের ব্যানারে হাজির হলেন হাজার হাজার মানুষ। উত্তপ্ত হল রাজপথ। কাঁদানে গ্যাস, লাঠি কিছুতেই বাগে আনা গেল না বিক্ষোভকারীদের। জ্বলল গাড়ি। বাসে লাগল আগুন। চলল গুলি। পুকুরে ঝাঁপ দিয়েও গুলি খেলেন ১৮ বছরের এক যুবক। বাম আন্দোলনে নড়ল কংগ্রেস সরকারের ভিত। কিন্তু ফের ক্ষমতায় এল কংগ্রেস। কলেজস্ট্রিটের রাস্তায় পাহাড়সম বাম সমর্থনকারী বই জ্বালাল কংগ্রেস। একের পর এক ঘটনায় উত্তপ্ত হল পরিস্থিতি। খানিকটা নুইয়ে পড়ল বাম। তারপর ফের বামেদের উজ্জীবন। তারপর এল নকশাল আন্দোলনের পালা।

গাড়ি জ্বলার ইতিহাস শেষ নয় এখানেই। জ্যোতি বসু আমলে বেঙ্গল ল্যাম্প কেলেঙ্কারি। বিধানসভা উত্তাল। অধ্যক্ষকে ধাক্কা। একের পর এক কংগ্রেসী আন্দোলনে উত্তপ্ত হয় রাজ্য। আবার এর আগেই ১৯৬৬ সাল। ফের বামপন্থী উত্থান হয়। প্রবল শক্তিতে মিছিলের ডাক। বসিরহাটে রেশনের দাবিতে কোর্ট ঘেরাও, পুলিশের লাঠি। আগুন লেগেছিল তখনও। বারাসতে বিক্ষুব্ধ জনতার বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা শোরগোল ফেলে রাজ্যে। দিন বদলায়। নব্বইয়ের দশকে কংগ্রেসের বাম সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদেও ওঠে প্রশ্ন।

১৯৯৩ সাল। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর নেতৃত্বে ২১ জুলাইয়ের মহাকরণ অভিযান। পুলিশের গুলি, মৃত্যু। বিক্ষোভ-আগুন আজও আবর্তিত হয় ইতিহাসের পাতায়। নন্দীগ্রাম গণহত্যার পরেও বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছিল রাজ্যে।

আরও পড়ুন- ভোটজয়ের বছর ঘুরতেই ছন্নছাড়া তৃণমূল! কেন দল ছাড়তে চাইছেন একদল নেতা

কিন্তু এই ইতিহাস নিয়ে কী বলছেন রাজনৈতিক নেতারা? ইনস্ক্রিপ্ট যোগাযোগ করেছিল, রাজ্যের প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা প্রবীণ রাজনীতিক অধ্যাপক সৌগত রায় ইনস্ক্রিপ্টকে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে এগুলো বামপন্থীরা শুরু করে। ১৯৫২-৫৩ সাল থেকে আন্দোলন হলেই বাসে আগুন। ওরা বিক্ষোভের নামে বাসে আগুন দিত বেশি। কংগ্রেস আমলে যা অনেক কমে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আগুন লাগানোর ব্যাপারটা খুব একটা করেননি। বিজেপি সেটা ফিরিয়ে আনছে আবার। বামেদের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনছে বিজেপি। ওদের লোক কম, তাই এই কাজ।''

আর রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ইনস্ক্রিপ্টকে বললেন, "কংগ্রেসের আমলে আগুন লাগেনি? পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা! বেঙ্গল ল্যাম্প কেলেঙ্কারি। বিধানসভায় প্রবল বিক্ষোভ। স্পিকারকে ধাক্কা। কারা করেছিল? সোমেন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় গোষ্ঠী! তাঁদের বিবাদ। পুরোটাই কংগ্রেসের সংস্কৃতি। এখনও কেন্দ্রের বিরোধিতার নামে কী চলছে একের পর ইস্যুতে! আর তৃণমূল কী করেনি? বিধানসভা ভাঙচুর। দেশের ইতিহাসে কলঙ্কতম অধ্যায়। সেই তুলনায় বিজেপি কিছুই করেনি। আর এই যে পুলিশের জিপে আগুন লাগানো নিয়ে বলা হচ্ছে, এটা পরিকল্পনা মাফিক সাজানো হয়েছে। তৃণমূল করছে, সঙ্গে পুলিশ।"

সত্যিই কি এই সংস্কৃতি বামেদের? সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ইনস্ক্রিপ্টকে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের একটা ইতিহাস আছে, প্রতিবাদের আলাদা ভাষা আছে। চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহ অথবা বঙ্গভঙ্গের সময় থেকেই তা আমরা দেখেছি। অনুশীলন সমিতির প্রতিবাদ। আসলে বিরোধিতা হয় বিরোধিতার জন্য। বিরোধিতা করতে গিয়ে সন্ত্রাস আলাদা! তৃণমূল যেটা করত সেটা একটা ভ্যান্ডালিজম। বিরোধীরা বাম-আমলে ৭৩ বার বনধ ডেকেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। বাম আমলে বিরোধীদের মিছিল, মিটিংয়ে কোনও অনুমতির ঘাটতি হয়নি। তবুও যা করেছে তৃণমূল! আর এই ঘটনা? রাস্তার উপরে একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশ নেই। গাড়ির চালক নেই। যখন ওটা নাড়াচাড়া হচ্ছে, পুলিশ আসেনি কেন? আসলে এটা করতে দেওয়া হয়েছে। যাতে সরকারের দিক থেকেও প্রতিরোধ বাড়ানো যায়!"

কংগ্রেস? তাঁরা কী বলছেন? এই প্রসঙ্গে প্রবীণ রাজনীতিক, কংগ্রেস নেতা নেপালদেব মাহাত ইনস্ক্রিপ্টকে জানান, ''তৃণমূলের সময়ে বিধানসভা ভাঙচুর হয়েছে। কংগ্রেসের সময়ে এসব তেমন দেখা যায়নি প্রায়। পুলিশের গাড়িতে আগুন নিন্দাজনক। তবে আগে হয়েছে কি না, মনে করতে পারছি না। বিজেপি বিপজ্জনক। তবে রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও ওঁরা তো অচ্ছুৎ নয়, তাই পুলিশ সেদিন ওঁদের কর্মীদের সঙ্গে যা করেছে সেটাও নিন্দার।''

দাবি, পাল্টা দাবি আর অভিযোগের আবহে আসলে কে কবে কী করেছেন বা করেননি, তাই নিয়ে রাজনৈতিক আঙিনায় বিতর্কসভা বসলেও ইতিহাস তো বলছে অন্য কথা!

More Articles