ফের দানা বাঁধছে নয়া ঘূর্ণাবর্ত! সপ্তাহের কবে কোথায় বৃষ্টি জানুন

Rain Forcast: বুধবার থেকেই নতুন করে বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা বাড়বে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী এবং প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বর্ষা ঢুকে গিয়েছে বঙ্গে। সেই বর্ষার হাত ধরেই সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা গোটা রাজ্যেই। প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, মঙ্গলবারে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে ২০০ মিলিমিটারেরও বেশী, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলায়। একই সঙ্গে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রপাত ও সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা।

বুধবার থেকেই নতুন করে বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা বাড়বে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী এবং প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার জেলায়। সেখানেও ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। পাশাপাশি কালিম্পং কোচবিহার জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে। বৃহস্পতিবারেও ভারী থেকে অতি ভারী বা প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে আলিপুরদুয়ার জেলায়। এছাড়া দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়ি কোচবিহার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।

আরও পড়ুন: আপনার জেলায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা? এক নজরে সপ্তাহ জুড়ে কোথায় কেমন বৃষ্টি 

বাদ যাবে না শুক্রবারও। সেদিনও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলাতে। কোচবিহার এবং কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সপ্তাহান্তেও আবহাওয়া ফেরার সম্ভাবনা নেই। শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায়। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে গজলডোবাতে ১৮০ মিলিমিটার, সেবকে ১৭০ মিলিমিটার, বক্সাদুয়ারে ১৫০ মিলিমিটার, নাগরাকাটাতে ১৪০ মিলিমিটার এবং জলপাইগুড়িতে ১৩০ মিলিমিটার।

একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিপদের আশঙ্কার কথাও আগেভাগে সতর্ক করে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সে নিয়ে ইতিমধ্যেই বেড়েছে উদ্বেগ। লাগাতার বৃষ্টির জেরে পার্বত্য এলাকায় নামতে পারে ধস। বিচ্ছিন্ন হতে পারে সড়ক যোগাযোগও। বাড়তে পারে নদীর জলস্তর। প্লাবিত হতে পারে নীচু এলাকা। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টির দরুণ দৃশ্যমানতা কমতে পারে। বিপর্যস্ত হতে পারে টেলি কমিউনিকেশন ব্যবস্থাও। পাশাপাশি কাঁচা বাড়ি ও কাঁচা বাঁধের ক্ষতি হতে পারে। এমনকী শস্য চাষের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এই বিপর্যয়ে।

শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। বুধ ও বৃহস্পতিবার স্ক্যাটার্ড বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ধবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বুধবার অর্থাৎ ১০ জুলাই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম মুর্শিদাবাদ নদীয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা বেশি থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।

আরও পড়ুন: ফের দানা বাঁধছে ঘূর্ণাবর্ত! কবে থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি শহর কলকাতায়?

এরই মধ্য়ে দানা বেঁধেছে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত। যেটি পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্নাবর্ত আপাতত পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর পশ্চিমবঙ্গসাগরে অবস্থান করছে। দক্ষিণ পশ্চিম দিকে ঝুঁকে এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে অবস্থান করছে।মৌসুমী অক্ষরেখা ইতিমধ্যেই রাজস্থান থেকে শুরু হয়ে জয়সলমীর, ভিলওয়াড়া, রাইসেন, রাজনন্দগাঁও হয়ে পুরী পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে। দক্ষিণ পূর্ব দিকে তা পৌঁছে গিয়েছে মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। যে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে নিম্নচাপ সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে। তেমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

More Articles