মুখ চিনে নেবে যন্ত্র! নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার তিরুপতি মন্দিরে, কেন এমন ব্যবস্থা নিল কর্তৃপক্ষ?
Facial Recognition System : তিরুপতি মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে এবার Facial Recognition প্রযুক্তি চালু করতে চলেছে মন্দির কর্তপক্ষ, কেন এমন সিদ্ধান্ত?
তিরুপতি মন্দির এবং বালাজি দর্শন, এই নিয়ে গোটা বিশ্বেই আলোচনা তুঙ্গে। মাঝেমাঝেই খবরের শিরোনাম দখল করে এই বিশেষ স্থানটি। কখনও ভক্ত বা ভক্তির ভিড়ের ছবি, কখনও মন্দিরের সম্পত্তি কখনও আবার নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার, তিরুপতি ঘিরে গণমাধ্যম সরগরম। পর্যটন মানচিত্রেও বিশেষ পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে তিরুপতি মন্দির। কেবল আমাদের দেশেই নয়, বিদেশিদের কাছে বহুল জনপ্রিয়ত এই তিরুপতি মন্দিরের। সম্পত্তির হিসেবে অবশ্য দেশের মধ্যে ধনী মন্দিরগুলির মধ্যে একটি এটি। এই মন্দিরে আরাধ্য দেবতার প্রতি ভক্তদের বিশ্বাস অসীম। বালাজির কাছে নাকি ভক্তি ভরে যা চাওয়া যায় তাই পাওয়া যায়। আর মনোবাঞ্ছা পূরণ হলেই ভক্তরা সোনা সহ নানা মূল্যবান ধাতু, অর্থ ইত্যাদিতে মুড়ে দেন ঈশ্বরের মূর্তিকে। শুধু ধনরত্নই নয়, আরাধ্যদেবতাকে মাথার চুল দান করা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে গভীর বিশ্বাস প্রচলিত আছে এখানে। আর সেই চুল আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করে বিশাল আয় হয় তিরুপতি মন্দিরের।
এ হেন মন্দিরেই এবার বসতে চলেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মাধ্যম। চলতি বছরেই বল হয়েছিল মার্চ মাসের শুরু থেকে মন্দিরে ঢোকার মুখে বিশেষ Facial Recognition system বসানো হবে। রোজই এই মন্দিরে লাখ লাখ ভক্তের ভিড়, আর এই ভিড় সামলাতেই নতুন ব্যবস্থা চালু হল। সূত্রের খবর, দেশের মধ্যে প্রথম কোনও মন্দিরে এই পদ্ধতি চালু হল।
আরও পড়ুন - দুটো-চারটে নয়, হাজারটা হাত রয়েছে দেবীর! কেন দক্ষিণ ভারতেও এত জনপ্রিয় বাংলার এই কালী?
মন্দিরে ঢোকার মুখেই অভিনব যন্ত্র, মুখ দেখেই ভক্তদের চিনে নেবেন দেবতা! কী আসলে এই বিশেষ যন্ত্র? তিরুপতি মন্দিরের মূল ফটকে বসানো হচ্ছে বিশেষ যন্ত্র। এবার মন্দিরে ঢুকতে গেলেই আপনাকে চিনে নেবে সেটি। ভিড় সামলাতে নয়া ব্যবস্থা করল মন্দির ট্রাস্ট। ডাকার সময় প্রত্যেকের মুখই ধরা পড়ে যাবে ওই যন্ত্রের ক্যামেরায়। এরপর একটি মুখ কোথায় কতবার ঢুকছে, বেরোচ্ছে অথবা সময় নিচ্ছে তার সব কিছু ধরে ফেলবে উক্ত যন্ত্রটি। আসলে এই ধনী মন্দিরে অনেক সময়ই দেখা গেছে কেউ ছদ্মবেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন, মূলত ei সমস্যা ঠেকাতেই এই অভিনব ব্যবস্থার পথে হাঁটল মন্দির কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে যন্ত্রটি।বৈকুন্ঠম ২-এ আপাতত বসানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মন্দিরে ঢোকার সময় কাউন্টার থেকে টোকেন সংগ্রহ করতে হয় ভক্তদের। ফলে এই ব্যবস্থার সুযোগ নেন অনেকেই। একজন অনেক বেশি করে টোকেন নিয়ে নিজের কাছে গচ্ছিত রাখেন। এর জেরে অসুবিধা হয় অন্য দর্শনার্থীদের। জনস গিয়েছে, মূলত এই সমস্যার মোকাবিলা করতেই নয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করল ট্রাস্ট।
মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, এই প্রযুক্তি প্রথমে বালাজি দর্শনের ক্ষেত্রে মূল ফটকের সামনে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরবর্তীতে আরও বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হবে। এমনকী লাড্ডু বা প্রসাদ বিতরণের জায়গাতেও ব্যবহার করা হবে এই যন্ত্র। উল্লেখ্য, এই মন্দিরের মধ্যেই থাকতে দেওয়া হয় ভক্তদের। আগের থেকে এই কটেজগুলিকে আরও সাজিয়ে তোলা তোলা হয়েছে। এমনকী ভাড়া বাড়ানো হয়েছে প্রায় দশগুণ। ফলে আরও বেশি করে আঁটসাঁট বেঁধে নামতে হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিক থেকে। তাই সব মিলিয়ে নতুন এই যন্ত্র মন্দিরের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে যে, তা বলাই বাহুল্য।