কোনও পক্ষকে রেয়াত করেননি, হিন্দুত্বকে দূরে ঠেলে কেন বৌদ্ধধর্ম বেছেছিলেন আম্বেদকর?
Ambedkar and Buddhism: আম্বেদকর ব্রিটিশ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন, দলিতদের সংখ্যালঘু ঘোষণা করা হোক।
১৪ অক্টোবর, ১৯৫৬। এক লৌহপুরুষ, ভারতের সমাজ সংস্কারের ইতিহাসে সবথেকে বড় বিপ্লবীদের মধ্যে একজন, এগিয়ে চলেছেন দীক্ষাভূমির দিকে। দীক্ষাভূমি মহারাষ্ট্রের নাগপুরের একটি স্থান যাকে সেই বিপ্লবী বেছে নিয়েছেন তাঁর এবং তাঁর অনুগামীদের মুক্তির পথে পৌঁছে দেওয়ার স্থান হিসেবে। মুক্তি যুগের পর যুগ ধরে চলতে থাকা অত্যাচার, অপমান, অন্যায়, নিপীড়ন, শোষণ থেকে। মুক্তি সেই পরিচয় থেকে যা তাদের সমস্ত রকমের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করে এসেছে। মুক্তি সেই ধর্ম থেকে যা তাঁর ভাইবোনদের জন্য সমস্ত দরজা বন্ধ করে রেখেছে। সেই ১৯৫৬ সালের ১৪ অক্টোবর, কুড়ি বছর আগে করা এক ঘোষণাকে অবশেষে পূরণ করলেন ভীমরাও সাকপাল, যাঁকে পৃথিবী চিনেছিল বাবাসাহেব আম্বেদকর নামে। ফরাসি বিপ্লবের আদর্শে উদ্বুদ্ধ আম্বেদকরের হাত ধরে সেদিন মুক্তি ঘটে আর ৩৮০,০০০ জন মানুষের। সকলে মিলে সেইদিন বৌদ্ধধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই আরও তিন লক্ষ মানুষ বৌদ্ধধর্ম বেছে নেন। তবে মুক্তির পথ বেছে নিতে পারলেও সেই পথের চর্চা করার সময় আম্বেদকর পাননি। সেই বছরই ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী পৃথিবী ত্যাগ করেন। কিন্তু তিনি কেন হিন্দুধর্ম ত্যাগ করেছিলেন? কেনই বা…

Whatsapp
Support quality writing
Encourge writers
Access on any device
