কেন কামদুনি রায় সমর্থন করি : সুমন চট্টোপাধ্যায়
Kamduni Verdict : কামদুনির ধর্ষিতা মেয়েটির স্বজন-পরিজন, প্রতিবেশী, গ্রামবাসী হাইকোর্টের এই রায়ে আন্দোলিত হতেই পারেন, সেই আবেগ প্রকাশ করার ষোলো আনা হক তাঁদের আছে। কিন্তু কেন আদালতের রায়কে 'ভুল' বলে আহবে, তার কোনও যুক্তি আ...
কলকাতা হাইকোর্ট গত শুক্রবার কামদুনি কাণ্ডে যে রায় দিয়েছে আমার দৈনিক বাংলাস্ফিয়ারের ভিডিওয় আমি তার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলাম। সজ্ঞানে এবং বিলক্ষণ একথা জেনে যে জনতার আদালতে আমার বক্তব্য অথবা মূল্যায়ন আদৌ সমর্থন পাবে না, আমার শ্রোতা-বন্ধুদের অনেকেই আমার দিকে ঢিল ছুড়বেন। হয়েছেও তাই। সঙ্গে প্রত্যাশিতভাবেই বাংলা খবরের চ্যানেলগুলো রায় না পড়ে অথবা দায়সারাভাবে পড়ে অথবা পড়েও না বুঝে স্টুডিওয় বিচার নিয়ে মহাবিচার শুরু করে দিয়েছে, রাজনীতির কলাকুশলীদের মাঝে বঙ্গসমাজের পরিচিত টিভি সর্বস্ব পণ্ডিতকুলও সস্তা হাততালি কুড়োতে 'গেল গেল' আর্তনাদে গলা মেলাচ্ছেন। অশ্রুভেজা শিরোনাম মস্ত বড় হরফে শোভা পাচ্ছে গোটা পর্দা জুড়ে। যেমন ‘কাঁদছে কামদুনি’, ‘কামদুনির চোখে জল’, ‘হতাশার ছায়া কামদুনিতে’। চলতি লব্জে খোদার উপর এমন খোদকারিকেই বলা হয়ে থাকে ‘মিডিয়া ট্রায়াল'। একটি বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ গোড়াতেই দিয়ে ফেলা যাক। আমি নীতিগতভাবে মৃত্যু দণ্ডাজ্ঞার ঘোরতর বিরোধী। বেশ কয়েক বছর আগে এই শহরে যখন ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল, অপর্ণা সেনের মতো আরও কয়েকজন সচেতন নাগরিকের সঙ্গে আমি তার সোচ্চার প্রতিবাদ করেছিলাম। কেন আমি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী তা নিয়ে আমি ইচ্ছা করলে লম্বা নিবন্ধ…

Whatsapp
Support quality writing
Encourge writers
Access on any device
