পেট্রোল-ডিজেলে নাভিশ্বাস, ভারতে বিদ্যুৎচালিত গাড়িই কি ভবিষ্যতের পরশপাথর?

বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বিগত দশক থেকেই বিশ্বের তাবড় তাবড় অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীদের প্রধান ধ্যান-জ্ঞান হয়ে উঠেছ। খুবই দ্রুত পৃথিবীর জীবাশ্ম জ্বালানির ভান্ডার শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গেই পরিবেশ দূষণের বিষয়টি তো রয়েছেই। এই কারণেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্ত কোন একটি এমন জিনিসের প্রচলন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে যা প্রথাগত পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত গাড়িগুলিকে টেক্কা দিতে পারে। সম্পূর্ণ বিশ্ব একত্রিত হয়েছে পৃথিবীর কার্বন ভারসাম্য বজায় রেখে তাকে আবারও উজ্জীবিত করে তুলতে। আর এই লক্ষ্যে পৌঁছতে সকলকে সাহায্য করতে পারে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি। ইতিমধ্যেই ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স এবং নরওয়ের মত দেশগুলি ২০২৫ এর আগে জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি বিক্রি বন্ধ করার জন্য বেশ কিছু আইন নিয়ে এসেছে। 

বর্তমানে ই-বাইক বা ইলেক্ট্রিক চালিত চারচাকার কদর প্রতিদিন বাড়ছে। পরিবেশ বান্ধব এই ধরনের যান বিগত দশক থেকেই চাহিদা থাকলেও লকডাউন পরবর্তী সময় থেকে সারা বিশ্বে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি ও বাইকের বিক্রি বেড়েছে উত্তরোত্তর। ২০২১ সালে বিশ্ব মার্কেটে যেখানে ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা ৪,০৯৩ হাজার সেখানেই ২০৩০ এর মধ্যে এই সংখ্যাটা ৩৪,৭৫৬ হাজারের গণ্ডি স্পর্শ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। খুব একটা পিছিয়ে নেই ভারতও। ইতিমধ্যেই, ভারত সরকারের তরফ থেকে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি নির্মাণে আগ্রহ দেখানো হচ্ছে। ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ইলেক্ট্রিক গাড়ির বাজার হিসেবে উঠে আসতে পারে ভারত। ভারতের বড় ব্যবসায়ীদের অনেকেই ধীরে ধীরে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। 

ই গাড়ি মানেই সাশ্রয়

কিন্ত শুধুই কি পরিবেশ সুরক্ষা, বরং বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি আপনাকে আরও বিভিন্ন বিষয়ে সুরক্ষা দিতে পারে। অটোনমাস ড্রাইভিং থেকে শুরু করে, স্মার্ট অ্যাসিস্টেন্স সলিউশন, নেক্সট-জেন টেকনোলজি, এবং ডাইনামিক পাওয়ার কন্ট্রোল সবকিছুই থাকে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির মধ্যে। এছাড়াও, ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি আপনার পকেটের জন্যও বেশ সাশ্রয়ী। সাধারণ পেট্রোল অথবা ডিজেল চালিত গাড়ির তুলনায় রক্ষণাবেক্ষণ এবং জ্বালানি খরচে প্রায় ৮০ শতাংশ সস্তা এই বিদ্যুৎচালিত গাড়িগুলি। ইলেকট্রিক চালিত গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করতে অনেকটাই কম খরচ হয় পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত গাড়ির তুলনায়। এই সমস্ত সুবিধার কথা মাথায় রেখেই ভারত সরকারের তরফ থেকে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ির ব্যবহারের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদদের ধারণা, ভারতে যদি বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি এবং তার যন্ত্রাংশ প্রস্তুতের হাব তৈরি করা যায় তাহলে তা ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হবে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও, ভারতের জনগণের জন্য ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি অনেকটা বেশি সাশ্রয়ী। তার পাশাপাশি ভারতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম ভূমিকা পালন করবে এই বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি। একটি রিপোর্টে সামনে এসেছে, যদি ভারতে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায় তাহলে আগামী ২০৩০ এর মধ্যেই তেল আমদানি ক্ষেত্রে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে ভারত। বর্তমানে ভারতের জ্বালানি তেলের চাহিদার ৮২ শতাংশ পূরণ করা হচ্ছে আমদানির মাধ্যমে। সেখানেই যদি বিদ্যুতের ব্যবহার করা হয় তাহলে এই খরচটা অনেকটাই কমে যাবে।

ই-গাড়ির বাস্তুতন্ত্র এবং ভারত সরকার -

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের অন্তত ৩০ শতাংশ গাড়িকে বিদ্যুৎ চালিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত সরকার। এই পরিকল্পনাকে রূপ দিতে ভারত সরকারের তরফ থেকে ন্যাশনাল ই-মোবিলিটি প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে মাহিন্দ্রা ই-ভেরিটো এবং টাটা টিগর ইভি লঞ্চ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভারত সরকারের তরফ থেকে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইকো-সিস্টেম তৈরি করার পূর্ণ প্রচেষ্টা শুরু করা হয়েছে। ভারত সরকার আরো জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই সারা ভারতে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির জন্য আলাদা করে চার্জিং স্টেশন এবং আলাদা রকমের নিয়ম নীতি তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়করি এবং প্রচলিত এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী আর কে সিং বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি নিয়ে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন। তারা জানালেন, মানুষকে পরিবেশবান্ধব শক্তির ব্যবহারের সুবিধাগুলি বোঝানোর জন্য ভারত সরকারের তরফ থেকে 'গো ইলেক্ট্রিক' মিশন শুরু করা হয়েছে। এই প্রচারাভিযানের মাধ্যমে ভারতের সাধারণ জনতাকে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি, বিদ্যুৎ চালিত রান্নার যন্ত্রাদি ব্যবহারের সুবিধাগুলি বোঝানো হবে। এই প্রচারাভিযানের মাধ্যমে একদিকে যেমন ভারতের সাধারণ জনতাকে বিদ্যুৎ চালিত জিনিসের ব্যবহারের প্রতি আকর্ষিত করা যাবে, তেমনি ভারতের আমদানির পরিমাণ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অনেকাংশে কমবে বলে আশা কেন্দ্রীয় সরকারের। সারা ভারতজুড়ে বর্তমানে এই প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে ভারত সরকারের তরফ থেকে।

ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারের রাস্তাকে আরো সুগম করার জন্য এই ধরনের গাড়ির জন্য আলাদা ধরনের নিয়ম নীতি চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যান্য গাড়িতে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ২৮ শতাংশ জিএসটি গ্রহণ করা হয় সেখানেই ইলেকট্রিক চালিত গাড়ির উপরে জিএসটি-র পরিমাণ মাত্র ৫ শতাংশ। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের তরফ থেকে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের উপরে কাস্টম ডিউটিও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে অনেকটা কম খরচে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি সারাই করা সম্ভব হয়। ভারতে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে গ্রহণ করা হচ্ছে একাধিক উন্নয়নশীল পদক্ষেপ। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই আলাদা করে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ির উপরে পৃথক নিয়ম নীতি চালু করা হয়েছে। অন্যান্য শহরগুলিও দিল্লির মতই তাদের নিজস্ব নিয়ম নীতি চালু করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। 

ভারতে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির সমস্যা -

ভারতে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি মেইনটেইন করার সবথেকে বড় সমস্যা হল চার্জিং স্টেশন। সারা ভারতে এখনো পর্যন্ত মাত্র ১০০০ টি চার্জিং স্টেশন কাজ করছে যেগুলি বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি চার্জ করতে পারে। ভারতে এখনও এমন অনেক শহর আছে যেখানে একটিও বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির চার্জিং স্টেশন নেই। এই পরিস্থিতিতে, এই ধরনের গাড়ি চার্জ করা এই গাড়ির মালিকদের জন্য দুঃসাধ্য একটি বিষয় হয়ে উঠতে পারে ভবিষ্যতে। অন্যদিকে, ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ করার সময়টাও এই গাড়ি ব্যবহারকারীদের জন্য বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। কোন চার্জিং স্টেশন যদি আপনি পেয়েও যান, তাহলেও এই ধরনের গাড়ির বিশাল বড় ব্যাটারি চার্জ করতে আপনার মোটামুটি ঘন্টা দুয়েক সময় লাগবেই। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে চার্জিং স্টেশনের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, যা যে কোন মানুষের জন্য বিরক্তিকর।

এছাড়াও ভারতে এই বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির আরও একটি সমস্যা রয়েছে। ভারত ইলেকট্রিক গাড়ির পার্টস পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু এই ধরনের গাড়ির ব্যাটারি পাওয়াটা ভারতে দুঃসাধ্য। ভারতে এই মুহূর্তে প্রাইমারি ব্যাটারি সেল তৈরির তেমন কোন কোম্পানি নেই। জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউরোপ থেকে তৈরি হওয়া ব্যাটারির ওপরে নির্ভর করে ভারতীয় ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতারা তাদের গাড়ি তৈরি করে থাকেন। কিন্তু যদি একবার এই গাড়ির ব্যাটারি খারাপ হয়ে যায়, তাহলে সমস্যার একশেষ। এই ধরনের ব্যাটারি যেমন পেতে অসুবিধা, তেমনই জাপানের মত একটি দেশ থেকে ভারতে ব্যাটারি আমদানি করা অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ। যা ভারতের ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির উপর প্রভাব ফেলতে পারে ভবিষ্যতে।

ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ির ভবিষ্যৎ কী?

সারাবিশ্বের ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলি বর্তমানে ভারতের উপরে নজর রেখেছে। টেসলার মতো কোম্পানিও ভারতের দিকে ঝুঁকতে আরম্ভ করেছে। ভারতের ইলেকট্রিক অটোমোটিভ স্পেক্ট্রাম জগতে প্রবেশ করছে আরো বেশকিছু কোম্পানি। আগামী দিনে ভারত হয়ে উঠতে চলেছে ইলেকট্রিক গাড়ির বড় বাজার যেখানে বিশ্বের তাবড় তাবড় কোম্পানিগুলি বিনিয়োগ করতে পারে। ফ্রান্সের বেশ কিছু ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি ভারতের দিকে হাত বাড়ানো শুরু করেছে। লকডাউনের কারণে ভারতের ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির পরিমানে কিছুটা হলেও কমতি লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমানে ভারতের ইলেকট্রিক সঞ্চালিত গাড়ির বাজার আবারও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে।

ভারতীয় বেশকিছু স্টার্ট আপ কোম্পানি নিজেদের বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি-বাইক-স্কুটি মার্কেটে লঞ্চ করছে। ইলেকট্রিক ভেহিকেল সেগমেন্টে বাড়তে থাকা চাহিদা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নশীল প্রচারাভিযানের দরুন বিশ্বের বিভিন্ন গাড়ির কোম্পানির কাছে ভারতীয় মার্কেট হয়ে উঠছে ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। ২০১৩ থেকেই বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি নিয়ে ভারত সরকার কাজ শুরু করেছিল। ২০১৯ এর পর থেকে ভারতে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির একটা আলাদা রকমের জগৎ তৈরি হওয়া শুরু হয়। সঙ্গেই ভারত সরকার তাদেরকে সাহায্য করা শুরু করছে যারা বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি করার কাজে নিযুক্ত। এছাড়াও বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন প্রস্তুতকারী স্টার্টআপগুলিকে সাহায্য করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। 

কেন্দ্রীয় সরকারের শক্তিমন্ত্রক সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে ইলেকট্রিক সঞ্চালিত গাড়ির চার্জিং স্টেশন তৈরি করা কোনোভাবেই একটি ব্যবসার আওতায় পড়বে না। এর ফলে চার্জিং স্টেশন তৈরি করতে কোনরকম লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়বে না। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবহনমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কমার্শিয়াল এবং প্রাইভেট ব্যাটারিচালিত গাড়িগুলিতে সবুজ রঙের লাইসেন্স প্লেট ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও ঘোষণা করা হয়েছে, ব্যাটারি চালিত, ইথানল চালিত এবং মিথানল চালিত সমস্ত ধরনের যানবাহনগুলিকে কমার্শিয়াল পারমিটের আওতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। ২০২১ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের অন্যতম বড় বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি নির্মাতা সংস্থা টেসলা ঘোষণা করেছিল, তারা ভারতের দক্ষিণ প্রান্তের রাজ্য কর্নাটকে তাদের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত গাড়িনির্মাণ কারখানা স্থাপন করবে। এর রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক সমস্ত কাজ হবে বেঙ্গালুরুতে। 

তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত চার্জিং স্টেশন কম থাকার কারণে ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য অসুবিধা এখনো কিছুটা রয়েছে। ভারত সরকারের তরফ থেকে নানা ধরনের চার্জিং পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। ব্যাটারি পরিবর্তনের জন্য আলাদা স্টেশন নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত সরকার। এই ধরনের গাড়ির জন্য ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে ভারত সরকারের শক্তিমন্ত্রক। সৌরশক্তি এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য অন্যান্য শক্তিকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি চার্জ করার চিন্তাভাবনা নিয়েছে ভারত। 

তবে এই ধরনের গাড়িতে যে ধরনের ব্যাটারি লাগে সেগুলো হলো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। ভারতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তৈরি করার প্রয়োজনীয় উপাদান - লিথিয়াম, কোবাল্ট এবং নিকেল খুব একটা বেশি পরিমাণে নেই। তাই এই জিনিসগুলিকে আমদানি করতে হয়। ভারত সরকারের উচিত, এই সমস্ত রপ্তানিকারক দেশগুলির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা। তার পাশাপাশি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির পরিবর্ত অন্যরকম কোন টেকনোলজি তৈরি করার দিকে ভারত সরকারের জোর দেওয়া উচিত। ভারত সরকারের তরফ থেকে অ্যাডভান্সড কেমিস্ট্রি সেল ব্যাটারি তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ইন্সেন্টিভ স্কিম চালু করা হচ্ছে, যা পরবর্তীতে ভারতের ব্যাটারি তৈরির ক্ষমতাকে অনেকটাই বৃদ্ধি করবে। তারপর ভারতকে আমদানির উপরে খুব একটা ভরসা করতে হবে না। যার ফলে ব্যাটারির দাম হবে অনেকটা কম, এবং ব্যাটারির গুণমান থাকবে একেবারে উচ্চ, যা ভারতীয় নাগরিকদের ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার প্রতি আরও উৎসাহিত করে তুলবে, এবং ভারত হয়ে উঠবে ভবিষ্যতের ইলেকট্রিক হাব।

More Articles