উত্তরপ্রদেশ জয়ী যোগীকে এবার মোদীর বিকল্প হিসেবে তুলে ধরবে সঙ্ঘ?
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরাখণ্ড, মণিপুর ,গোয়া এবং পাঞ্জাবের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই যে পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচন ঘটল, তার মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ঘিরে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে ,সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। গত শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত উত্তরাখণ্ড-সহ উত্তরপ্রদেশ ছিল দিল্লির মসনদ কার ভাগ্যে থাকবে তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পন্ডিত জওহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী- এঁরা সকলেই নির্বাচিত হতেন উত্তরপ্রদেশ থেকে। পরবর্তীতে পিভি নরসিমা রাও, এইচডি দেবগৌড়া, আই কে গুজরাল উত্তরভারত থেকে তো বটেই, উত্তরপ্রদেশ থেকেই দিল্লির কুর্সি নির্ধারণের বিষয়টি কে অন্য দিকে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। দিল্লির রাজনীতির নির্ণায়ক হিসেবে উত্তরপ্রদেশের গুরুত্ব আবার ফিরে আসে অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর। পরবর্তীতে মনমোহন সিংয়ের দু'বারের প্রধানমন্ত্রীত্ব কালে উত্তরপ্রদেশ জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে কোনো নির্ণায়ক শক্তি না হয়ে উঠলেও, জাতীয় রাজনীতির গতি-প্রকৃতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই রাজ্যটির গুরুত্ব আবার ধীরে ধীরে আগের জায়গায় ফিরে আসতে শুরু করে।
নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে প্রথম লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময়, একই সঙ্গে গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। দুটিতেই তিনি জেতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গুজরাট আসনটি ছেড়ে দেন। বারাণসী আসনটি ধরে রাখেন। মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হন ,তখন উত্তরপ্রদেশের শাসন ক্ষমতায় ছিল সমাজবাদী পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুলায়ম সিং যাদবের পুত্র অখিলেশ যাদব।
কার্যত এই সময় থেকেই বিজেপি নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে উত্তরপ্রদেশে প্রবলভাবে দেখা দিতে থাকে। দ্বিতীয় দফার ইউপিএ সরকারের শেষ দিকে ,দিল্লি- উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া অঞ্চল, মুজাফফরনগর প্রভৃতি জায়গায় যে ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়, সেই দাঙ্গা থামানোর ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন সমাজবাদী পার্টির সরকার আদৌ কোনো প্রশাসনিক দক্ষতার পরিচয় দেয়নি। মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় দফার ইউপিএ সরকারের ভূমিকা খুব একটা ইতিবাচক ছিল না। বস্তুত মুজাফফরনগর দাঙ্গার ঘটনা কে কাজে লাগিয়ে আরএসএস যে সামাজিক মেরুকরণের জায়গাটিকে তৈরি করতে পেরেছিল, তা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপিকে কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করার প্রশ্নে বিশেষ সুযোগ এনে দিয়েছিল।
পরবর্তীকালে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের সময়কালে বুঝতে পারা গিয়েছিল যে ,ধর্মীয় মেরুকরণ উত্তরপ্রদেশকে এমন একটা জায়গায় পৌঁছে দিতে পেরেছে আরএসএস, যার ফলে সেখানে কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী সংগ্রাম পরিচালনা করা কার্যত অসম্ভব ব্যাপার। একেবারে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির ভবিষ্যত আগামী দিনের জন্য নির্ধারিত হতে চলেছে- এটা খুব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই রাজ্যটি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে, প্রশাসনিক দক্ষতা থেকে, ধর্মীয় মেরুকরণকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন যোগী। এমন অভিযোগ প্রায়শই করেন যোগী বিরোধীরা। তাঁরা বলেন একের পর এক ঘটনাক্রমের ভেতর দিয়ে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারকে এমন একটা জায়গায় স্বঘোষিত যোগী আদিত্যনাথ প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন ,তার জেরেই কিন্তু উত্তরপ্রদেশকে অবলম্বন করে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় কালে, একটা প্রবল হিন্দুত্ববাদী হাওয়া তৈরি হওয়া সম্ভব হয়েছিল।
সেই হিন্দুত্ববাদী হাওয়ার জেরেই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি আবার কেন্দ্রে একক ঘনিষ্ঠতায় সরকার গঠন করে। আদিত্যনাথ যেভাবে উত্তরপ্রদেশে সরকার পরিচালনা করছিলেন, তাতে কখনো মনে হয়েছিল, আরএসএসের একদম ধরাবাঁধা রাস্তায় তিনি হাঁটছেন না। আবার কখনো মনে হয়েছে, একটা নতুন রাস্তা তৈরির দিকে ঝোঁক দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ।এই স্বঘোষিত 'যোগী ' আদিত্যনাথ কে ঘিরে আবার এই সময়ে, নরেন্দ্র মোদী আর তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভেতরের যে বোঝাপড়া ,সেই বোঝাপড়া কে ঘিরে ,আরএসএসের যে রক্ষণশীল অংশ তাদের মধ্যে একটা চাপানউতোর যে চলছে তা খুব ভালভাবেই বুঝতে পারা যাচ্ছিল।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আরএসএসের প্রতি অচলা ভক্তি রয়েছে ,এই কারণে যে বাজপেয়ী তাঁর রাজনৈতিক জীবনের একটি পর্যায়ে, আরএসএস-কে ছাপিয়ে, নিজের রাজনৈতিক ভাবনাকে আলাদা করে কখনো প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেননি। আরএসএসের ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতাকে, সংখ্যাগুরুর আধিপত্যবাদের দিকে এগিয়ে দেবার ক্ষেত্রে অটলবিহারি বাজপেয়ি আর লালকৃষ্ণ আডবাণীর ভেতরে যে নরমপন্থা- চরমপন্থার একটা শৌখিন মজুরি আমরা দেখেছিলাম এনডিএ জোটের শাসনকালে ,সেই নীতিহীনতার আনুগত্য আরএসএস-এর কাছে বাজপেয়ীকে বিশেষ ভাবে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছিল।
সেই গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার সময় কাল থেকেই নতুনভাবে আরোপ করবার চেষ্টা করতে শুরু করেন ।সেই চেষ্টার প্রথম দিকটি ছিল কিন্তু বাজপেয়ীর আমলে যিনি হার্ডলাইনার বলে পরিচিত লালকৃষ্ণ আডবাণীকে ঘিরে।আদবানী নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক গুরু হিসেবেও অভিহিত করা যায়। সেই আডবাণী যাতে কোনো অবস্থা তেই নরেন্দ্র মোদীর একক নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ভোগের ক্ষেত্রে অন্তরায় হতে না পারেন, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েই নরেন্দ্র মোদী এলকে আডবাণীর ডানা ছাঁটতে শুরু করেন।
নতুন পরিস্থিতিতে সংঘের কাছে হার্ডলাইনের হিসেবে পরিচিত, স্বঘোষিত যোগী আদিত্যনাথ কে উত্তরপ্রদেশে প্রজেক্ট করা শুরু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ জুটি। অতীতে রাজনাথ সিংয়ের মতো লোক যখন উত্তরপ্রদেশে বিজেপির হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তখন তাঁদের রাজনৈতিক বিস্তারের ক্ষেত্রে যে দৃষ্টিভঙ্গি এবং পথনির্দেশিকা ছিল ,তার থেকে একশো যোজন দূরত্ব তৈরি করে, সংখ্যাগুরুর আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার ,সেগুলো যাতে এই স্বঘোষিত 'যোগী' আদিত্যনাথের পক্ষে করা সম্ভব হয়, তার জন্য তাঁকে একটা ফাঁকা মাঠ নরেন্দ্র মোদী,অমিত শাহ জুটি দিয়ে দিয়েছিলে। আর সেই ফাঁকা মাঠ দেওয়ার অঙ্গ হিসেবে কিন্তু ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার একক গরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর ,দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রাজনাথ সিং-কে সরিয়ে, অমিত শাহকে, তাঁর জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। গোটা ঘটনাক্রমটি অবশ্যই ঘটেছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নির্দেশ অনুযায়ী।
আরএসএস যেমন একদিন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি রূপায়নের ক্ষেত্রে, অটলবিহারী বাজপেয়ি উত্তরাধিকার সম্পূর্ণভাবে লালকৃষ্ণ আডবাণীর উপরে ছাড়েনি, অথচ সংঘের ছত্রছায়ায় ভেতরে যে অতি কট্টরবাদী ধারাটি আছে, সেই ধারাটিকে খুশি রাখবার তাগিদে আডবাণীর প্রতি একটা আপাত সমর্থন যুগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে আরএসএস বুঝতে পারে নয়ের দশকের কট্টরপন্থী লাইন যুগের উপযোগিতায় চরিত্রগতভাবে বদল না করতে পারলে, হিন্দু সম্প্রদায়িক শিবিরের রাজনৈতিক সাফল্য আসবে না। আর সেটা বুঝেই ২০০৪ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন এনডিএ পরাজিত হওয়ার পরই, নিজেদের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপির রাশ আডবাণীর উপরে আর ছেড়ে রাখতে রাজি ছিল না রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।
আদবাণী তখন কৌশলগত কারণেই নিজের কট্টরপন্থী অবস্থান থেকে সরে, একটা মধ্যপন্থী অবস্থানের দিকে ঝুঁকে, নিজের গ্রহণযোগ্যতাকে বাড়ানোর নেশায় বুঁদ হতে শুরু করেছেন। তাই তিনি হিন্দু সম্প্রদায়িক শিবিরের জিন্নাকে ঘিরে যে অবস্থান ,সেই অবস্থানের সম্পূর্ণ বিরোধী মানসিকতার পরিচয় দিয়ে বসলেন পাকিস্তান সফরে গিয়ে। আডবাণীর রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত কাছের মানুষ যশবন্ত সিংহ, জিন্নাকে ঘিরে এমন একটি গ্রন্থ রচনা করলেন, যা হিন্দু সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী শিবিরের জিন্না মূল্যায়নের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক।
এই গোটা কার্যক্রম আডবাণী তাঁর একক বুদ্ধিতে করেছিলেন না ,এই বুদ্ধি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরএসএস তাঁর প্রতি বিশেষ রকমের সদয় হয়েছিল, এই সংশয় থেকেই যায়। তবে এই সময়কাল থেকেই গোরখপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরে ক্রমবর্ধমান হিন্দু সম্প্রদায়িক ধারাটিকে, রাজনীতির মূল স্রোতে আবার নতুন করে স্থাপন করার ক্ষেত্রে ,আরএসএস বিশদভাবে চিন্তাভাবনা করতে শুরু করে। সেই চিন্তা ভাবনার ফসল হিসেবে তারা ২০০৪ সালে এনডিএ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রায় পরপরই, আদিত্যনাথকে আরো জোরদার ভাবে রাজনীতির আসরে নামিয়ে দেয় ।একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে পরপর দু'বার সরকার গঠন করার পরেও আরএসএসের যে মূল রাজনৈতিক লক্ষ্য; ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে কার্যত বাতিল করে দিয়ে ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করা, যে হিন্দু, রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হল; সহনাগরিক মুসলমান-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক হিন্দুদের জিম্মিতে পরিণত করা এবং যাঁরা নাগপুরী হিন্দুত্ব মানেন না, অথচ জন্মসূত্রে হিন্দু, সেই সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ মানুষদেরও নাগরিকত্ব হরণ করে, তাদের কার্যত দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক পরিণত করা।
আরএসএস-এর রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদrকে দিয়ে যে কাজ আরএসএস করিয়ে নিচ্ছে ,তাকে আরো ক্ষিপ্ত করে তোলবার লক্ষ্যে, আদিত্যনাথকে ব্যবহার করবার পথে, রাজনৈতিক হিন্দুরা হাঁটতে শুরু করেছে।সেই পদক্ষেপের ফলশ্রুতিই হল সদ্যসমাপ্ত উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৭ র মতো গরিষ্ঠতা নিয়ে না হলেও ,প্রায় তার কাছাকাছি গরিষ্ঠতা নিয়ে, এককভাবে আদিত্যনাথের লখনউ-এর তখ্তে প্রত্যাবর্তন।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী তাদের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপির নেতৃত্ব দিন, এটা আর চায় কি চায় না, সেই বিষয়টা এখনো খুব পরিস্কার হয়ে ওঠেনি। কিন্তু যে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে উঠেছে, বাজপেয়ির বিকল্প হিসেবে আডবাণীকে তুলে ধরবার চেষ্টা করে যে ব্যর্থতা তাদের ঘরে এসেছিল, সেই ব্যর্থতা যাতে কোনো অবস্থাতেই নরেন্দ্র মোদির উত্তরাধিকারী নির্বাচনের ক্ষেত্রে না হয় ,তার জন্য ইতিমধ্যেই গোটা হিন্দু সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী শিবির আদাজল খেয়ে আসরে নেমে পড়েছে। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে তথাকথিত 'যোগী' আদিত্যনাথ আবার বিজেপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাঁড়াতে সক্ষম হওয়ার পর, এই আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠছে যে, অত্যন্ত চতুর রাজনীতিক নরেন্দ্র মোদীকে, সাউথ ব্লক থেকে সরিয়ে, রাইসিনা হিল পুনর্বাসিত করে, সাউথ ব্লকে আদিত্যনাথ কে প্রতিষ্ঠা করবার ছক হয়তো বা নাগপুরের রেশমবাগের কেশব ভবনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
(মতামত লেখকের ব্যক্তিগত।)