কতটা নিরাপদ আইটির চাকরি! চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল ফেসবুক, টুইটার, বাইজুস, হটস্টারের ছাঁটাই
IT Layoff in 2022-2023: শুধুমাত্র টুইটার থেকেই এখনও অবধি ৩৭০০ জনকে পিঙ্ক স্লিপ ধরানো হয়েছে। টুইটারের পাশাপাশি সান প্রিন্টেড ফার্ম স্ট্রাইপ তাদের প্রায় ১০৫০ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে।
বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি। আর এই আর্থিক মন্দার বাজারে টিকে থাকতে একের পর এক সংস্থা তাদের কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে। এর মধ্যে যেমন একদিকে রয়েছে টুইটার, মাইক্রোসফট এবং ফেসবুকের মতো প্রথম সারির কিছু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা, তার সঙ্গেই রয়েছে HCL-এর মতো দেশিয় কিছু সংস্থাও। এছাড়াও, এডুটেক সংস্থা বাইজুস, টেকনোলজি সংস্থা উইপ্রো, তথ্য প্রযুক্তি ও নির্মাণ সংস্থা Philips- সবাই হাঁটতে শুরু করেছে কর্মী ছাঁটাইয়ের রাস্তায়। এছাড়াও বেশ কিছু সংস্থা ইতিমধ্যেই তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে বলেই জানা গিয়েছে। যে সকল কর্মীদের কয়েক মাসের মধ্যেই চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের নিয়োগ পত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে এই কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি শুধুমাত্র তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার মধ্যে সীমিত নেই। নেটফ্লিক্স, রবিনহুড, গ্লোসিয়ার এবং বেটারের মতো কিছু সংস্থাও এবছর কর্মী ছাঁটাইয়ে পথে হেঁটেছে। ছাঁটাইয়ের জন্য কেউ করোনার দোহাই দিয়েছে আবার কেউ দায়ী করেছে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধিকে।
কয়েক সপ্তাহে স্ট্রাইপ, লিফট, চিম এবং টুইটার সহ ২৪টি মার্কিন তথ্য প্রযুক্তির সংস্থা গণহারে কর্মী ছাঁটাই করেছে। রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সারা বিশ্বের বহু মানুষ। একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এই কর্মী ছাঁটাইয়ের তালিকায় সব থেকে শীর্ষে রয়েছেন এলন মাস্ক। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র টুইটার থেকেই এখনও অবধি ৩৭০০ জনকে পিঙ্ক স্লিপ ধরানো হয়েছে। টুইটারের পাশাপাশি সান প্রিন্টেড ফার্ম স্ট্রাইপ তাদের প্রায় ১০৫০ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। সান ফ্রান্সিসকোর আরেকটি ফার্ম লিফটও ৭৬০ জন কর্মীকে চাকরি থেকে বিতাড়িত করেছে। সান ফ্রান্সিসকোর আরেকটি প্রপটেক ফার্ম ওপেনডোর ৫৫০ জন কর্মী কমিয়েছে, অন্যদিকে booking.com ২২৬ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে, সিয়াটেলের ফার্ম জিলো কর্মী ছাঁটাই করেছে ৩০০ জন, নিউইয়র্কের ডিজিটাল স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে চাকরি খুইয়েছেন ১০৯৫ জন কর্মী। একই রকমভাবে নিউইয়র্কের ফার্ম পেলটন ২০২২ সালে তাদের ফার্ম থেকে ৪০৮৪ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিও। বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং নেটওয়ার্ক নেটফ্লিক্স এই আর্থিক বছরে ৪৮০ জন কর্মীকে বরখাস্ত করেছে। সান ফ্রান্সিস ফর এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার টুহিলি ৮০০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। এছাড়াও বোস্টনের ই-কমার্স সংস্থা ওয়েফেয়ার তাদের পোর্টফোলিও থেকে ৮৭০ জনকে বরখাস্ত করেছে। নিউইয়র্কের জনপ্রিয় ই-কমার্স ফার্ম ভ্রুম ৬৪৭ জনকে বিদায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতীয় সংস্থাগুলিও বলতে গেলে একই পথে হাঁটছে। এই আর্থিক বছরে এডুটেক সংস্থা বাইজুস থেকে চাকরি খুইয়েছেন ২,৫০০ জন কর্মী। এছাড়াও, চিনের বিখ্যাত ভিডিও গেম নির্মাতা সংস্থা Tencent থেকে চাকরি খুইয়েছেন ৫৫০০ জন কর্মী, ইনটেল থেকেও চাকরি হারিয়েছেন ১,০০০ জন কর্মী। আইটি জগতে রীতিমতো নতুন ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে কর্মী ছাঁটাই। আর এবার একই পথে হাঁটতে চলেছে ডিজনি! বিনোদন পার্ক এবং প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকেও কর্মী ছাঁটাইয়ের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ডিজনির চিফ এক্সিকিউটিভ জব চ্যাপেক একটি মেমো বা স্মারকলিপিতে ডিজনির শীর্ষ কর্তাদের এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে এবার গুগলও নাকি খুব শীঘ্রই কর্মীর সংখ্যা কমাবে। কিন্তু, কেন সারা বিশ্বের এইসব আইটি সংস্থাগুলি কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? যে সমস্ত কোম্পানিগুলি আগে এত সংখ্যক কর্মী নিয়ে কাজ করত, সেখানে কেন তাদেরকে এভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হচ্ছে? শুধুই কি করোনা ভাইরাস কারণ? নাকি আরও কিছু বিষয় লুকিয়ে রয়েছে এই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের পিছনে?
আরও পড়ুন- স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা হবে ডিজিটাল! কেন আজ ভেঙে পড়ছে তিলে তিলে গড়া বাইজুস সাম্রাজ্য
১. স্ট্যাগফ্লেশন
আইটি সংস্থা এবং অন্যান্য স্টার্টআপ কোম্পানির কর্মী নিয়োগ এবং কর্মী ছাঁটাই সরাসরিভাবে যুক্ত থাকে বাজার অর্থনীতির ওঠা নামার সঙ্গে। শুধুমাত্র ভারতীয় অর্থনীতি নয় এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের অর্থনীতি গভীর মন্দার কবলে পড়েছে। বলতে গেলে, এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে স্ট্যাগফ্লেশন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটি হচ্ছে সেই অবস্থা, যখন আপনার বিক্রি বাড়ছে না, কিন্তু বাজারের মূল্য বৃদ্ধি থাকছে চরমে। অর্থাৎ, একদিকে বিক্রির দিক থেকে কোনও কোম্পানির গ্রাফ স্থির, অথচ মূল্য বৃদ্ধির দিক থেকে সেই কোম্পানির গ্রাফ নিম্নমুখী।
সেই পরিস্থিতিতে বাজার অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মীদের বেতন দেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির পক্ষেই সমস্যাজনক হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অধিকাংশ আইটি কোম্পানি তাদের লভ্যাংশের ৫৭ শতাংশ কর্মীদের বেতন দেওয়া এবং নতুন কর্মী ও ইন্টার্নদের শেখানোর কাজে ব্যবহার করে থাকে। তাই যদি লভ্যাংশের পরিমাণ কম হয়, তখন ব্যবসাকে লাভজনক রাখতে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হয় বিভিন্ন আইটি সংস্থাকে।
২. অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি
শুধুমাত্র ভারতে নয় সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে মূল্যবৃদ্ধি রয়েছে চরম পর্যায়ে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৯৮১ সালের পরে এই প্রথম বিশ্ব অর্থনীতি এতটা মন্দার সম্মুখীন হয়েছে। পুরো বিশ্বে এই মুহূর্তে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। শুধুমাত্র ভারতের পরিসংখ্যান যদি আমরা দেখি, তাহলে রিজার্ভ ব্যাংকের নির্ধারিত ৬% এর সর্বাধিক মাত্রা অনেকদিন আগেই অতিক্রম করে গিয়েছে ভারতীয় মূল্যবৃদ্ধি। এই মুহূর্তে ৭ শতাংশের ঘরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় মূল্যবৃদ্ধি।
বাজার অর্থনীতিতে মূল্যবৃদ্ধি যত বেশি হবে, আমজনতা তত বেশি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। তখন আমজনতার কাছে বিনোদনের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে অবশ্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির উপরে টাকা খরচ করা। ফলত গ্রাহক কমতে শুরু করবে আইটি সংস্থাগুলির। তার ফলে লাগাতার কমতে শুরু করবে এই কোম্পানিগুলির লভ্যাংশ, যার সরাসরি প্রভাব পড়বে কর্মী ছাঁটাইয়ের ওপর।
৩. শীর্ষকর্তাদের আকাশ-কুসুম স্বপ্ন
বেশ কিছু এমন আইটি সংস্থা রয়েছে যারা প্রতিবছর প্রচুর সংখ্যক কর্মী নিয়ে নিজেদের ব্যবসাকে বড় করতে চায়। তাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকে, যদি বর্তমানের থেকে দ্বিগুণ সংখ্যক কর্মী নেওয়া যায়, তাহলে সংস্থার পারফরমেন্সও দ্বিগুণ হবে, পাশাপাশি সেই কোম্পানির প্রোডাক্টের বিক্রিও হবে দ্বিগুণ। কিন্তু আদতে সেরকমটা হয় না। যখনই শীর্ষকর্তাদের আকাশ-কুসুম স্বপ্ন পূরণ হয় না এবং তাঁরা বাস্তবটা দেখতে শুরু করেন, তখনই তাঁদের মাথায় প্রথম আসে কর্মী ছাঁটাইয়ের ভাবনা।
তার সঙ্গেই যুক্ত হয় ফ্রেশার নিয়োগের বিষয়টা। যদি কোনও একটি আইটি সেক্টরের কোম্পানি কোনও ফ্রেশারকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারে তাহলে সেই কাজের জন্য অভিজ্ঞ কোনও ব্যক্তিকে রাখার প্রয়োজন অনুভব করে না। যদি কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে রাখতে হয় তাহলে তাঁকে বেতন অনেক বেশি দিতে হবে, পাশাপাশি প্রতিবছর তাঁর সিটিসিও বাড়বে তাল মিলিয়ে। তাই এই আর্থিক মন্দার পরিস্থিতিতে, অভিজ্ঞ কর্মীদের তুলনায় ফ্রেশার এই সমস্ত আইটি কোম্পানির কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। ফলে ছাঁটাই হতে হয় পুরনো কর্মীদের।
৪. স্টার্টআপ জগতে ধ্বস
বড় আইটি কোম্পানির পাশাপাশি এই মুহূর্তে ভারতের স্টার্টআপ ইকো সিস্টেমটিও ক্ষতির সম্মুখীন হতে শুরু করেছে। ভারতের শার্ক ট্যাংক ইন্ডিয়া যতই জনপ্রিয় হোক না কেন, ভারতের সবথেকে বড় বড় স্টার্টআপ কোম্পানিগুলি এই মুহূর্তে দেখতে শুরু করেছে ক্ষতির মুখ। ওলা থেকে শুরু করে বড় বড় ইলেকট্রিক ভেহিকেল স্টার্টআপ, একাধিক ফুড ডেলিভারি সংস্থা, একই সঙ্গে কিছু ফিনটেক এবং এডুটেক কোম্পানির গ্রাফও নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে।
প্রথম দিকে যখন ওলা ভারতে এসেছিল তখন এটি ছিল একটি ক্যাব সার্ভিস স্টার্টআপ কোম্পানি। কিন্তু তারপরেই উবের অনেকটাই দখল করে নেয় ওলার স্থান। এরপর উবের মোটো এবং র্যাপিডোর চাপে পড়ে লাভ কমতে শুরু করে ওলার। বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে তারা চাপ দিতে শুরু করে ড্রাইভার এবং অন্য কর্মীদের উপর। আর এখন ওলা অনেকটাই লক্ষ্যভ্রষ্ট। ক্যাব কোম্পানি থেকে এই মুহূর্তে ওলা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি ইলেকট্রিক ভেহিকেল স্টার্টআপে। ফলে ওলার পুরনো কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার থাকে না।
আরও পড়ুন- কর্মী ছাঁটাই, ছুটি বাতিল! ক্ষমতায় এসেই টুইটার নিয়ে আসলে কী করতে চাইছেন এলন মাস্ক?
এই একই অবস্থা হয়েছে ভারতীয় স্টার্টআপ পেটিএম-এর ক্ষেত্রেও। একটা সময় যখন ভারতে ইউপিআই ব্যবস্থা চালু হয়নি সেই সময় জনপ্রিয় মোবাইল ওয়ালেটগুলির মধ্যে পেটিএমের জনপ্রিয়তা ছিল সর্বাধিক। সেই সময় পেটিএম দিয়ে পেমেন্ট করলে গ্রাহকরা পেয়ে যেতেন ক্যাশব্যাক, এছাড়াও দেওয়া হতো ভালো ভালো রিওয়ার্ড। কিন্তু ইউপিআই ভারতে জনপ্রিয়তা পেতে থাকলে ধীরে ধীরে পিছু হটতে থাকে পেটিএম। গুগল পে এবং ফোন পে পুরোপুরিভাবে দখল করে নেয় ভারতীয় মার্কেট। তৃতীয় স্থানে উঠে আসে অ্যামাজন পে। কোনভাবেই তাদের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে না পেটিএম। ফলে এক সময়কার ভারতের সবথেকে বড় স্টার্টআপ কোম্পানির তালিকার উজ্জ্বল নক্ষত্র পেটিএম হারিয়ে যায় স্টার্টআপের ইঁদুর দৌড়ে।
শুধু পেটিএম কিংবা ওলার ক্ষেত্রে নয়, ভারতের সমগ্র স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমেই এই একই সমস্যা। অধিকাংশ স্টার্টআপ সংস্থাই এই মুহূর্তে দেখছে ক্ষতির মুখ। যা শুধুমাত্র ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে নয়, ভারতের ব্যবসার ভবিষ্যতের জন্যও খারাপ দিকনির্দেশ।
৫. মুন লাইটিং
এই বিষয়টির জন্য যদিও অর্থনীতিকে সরাসরিভাবে দায়ী করা যায় না। সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে বহু কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের কর্মীদের অন্যত্র কাজ করাকে পছন্দ করে না। এই বিষয়টিরই পোশাকি নাম মুন লাইটিং। ভারতে বহু মানুষ এমন আছেন যারা একটি আইটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার সময়ই অন্য একটি সংস্থার সঙ্গেও কাজ চালিয়ে যান। বিশ্বে এই মুহূর্তে অনেক কোম্পানি এমন আছে যারা এই ধরনের কাজ পছন্দ করে না।
এই কোম্পানিগুলির বক্তব্য, যদি কোনও একজন কর্মী তাদের কোম্পানি সঙ্গে যুক্ত থাকা অবস্থায় অন্য কোথাও কাজ করেন তাহলে দুই কোম্পানির ক্ষেত্রেই বিষয়টা ক্ষতিকারক কারণ তাদের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন খবরা-খবর প্রতিযোগী কোনও সংস্থার হাতে চলে যেতে পারে। এই বিষয়টি যেকোনও সংস্থার ক্ষেত্রেই ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। আর এই মুন লাইটিং করার জন্য বিগত কয়েকদিনে ভারতে বহু আইটি কর্মী নিজেদের কাজ হারিয়েছেন। উইপ্রো থেকে শুরু করে মাইক্রোসফট, ভারত তথা বিশ্বের বড় বড় আইটি কোম্পানিগুলি এই তালিকায় বিদ্যমান। ফলে বলা চলে, অতিরিক্ত আয় করার আশাও ছাঁটাইয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্মীদের কাছে।