কলকাতায় যদি থাকতাম, তাহলে গল্পগুলো লিখতে পারতাম না...
Hamiruddin Middya Interview: বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে, বিশেষ করে মফসসলের লিটল ম্যাগাজিনে আমরা ভালো ভালো কাজ পাচ্ছি।
মধুরিমা : যুব সাহিত্য আকাদেমি সম্মান পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনি একটি বিশেষ পোস্ট করলেন...
হামিরউদ্দিন : হ্যাঁ।
মধুরিমা : সাহিত্য আকাদেমির সম্মান পেলেন পরিযায়ী শ্রমিক, যুব সাহিত্য আকাদেমি পেলেন কৃষক পুত্র... কী মনে হয়, কেন এভাবে বলা হয়? কৃষক বা শ্রমিকদের সঙ্গে সাহিত্যের যোগ থাকতে নেই নাকি সাহিত্য এই শ্রেণির মানুষদের নাগালের চেয়ে 'উঁচু' অবস্থানে?
হামিরউদ্দিন : দেখুন, কার কী মনের ধারণা, সেটা তো আমার জানার কথা নয়। শিরোনামগুলো দেখে আমার সত্যিই খারাপ লাগছিল, কারণ আমার সাহিত্যকর্মগুলোকে নিয়ে কথা না বলে ব্যক্তিগত জীবনটাকে নিয়েই বেশি চর্চা করা হচ্ছে। জীবন-জীবিকার তাগিদে আমি অনেক কিছুই করেছি, অনেক লড়াই করেছি, এখনও করছি, এটা মিথ্যা নয়। আর তা নিয়ে আমার কোনও দুঃখও নেই। আমি সৌভাগ্যবান যে জীবন-জীবিকার তাগিদেই মাটির অনেক কাছাকাছি থাকতে পেরেছি, অনেক মানুষ দেখেছি, যা আমার লেখার মূলধন। কিন্তু আমি তো সেগুলোকে তুলে ধরে কারও করুণা পেতে চাইনি। আমি লেখালেখি করি, লেখাটাই হোক আমার পরিচয়। কী করেছি না করেছি সেগুলো আমিই লিখব একে একে গল্প, উপন্যাসে। আমি চাই লেখালেখি নিয়ে কথা হোক, লেখকের পরিচয় হোক লেখায়। যখন আমরা কোনও লেখকের লেখা পড়ি, তাঁর নামের পাশে কি লেখা থাকে তিনি পেশায় ডাক্তার, মাস্টার, না কৃষক? আমার জীবন পাঠকদের কোনওদিন বুঝতে দিইনি। আমার লেখার মধ্যে এই জীবন খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। তবে পুরস্কার পাওয়ার পর এগুলো খুঁজে বের করেছেন কিছু সাংবাদিক। এগুলোকেই বেশি তুলে ধরা হবে, আমি ভাবতেও পারিনি।
মধুরিমা : আচ্ছা, তাহলে দাঁড়াচ্ছে যে অর্থের অনটন আছে মানেই সাহিত্য তাঁর কাছে 'অতিরিক্ত'...
হামিরউদ্দিন : হ্যাঁ, কৃষকের সন্তান লিখতে পারে না, পরিযায়ী শ্রমিক কলম ধরতে পারে না এটাই সমাজের কিছু মানুষের ধারণা।
মধুরিমা : কলকাতাকেন্দ্রিক না হলে তো স্বীকৃতি মিলতে দেরি হয়ে যায় এখনও...
হামিরউদ্দিন : হ্যাঁ, অনেকটাই রাজধানীমুখী। কারণ যত প্রকাশনা কেন্দ্র, পত্রিকার অফিস সব ওখানেই। গ্রাম থেকেও যদি কোনও একটা লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে হয় সেটা ভালো মানের করতে হলে কলকাতার প্রেস থেকেই ছাপিয়ে আনতে হচ্ছে। সেই কারণেই সম্ভবত সংস্কৃতির মূল জায়গা ওটাই। কিন্তু চর্চাটা যে কোনও জায়গাতেই বসে করা যায়। গ্রামে বসেও সাহিত্যের চর্চা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- নসু মোড়লের বাদা: হামিরউদ্দিন মিদ্যা
মধুরিমা : আপনি যদি বাঁকুড়ায় না থেকে এই কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকতেন, তাহলে কি মনে হয় লেখালিখিতে বা পাঠকদের কাছে পৌঁছতে বা স্বীকৃতিতে আরও অনেক সুবিধা হতো?
হামিরউদ্দিন : তা মনে হয় না। আমি গ্রামে জন্মেছি। আমি যা লিখেছি তা গ্রামে আছি বলেই লিখতে পেরেছি। আমি কলকাতায় যদি থাকতাম, তাহলে আমার ওই 'মাঠরাখা' বইয়ের গল্পগুলো লিখতে পারতাম না। আমার যে লেখালিখির ঘরানা, যা বিষয়, যেসব চরিত্র নিয়ে আমার লেখালেখি তা আমি গ্রাম থেকে, মাঠ থেকেই তো পেয়েছি। আমি যদি কলকাতায় থেকে লিখতাম তাহলে এই জীবন জানতামই না। আমি যদি আজ খুব ভালো চাকরি করতাম বা জীবনটা আর্থিকভাবে আরও ভালো হতো তাহলে আমি এই গল্পগুলো খুঁজে পেতাম না। আমি সৌভাগ্যবান যে আমি গ্রামে জন্মেছি। সব কিছু চাইতেই পেয়ে যাইনি। আমি মাঠে কাজ করতে করতেই তো নানা গল্প পেয়েছি। কলকাতায় থাকলে যোগাযোগ বাড়ত ঠিকই কিন্তু হামিরউদ্দিন মিদ্যা হামিরউদ্দিন মিদ্যা হতে পারত না।
মধুরিমা : কলকাতায় বসে এই গল্প লিখতে পারতেন না বলছেন, তাহলে কি সত্যিই সাহিত্যে একটা মূলধারা আর একটা অন্যধারা আছে?
হামিরউদ্দিন : কলকাতায় বসে লেখা যায় না, এই কথা বলিনি। কিন্তু আমি যদি কোনও নগরে জন্মাতাম, সেখানে থেকে লিখতাম তাহলে হয়তো নাগরিক জীবনের কথায় বেশি বেশি উঠে আসত লেখাতে। আর ধারার কথা বলছেন, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণের অধিকাংশ লেখাই তো গ্রামকে ঘিরে। তাহলে কি সমরেশ বসু নাগরিক সাহিত্যিক আর তারাশঙ্কর গ্রামীণ সাহিত্যিক হলেন? নাকি যারা গ্রাম জীবন নিয়ে লিখছেন তারাই মূলধারার? তা তো নয়। সবাই মূলধারার। যে লেখক যেখানে জন্মেছেন, বড় হচ্ছেন যেভাবে জীবনযাপন করছেন তাই উঠে আসবে তাঁর কলমে।
মধুরিমা : আপনার লেখাতে আঞ্চলিক ভাষা, উচ্চারণ, আঞ্চলিক যন্ত্রণার কথা প্রবল...
হামিরউদ্দিন : জীবন থেকে যে যেভাবে রস গ্রহণ করে সে তো সেভাবেই দেখাবে। আমি যেখানে জন্মেছি, এখানের যে সব মানুষজনের সঙ্গে মিলেমিশে থাকি, তাঁদের কথা লিখতে গেলে, তাঁদের কথা বলাতে হয় গল্পে। তাঁরা নিজেদের ভাষাতেই কথা বলেন।
মধুরিমা : কোনও নির্দিষ্ট প্রকাশনা সংস্থা কোনও কোনও সাহিত্যিকের পরিচিতির নেপথ্যে থাকে আজীবন। সেই সাহিত্যিকের লেখা তুলে ধরা, প্রচার, খ্যাতি সবটুকুতেই প্রকাশনা সংস্থাটির বড় ভূমিকা থাকে। তারপর একটা সময় দেখা যায়, লেখাগুলি সব এক হয়ে যাচ্ছে। খানিক ফরমায়েশি সাহিত্যের মতো। লেখক আর নিজের মতো লিখতেই পারছেন না, তাঁকে সংস্থার ব্র্যান্ড মাথায় রেখে লিখতে হচ্ছে। আপনি কি সেক্ষেত্রে এখনও নিজেই নিজের রাজা?
হামিরউদ্দিন : আমি মনে করি, লেখক সাহিত্যিকদের কোনও সংস্থার কাছে নিজের মাথাটা বিকিয়ে দেওয়া ঠিক না। তাঁদের স্বাধীনচেতা মানুষ হতে হবে। নিজের ভেতর থেকে যা আসবে তাই লিখতে হবে। কোনও শব্দ সংখ্যার বাধা না, কোনও নিষেধাজ্ঞা তাঁকে বাঁধবে না। যে লেখা লিখে লেখক নিজেই তৃপ্তি পান না, সেই লেখা জোর করে না লেখাই ভালো। তাঁর স্বাধীন লেখা যদি কোনও বড় প্রতিষ্ঠান ছাপতে চায় তাহলে ভালো, অনেক পাঠক পড়বেন। লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশ হলে সামান্য কম পাঠক পড়বেন। কিন্তু লেখককে জানতে হবে আমি কী লিখব। গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেলে ছক ভেঙে বেরনো যায় না। আর ছক না ভাঙলে নতুন কিছু সৃষ্টি করা যায় না।
মধুরিমা : আপনার কি মনে হয়, এই সময়ের সাহিত্য কি সময়ের অস্থিরতাকে এড়িয়ে যাচ্ছে? চারপাশে এত অসহিষ্ণুতা, হিংসা, উগ্রতার প্রতিরোধে সাহিত্যের কোনও ভূমিকা দেখতে পাচ্ছেন?
হামিরউদ্দিন : সময়কে বাদ দিয়ে তো লেখা যায় না। সাহিত্য তো নিছক বিনোদন নয়। অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছেন এটা ঠিক, আবার অনেকেই লিখছেনও। কেউ কেউ হয়তো এখন লিখছেন না,সময়কে দেখে নিয়ে পরে লিখবেন।
মধুরিমা: পরে লিখবেন, কবে?
হামিরউদ্দিন: জানি না কবে আর লিখবেন। লেখকদের তো দায়িত্ববোধ থাকতেই হবে। চারপাশের এই আগুনের মধ্যে বসেও আমি যদি শুধুই ফুলের কথা, পাহাড়ের কথা, পাখির কথা লিখি তাহলে তো হবে না। কঠিন সময়ের কথাটাও লিখতেই হবে।
মধুরিমা : সেই লেখা কি পাচ্ছেন? যতটা পাওয়ার কথা ছিল...
হামিরউদ্দিন : এখনও আমার এত বোধ হয়নি। তবে কোথাও যেন মনে হয় মাথাগুলো ধীরে ধীরে বিকিয়ে দিচ্ছি আমরা। অনেকেই লিখছেন, নানা কাগজের বা পত্রিকার নানা বিধিনিষেধের জন্য হয়তো সেই লেখাগুলি সব পাঠকের কাছে আসছে না। কিন্তু বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে, বিশেষ করে মফসসলের লিটল ম্যাগাজিনে আমরা ভালো ভালো কাজ পাচ্ছি। গুটিকয় ম্যাগাজিনকেই যদি আমরা চূড়ান্ত ভাবি, পাঠের পরিধি না বাড়াই, তাহলে চোখে পড়বে কী করে! অনেক নতুন নতুন লেখক উঠে আসছেন। নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। সেগুলো বিভিন্ন পোর্টালে, অচেনা লিটল ম্যাগাজিনে স্থান পাচ্ছে। প্রকাশের পরিধিটা ছড়িয়েছে অনেক।
মধুরিমা : প্রকাশের কথাই যখন এল, সোশ্যাল মিডিয়া কি এখন ব্যক্তিগত প্রকাশনা? কে কবে আমার লেখা ছাপবে, তবেই তা পাঠকের কাছে পৌঁছবে- এই মুখাপেক্ষী থাকা তো এখন অতীত...
হামিরউদ্দিন : সোশ্যাল মিডিয়া একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে যোগাযোগের ক্ষেত্রে। এখন আর গ্রাম, শহর এসব ভাগ করা যায় না। প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও চাইলেই একজন নিজের লেখা অনেক মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছেন। আগে একটা লেখা খামে ভরে পাঠিয়ে দেওয়া হতো পত্রিকার অফিসে, অধিকাংশ দফতরই কলকাতায়। অনেকসময় নিজে গিয়ে লেখা জমা দিতে হতো সেখানে। ছ'মাস, এক বছর পর হয়তো উত্তর এল লেখা ছাপা হবে কি হবে না। হাতে লিখে সেসব পাঠাতেই দেরি হয়ে যেত বিস্তর।
মধুরিমা: প্রকাশনার উপর নির্ভরশীলতাটাও কমছে তো...
হামিরউদ্দিন: হ্যাঁ। আগে লেখক তো খবরও পেতেন না লেখাটা কতজন পড়লেন। কেমন লাগল পাঠকদের? পত্রিকায় হয়তো একটা চিঠির বিভাগ থাকত, সেখানে পাঠক মতামত লিখে চিঠি পাঠাতেন। কেউ কেউ আবার লেখকের ঠিকানা জোগাড় করেও লিখতেন, তবে সে সামান্যই! বা কলকাতায় থাকলে হয়তো কফিহাউসে বসে আড্ডা দিতে দিতে প্রতিক্রিয়া জানা যেত। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লেখা পড়ে, ফেসবুক হোক বা অন্য যে কোনও মাধ্যমে, পাঠকের মতামত বা সমালোচনা সরাসরি জানতে পারছেন লেখক।
আরও পড়ুন- ‘অন্ধকার বলে কিছু নেই, আছে আলোর অভাব’, বলতেন আজীবন মার্কসবাদী রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
মধুরিমা : আপনার গল্পের চরিত্ররা তো মাঠেরই চরিত্র, যেখান থেকে আপনি তাঁদের পেয়েছেন লিখেছেন। এই রোজের এক দেখাকে লিখলেন কীভাবে?
হামিরউদ্দিন : দেখুন, কৃষিতে এখন অনেক যান্ত্রিকতা। আমার দাদু বা বাবারা লাঙল চালিয়ে চাষ করেছেন। আমরা বড় হতে হতেই দেখলাম ট্র্যাক্টর চলে এল। এখন আর গোটা গ্রাম খুঁজলেও লাঙল পাওয়া যাবে না। কাস্তের জায়গায় ধান কাটার মেশিন এল। আগে প্রায় একমাস ধরে ঝাড়াই মাড়াই চলত। এখন তো ১৫ দিনেই গল্প শেষ। ফলে অনেক পেশাই আস্তে আস্তে হারিয়ে গেল। এই যেমন আমার মাঠরাখা গল্পটা, মাঠরাখা তো আসলে একটা পেশা। আগে ধান কাটার পর মাঠ শুকিয়ে গাড়ি নামার উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতেই গাদা দিয়ে রাখা হতো, ফলে রাত বিরেতে অনেকেই অন্যের ধান চুরি করে নিত। এক গ্রামের ধান চুরি করে অন্য গ্রামে নিয়ে গেলে কেই বা খুঁজে পাবে! তখন ঠিক হল মাঠরক্ষক রাখা হবে। তাঁকে চাষিরা এক বা দু' আঁটি করে ধান দিয়ে দেবে পারিশ্রমিক। সেই মাঠরাখা ধান রক্ষা করবে। মাঠরাখারা বড় লাঠি নিয়ে সারা মাঠ ঘুরত, দুষ্টু ছেলেদের তাড়া করত। তারপর মেশিন এল, একদিনেই মাঠ থেকে ধান বাড়িতে চলে আসছে এখন, আর কেউ ধান কেটে মাঠেও রাখে না, তাই চুরিও যায় না। সেই মেশিনের আসা আর মাঠরাখাদের বিদায় নেওয়ার পর্বে এই গল্পটার জন্ম। এই মানুষদের তো আমি দেখেছি নিজের চোখে।
মধুরিমা : প্রতিটা চরিত্র সারাক্ষণই ঘিরে আছে আপনাকে তবে?
হামিরউদ্দিন : সবাই মাঠের মানুষ। জানেন, আমাদের এই সোনামুখী মাঠগুলো অনেক নিচু। ফলে এখানে ডিভিসির জলে দু'বার ধান চাষ হয়। বেলিয়াতোড়ের জঙ্গলধারের গ্রামগুলো থেকে, শুশুনিয়ার কাছাকাছি গ্রামগুলো থেকে আমাদের এদিকে অনেক মানুষই অন্যের জমিতে ধান লাগাতে, ধান কাটতে আসতেন। তাঁদের ওখানে তো দু'বার চাষ হয় না। আর আমাদের এদিকে অনেক জমি, সেই জমির এত ধান কে লাগাবে, কে কাটবে! তাই মুনিষরা আসতেন। এখানেই কারও না কারও বাড়িতে থাকতেন, এখানেই খাওয়াদাওয়া হতো। একটা আত্মীয়তা গড়ে উঠত সেই পরিবারের সঙ্গে। ধান কাটার কাজ সারা হলে তাঁরা বাড়ি ফিরতেন। এখন ধান মেশিনে কাটা হয়, তাই এই পেশাটাও হারিয়ে গেল। শুধু পেশা না আত্মীয়তার সম্পর্কও তো ভেঙে গেল। এই নিয়েই লিখলাম 'নাবাল ভূমি' গল্পটা।
আসলে সবই চোখে দেখা বা ঠাকুমা, ঠাকুরদার মুখে শোনা। এই হারিয়ে যাওয়া পেশা, ভুলে যাওয়া সমস্ত উৎসব, এই সমস্ত মানুষদের নিয়েই আমার লেখাগুলো। আমি কী লিখব এটা দু'একটা লেখার পরেই ঠিক করে ফেলেছিলাম। আমি যে ভূমিতে জন্মেছি, বড় হয়েছি আমারই তো দায়িত্ব এই কথাগুলো লিখে রাখা। শিকড়কে ভুলে তো কিচ্ছু করা যায় না।