দেশভাগ, উদ্বাস্তু জীবন, যাদের ছবি ধরা রইল না ক্যামেরার লেন্সে
দেশের আসল সংজ্ঞা কী? দেশের প্রতি ভালবাসা আসে কীভাবে? প্রত্যেকের কাছে আছে দেশের নিজস্ব সংজ্ঞা। সেই ভালবাসা জোর করে আসে না, এমনিই আসে মন থেকে। যেমন বড় মনির ছিল একটুকরো দেশ। টুক করে সে হারিয়ে যেত মাঝে মাঝে। হাঁদার ছিল একটা...
উস্তাদ বিসমিল্লাহ খান বলেছিলেন কোনও স্থানে সংগীত বা অন্য যে-কোনও জিনিস অনবরত রেওয়াজ করতে থাকলে সেই স্থানে একটি অদ্ভুত শক্তির জন্ম হয়। সেই স্থানের দেওয়াল-জানলা চুঁইয়ে সংগীত প্রবেশ করে। পুরো জায়গাটা হয়ে ওঠে সংগীতময়। এই কথাগুলি বলার সময় ওঁর চোখ ঠিকরে দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছিল চতুর্দিকে। পরিচালক গৌতম ঘোষ ভাগ্যিস তাঁর নির্মিত তথ্যচিত্রে উস্তাদের স্বর্ণোজ্জ্বল মুহূর্তগুলো ক্যামেরায় বন্দি করেছিলেন! এই কীর্তির ফলস্বরূপ হাল প্রজন্ম কিছুটা হলেও বিসমিল্লাহ খানকে জলজ্যান্ত প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাই। সানাই সম্রাট, তাই সম্ভব। কিন্তু যাঁরা খুবই সাধারণ মানুষ; আমার-আপনার মতো ছড়িয়ে চতুর্দিকে- যাঁদের জীবনের ইতিহাস কোথাও হবে না ছাপা, অথচ এই আপামর গুরুত্বহীন মানুষগুলোও যে ইতিহাসের কালবিবর্তনের সাক্ষী হিসেবে সমান অংশীদার! আমরা কি সেইসব সিনেমা-সাহিত্যে স্থান না পাওয়া অত্যন্ত তুচ্ছ মানুষগুলোকে চিনতে-জানতে আদৌ আগ্রহী? হয়তো না। সম্ভবত সেই কারণেই এই স্মৃতিহীনতার শতাব্দীতে আমাদের সঙ্গে জুড়ে থাকা মানুষগুলো (নিজেদের শিকড়ের ইতিহাসও) মৃত্যুর পর দ্রুত বিস্মৃত হতে শুরু করে। লেখক কল্লোল লাহিড়ী তাঁর সাম্প্রতিক বই উৎসর্গ করেছেন ঠিক এইসব মানুষকেই। তিনি সময়ের সমুদ্রে ডুবসাঁতারে স্মৃতির ভাস্কর্য রচনা করেছেন অক্ষরের আদলে, 'বাবার ইয়াশিকা ক্যামেরা' নামক বইয়ে। সেখানে এক জায়গায় তিনি লিখছেন,
শুনেছি কোনও একটা বাড়িতে থাকতে থাকতে সেই বাড়িটার মতো হয়ে যায় মানুষগুলো। নাকি বাড়িটা হয়ে যায় মানুষ? তার জানলা, দরজা, কড়িবরগা, উঠোন, চৌবাচ্চা, জলের কল, লাইটের সুইচ সব যেন এক একটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। বসত করলে মায়া বাড়ে।
এক জায়গায় দীর্ঘদিন বসবাস করাও যে এক ধরনের 'রেওয়াজ'!
আমার বাবার ছিল একটি ইয়াশিকা ক্যামেরা। সেই সময় অনেকের বাড়িতেই ছিল, আবার অনেকের ছিলনা। এক সময় কোন এক কারণে বাবা সেই ক্যামেরাটি তারই এক বন্ধুর কাছে হস্তান্তরিত করে। এরপর সেই ক্যামেরা আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। কিন্তু ইতিমধ্যে ক্যামেরা তার ভাগের কার্য সম্পন্ন করে রেখে গেছে। একটা অ্যালবাম জুড়ে বাড়ির সদস্যদের ছবি। বেশিরভাগ বাবাই শখ করে তুলেছিল। বাবা-মায়ের বিয়ে থেকে শুরু করে আমার ভূমিষ্ঠ হওয়া অব্দি মুহূর্তগুলি, বাদ নেই কিছুই। সেই সময় মানুষ নিজেদের স্মৃতিকে এভাবেই আগলে রাখত। একটা বয়েসের পর আর ছবি নেই। ততদিনে ক্যামেরাও যে অন্য হাতে ক্লিক ক্লিক সুরে বেজে উঠছে। যতদিন ছিল সে আমাদের মুহূর্তগুলো বন্দী করেছে। অনেকদিন পরে যা আমাকে অনেক কিছু মনে করিয়ে দেবে। আমার পূর্ব-পুরুষেরা দেশভাগের ক্ষত নিয়ে কিভাবে এদেশে থিতু হয়েছিল তার স্মৃতি কিছুটা উসকাবে। একটা অনুষ্ঠানে সবাই একত্রে জড়ো হয়ে হাসিমুখ দেখে বুঝতে শিখবো কিভাবে সেই মানুষগুলো সব কিছু হারিয়ে এসে শত লড়াইয়ের মধ্যে দিন গুজরান করে থিতু হয়েছিল এদেশে, মুখে ফুটেছিল হাসি।
আরও পড়ুন: হাঙর নদীর গ্রেনেড: সেলিনা হোসেনের কলমে নারীত্বের অনন্য আখ্যান
ছবির কাজই হলো স্মৃতি উসকে দেওয়া। অনেকদিন পরেও বিস্মৃত ঢের কিছু মনে করিয়ে দেওয়া। ঠিক যেভাবে লেখক কল্লোল লাহিড়ীকে তাঁর বাবার কোনও এককালে তুলে রাখা ছবির চরিত্রগুলো একদিন লিখিয়ে নেবে তাঁদের বিস্মৃত জীবনের কাহিনি। একে একে তাতে জায়গা করে নেবে লেখকের বাবা, মা, বড় মনি, ঠাম্মা, দাদা ও হাঁদা। নিজের হকের দাবি আদায় করে নেবে একশো কুড়ি গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের বাড়ি। যে বাড়িটিজুড়ে ছিল লেখকের ছেলেবেলা ও অনেক স্মৃতি। পাইনকাঠের বাক্সের মধ্যে আগলে রাখা সেপিয়া টোনের স্মৃতি কালির হরফে ছাপা হবে বইয়ে। স্থিরচিত্র লেখার জাদুবলে রূপান্তরিত হবে চলচ্চিত্রে। চরিত্রগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে সেই সময়কাল। এতকাল পাখি পড়ার মতো আওড়ে আসা ইতিহাসকে এক অন্য দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুধাবন করব। ইতিহাস মানে যে শুধুই রাজারাজড়ার জীবনী নয়; সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দিনযাপনেরও আখ্যান!
এই লেখা গ্রন্থ সমালোচনা নয়। আমার স্বল্প জ্ঞানে সেটা একপ্রকার ধৃষ্টতার শামিল হবে। 'বাবার ইয়াশিকা ক্যামেরা' নামক বইটা পড়ার পর আমার পাঠ-অনুভূতি লিখছি। বইয়ের বিষয়বস্তু নামকরণ থেকেই অনুমেয়। লেখকের বাবাকে তাঁর বিলেতনিবাসী এক বন্ধু ইয়াশিকা ক্যামেরা উপহার দিয়েছিলেন। লেখকের বাবার ছিল ছবি তোলার শখ। সেই ক্যামেরায় ছবিও তুলেছিলেন বিস্তর। সময়ের সঙ্গে বাবার শারীরিক অসুস্থতায় সেই শখ নির্বাসিত হলো। একসময় বাবাও গত হলেন। কিন্তু রয়ে গেল ছবিগুলো। অনেক বছর পর যা একের পর এক জুড়ে এগারোটি পরিচ্ছদে রচনা হলো পরিবারের স্মৃতিচারণা। ইতিহাস। কিন্তু তা নিছক ব্যক্তিগত নয়। সেই স্মৃতিকথা লেখকের ব্যক্তিগত পরিসর ভেদ করে তার বৃত্তে ছুঁয়ে যায় ইতিহাসের এক সময়কালকে। যে সময়কালজুড়ে কনসেনট্রেশন ক্যাম্প, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, তেভাগা, দাঙ্গা, নকশাল আন্দোলন হয়ে ২০১৯ সালের রাস্তায় গণআন্দোলন। তাই যখন দেশভাগের শিকার আর হাজারও গুছিয়ে না নিতে পারা পরিবারের ভিড়ে লেখকের পরিবারকে এক সারিতে দেখি, বুঝতে অসুবিধে হয় না যে, দেশভাগের বিষাক্ত আঁচড় আজও কীভাবে পিঠে ক্ষতচিহ্ন এঁকে চলেছে। এখনও দেখি, নেতারা মানুষের পিঠে কাঁটাতারের দাগের ক্ষত খুঁজে নেওয়ার আমোদে মজে। অথচ কে চায় তাঁর জন্মভূমি ছেড়ে আসতে? যাঁদের জন্য দেশটা দু'-টুকরো হলো, একবারও কি আমরা তাঁদের পিঠের জামা খুলে ক্ষতচিহ্ন খোঁজার চেষ্টা করেছি? ভাবায় সেই প্রশ্ন। স্বাধীনতার নামে প্রতিবেশী দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় মেতে উঠে সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে নিঃস্ব হয়েছি! এই প্রশ্নগুলোই পাতার পর পাতাজুড়ে। বিস্মৃতিপ্রবণ জাতির ঘাড়ে স্মৃতি বারংবার নিঃশ্বাস ছাড়ে।
যুদ্ধের বীভৎস রূপকে বর্ণনা করতে আলা রেনের 'হিরোশিমা মন আমুর' ছবির রেফারেন্স লেখায় উঠে আসে। সমগ্র লেখাজুড়ে বিভিন্ন সিনেমা-সাহিত্যের রেফারেন্স। এভাবে কখন যে চলচ্চিত্রের চরিত্ররা বইয়ের চরিত্র হয়ে মিশে যায়, মনেও থাকে না। লেখকের বাবা-মায়ের বিয়ের দৃশ্য অবচেতন মনের কোনে 'অপুর সংসার' ছবির দৃশ্য হয়ে ধরা দেয়। ঠিক যেন অপু ও অপর্ণার বিবাহ! উদ্বাস্তু হয়ে আসা একটা ছেলের জীবনে একপশলা রোমান্টিকতা। যে ছেলেটির স্কুল সার্টিফিকেটে একদিন শিবহাটি হাইস্কুলের হেডমাস্টার লিখে দিয়েছিল সহায়হীন রিফিউজি ছেলেটি আশানুরূপ ফল না করতে পারলেও সে পরিশ্রমী, সৎ। তাকে যেন উপযুক্ত সুযোগ দেওয়া হয়। চোখের সামনে এক পলকের জন্য 'অপরাজিত' ছবির স্কুল হেডমাস্টারের সঙ্গে অপুর কথোপকথনের দৃশ্য ভেসে আসে। গল্পের গতিময়তার সঙ্গে বিভিন্ন সিনেমার চরিত্র, দৃশ্যরা পাতাজুড়ে জায়গা করে নেয়। 'মেঘে ঢাকা তারা'-র নীতা, 'বাইশে শ্রাবণ'-এর মালতী, 'পথের পাঁচালী'-র অপু এবং দেশছাড়া-স্বজনহারা মানুষজনগুলোর জীবন মিলেমিশে হয় এক। সবক'টা চরিত্রই ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে এক মঞ্চে দণ্ডায়মান।
দেশছাড়া মানুষগুলো আলো না-আসা ভাঁড়ারঘরে পাশাপাশি সহাবস্থান করার ফাঁকে নিজেদের দেশকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করত। ফেলে আসা দেশ তাদের অবচেতন রাখত আচ্ছন্ন করে। তাই লেখকের যেদিন প্রথমবার সুযোগ এল বাংলাদেশ যাওয়ার, সে পারভেজ ভাইকে অনুরোধ করে দেখা করে নেয় 'গায়ত্রী সন্ধ্যা'-র লেখক সেলিনা হোসেনের সঙ্গে। ততদিনে লেখকও যে বুঁদ পূর্বপুরুষের দেশ ছাড়ার কাহিনিতে। বাড়ির অন্ধকার কোণে বাসা করে নিয়েছে সেই কিসসা। সেলিনা আপাও যে তাঁর বইজুড়ে বর্ণনা করেছেন দুই দেশের ভিটেমাটি হারানো অসহায় মানুষের কাহিনি। সেই গল্প মননজুড়ে বুঁদ করে। তাই বন্ধু দেবালয় সেই দেশের মাটি নিয়ে আসে আইসিইউ-তে থাকা ঠাম্মির জন্য, মৃত্যুশয্যায় শায়িত মানুষের শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে। মেখলা-দেবালয়ের ঠাম্মিকে একদিন দেশভাগকালে দাঙ্গা-বিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে ছোট ছেলে ও কোলের মেয়েকে নিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল এপারে। অনেক লড়াইয়ের পর থিতু হতে পেরেছিল। শেষ যাত্রায় একপ্রকার জন্মভুমিকে ছুঁয়ে দেখা।
লেখকের বাবার তোলা ছবিগুলোই ইটের মতো থরে থরে সজ্জিত হয়ে স্মৃতির আকারে কাহিনি হয়ে বই আকারে প্রকাশ পেয়েছে। সামান্য বেতনের স্কুলমাস্টার নিজের সন্তানদের হাতে বিলাসের সামগ্রী না তুলে দিতে পারলেও বই পড়তে শিখিয়েছেন। ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে গিয়েছেন পাবলিক লাইব্রেরি ঘোরাতে। মানবিক বিকাশের জন্য ভালো চলচ্চিত্রের ভূমিকা উপলব্ধি করিয়েছেন। বিলাসব্যসন সামগ্রী হতে যা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময়কালের মানুষজনের জীবনের আপাত সাধারণ টুকরো কথা পড়লে বুঝব, আমাদের ভালোভাবে বাঁচার অর্থের প্রয়োজন ছিল অতি-সামান্য।
দেশের আসল সংজ্ঞা কী? দেশের প্রতি ভালবাসা আসে কীভাবে? প্রত্যেকের কাছে আছে দেশের নিজস্ব সংজ্ঞা। সেই ভালবাসা জোর করে আসে না, এমনিই আসে মন থেকে। যেমন বড় মনির ছিল একটুকরো দেশ। টুক করে সে হারিয়ে যেত মাঝে মাঝে। হাঁদার ছিল একটা চায়ের দোকান। এদেশে নিঃস্ব হয়ে উপযুক্ত কিছু না পেয়ে স্বনির্ভরতার রাস্তা সে নিজেই খুঁজে নিয়েছিল। সে নিজের দেশ খুঁজত খুব কষ্টে টাকা জমিয়ে, ধার-বাকি করে কেনা একটা সাদাকালো টিভিতে। কোনওভাবে সিগনাল পেয়ে আসা বাংলাদেশের অস্পষ্ট ঝিরঝিরে চ্যানেলে। কিচ্ছু দেখতে না পেলেও অনুভূতিতে সে পাড়ি দিত তার দেশের বাড়িতে। ঠিক যেমন দেশভাগ কোনওভাবে মানতে না পেরে ঋত্বিক ঘটক বারবার সিনেমার ক্যানভাসে আঁকতেন তার মর্মান্তিক পরিণতি। মণি, হাঁদা ও তাদের মতো কত যে অসংখ্য মানুষ সবকিছু থাকতেও সম্পূর্ণ হারিয়ে, মনের পূর্ণ না হওয়া অনেক আশা নিয়ে চোখ বুজল, তার খবর আমরা কে রেখেছি? আসলে আমরা কোনওকিছুই মনে রাখতে চাইনি। উদার অর্থনীতির প্রমোদতরীতে ভেসে পাড়ি দিয়েছি বিস্মৃতির দেশে। ক্ষমতাবানরা স্মৃতি নামক ধারালো অস্ত্রকে আপ্রাণ চেষ্টা করে ভোঁতা করে দিতে। নিজের শিকড় ভুলব না আগলে রেখে শান দেব, সিদ্ধান্ত নেব নিজেরাই।
বইটি পড়তে পড়তে নস্টালজিয়ার তরীতে পাড়ি দিয়ে তরতর করে ভেসে বেড়াতে থাকি। এক নিমেষে না পড়ে ফেলা অবধি হুঁশ থাকে না। একসময় শেষ হয় গল্পের ঝুলি। অনভুব করি, অজান্তে লেখকের ব্যক্তিগত পরিসরে সাজিয়ে নিয়েছি নিজের আশপাশের চরিত্র, অভিজ্ঞতা। গল্প শেষ হলে ধুলো ঝেড়ে খুলে বসি পুরনো ছবির অ্যালবাম। খুঁজে নিতে থাকি মানুষগুলোর যৌবন, নিজের শৈশব আর দেখা-না দেখা ঘটনাবলি। নতুন করে চিনতে শুরু করি নিজেকে।
শুধু একটাই অভিযোগ রয়েছে বইটিকে নিয়ে। শেষের পরিচ্ছদ কি অন্যভাবে শেষ করা যেত না? অন্যান্য পরিচ্ছদের গতিময়তার সঙ্গে আরেকটু যদি সাযুজ্য রাখা যেত, বেশ লাগত। কিংবা লেখক জ্ঞানত বুঝেশুনেই এইভাবে সমাপ্তি টেনেছেন। বইয়ে পাতার পর পাতাজুড়ে লেখকের পারিবারিক ছবি এবং তার সঙ্গে শিল্পী মেখলা ভট্টাচার্যর ইলাস্ট্রেশন ও কোলাজ গল্পের গতিময়তাকে যথাযথভাবে অবয়ব প্রদান করেছে। এইরকম একটা বিষয়বস্তু চমৎকার বই হয়ে উঠতে পারে, ভাবতেও অবাক লাগে।
বই: বাবার ইয়াশিকা ক্যামেরা
লেখক: কল্লোল লাহিড়ী
প্রকাশনা: সুপ্রকাশ
প্রচ্ছদ শিল্পী: মেখলা ভট্টাচার্য