আগামী দশ বছরে বিশ্ব দাবার রাশ ভারতের হাতেই, নিশ্চিত!

Praggnanandhaa Chess World Cup 2023 : ১৮ বা ২০ বছরের খেলোয়াড়ের যা স্মৃতি, যেভাবে দ্রুত সে ভাবতে পারবে, হিসেব কষতে পারবে তা তো কার্লসনের কমতে থাকবেই ধীরে ধীরে।

প্রজ্ঞা এক আলোর নাম। বিশ্বকাপ দাবার ফাইনালে এই প্রথম কোনও বছর আঠারোর তরুণ খেললেন, মন জয় করলেন। ভারতের দাবার ভবিষ্যৎকে এক ধাক্কায় আকাশের স্বাদ পাইয়েছেন প্রজ্ঞা। রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ বিশ্বের ৩ নম্বর দাবাড়ু ফ্যাবিয়ানো কারুয়ানা এবং বিশ্বের ২ নম্বর হিকারু নাকামুরাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন অবলীলায়৷ শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকে কার্লসনের কাছে পরাজিত হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু মন ও বিশ্বাস দুই-ই জয় করেছেন। কনিষ্ঠ এই গ্র্যান্ডমাস্টারকে ঘিরে এখন ভারতীয় দাবার অবস্থাটা ঠিক কেমন? ইনস্ক্রিপ্টের সঙ্গে আড্ডা দিলেন বাংলার প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া।

মধুরিমা : এর আগে পাঁচবার প্রজ্ঞা হারিয়েছিল কার্লসনকে, সেই সমস্ত খেলায় কোথায় এগিয়েছিল প্রজ্ঞা?

দিব্যেন্দু :  অনেকসময় একটা টুর্নামেন্টের মধ্যে যারা ভালো খেলোয়াড়, তাঁদের সঙ্গে অঘটন ঘটেই। গত তিন, চার বছরে প্রজ্ঞা যেভাবে উঠে এসেছে তাতে একাধিক সেরা খেলোয়াড়কে সে হারিয়েছে। বিশেষত এবারের টুর্নামেন্টে একের পর এক বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের হারিয়েই ফাইনালে উঠেছে। টাইব্রেকিংয়ে কোল্যাপস করেছে ও। আশা করেছিলাম, প্রথম সাত-আট মিনিট ভালো খেলবে। হলো না। তবে, সার্বিকভাবে বিচার করলে আগের খেলায় কী ফল হয়েছিল তার একটা চাপ থাকে। কিন্তু এর আগে ঠিক কোন সমীকরণে একই খেলোয়াড়কে প্রজ্ঞা হারাচ্ছে এটা বলা মুশকিল। কারণ প্রতিবারই একই কারণে হারাতে সক্ষম হয়েছে এমন না। প্রতিটি খেলাতে এক এক রকমের বিষয় কাজ করে, এক এক পরিস্থিতি...

মধুরিমা : কিন্তু এক এক জন খেলোয়াড়ের একটা ঘরানা থাকে। একজন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলতে খেলতে সেটা তো খানিক জানা হয়।

দিব্যেন্দু : এক দু'বার কার্লসনকে অনলাইনে হারিয়েছে প্রজ্ঞা। সেটাকে আমি খুব কম গুরুত্ব দিই। মেশিনের মাধ্যমে খেলাতে অন্য সমীকরণ কাজ করে। মুখোমুখি লড়াইটাই আসল। সেখানে প্রজ্ঞার সবচেয়ে বড় গুণ, ওর লড়াই করার মানসিকতা। সহজে ছাড়ে না। খুব কঠিন পজিশনেও ঠিক একটা চাল ও মাথা খাটিয়ে বের করে, সেটার জন্য পরিশ্রম করে। সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। প্রজ্ঞার সাম্প্রতিক খেলার সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন বিশ্বনাথন আনন্দ। আনন্দ শেষ কয়েক বছরে এই নতুন দলটার সঙ্গে কাজ করছেন, তাঁদের পরামর্শ দিচ্ছেন, আলোচনা করছেন, নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন এবং সর্বোপরি, সারাক্ষণ মানসিক সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনে ভারতে বিশ্বনাথন আনন্দের ব্যাটনকে যারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন, যে তিন চারজন উঠে আসছেন নতুন প্রজন্মের, তাঁদের কাছে আনন্দের এই উপস্থিতি এক বড় পাওনা, এক বড় ভরসা।

দাবা অলিম্পিয়াডে খুব ভালো খেলছিল ডি গুকেশ। হঠাৎ একটা ক্রুশিয়াল রাউন্ডে ও হেরে যায়। মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিল গুকেশ। বিশ্বনাথন আনন্দ তখন ভীষণভাবে মানসিক সমর্থন জুগিয়েছিলেন ওঁকে। মনে হতে পারে, এসব অত্যন্ত সামান্য বিষয়। কিন্তু এই সামান্য বিষয়ই প্রচণ্ড কাজে দেয়। প্রজ্ঞার ক্ষেত্রেও আমার বিশ্বাস, এই সমর্থন কাজে এসেছে।

আরও পড়ুন- নেশার খেলা থেকে স্নায়ুর যুদ্ধ, জীবনকে মাপছে দাবা

প্রজ্ঞার প্রস্তুতি তো খুবই ভালো ছিল। আমি দেখছিলাম, কার্লসন প্রথম দিনে একটি নতুন ধরনের, অপ্রত্যাশিত চাল দেয়। সঙ্গে সঙ্গে প্রজ্ঞা এমন একটি চাল ঘুরিয়ে দেয় যা কার্লসন নিজেই আগে ব্যবহার করেছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে প্রজ্ঞা একজন তৈরি খেলোয়াড়, প্রস্তুতিতে ফাঁক নেই। প্রজ্ঞা খুব শান্ত, ধীর এবং যে কোনও জায়গা থেকে ও ফিরে আসতে পারে লড়াইয়ে। এই কয়েকটি বিষয়ের জন্যই ও এতটা এগিয়ে গিয়েছে। ফাইনালে হেরে গিয়েছে ঠিকই, আমরা চেয়েছিলাম ভারতীয় হিসেবে জিতুক কিন্তু...

মধুরিমা : ওর খেলা দেখতে দেখতে কি মনে হচ্ছিল, কোথাও নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে? নাকি হঠাৎ ফাইনালেই এই পতন?

দিব্যেন্দু : একটু টায়ারিং মনে হচ্ছিল একথা ঠিক। অনেকটা দূর অবধি ও টেনেছে ঠিকই কিন্তু আমার মনে হয় টাইব্রেকিং পর্যন্ত স্ট্যামিনা বা ধৈর্য ধরে রাখতে পারেনি। প্রজ্ঞা দ্বিতীয় রাউন্ডে ফরাসি গ্র্যান্ডমাস্টার ম্যাক্সিম লাগার্ডকে হারায়, পরের পর্বে চেক জিএম ডেভিড নাভারার বিরুদ্ধে জেতে। চতুর্থ রাউন্ডে বিশ্বের ২ নম্বর দাবাড়ু নাকামুরার বিপক্ষে খেলে। পঞ্চম রাউন্ডে হাঙ্গেরিয়ান ফেরেঙ্ক বার্কসকে হারিয়ে ভার্চুয়াল কোয়ার্টার ফাইনালে অর্জুন এরিগাইসির বিরুদ্ধে জেতে। সেমিফাইনালে কারুয়ানার বিরুদ্ধেও জিতে যায় প্রজ্ঞা। সমস্যাটা হয় ফাইনালের টাইব্রেকারে। টানা খেলে যাচ্ছে ছেলেটা! একটা সময়ে মনে হয়েছিল, যেভাবে ও খেলছিল সেই দাপটটা টাইব্রেকিংয়ে কার্লসনের সামনে ভেঙে পড়ল। এটার নির্দিষ্ট কারণ বলা মুশকিল। তবে চাপ একটা কারণ তো বটেই। পরিবার কিছু চাপিয়ে দেয়নি ঠিকই, তাও নিজের মধ্যে একটা চাপ কাজ করে। এত মানুষের প্রত্যাশা, দেশের প্রত্যাশার চাপ এসেই পড়ে। সব মিলিয়েই হয়তো শেষটাতে গিয়ে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। তবে ঠিক আছে, এখন বাচ্চা ও, অনেক কম বয়স। এই বয়সেই সে বিশ্বের কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছে!

মধুরিমা : এই মুহূর্তে কার্লসন তো বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়...

দিব্যেন্দু : হ্যাঁ। শেষ এক দশকে তাঁকে টলানো যায়নি। তাঁর সঙ্গে পরের খেলোয়াড়ের রেটিংয়ের ফারাক বিস্তর। সেইরকম একজন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে দু'টি খেলা ড্র রাখা, টাইব্রেকিং পর্যন্ত যাওয়া এটা বড় কৃতিত্ব! এটাতেই বোঝা যাচ্ছে, আগামীতে বিশ্বে দাবাকে নেতৃত্ব দেবে ভারত। কার্লসনও মাস কয়েক আগে বলেছিলেন, ইন্ডিয়া ইজ গোয়িং টু রুল দ্য চেস ওয়ার্ল্ড। আনন্দের উত্তরসূরি আমরা পেয়ে গেছি। গুকেশ আর প্রজ্ঞা এর বড় উদাহরণ, এরাই বিশ্ব দাবার মঞ্চে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, যাচ্ছেও।

মধুরিমা : নতুন প্রজন্মের কারা উঠে আসছেন এই মুহূর্তে?

দিব্যেন্দু : ডি গুকেশ বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশে আছে, প্রজ্ঞার র‍্যাঙ্কিংও অনেকটা এগিয়ে এসেছে, অর্জুন এরিগাইসি তিরিশের মধ্যেই আছে, সবাই আনন্দের থেকে অত্যন্ত অনুপ্রাণিত। রৌণক বলে একটি ছেলে খেলছে ভালো, মহারাষ্ট্রের। বিদিত সন্তোষ গুজরাতি, একটু সিনিয়র হলেও এই প্রজন্মেরই। বিশ্বকাপ দাবার এই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে যে আটজন উত্তীর্ণ হয়, তার মধ্যে চারজনই ছিল ভারতীয়। বিদিত, অর্জুন, প্রজ্ঞানন্দা আর নিহাল সারিন। অর্জুন আর প্রজ্ঞার মধ্যে কোয়ার্টারফাইনালে খেলা হয়, প্রজ্ঞা এগিয়ে যায়!

মধুরিমা : বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে কোয়ার্টার ফাইনালে আটজনের মধ্যে চারজনই ভারতীয়, এই বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?

দিব্যেন্দু : একসময় দাবাতে সোভিয়েত ইউনিয়নের আধিপত্য ছিল, এখন ভারতের আধিপত্য। দাবার উৎস তো ভারতেই। ভারতেই ফিরে আসছে এর দাপট। এই মুহূর্তে দাবাতে ভারতের অবস্থান নিয়ে সারা বিশ্বের গর্ব হওয়া উচিত। বিশ্বনাথন আনন্দের হাত ধরেই যে এর সূত্রপাত, এই কথাটা মানতেই হবে। একটা সময়ে, ওই আশির দশকে প্রশ্ন ছিল কে গ্র্যান্ডমাস্টার হবে? আনন্দ প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন। আমাদের একটা প্রজন্ম এল, আনন্দ, আমি, প্রবীণ থিপসে, অভিজিৎ কুন্তে। তার পরের প্রজন্মে সূর্যশেখর, সন্দীপন, শশীকিরণ, হরিকৃষ্ণ, নীলোৎপল। এর পরবর্তী প্রজন্মই প্রজ্ঞাদের। বিগত বেশ কয়েক বছরে ভারতে দাবার গুরুত্ব বেড়েছে। দাবার সুযোগও বেড়েছে। আর সবের মাঝে আনন্দের ভূমিকা! নিজের খেলা কমিয়ে ও নতুন প্রজন্মকে গড়ছে।

মধুরিমা : অন্য খেলাতে শরীরের বয়সের একটা বিষয় থাকে। এখানে একজন আঠারো বছরের খেলোয়াড় খেলছেন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের বিপক্ষে। দাবাতে কি আসলে অসম লড়াই বলে কিছু হয়?

দিব্যেন্দু : অভিজ্ঞতা কাজ করেই। কার্লসন পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, অনেক টুর্নামেন্ট খেলেছে। আনন্দও তাই, ছ'বার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছে। এত বছরের সাধনার তো একটা ভূমিকা আছেই। খেলা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয়। এটা একটা বড় সুবিধা। অন্যদিকে এর একটা অসুবিধাও আছে। যত বয়স বাড়ে তত মানুষের শারীরিক ক্ষমতা কমে। ফিজিক্যাল গেমে যা করে নিতে চাও তোমাকে তিরিশ বছরের মধ্যেই করতে হবে। ব্যাতিক্রমের দিকে যাচ্ছি না। দাবাতে অনেকের ধারণা থাকে, যেহেতু ইন্ডোর গেম তাই এতে ফিজিক্যাল প্রেশার নেই, ফলে ফিজিক্যাল ফিটনেসও দরকার নেই। কিন্তু দাবা মানসিক খেলা। স্নায়ুর উপরে যে পরিমাণ চাপ পড়ে তার জন্য এতেও প্রবল ফিটনেস দরকার। দাবা স্মৃতিশক্তির খেলা, মনোসংযোগের খেলা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই দুই-ই কিন্তু দুর্বল হতে থাকে। ১৮ বা ২০ বছরের খেলোয়াড়ের যা স্মৃতি, যেভাবে দ্রুত সে ভাবতে পারবে, হিসেব কষতে পারবে তা তো কার্লসনের কমতে থাকবেই ধীরে ধীরে। কার্লসন কিন্তু নিজেকে অসম্ভব ফিট রাখে। ও ফুটবল খেলে, সাঁতার কাটে, রাগবি খেলে, শুধু নিজেকে ফিট রাখবে বলে। তাও, বছর তিনেক আগে যখন ও কলকাতায় এসেছিল যা শরীর ছিল তা কিন্তু এখন পাল্টে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই শরীর ভারী। যত শরীর ভারী হবে, ফিটনেস কমবে। নবীনের সঙ্গে প্রবীণের খেলায় অভিজ্ঞতায় অনেকেই হারা খেলাও জিতে যেতে পারে। তরুণ রক্ত তো গরম, তারা দ্রুত খেলা শেষ করতে চায়। অনেক আক্রমণাত্মক হয়, হার মানতে চায় না। একটু বেগতিক হলে ভেঙে পড়ে। অভিজ্ঞরা ভেঙে পড়বে না। এইটাই বয়সের সুবিধা। দাবাতেও তাই এখন এই বিষয়টা আসছে, যা অর্জন করতে চাও বছর পঁচিশের মধ্যেই করে ফেলতে হবে। যারা এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা তালিকায়, অধিকাংশই এই বয়সের। কার্লসন সহ অনেকেই একটু বেশি বয়সের দিকেও আছে। তাই এবার কিন্তু ওর ধার কমবে, নিজেকে ধরে রাখা সমস্যার হবেই।

আরও পড়ুন- আনন্দের তিন ‘মন্ত্র’, ভারত কি পারবে কিস্তিমাত করতে?

মধুরিমা : আগামীর কাছে এ তো বড় সুযোগ তাহলে...

দিব্যেন্দু : সারা বিশ্বেই যারা নতুন খেলোয়াড় উঠে আসছেন সবার ক্ষেত্রেই বড় সুযোগ। হ্যাঁ, ক্রিকেট ফুটবলে একটা বয়সের পর শারীরিকভাবেই মাঠে নামা সম্ভব হয় না। দাবাতে খেলাটা চালিয়ে নেওয়া যায় ঠিকই কিন্তু সেই মানের খেলা হবে না। তাই আগামী দশ বছর ভারতীয় এই নতুন প্রজন্মের তো বটেই, বিশ্বেও যারা খেলছে নতুনরা তাদেরও বড় দিন। আবার দশ বছর পর নতুন আগেক প্রজন্ম আসবে, এভাবেই তো এগোয়। ভারতের দাবার অবস্থা এখন অত্যন্ত ভালো।

মধুরিমা : প্রজ্ঞার এই খেলা থেকে নতুন ছেলেমেয়েরা ঠিক কী অর্জন করতে পারে?

দিব্যেন্দু : বিশ্বাস। সত্তর আশির দশকে যা ছিল, তার থেকে দাবা এখন অনেক বেশি জনপ্রিয়। প্রজ্ঞার এই খেলার পর নতুন প্রজন্ম আরও বেশি করে এগোতে ভরসা পাবে, বাবা মায়েরা অনেক এগিয়ে আসবেন সন্তানের জন্য।

মধুরিমা : দাবাতে মেয়েদের অবস্থাটা কেমন ভারতে এখন?

দিব্যেন্দু : আমাদের আর্থসামাজিক যা অবস্থা, বিয়ের পর কোনও মেয়েই খেলাতে এক্সেল করতে পারে না। আবারও বলছি, ব্যাতিক্রম আছে, তবে ব্যাতিক্রম নিয়মকেই প্রমাণ করে। বিশ্ব তালিকায় পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের ভূমিকা একেবারেই নগণ্য। আমি বারবারই বলি, মেয়েদের টুর্নামেন্ট বাড়াতে হবে। দাবা তো মাথার খেলা, শারীরিক বাধা অনেক মেয়েদের সমস্যা ঠিকই, কিন্তু দাবা তো বাধাহীন। সবাই দাবা খেলতে পারে। মানুষ হয়ে জন্মেছি যারা সকলেরই বুদ্ধি আছে, চর্চা দরকার কেবল। কেন মেয়েদের কেবল গানে, নাচে বা সফট স্কিল বা সফট গেমেই ভর্তি করা হবে? প্রতিটি কাজেই তো বুদ্ধি দরকার। আমাদের অনেক বেশি ওয়ার্কশপ, সেমিনার দরকার মেয়েদের নিয়ে। আমাদেরই দোষ, আমাদের চেষ্টাটা অনেক বেশি বাড়তে হবে। হবেই।

More Articles