দেশজুড়ে জ্বরজারি, করোনা নয় তবে কী? কী বলছে কেন্দ্র?
Influenza H3N2 Virus: সংক্রমণ এড়াতে কী করতে হবে? এড়াতে হবে কী কী?
শীতের শেষ এবং গরমের শুরু, মাঝের বসন্ত কালটুকু আজকাল অবশ্য টের পাওয়া যায় না বিশেষ। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে চড়া রোদের যে দাপট, তাতে অবশ্য ঠাহর করা সম্ভবও না। কিন্তু বসন্ত জানান দিচ্ছে রোগের প্রকোপে। ঘরে ঘরে জ্বর জারি দেখেই চেনা যাচ্ছে পুরনো সময়টাকে। আবহাওয়া বদলের সময়ে জ্বর, সর্দি, কাশি এগুলো কোনওটাই নতুন নয়। নতুন যেটা তা হল নিত্য নীতি। ভাইরাসের দাপট। এমনিতেই করোনা মহামারীর জেরে পরবর্তী সময়ে মানবদেহে ইউমিউনিটি সিস্টেমের সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। যার ফল এই নতুন নতুন ভাইরাস জনিত রোগের বাড়বাড়ন্ত।
Fever cases on rise - Avoid Antibiotics pic.twitter.com/WYvXX70iho
— Indian Medical Association (@IMAIndiaOrg) March 3, 2023
করোনা অথবা ডেঙ্গু নয় সম্প্রতি আরও একটি নতুন ভাইরাস মাথাচাড়া দিচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে। লক্ষণ বলতে জ্বর, সর্দি। তবে মামুলি জ্বরের সঙ্গে একে গুলিতে ফেলেই হচ্ছে বড় বিপদ। করোনার মতো উপসর্গ অথচ করোনা নয়, বিগত দুই থেকে তিন মাস ধরে সারাদেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নয়া রোগের ভ্রুকুটি। হুহু করে ছড়িয়ে পড়ছে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি! ‘ফ্লু’-এর দাপটে নাজেহাল আমআদমি। ফ্লু থেকে রক্ষা পেতে তাই ইতিমধ্যেই একাধিক পরামর্শ জারি করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন - মৃত বেড়ে ১১, রোজই চোখ রাঙাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, বিপদ এড়াতে যা যা খেতে দেবেন শিশুদের
কিন্তু কী এই ফ্লু?
উপসর্গ প্রায় একই রকম হলেও রোগের ধরন আলাদা। এটি আসলে ইনফ্লুয়েঞ্জা A সাব-টাইপ H3N2। অন্যান্য ‘সাব-টাইপের’ তুলনায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হারও তুলনামূলক অনেকটাই বেশি। ICMR এর মতে, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই ভাইরাসের কেস দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই রোজ আক্রান্তদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোটামুটি ২ থেকে ৩ সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে H3N2। এই রোগে আক্রান্তদের বয়স মোটামুটি ১৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
Influenza A subtype H3N2 is the major cause of current respiratory illness. ICMR-DHR established pan respiratory virus surveillance across 30 VRDLs. Surveillance dashboard is accessible at https://t.co/Rx3eKefgFf@mansukhmandviya @DrBharatippawar @MoHFW_INDIA @DeptHealthRes pic.twitter.com/3ciCgsxFh0
— ICMR (@ICMRDELHI) March 3, 2023
সম্প্রতি এই রোগের ছড়িয়ে পড়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।করোনা ভাইরাসের মতো একইভাবে জ্বর সর্দি কাশি এবং শ্বাসকষ্ট জনিত লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাই এর থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে একই রকম নিয়মাবলী মেনে চলার কথা বলেছেন চিকিৎসকেরা। নিয়মিত সাবান এবং জল দিয়ে হাত পা ধোয়া এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রকাশ্যে থুতু না ফেলার কথা বলা হয়েছে গাইডলাইনে। এর পাশাপাশি হ্যান্ডশেক না করার কথাও রয়েছে এই নির্দেশিকাতে। আইসিএমআর এর তরফে বলা হয়েছে যে, জ্বর সর্দি থেকে বাঁচতে কথায় কথায় যে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার চল রয়েছে ঘরে ঘরে। কিন্তু এখানে সেই বিষয়েই কড়া পদক্ষেপ জারি করা হয়েছে। কেবল অ্যান্টিবায়োটিক নয়, উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসারও পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ওষুধগুলি কেবলমাত্র অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শের পরেই খাওয়া যাবে নচেৎ নয়। তবে আশার কথা হল এই যে, এর লক্ষণগুলি গুরুতর তবে এটি প্রাণঘাতী নয়।