রাজস্থানে অভাবনীয় তুষারপাত! কলকাতায় শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা?

Winter Weather Update: রাজস্থানের মাউন্ট আবু হিল স্টেশনে তুষারপাত ঘটেছে এবং থর মরুভূমির প্রবেশদ্বার চুরুতে তাপমাত্রার পারদ নেমে গিয়েছে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

বড়দিন পেরিয়ে গেল, পার্কস্ট্রিটের কেতাদুরস্ত সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল, আস্ত ডিসেম্বর মাসটাই গড়িয়ে গিয়েছে শেষের দিকে, তবু শীতকাল তো এল না সুপর্ণা! কলকাতা তো বটেই, সারা বঙ্গেই তেমন জাঁকিয়ে শীত এল কই? কই এল কুয়াশা চিরে আগুন জ্বালানো ভোর? কই এল "আজ স্নান না করলেও চলে" বলা দিন? সারা বাংলা জুড়ে এমন প্রশ্নমালা গাঁথা হলেও, আবহাওয়া দফতর বলছে, দিল্লি এবং উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি অংশে তীব্র শীতের খবর পাওয়া গেছে ইতিমধ্যেই। এখানেই শেষ নয়, আবহাওয়া দফতর আগামী দুই দিন এই অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে।

গত সপ্তাহেই দিল্লি পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। যার ফলে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। দিল্লিতে, রবিবার পারদ ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম! এই বছর শহরের শীতলতম দিন ছিল বড়দিন।

শুধু রাজধানী দিল্লি নয়, ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে হরিয়ানা, পঞ্জাব, চণ্ডীগড় এবং রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশ। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের সূত্র বলছে, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলি কুয়াশাচ্ছন্নই থাকতে পারে।

দিল্লি, পঞ্জাব, চণ্ডীগড় এবং হরিয়ানার বেশিরভাগ অংশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেখা গিয়েছে ৩ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে! আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও ট্রেন চলাচলেও প্রভাব পড়ছে।
অন্যদিকে মরুশহরে শুরু হয়েছে তুষারপাত! রাজস্থানের মাউন্ট আবু হিল স্টেশনে তুষারপাত ঘটেছে এবং থর মরুভূমির প্রবেশদ্বার চুরুতে তাপমাত্রার পারদ নেমে গিয়েছে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

আরও পড়ুন- শীতে হঠাৎ বাড়ছে কোভিড-আতঙ্ক! ফের বিধি নিষেধের আশঙ্কা এদেশে?

শীত না পড়লেও বঙ্গবাসী কুয়াশার মুখ দেখবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গেও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মহারাষ্ট্রেও তাপমাত্রা কিছুটা কমবে বলে খবর।
পশ্চিম হিমালয়ের অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, তামিলনাড়ু রাজ্যের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দেওয়াতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে, পটনায় ৩১ ডিসেম্বর অবধি স্কুলগুলি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে বিহার সরকার। আর গাজিয়াবাদের স্কুলগুলি প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য সকাল ১০ টা থেকে বেলা ৩ টে পর্যন্ত ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কাশ্মীরে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে কয়েক ডিগ্রি নেমে যাওয়ায় শীতের পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়েছে। কাশ্মীর বর্তমানে 'চিল্লা-ই-কালান' অর্থাৎ ৪০ দিনের টানা কঠিনতম শীতকালের কবলে রয়েছে।

More Articles