পুজোর থালায় রোজই দিচ্ছেন নকুলদানা, জানেন ইংরেজিতে কী বলে একে?

Nakuldana : মহাভারতেও উল্লেখ ছিল এই মিষ্টির, কীভাবে তৈরি হল নকুলদানা?

সাদা রঙের গোলাকার ছোট ছোট দানা, মুখে দিলেই ভরপুর চিনির স্বাদ! কী বলুন তো? ঘরোয়া পুজোয় নিত্যদিনের প্রয়োজনে লাগে এই নকুলদানা। দেখতে বড় বড় চিনির দানার মতো বলেই হয়তো এমন নাম। পুজোর থালায় পরিচিত হলেও এই স্বাদের প্রতি বেশ টান আছে কম বেশি সকলেরই। আদতে চিনির ডেলা হলেও এর মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষত্ব। কিন্তু জানেন কি এই নকুলদানার উৎপত্তি কী করে?

নকুলদানার জন্ম ঠিক কবে তা জানা যায়নি। তবে এর উল্লেখ মহাভারতেও পাওয়া যায়। শোনা যায়, পঞ্চপাণ্ডবের চতুর্থ ভাই নকুল খাবার নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই এক নতুন পদ আবিষ্কার করে ফেলেন।তিনি খইকে চিনির রসে ডুবিয়ে স্বাদ নিতে গেছিলেন। সেই স্বাদ পাওয়ার পর অসম্ভব ভালো লেগে যায় তার। আর সেই থেকেই এ মিষ্টির নাম হয়ে যায় নকুলদানা। সংস্কৃতে ‘নকুল’ শব্দের অর্থ খুব সুন্দর অন্যদিকে শিব বা মহাদেবের অপর নামও নকুল৷ তাই সেই প্রসঙ্গ গুলিই জুড়ে থাকতে পারে এই মিষ্টির নেপথ্যে বলে অনেকে মনে করেন।

আরও পড়ুন - একটু একটু করে ভুলছেন সবই? অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল আপনার বিপদ বাড়াচ্ছে অজান্তেই

নকুল দানার ব্যবহার মূলত বাংলার পুজো আচ্ছা প্রায়ই দেখা যায়। ঘরোয়া পুজোয় বাতাসার একচেটিয়া আধিপত্য একপ্রকার কেড়ে নেয় এই নকুলদানাই। আদতে বৈষ্ণব মিষ্টি এই নকুলদানা।বৈষ্ণব পদাবলী, চৈতন্য চরিতামৃত থেকে শুরু করে গীতাঞ্জলির নানা আচারে কাঁসার বাটিতে নকুলদানা পরিবেশন করার উল্লেখ রয়েছে। আজও জগন্নাথের নিদ্রাভঙ্গে বাল্যভোগে নকুলদানা জায়গাটা পাকা। চিনির শুকনো খাবার বলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে এটি। তাই চট করে নষ্ট হওয়ার ভয়ও নেই m

কিন্তু এহেন নকুলদানাকে ইংরেজিতে কী বলে জানেন?

এই অতি পরিচিত নকুলদানাকে ইংরেজিতে ‘মিমোসা শুগার বল’ বলা হয়। এক বিশেষ ধরনের ফুল হল ‘মিমোসা’। দেখতে অনেকটা ছোট ছোট সাদা বলের মতো। এবং দারুণ মিষ্টি সুবাস এর। যেহেতু বাংলার এই পরিচিত নকুলদানা গুলিকে দেখতে অনেকটা একই রকম তাই ইংরেজিতে ওই ফুলের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখেই এমন নামকরণ করা হয়। এর সঙ্গে খাবারের মধ্যে চিনির অস্তিত্ব বোঝাতে অতিরিক্ত ‘সুগার বল’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হয়।

More Articles