মমতা-মন্তব‍্যে ফের বিতর্কিত সিঙ্গুর! এক নজরে ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

Singur Timeline: কী বলছে সিঙ্গুরের ইতিহাস? দেখে নিন এক নজরে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের হাত ধরে ফের লাইমলাইটে সিঙ্গুর। প্রশ্ন, বিতর্ক আর জল্পনার দাবদাহে মেতেছে রাজ্য। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? কী বলছে ইতিহাস? দেখে নিন এক নজরে।

২০০৬ বিধানসভা নির্বাচনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে বিপুল জয় পেল বামফ্রন্ট।

১৮ মে, ২০০৬
টাটা গোষ্ঠীর প্রধান রতন টাটা এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ঘোষণা করলেন ন্যানো প্রকল্পের।

২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৬
সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় হল রাজ্য সরকার। টাটা গোষ্ঠীর কারখানা তৈরির জন্য জমি নেওয়া হল সিঙ্গুরে।

১ ডিসেম্বর, ২০০৬
সিঙ্গুরে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী নেত্রীকে বাধা দিল পুলিশ। শুরু হল উত্তেজনার পরিস্থিতি।

৪ ডিসেম্বর, ২০০৬
এবার এই ইস্যুতে অনশনের পথে হাঁটলেন মমতা।

আরও পড়ুন: কৌশল না স্মৃতিভ্রম! টাটা তাড়ানোর ইতিহাস নিয়ে মমতার মন্তব্যে দানা বাঁধছে জল্পনা

১৮ ডিসেম্বর, ২০০৬
প্রকাশ্যে এল তাপসী মালিক হত্যাকাণ্ড। উত্তাল হল রাজ্য।

২৮ ডিসেম্বর, ২০০৬
২৬ দিনের অনশন ভাঙলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

৯ মার্চ, ২০০৭
সিঙ্গুরের টাটা মোটরস পেল প্রায় ৯৯৭ একর জমি।

১০ জানুয়ারি, ২০০৮
রাজধানী দিল্লিতে প্রথম প্রকাশ্যে এলো টাটার ন্যানো।

১৮ জানুয়ারি, ২০০৮
রাজ্যকে ফের জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

২৭ জুন ২০০৮
ফের উত্তেজনা। সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানার সামনে বিক্ষোভ। গেট ভাঙল উত্তেজিত জনতা।

১৯ অগাস্ট, ২০০৮
অনিচ্ছুকদের দেওয়া জমি ফেরাতে হবে, ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০ অগাস্ট, ২০০৮
রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। রাজভবনে বৈঠকে মুখোমুখি হলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যর্থ হল ওই বৈঠক।

২৪ অগাস্ট, ২০০৮
সিঙ্গুরে জাতীয় সড়কের উপর মঞ্চ বেঁধে অবস্থান শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

৩ অক্টোবর, ২০০৮
সিঙ্গুর থেকে সরল ন্যানো প্রকল্প। সরে গেল টাটা গোষ্ঠী। ঘোষণা করলেন রতন টাটা।

১৩ মে, ২০১১
রাজ্যের বামশাসন হঠিয়ে মহাকরণ দখল করল মমতার তৃণমূল কংগ্রেস।

৯ জুন, ২০১১
কৃষকদের জমি ফেরাতে অর্ডিন্যান্স জারির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

১৩ জুন, ২০১১
বিধানসভায় পাশ হলো ‘সিঙ্গুর বিল’।

২০ জুন, ২০১১
সিঙ্গুর বিলে সই করলেন রাজ্যপাল।

২১ জুন, ২০১১
সিঙ্গুরের জমি দখলে নিল রাজ্য সরকার।

২২ জুন, ২০১১
‘সিঙ্গুর আইন’-কে চ্যালেঞ্জ। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলো টাটা মোটরস। সরকারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চাইল টাটা মোটরস।

২৭ জুন, ২০১১
টাটাদের আর্জি খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যের ওই অর্ডিন্যান্সে স্থগিতাদেশের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত  নিল টাটা মোটরস কর্তৃপক্ষ।

২৮ জুন, ২০১১
সকালে জমি মাপার কাজ শুরু হলো। একই দিন সন্ধ্যায় সিঙ্গুরের ওই জমির কাগজ হস্তান্তর হলো।

২৯ জুন, ২০১১
সিঙ্গুরের কৃষকদের জমি ফেরতে না করল সুপ্রিম কোর্ট।

৩১ অগাস্ট, ২০১৬
এবার এল ঐতিহাসিক রায়। ২০০৬ সালে সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ছিল, জানাল দেশের শীর্ষ আদালত।

উচ্ছাস শুরু হলো তৃণমূল শিবিরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনরত জয় হয়েছে বলা হলো ফের। জমি ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য।বিতর্কের কেন্দ্রে থাকল সিঙ্গুর ইস্যু। ফের সেই সিঙ্গুর ইতিহাসই তুলে আনলেন মমতা।

More Articles